পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ইদানিং বাথটাবে সন্তান জন্ম দেয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর বেশ কিছু অঞ্চলে নদী বা সুমদ্রে সন্তান প্রসবের সংস্কৃতি প্রচলিত রয়েছে অনেক আগে থেকেই। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ও ন্যাশনাল চাইল্ড বার্থ ট্রাষ্ট সন্তান জন্ম দেয়ার এই প্রক্রিয়া অনুমোদন দিলেও এখনো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই সেবা দেয়া শুরু করে নাই। তবে ধাত্রী বা চিকিৎসকের উপস্থিতিতে বাড়ি বা অন্য কোন সুবিধাজনক স্থানে তার চিকিৎসকের অনুমোদন সাপেক্ষে পানিতে সন্তান প্রসব করতে পারেন গর্ভবতী। এই সেবা দেয়ার জন্য বেশকিছু কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। পানির নিচে সন্তান প্রসবের পদ্ধতিটি চিকিৎসা পরিভাষায় ওয়াটার বার্থ নামে পরিচিত।
যে কোন গর্ভবতী চিকিৎসকের অধীনে নিয়মিত গর্ভকালীন পরীক্ষায় থেকে সাধারণভাবে সন্তান প্রসবে সক্ষম সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় এই পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন। প্রসব বেদনা উঠার পর গর্ভবতী বাথটাব বা সুইমিংপুলে স্থান নেন। ধাত্রীর উপস্থিতিতে স্বামী বা পরিবারের সদস্যরা বাথটাবের চারপাশে উপস্থিত থাকতে পারেন।
এই পদ্ধতিতে প্রসব বেদনার তীব্রতা তুলনামূলক কম হয়। এছাড়াও দুঃশ্চিন্তামুক্ত পারিবারিক আনন্দঘন পরিবেশে সন্তান জন্মলাভ করে। হাসপাতাল বা স্থাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবের সঙ্গে তুলনা করলে এই পদ্ধতির প্রধান সুবিধা হচ্ছে মানসিক চাপ মুক্ত পরিবেশ।
তবে প্রসবকালীন সময়ে জরুরী প্রয়োজনে হাসপাতালে স্থানান্তরের ঝুঁকি রয়েছে।
#MRKR
No comments:
Post a Comment