ত্বক শরীরের একক বৃহত্তম অঙ্গ। পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়া ত্বকের অন্যতম প্রধান কাজ। মূলত আধুনিক মানুষের কর্মকাণ্ডে বায়ুমন্ডল দুষিত হয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই।
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণের আশংকাজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে উপমহাদেশে। বায়ুদূষণের কারণে মানবদেহে নানাধরনের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় বা প্রাদুর্ভাব ঘটে থাকে। বায়ুদূষণের কারণে ত্বকের রোগ হতে পারে সেটি সাধারণভাবেই অনুমান করা যায়।
নানা ধরনের গ্যাস, ধুলি কণার সমন্বয়ে বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। দুষনের কারণে সৃষ্ট ধোয়াশা আবহাওয়ার কারণে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় এবং কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে শরীরবৃত্ত ক্রিয়ার কারনে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।
√ত্বকের প্রদাহের কারণে একজিমা, ডার্মাটাইটিস, এলার্জি, ব্রণ ইত্যাদি রোগ বাড়িয়ে দেয়। বায়ু দূষণের কারণে সৃষ্ট ত্বকের শুস্কতার কারণে চুলকানি বেড়ে যায়।
√বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন কমে যাওয়ার প্রভাবে শরীরবৃত্ত ক্রিয়ার কারনে ত্বকের কোলাজেন ভেঙ্গে যায়। ফলে ত্বকের স্বাভাবিক মসৃণতা নষ্ট হয়ে ভাজ, দাগ ইত্যাদি বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণ আবির্ভাব হয়।
√বায়ুদূষণে কার্বন কণা বৃদ্ধির কারণে ত্বকের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
√বায়ুদূষণের কারণে মাথার চুল পড়া বৃদ্ধি পেয়ে টাক পড়তে পারে।
প্রতিরোধে করণীয়
√নিয়মিত সানস্ক্রিন এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
√বাহির থেকে এসেই গোসল করে ফেলুন, অন্তত মুখমণ্ডল এবং হাত পা ক্লিন্জার বা কম ক্ষারীয় সাবান দিয়ে পরিস্কার করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
√বাইরে চলাফেরার সময় ফেসমাস্ক ব্যবহার করুন এবং গৃহাভ্যান্তরে বায়ূ পরিশোধক যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
√শাকসবজি, ফলমুল বেশি খাবেন। পর্যাপ্ত পানীয় পান করুন।
সমস্যা অনুভূতির সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সমস্যা অনুভূতির সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
No comments:
Post a Comment