Wednesday, January 11, 2023

ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

করোনা মহামারি ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ডিজিটাল করার চলমান প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। করোনা মহামারির সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাব চলাকালীন দেশটির যানবাহনে চলাচল এবং শপিংমল বা যে কোন জনসমাগমস্থলে প্রবেশাধিকারের জন্য ২০২১ সালে একটি আ্যপ চালু করা হয়। এই আ্যপে করোনা পরীক্ষা, টিকা দেয়ার রেকর্ড এবং অন্যান্য কয়েকটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য এন্ট্রি করার পর প্রত্যেকের জন্য আলাদা একটি কিউআর কোড তৈরি হয়, যেটি ব্যবহার করে চলাচল বা প্রবেশাধিকার পাওয়া যায়। স্মার্টফোনে এই আ্যপটি ব্যবহার শুরু করার পর নির্দিষ্ট ব্যক্তির চলাচলের একটি ম্যাপিংও স্বয়ংক্রিয়ভাবে  তৈরি হয়।

২০২৩ সালের শুরুতে ইন্দোনেশিয়া করোনা মহামারির জন্য নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কাজেই মহামারির জন্য চালু করা আ্যপটিও ব্যবহার যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। ভবিষ্যতে সকল নাগরিকের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য সমন্বয় করার বিষয়টি মাথায়  রেখেই এই আ্যপটি চালু করা হয়েছিল।

ইন্দোনেশিয়ার সকল স্বাস্থসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক, প্যাথোলজি পরীক্ষা কেন্দ্র ও ফার্মেসি এই আ্যপের মাধ্যমে সংযুক্ত হচ্ছে। বর্তমানে অনলাইন ডাটাবেজ ব্যবহার করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে সেবাগ্রহনকারীর স্বাস্থ্য রেকর্ড সংরক্ষণ করে থাকে। তবে এই আ্যপের মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিকের ঔষধ কেনা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত  সকল তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। সেবাদানকারী যেকোন প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট কোডের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতার রেকর্ড দেখতে পারবেন। সেবাগ্রহীতাও তার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রেকর্ড দেখতে পারবেন এবং প্রেসক্রিপশনসহ যে কোন রিপোর্ট আ্যপের মাধ্যমেই সংগ্রহ করে নিতে পারবেন। ২০২৩ সালের মধ্যেই এই সমন্বয় করার প্রক্রিয়া শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আগামী বছর থেকে এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। উল্লেখ্য ২০১৪ সাল থেকে ইন্দোনেশিয়ার স্বাস্থ্য সেবা সার্বজনীন স্বাস্থ্য বীমার মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে বিরাজমান অব্যবস্থাপনা দুর করা স্বাস্থ্য খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সমন্বিত ব্যবহার এবং সার্বজনীন স্বাস্থ্য বীমা চালু করার বিকল্প নেই। দক্ষ জনবল, সরঞ্জাম এবং অবকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এই বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের উদ্যোগ নিতে হবে অবশ্যই।


No comments:

এইডস'কে জানুন

এইডস ভাইরাস জনিত যৌন বাহিত একটি রোগ। ১৯৮১ সালে প্রথম সনাক্তের পর এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ৯ কোটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের ম...