Wednesday, March 4, 2020

করোনা সংক্রমণ রোধে সচেতনতা এবং ফেসমাস্ক


বিশ্বজুড়ে কোভিড ১৯ ভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ পর্যন্ত ৭০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রায় ৯২ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩২০০ মৃত্যুবরণ করেছে। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে ৬ জন আক্রান্ত হলেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এখন পর্যন্ত কারও দেহে এই ভাইরাস সনাক্ত হয়নি। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, সংক্রামক রোগের মহামারী প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই। কী করবেন *আ্যলকোহল সমৃদ্ধ জীবাণুনাশক হ্যান্ড রাব (স্পিরিট, হেক্সিসল), সাবান বা সাবান জাতীয় জিনিস দিয়ে ঘনঘন হাত ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। *অপ্রয়োজনে নাক, চোখ, মুখে হাত দেয়ার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। *অপরিচিত কারো সাথে হ্যান্ডশেক করার পর হাত ধোয়া না পর্যন্ত নাক, কান, চোখমুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। *রেস্টুরেন্টে খাবার গ্রহণ এবং পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার সময় সঠিকভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে। *জনসমাগম বা ভিড় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। *যেখানে সেখানে কফ, থুথু ফেলবেন না। হাঁচি কাশি দেয়ার সময় সতর্ক থাকুন। *গলা ভিজিয়ে রাখতে পর্যাপ্ত পানীয় পান করুন। *শুধু মাস্ক ব্যবহার কোভিড ১৯ সংক্রমণ রোধে কার্যকরী নয়। নিজে সর্দি-জ্বর, হাঁচি-কাশি, ফ্লুতে আক্রান্ত হলে এই মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করলে সেটি অন্যকে আক্রান্ত করার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। ফেসমাস্ক চীনের উহানে করোনা ভাইরাস প্রথম সনাক্ত হওয়ার পর থেকেই দেশে দেশে সুস্থ মানুষের মধ্যে ফেসমাস্ক কেনা এবং ব্যবহার করার হিড়িক লেগেছে। এই সুযোগে প্রস্ততকারক কোম্পানির ব্যবসা ভালো হলেও সেটি কোভিড ১৯ প্রতিরোধে কতোটা কার্যকর তা জেনে নেয়া উচিত। সাধারণ ফেসমাস্ক বায়ুদূষণ থেকে কিছুটা পরিত্রাণ দিলেও রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে না। সংক্রমণ প্রতিরোধে N95 নামে রেসপিরেটরি মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। তবে এই মাস্ক পরিধানকারীর শরীর থেকে রোগ ছড়ানো যতোটা প্রতিরোধ করে, বাহির থেকে শরীরে রোগ অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে ততোটা কার্যকর নয়। শুধু তাই নয় সঠিকভাবে ব্যবহার না জানলে এই মাস্ক থেকেই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু আক্রান্ত রোগীর যত্ন নেয়া এবং সংস্পর্শে আসলে এই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে ফেসমাস্ক ব্যবহারের নিয়ম *হাত পরিষ্কার করে মাস্ক লাগাতে হবে। *নাকমুখ ঢাকার পর মুখমণ্ডল এবং মাস্কের ভিতর কোন ফাঁক রাখা যাবে না। * হাত পরিষ্কার না করে কখনো পরিধান করা মাস্ক স্পর্শ করা যাবে না। *খোলার সময় পেছন থেকে খুলতে হবে, মাস্ক স্পর্শ করা যাবে না। *মেয়াদত্তীর্ণ অপরিস্কার, নোংরা মাস্ক যত দ্রুত সম্ভব আবর্জনা বাক্সে ফেলে দিন। মনে রাখবেন কোভিড ১৯ ভাইরাস হাঁচি-কাশি ছাড়া সাধারণভাবে স্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাতাসে ছড়ায় না। কাজেই হুজুগে ফেসমাস্ক ব্যবহার না করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এটি প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার চেষ্টা করুন।

No comments:

বেঙ্গল ক্যাট 🐈😺

বঙ্গদেশের জংলি বিড়াল ও মিশরের গৃহপালিত বিড়ালের মধ্যে প্রজনন ঘটিয়ে নুতন জাতের একটি বিড়াল প্রজাতির উদ্ভাবন করা হয়, যা বর্তমানে বেঙ্গল ক্য...