কেউ কেউ অন্যদের তুলনায় বেশি ঘর্মাক্ত হয়ে থাকেন। মানুষের ত্বকে ঘর্মগ্রন্থী (sweat gland) থাকে, যা আবহাওয়ার তাপমাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কম বা বেশি ঘাম তৈরি সমন্বয় করে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
কিছু কারণে যেমন পারকিনসন্স ডিজিজ, থাইরয়েড সমস্যা, ডায়াবেটিস, জ্বর, শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা, নারীর মেনোপোজের কারণে ঘাম বেড়ে যায়। ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (চা,কফি) ও অ্যালকোহল পান করলে ঘাম বেশি হতে পারে।
বে সমস্ত শরীরে অতিরিক্ত ঘাম তৈরি ছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ঘাম বেশি হতে পারে। হাত ও পায়ের তালু অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া তেমনি একটি সমস্যা।
কি কারণে হয়
মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, স্নায়বিক উত্তেজনা, বংশগত বা ভিটামিনের অভাবে অতিরিক্ত হাত ও পায়ের তালু ঘামতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয় না।
চিকিৎসা কি
হাত ও পায়ের তালু ঘামার চিকিৎসা আশাব্যঞ্জক নয়। তবে কয়েক ধরনের চিকিৎসা দিয়ে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়,
•হাত ও পায়ের তালুতে ব্যবহারের জন্য লোশন বা ক্রিম,
•বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্র দিয়ে হাত ও পায়ের তালুতে সেঁক দেয়া,
•বটিউলিনিয়াম টক্সিন ইনজেকশন দিয়ে, এবং
•স্নায়ুর বিশেষ ধরনের সার্জারি
মনে রাখবেন অস্বস্তিকর হলেও হাত ও পায়ের তালু ঘামা জীবনহানিকর মারাত্মক কোন শারীরিক সমস্যা নয়। কারণ বের করে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলেও মানসিকভাবে মানিয়ে নিয়ে দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবনযাপন করার চেষ্টা করার বিকল্প নেই।