কোন দম্পতি বিশেষ কারণে এক বিছানা বা রুমে না ঘুমালে সেটিকে স্লিপ ডিভোর্স বলা হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক তৃতীয়াংশ এবং যুক্তরাজ্যের এক চতুর্থাংশ দম্পতি এই বিশেষ ধরনের #ডিভোর্স জীবনযাপন করছেন। ঐতিহাসিকদের মতে এই ব্যবস্থা অতীতে খুব সাধারণ বিষয় ছিল। বিশেষ করে যাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ভালো ছিল, যেমন জমিদার বা রাজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। করোনা মহামারীর পর বর্তমানে এই ব্যবস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে।
নাক ডাকা, ঘুমের মাঝে হাত -পা নাড়ানো, স্লিপ ওয়াকিং, অর্থাৎ ঘুমের ঘোরে হাঁটার অভ্যাস বা শারীরিক সমস্যার কারণে তারা ঘনঘন বাথরুমে যাওয়ায় সঙ্গীর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বা বিরক্ত হতে পারে। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে স্লিপ ডিভোর্স পালন করা হয়ে থাকে। স্লিপ ডিভোর্স অসম্মানজনক নয়, বরং জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মুলত সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের কারণে।
ঘুম না হলে মেজাজ খারাপ হতে পারে। সঙ্গীর সাথে তর্কে জড়ানোর সম্ভাবনা তাদের বেশি থাকে। সঙ্গীর প্রতি বিরক্তি জন্মাতে পারে, যা দাম্পত্য সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া সহ আরো কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তবে স্লিপ ডিভোর্স পালনকারী দম্পতির সম্পর্ক, সান্নিধ্য বা পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক বিছানায় ঘুমানো দম্পতির মধ্যে যে জৈবিক বন্ধন সৃষ্টি হয় স্লিপ ডিভোর্সে তা ভেঙে যায়। তাছাড়া যারা একা ঘুমাতে পারেন না, তাদের জন্য ব্যবস্থাটি মেনে নেয়া কষ্টকর। কাজেই সম্পর্কে থাকা দুজনের সম্মতির ভিত্তিতে স্লিপ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। সেটি না হলে স্থায়ী ডিভোর্সের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।
#MRKR
No comments:
Post a Comment