Sunday, May 19, 2024

টিপুর বাঘ


শৌর্যবীর্যের প্রতীক বাঘ খুব পছন্দ করতেন মহীশুরের শের টিপু সুলতান। তার ব্রাঘ্যপ্রীতির সবচেয়ে বড় নিদর্শন কাঠের তৈরি করা একটি বাঘের মূর্তি, তাতে দেখা যায় ডোরাকাটা একটি বাঘট এক ইংরেজের টুঁটি চেপে ধরে রেখেছে। টিপু সুলতানকে হত্যার পর বাঘটিকে বিলেত পাঠিয়ে দিয়েছিল ইংরেজরা। এটি এখন লন্ডনের ভিক্টোরিয়া ও আ্যালবার্ট জাদুঘরে সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত হচ্ছে।

আঠারো শতকের শেষ দিকে ব্রিটিশদের কাছে মূর্তিমান বিভীষিকা হয়ে উঠেছিলেন সুলতান ফতেহ আলি সাহেব টিপু। বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন টিপু সুলতান। সার্বভৌমত্ব রক্ষায় উপমহাদেশের প্রথম দিকের শাসক হিসেবে যুদ্ধক্ষেত্রে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। কথিত আছে, টিপুর মৃত্যুসংবাদ শুনে ভারতের গভর্নর জেনারেল রিচার্ড ওয়েলেসলি বলেছিলেন, 'ভদ্রমহোদয় ও ভদ্রমহিলাগণ, ভারতবর্ষের মৃত আত্মার স্মরণে আমি পান করছি।' টিপুর মৃত্যুর খবর বিলেতে পৌঁছালে সেখানেও উৎসবের ঢেউ লাগে। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় ইংরেজ শাসকদের কাছে কত বড় আতঙ্কের নাম ছিলেন টিপু সুলতান। 

কন্নড় ভাষায় টিপু অর্থ বাঘ। তিনি বিখ্যাতও হয়ে আছেন মহীশুরের বাঘ নামেই। টিপুর এই 'মহীশুরের বাঘ' নামটির উৎপত্তি কীভাবে, তা নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলেন, যৌবনে একবার বন্ধুর সঙ্গে শিকারে গিয়েছিলেন টিপু সুলতান। সে সময় এক বাঘের সামনে পড়ে যান তারা। জনশ্রুতি অনুসারে, বাঘটি টিপুর বন্ধুকে হত্যা করে। জন্তুটিকে হত্যা করতে উদ্যত হন টিপু, কিন্তু তার বন্দুক থেকে গুলি বের হলো না। হাতের ছোরাও পড়ে গেল মাটিতে। বাঘটি টিপুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তেই তিনি ছোরাটি মাটি থেকে উঠিয়ে ওটাকে হত্যা করেন। এর পর থেকেই সবাই তাকে মহীশুরের বাঘ নামে ডাকতে থাকে।

অন্য আরেকটি মতে, টিপু সুলতানের সিলমোহরে ছিল বাঘের ছবি। তাঁর ব্যক্তিগত প্রতীক, রাজপ্রাসাদ, অস্ত্র, বর্ম, সিংহাসন, সেনাবাহিনী—সর্বত্র ছিল বাঘের আধিপত্য। তাঁর  সকল পোশাক, এমনকি রুমালেও ছিল ডোরাকাটা বাঘের উপস্থিতি। এই ব্যাঘ্রপ্রীতির জন্যই তাকে মহীশুরের বাঘ নামে ডাকতে থাকে লোকে।

তার শাসনামলে মহীশুরে বাঘ শিকার ছিল নিষিদ্ধ। যৌবন থেকেই বাঘ পুষতে শুরু করেছিলেন টিপু। তার ঘরের সামনে শেকল দিয়ে বাঁধা থাকত কয়েকটি বাঘ। তবে তার বাঘপ্রীতির সবচেয়ে বড় নিদর্শন হয়ে টিকে আছে কাঠের তৈরি রং করা একটি খেলনা। খেলনাটি আর কিছু নয়, চার ফুট লম্বা একটি বাঘের মূর্তি।

