সংবাদমাধ্যমে বিগত কয়েকদিনে আমেরিকায় তেলাপিয়া 🐟 মাছ খাওয়ার কারনে এক নারীর হাত-পা কেটে ফেলার খবর প্রকাশ হয়েছে। হেডলাইন দেখে সাধারণ মানুষ তেলাপিয়াকে বিষাক্ত মাছ মনে করতে পারে। এই ভুল বার্তা নিম্নবিত্ত মানুষেরা দৈনন্দিন প্রোটিন গ্রহণে বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। আসলে যে কোন মাছ বা সি-ফুড থেকেই এই ধরনের মারাত্মক খাদ্য বিষক্রিয়াজনিত জটিলতা হতে পারে।
কিভাবে ছড়ায়?
©কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ বা কম রান্না করা মাছ, সি-ফুড ইত্যাদি খাওয়ার মাধ্যমে। সাধারণত শেলফিস এবং ওয়েষ্টার থেকেই সংক্রমণ বেশি হয়ে থাকে।
©এছাড়া ত্বকের ক্ষত দিয়ে পানির মাধ্যমে সরাসরি শরীরে প্রবেশ করতে পারে এই ব্যাকটেরিয়া।
লক্ষণ কি
খাওয়ার পর বমি, পাতলা পায়খানা, তীব্র পেটব্যথা ও জ্বর হয়ে থাকে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার লক্ষণ এগুলো। ত্বকে সংক্রমিত হলে আক্রান্ত স্থান লালচে হয়ে ব্যাথা, গরম অনুভুতি, ফুলে কালচে বর্ণ হয়ে যেতে পারে। ক্ষতস্থান দিয়ে জ্বলীয় নিঃসরণ হতে পারে।
সংক্রমণ রক্তে ছড়িয়ে পড়লে জীবনহানির শংকা সৃষ্টি হয়। সাধারণত যাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা লিভারের রোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি। রক্ত নালীতে রক্ত চলাচল কমে যাওয়ায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোস্কা ও গ্যাংরিন হতে পারে। সেপটিক শকে মৃত্যু ঘটে থাকে।
প্রতিরোধ ও চিকিৎসা
©কাঁচা বা অর্ধসিদ্ধ মাছ বা সি-ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
©পানিতে নামার পর ত্বকের কোন স্থানে লালচে, ফুলে যাওয়া, ব্যাথা ইত্যাদি অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
©ত্বকে ক্ষত থাকলে পুকুর, নদী বা সমুদ্রে নামা থেকে বিরত থাকুন।
©মাছ বা সি-ফুড খাওয়ার পর উল্লেখিত লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।