বৃটিশ
ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থাকলেও সাম্রাজ্যের রাজধানী লন্ডনে মুসলমানদের প্রার্থনা করার জন্য কোন মসজিদ ছিল না। একটি মসজিদ স্থাপনের উদ্যোগ হিসেবে ১৯১০ সালের ৯ ডিসেম্বর লন্ডনে বসবাসকারী গণ্যমান্য মুসলিমরা রিজ হোটেলে মিলিত হয়ে 'লন্ডন মসজিদ ফান্ড' গঠন করেন। সেই মিটিংয়ে লন্ডনের প্রভাবশালী খৃষ্টান ও ইহুদি ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।
'লন্ডন মসজিদ ফান্ড' গঠনে উল্লেখযোগ্য দাতাদের মধ্যে ছিলেন (হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর চাচা, অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের নানা শ্বশুর) ডা: হাসান সোহরাওয়ার্দী, সৈয়দ আমীর আলী, তৃতীয় আগা খাঁন প্রমুখ। খৃষ্টান ধর্মের ইতিহাসবিদ টি. ডাব্লিও আরনল্ড এই ফান্ডের সচিব এবং হাসান সোহরাওয়ার্দী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। স্যার জন উডহেডকে কোষাধক্ষ্যের দায়িত্ব দেয়া হয়। এছাড়াও ইউরোপের ধনাঢ্য ইহুদি পরিবার এবং ব্যাংকিং জগতের পথিকৃৎ রথচাইল্ড পরিবারের নাথান রথচাইল্ডকে ট্রাষ্টি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এই ফান্ডের সহায়তায় ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত লন্ডনের বিভিন্ন স্থান ভাড়া নিয়ে জামায়াত ও জুমার নামাজ আয়োজন করা হতো। ১৯৪০ সালে পুর্ব লন্ডনে জমি ক্রয় করা হয় এবং ১৯৪১ সালের ২ আগষ্ট 'ইষ্ট লন্ডন মসজিদ ' উদ্বোধন করা হয়।
১৯৮৫ সালে সৌদি আরব, কুয়েত ও বৃটিশ সরকারের অর্থ সহায়তায় পুর্নাঙ মসজিদ ও মুসলিম কাউন্সিল কমপ্লেক্সের নির্মাণ শেষ হয়। ২০০১ ও ২০০৯ সালে মসজিদের আরো সংস্কার ও সম্প্রসারন কাজ করা হয়। বর্তমান মসজিদটি ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ। একসঙ্গে কমবেশি ৭ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে ইষ্ট লন্ডন মসজিদে।
No comments:
Post a Comment