ত্বক শরীরের একক বৃহত্তম অঙ্গ যা রোগ প্রতিরোধ এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখে। সাবান বা ক্লিনজার ত্বক পরিস্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। বার, ক্লিঞ্জার, বডি ওয়াশ, শাওয়ার জেল এ সব কিছুই সাবানের নানা ধরন। চর্বি বা তেলের সাথে ক্ষার মিশিয়ে সুগন্ধি যোগ করে এগুলো তৈরি করা হয়। কিন্তু এই সাবানই আবার ত্বকের ক্ষতির কারন হতে পারে। এজন্য সাবান বা ক্লিঞ্জারের বাবহার নিয়ে গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। আসুন জেনে নেই সাবান ত্বকে কি ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়
ত্বকে একধরণের প্রোটিন এবং তেল থাকে যা রোগ প্রতিরোধে দেয়াল হিসেবে কাজ করে থাকে। বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করলে এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে। প্রদাহযুক্ত ত্বকে খুব সহজেই নানা ধরনের জীবাণু আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
ত্বক শুষ্ক করে, একজিমা, অ্যালার্জি বাড়িয়ে দেয়
ত্বকের গ্রন্থি থেকে একধরনের তেল নিঃসৃত হয় যা ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং মসৃণতা রক্ষা করে থাকে। সাবান বাবহারে এই তেলও পরিস্কার হয়ে যাওয়ার ফলে ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে পরে। শুষ্ক ত্বকে চুলকানি অনুভুত হয়। যাদের একজিমা, অ্যালার্জি রয়েছে সেটি বেড়ে যেতে পারে। সাবান তৈরিতে ব্যাবহার করা সুগন্ধির কারনেও অ্যালার্জি হতে পারে।
ব্রণ বেড়ে যেতে পারে
সাবান ব্যাবহারে ত্বকে জলীয় এবং তৈলাক্ততা কমার সাথে সাথেই তেল নিঃসরণকারি গ্রন্থি গুলো আগের তুলনায় বেশি তেল তৈরি করতে থাকে। যা ব্রণ তৈরিতে সহায়তা করে। আক্রান্তদের ব্রণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়।
বলিরেখা বাড়িয়ে দেয়
সাবান বাবহারে তেল এবং সেরামাইড চলে যাওয়ার ফলে ত্বকের ভাঁজ এবং বলিরেখা বেশি গোচরীভূত হয়।
সমাধান কি?
• বার/বডি ওয়াশ/ ক্লিঞ্জার/শাওয়ার জেল কেনার সময় ক্ষারীয় মাত্রা দেখে কিনুন। ৭ হলে সবচেয়ে ভালো না হলে কাছাকাছি মাত্রার কিনুন।
• গ্লিসারিন, সেরামাইড যুক্ত বার/বডি ওয়াশ/ ক্লিঞ্জার/শাওয়ার জেল কেনার চেষ্টা করুন।
• সাবানের পরিবর্তে অয়েল বেজড ক্লিঞ্জার ব্যবহার করতে পারেন, যা সাবানের মতোই ত্বক পরিস্কার করে থাকে।
• গোসলের সময় মুখ এবং শরীররে সন্ধিস্থান (বগল, কুচকি) ছাড়া অন্যস্থানে প্রতিদিন সাবান ব্যাবহার না করাই ভাল।
• গোসলের পর ময়েশচারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment