যে সব দেশে ইউথানাসিয়া/স্বেচ্ছামৃত্যুর আইনগত অধিকার রয়েছে তারমধ্যে নেদারল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৫% (সব ধরনের মৃত্যুর) এটি বেছে নিচ্ছেন। ২০২২ সালে ৮৭২০ জন মানুষ ইউরোপের দেশটিতে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করে নিয়েছেন।
নেদারল্যান্ডসে দম্পতি বা যুগলদের স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালে দেশটিতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন ৫৮টি যুগল। এই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্রিস ভ্যান অ্যাগট তার স্ত্রী ইগুইনকে সঙ্গে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। ২০১৯ সালে দ্রিস ভ্যানের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অসুস্থই ছিলেন কিন্তু স্ত্রীকে রেখে আগে চলে যেতে চাইছিলেন না। তারা একসঙ্গে মৃত্যুবরণ করার সিদ্ধান্ত নেন। দ্রিস ভ্যান ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।২
৮ বছর বয়সী নারী জোরায়া টার বিক। একসময় মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তার ছেলে বন্ধু ও আদরের দুটি বিড়াল 🐱🐈 রয়েছে। তারপরও আগামী মে মাসে তিনি স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করবেন। জোরায়া মানসিক রোগী, চিকিৎসাধীন। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে তার বর্তমান অবস্থার আর উন্নতি ঘটানো সম্ভব নয় বলে চিকিৎসকরা মতামত দিলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।
নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ইদানিং স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে নেদারল্যান্ডে। যেটি নিয়ে দেশটির সমাজবিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন।
#Euthansia
No comments:
Post a Comment