সুস্থতার জন্য হাঁটাহাটির প্রয়োজনীয়তা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত। ওজন নিয়ন্ত্রণ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, হাড়ের ক্ষয়রোধ ইত্যাদি নানা দৈহিক সমস্যায় হাঁটাহাটি অত্যাবশ্যক বলে চিকিৎসা সেবায় গ্রহণ করে নেয়া হয়েছে। কিন্তু হাঁটাহাঁটির সঙ্গে মানসিক চাপ কমানো বা বিষন্নতা থেকে মুক্ত থাকার বিষয়টি তেমনভাবে আলোচিত হয় না। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে মাত্র ১০ মিনিট হাঁটলেই মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা অনেকাংশে কমে যায়।
হাঁটাহাঁটির সময় মানুষ সাধারণত পারিপার্শ্বিক বিষয় থেকে বিমুক্ত হয়ে নিজের মনের সঙ্গে একান্ত সময় কাটাতে পারে। মস্তিস্কে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। যে কারণে এন্ডোরফিন নামে #সুখী হরমোন বেশি নিঃসরণ হয়ে থাকে। এড্রেনালিন নামক আরেকটি হরমোনের নিঃসরণও বৃদ্ধি পায়, যেটি মনকে চাঙ্গা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। ঘুমের সঙ্গে যে মানসিক অবস্থার সম্পর্ক রয়েছে, সেটি সবাই অবগত। হাঁটার সময় ঘুমের সঙ্গে সম্পর্কিত হরমোন নিঃসরণও বৃদ্ধি পায়। মাংসপেশীর কাঠিন্য কমে যায়। ফলে ভালো ঘুম হয়ে থাকে। তবে সেজন্য শোয়ার আগে হাঁটাহাটি করতে হবে।
ঘরের ভিতর হাঁটাহাটি বা ট্রেডমিল করে মানসিক চাপ বা বিষন্নতা কমাতে তেমন কার্যকরী ভূমিকা পালন করে না। মানসিক চাপ কমাতে বা বিষন্নতা দূর করতে বাইরে হাঁটার বিকল্প নেই।
No comments:
Post a Comment