Friday, January 3, 2025

এইচএমপিভি ভাইরাসকে জানুন

সম্প্রতি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস সংক্রমণ। বিশেষ করে চীনের উত্তরাঞ্চলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বেশি শনাক্ত হচ্ছে। জাপানেও ফ্লু লক্ষণ নিয়ে সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণের জন্য দায়ী হিসেবে ২০০১ সালে সনাক্ত করেন। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে এই ভাইরাসের অনেক ক্ষেত্রে মিল রয়েছে। শীতকালীন ফ্লু হিসেবে এটির আবির্ভাব ঘটে। সববয়সী মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি। 

ভাইরাসটির অস্তিত্ব ২০০১ সালে জানা গেলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া বিকল্প উপায় নেই


কিভাবে ছড়ায়

•হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। 

•রোগীর ব্যবহৃত জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে।

লক্ষণ কি

রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে সংক্রমণের কারণে অসুস্থতার তীব্রতা ভিন্ন হতে পারে। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের ৩ থেকে ৬ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা যায়।

•জ্বর

•সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা 

• শ্বাসকষ্ট 

• তীব্র সংক্রমণে নিউমোনিয়া, হাঁপানির মতো লক্ষণ

•ত্বকে ব়্যাশ

চিকিৎসা কি

ভাইরাসজনিত রোগ বিধায় নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই। তবে লক্ষন অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে।

প্রতিরোধ 

•কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া, 

•অপরিষ্কার হাতে নাক মুখ স্পর্শ না করা, 

•মাস্ক ব্যাবহার করা এবং 

•আক্রান্ত রোগী থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। 

এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জীবনহানির আশংকা না থাকলেও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ না করলে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। 

#virus #Disease #health #flu #COVID19

No comments:

দ্য গ্রেট লন্ডন ফায়ার

১৬৬৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সিটি অফ লন্ডন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, যা ইতিহাসে 'দ্য গ্রেট লন্ডন ...