এই মূর্তিতে দেখা যায়, ডোরাকাটা বাঘটি এক ইংরেজের টুঁটি চেপে ধরে রেখেছে। ইংরেজ লোকটির পরনে সাদা মোজা, ফৌজি টুপি, নীল ব্রিচেস, লাল কুর্তা ও কালো জুতা। ভয়ালদর্শন বাঘটি হাঁটু গেঁড়ে বসে রয়েছে শিকারের ওপর। জানোয়ারটির দাঁত বিঁধে আছে শিকারের গলায়। বাঘের শরীরের বাঁ পাশের ভেতরে লুকানো একটা ছোট পাইপ অরগান। জন্তুটির পেছন দিকের একটি হাতল ঘোরালেই সেই অরগান বেজে ওঠে। সে আওয়াজ শুনলে মনে হয়, মুমূর্ষু মানুষের আর্তনাদ আর বাঘের গর্জন ভেসে আসছে যেন। শিকার যে তখনও বেঁচে আছে, তা বোঝানোর জন্য ইংরেজ লোকটার বাঁ হাত কনুই থেকে একটু ওপরে ওঠানামা করে।

জনশ্রুতি আছে, ইংরেজ সেনাপতি হেক্টর মানরোর সঙ্গে যুদ্ধে হেরে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন টিপু সুলতান। এরকম মানসিক অবস্থায় একদিন শুনলেন, সুন্দরবনের বাঘ শিকার করতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে মানরোর একমাত্র ছেলে। খবরটি শুনেই ওই চার ফুট লম্বা বাঘের মূর্তি তৈরি করান টিপু। প্রকৃতপক্ষে খেলনাটি একের পর এক যুদ্ধে হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়া মহীশুরের বাঘ টিপু সুলতানের শত্রুর প্রতি ঘৃণা এবং প্রতিশোধের ব্যগ্র স্পৃহার প্রতীক।

১৭৯৯ সালে ইংরেজবিরোধী যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন টিপু সুলতান। টিপুর দুর্গ শ্রীরঙ্গপত্তমের পতনের পর সেখানে তাণ্ডব চালায় ইংরেজ কমান্ডার ও তাদের সৈনিকরা। লুটপাট চালায় টিপুর গ্রন্থাগার, সমৃদ্ধ অস্ত্রাগার, তোষাখানা, ধনভান্ডারে। মূল্যবান সমস্ত জিনিসপত্র লুট করে চালান করে দেওয়া হয় লন্ডনে। লুটপাটের সময় টিপু সুলতানের বিখ্যাত খেলনা বাঘটির কথা বিশেষভাবে মনে রেখেছিল ইংরেজরা। গভর্নর জেনারেল লর্ড মর্নিংটন টাওয়ার অভ লন্ডনে প্রদর্শনের জন্য ব্রিটেনে পাঠিয়ে দেন বাঘটিকে। তবে লন্ডনে পৌঁছে বেশ কয়েক বছর গুদামেই পড়ে থাকে খেলনা বাঘটি। পরে ১৮০৮ সালে লন্ডনে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জাদুঘরে প্রথম প্রদর্শিত হয় এটি। অল্প সময়ের মধ্যেই দারুণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে মহীশুরের শের টিপু সুলতানের বাঘ। মনোযোগ কেড়ে নেয় তৎকালীন বহু পর্যটক, কবি, নাট্যকার ও চিত্রশিল্পীর। নানা স্থান ঘুরে সেই বাঘটি এখন লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট জাদুঘরে স্থায়ী আবাস গেড়েছে। এই দীর্ঘ যাত্রায় বাঘটির শরীরে লুকানো অরগানটিকে বেশ কয়েকবার সংস্কার করতে হয়েছে। শিল্পকলা প্রেমীদের কাছে এটি #TipusTiger নামে পরিচিত।

 টিপু সুলতানের বাঘ হয়ে উঠেছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে উপমহাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের প্রতীক। টিপু সুলতানের বাঘ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ও ক্রিকেট বোর্ডে স্থান করে নিয়েছে ডোরাকাটা বাঘ। 

#TipuSultan #LondonLife, #Museum,

Friday, May 17, 2024

জিন্নাহর বংশোধর

ওয়াদিয়া গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ইরান থেকে আসা পার্সি লোভজি নুসারওয়াঞ্জি ওয়াদিয়া ১৭৩৬ সালে বোম্বে ড্রাইডক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি এশিয়ার প্রথম জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি। 

পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর একমাত্র কণ্যা দিনা জিন্নাহ। ওয়াদিয়া পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের নেভিল ওয়াদিয়াকে বিয়ে করেন দিনা। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি বোম্বেতেই স্বামী-সন্তানের সঙ্গে থেকে যান। তিনি নিউইয়র্কে বসবাসরত অবস্থায় ২০১৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার পুত্র জিন্নাহর একমাত্র পৌত্র নেসলি ওয়াদিয়া বর্তমানে ওয়াদিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান। জিন্নাহর একমাত্র নাতনি অবিবাহিত ছিলেন। 


মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর  জীবিত সরাসরি বংশধর এখন পৌত্র নুসলি ওয়াদিয়া ও তার দুই পুত্র নেস ওয়াদিয়া ও জেহাঙ্গির ওয়াদিয়া। তারা ভারতের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ওয়াদিয়া গ্রুপ পরিচালনা করছেন। উড়োজাহাজ, বস্ত্র, কেমিক্যাল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ইত্যাদি নানা ব্যবসা রয়েছে এই গ্রুপে। আইপিএল দল পাঞ্জাব কিংসের মালিকানাও রয়েছে এই গ্রুপের।

#MRKR #Jinnah #PunjabKings

Thursday, May 16, 2024

Wembley Stadium


The original Wembley Stadium was demolished in 2002 to build the new stadium which stands today. It's a historical as well as modern landmark of #London. Brazilian footballer Pelé once said of the stadium: "Wembley is the cathedral of football. It is the capital of football and it is the heart of football", in recognition of its status as the world's most famous football stadium.The stadium is England's national football stadium, and thus hosts the majority of the England national football team home matches.

The stadium's first turf was cut by King George V and it was first opened to the public on 28 April 1923. It was known as British Empire Exhibition Stadium. The ground had been used for football as early as the 1880s & named as Wembley Stadium.

Wembley hosted the FA Cup final annually since 1923, which was the stadium's inaugural event. It also hosted League Cup final annually, five European Cup finals, the 1966 World Cup final, and the final of Euro 1996. The stadium also hosted many other sports events, including the 1948 Summer Olympics, rugby league's Challenge Cup final, and the 1992 and 1995 Rugby League World Cup finals. It was also the venue for numerous music events, including the 1985 Live Aid charity concert.

The new Wembley Stadium was inaugurated in 2007. With 90,000 seats, it is the largest stadium in the UK and the second-largest stadium in Europe. A UEFA category four stadium, the new Wembley hosted the 2011 and 2013 UEFA Champions League finals, final of UEFA Euro 2020 and hosted the final of the UEFA Women's Euro 2022. It will also stage the 2024 UEFA Champions League final.

