গর্ভবতী নারীর শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন হয়ে থাকে।
শরীরের এই পরিবর্তন শরীরের সর্ববৃহৎ অঙ্গ ত্বকেও পরিলক্ষিত হয়। সাধারণত হরমোনজনিত প্রভাব ও গর্ভের শিশুর আকার বৃদ্ধির কারণেই এসব পরিবর্তন হয়ে থাকে।
কি পরিবর্তন হয়?
✓গর্ভের শিশু আকারে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পেটের ত্বকে টান পড়তে থাকে। ফলে ত্বকে ফাটা দাগ দেখা দেয়।
✓হরমোনজনিত কারণে ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যায়। মুখমণ্ডলের ত্বকের তৈলাক্ততা বাড়ার কারণে ব্রণ দেখা দেয়।
✓হরমনজনিত পরিবর্তনের কারণে মুখে মেছতা দেখা দিতে পারে। গলা, ঘাড় ও ভাঁজের ত্বকে গাঢ় দাগ দেখা দিতে পারে।
✓যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের অ্যালার্জিজনিত একজিমা বেড়ে যেতে পারে।
✓চুলকানির ফলে ত্বক লালচে হয়ে ফুলে যেতে পারে। তবে গর্ভকালীন জন্ডিসের কারণে চুলকানি হলেও ত্বকের কোন পরিবর্তন হয় না।
প্রতিকারের উপায় কি?
সাধারণত প্রসব পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যেই গর্ভকালীন ত্বকের সমস্যা গুলো আপনাআপনি দুর হয়ে যায়। তবে গর্ভবস্থায় ত্বকের যত্নে কিছু বিষয় মেনে চললে সমস্যার তীব্রতা যেমন কম হয় তেমনি কম সময়ে সেগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।
✓ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে নিয়মিত সাবান, ক্লিনজার বা স্ক্র্যাবার দিয়ে পরিস্কার রাখতে হবে।
✓ত্বকের মসৃণতা ঠিক রাখতে ইমোলেন্ট বা ময়শ্চারাইজার ক্রিম/লোশন ব্যবহার করা উচিত।
✓পেটের ফাটা দাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি, ভার্জিন নারকেল বা অলিভ ওয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
✓গর্ভাবস্থায় ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ঘরের বাইরে গেলে সানস্ক্রিন ক্রিম/লোশন ব্যবহার করতে হবে।
✓গর্ভবস্থায় শরীরে পানীর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। সেজন্য পর্যাপ্ত পানি ও পানীয় পান করতে হবে।
মনে রাখতে হবে, গর্ভকালীন ত্বকের এই সমস্যাগুলো কোনো রোগ নয়। প্রসবের পর এগুলো এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়। তবে গর্ভবতী মায়ের ত্বকে পরিলক্ষিত লক্ষন গুলোর তীব্রতা বেশি হলে কিংবা প্রসবের ৬ মাস পরেও ত্বক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসলে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
No comments:
Post a Comment