#London #LondonWalk #LondonLife, #LondonCity #WembleyStadium #MRKR

Wednesday, May 15, 2024

নিউইয়র্কের জন্মবৃত্তান্ত

বর্তমানে পৃথিবীর বানিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্ক, আসুন জেনে নেই সেই নগরীর গোড়াপত্তনের ইতিহাস। 

১৬২৪ সালে ডাচ ঔপনিবেশিক শক্তির ছোট্ট একটি বন্দর হিসেবে নিউ আ্যমষ্টারডাম নামে নিউইয়র্কের গোড়াপত্তন ঘটেছিল। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র নামে পরিচিত ভূখণ্ডটি তখন বৃটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির শাসনাধীন থাকলেও এখনকার ম্যানহাটন ডাচ ঔপনিবেশিক শক্তির দখলে ছিল।

অপরদিকে ডাচ ইষ্ট ইন্ডিজ নামে পরিচিত আজকের ইন্দোনেশিয়ার ভূখণ্ড ডাচ ঔপনিবেশিক শক্তির শাসনাধীন থাকলেও প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট একটি দ্বীপ বৃটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির দখলে ছিল। কমবেশি ৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের রান নামের এই দ্বীপ তখনকার দিনে #মসলা ব্যবসার জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থান দখল করে ছিল।

দ্বিতীয় বৃটিশ-ডাচ যুদ্ধের পর ব্রেডা চুক্তি অনুযায়ী ১৬৬৪ সালে এই দুইটি ভুখন্ড অদলবদল করা হয়। মসলার বানিজ্যিক গুরুত্ব কমে যাওয়ায় সাথে সাথে রান দ্বীপ এখন ইন্দোনেশিয়ার ছোট্ট একটি জনবসতি। আর ম্যানহাটন হয়ে উঠেছে মহাশক্তিধর  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা পৃথিবীর বানিজ্যিক রাজধানী।


Tuesday, May 14, 2024

The Palace of Westminster

Palace of Westminster and Westminster Abbey including Saint Margaret’s Church is one of the most famous landmark & tourist destination in London. 


Palace of Westminster is the meeting place of the Parliament of the United Kingdom. It is commonly called the Houses of Parliament after the House of Commons and the House of Lords, the two legislative chambers which occupy the building. #Westminster has become a metonym for the UK Parliament and the British Government, and the Westminster system of government commemorates the name of the palace. The clock bell in the Elizabeth Tower of the palace, known by it's nickname #BigBen, is also a landmark of London.

The building was originally constructed in the eleventh century as a royal palace, and was the primary residence of the kings of England until 1512, when it was destroyed by a fire. The royals were relocated in neighboring Whitehall Palace, but remains of the building was continued to serve as the home for Parliament of England. In 1834 another large fire it was destroyed. It was rebuilt in 1840 on the remains of medival site, which also comprises medieval Church of Saint Margaret, and Westminster Abbey.

Westminster Abbey is the place where monarchs are crowned, married and buried. It is also a focus for national memorials of those who have served their country, whether prominent individuals or representatives, such as the tomb of the Unknown Warrior. It is a place of worship for over 1000 years, maintains the daily cycle of worship as well as being the church where major national celebrations and cultural events are held. The Palace of Westminster continues to be the seat of Parliament.

The Palace of Westminster, Westminster Abbey and St Margaret’s Church lie next to the River Thames in the heart of London. They are symbols of religion and power since Edward the Confessor built his palace and church in 11th century AD. Changing through the centuries together, they represent the journey from a feudal society to a modern democracy and show the intertwined history of church, monarchy and state. Together they encapsulate the history of one of the most ancient parliamentary monarchies of present times and the growth of parliamentary and constitutional institutions.

#London #LondonWalk #LondonLife #londoncity #MRKR

Sunday, May 12, 2024

লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজ


পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য নান্দনিক, ব্যতিক্রমী ও বিচিত্র সেতু রয়েছে, কিন্তু লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজের মতো খ্যাতি আর কোনো ব্রিজের নেই সম্ভবত। টেমস নদীর দুই পাড় সংযুক্ত করতে লন্ডনে বেশ কয়েকটি সেতু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে টাওয়ার ব্রিজ সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান। বলা যায়  কালের বিবর্তনে এই ব্রিজটি লন্ডনের প্রতীকে পরিনত হয়েছে। দেশী বিদেশী অসংখ্য পর্যটক এটি দেখতে আসেন, ছবি তোলেন। টাওয়ার ব্রিজকে ভুল করে অনেকে লন্ডন ব্রিজ বলে থাকে, যেটি অদুরেই অবস্থিত। টাওয়ার অফ লন্ডনের পাশে অবস্থিত এই টাওয়ার ব্রিজ লন্ডনে টেমস নদীর পুর্ব ও পশ্চিম অংশকে সংযুক্ত করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল।

ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৮৮৬ সালে এবং পুরো কাজটি শেষ হয় ১৮৯৪ সালে। টেমস নদীর ওপর নির্মিত এ ব্রিজের দৈর্ঘ্য ২৪৪ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ মিটার। ৬৫ মিটার উঁচু দুটি টাওয়ার দিয়ে যুক্ত। বড় আকারের নৌযান চলাচল করার সময় ব্রিজটির মাঝ বরাবর আলাদা হয়ে উপরের দিকে উঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ভিক্টোরিয়ান গথিক স্থাপত্য শৈলীর এই ব্রিজটিকে প্রথম দিকে অনেকেই তেমন পছন্দ করেননি।

টাওয়ার ব্রিজের ভেতরের অংশে ব্রিজ প্রদর্শনী নামে একটি প্রদর্শনী আছে, যাতে ছবি, ভিডিও, ফিল্ম ইত্যাদির মাধ্যমে ব্রিজটির ইতিহাস তুলে ধরা হয়। প্রতি বছর ব্রিজের পাশে মেলা বা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এই মেলায় বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী আগমন করে থাকে।

#London #LondonWalk #LondonLife, #londoncity  #TowerBridge

Friday, May 10, 2024

লন্ডন সেন্ট্রাল মসজিদ



লন্ডনের রিজেন্টস পার্কের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে  লন্ডন সেন্ট্রাল মসজিদ
। 

হায়দরাবাদের শেষ নিজাম ওসমান আলী খাঁন সর্বপ্রথম ১৯৩৭ সালে লন্ডনে একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। নিজামিয়া মসজিদ নামে যেটির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৪০ সালে বিলেত সরকার মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নির্মাণের অনুমোদন এবং এক লাখ পাউন্ড অনুদান দেয়।

 ১৯৪৪ সালে মিসর ও সুদানে চার্চ নির্মানের জায়গার সঙ্গে বিনিময় করে বিলেতের রাজা  ষষ্ঠ জর্জ ২.৩ একর জায়গা নিয়ে একটি ভিলা বরাদ্দ করেন। এখানেই বৃটিশ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নামে দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। এই  প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে তহবিল সংগ্রহের পর ১৯৭৪ সালে মসজিদ নির্মাণ শুরু হয়। বর্তমান মসজিদ কমপ্লেক্স ১৯৭৭ সালে উদ্বোধন করা হয়।

পুর্ব লন্ডন মসজিদ সবচেয়ে বড় হলেও লন্ডন সেন্ট্রাল মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার বিলেতে সুন্নী মুসলমানদের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে থাকে। মুসলিম দেশগুলোর দুতাবাসের সমন্বয়ে একটি ট্রাষ্ট মসজিদ ও কালচারাল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই মসজিদে প্রধান হলেএকসঙ্গে ৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। এছাড়াও মহিলাদের নামাজের জন্য পৃথক হল রয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সে প্রায় ২৫ হাজার বই সম্বলিত একটি গ্রন্থাগার, ইসলামী শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য স্কুল এবং খাবারের কেন্টিন রয়েছে!

#London #LondonCentralMosque

দুর্গাপূজার ইতিহাস

বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা । যে দেবীকে উৎসর্গ করে এই উৎসব তার নাম দুর্গা । দেবী দূর্গার উৎপত্তি হয় বেদ পরবর্...