Sunday, April 6, 2025

PayPal মাফিয়া

PayPal মাফিয়া (PayPal Mafia) হচ্ছে একদল উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তিবিদ, যারা ২০০০ সালের শুরুতে PayPal-এ একসাথে কাজ করেছিলেন এবং পরে সিলিকন ভ্যালির সবচেয়ে প্রভাবশালী স্টার্টআপ ও টেক কোম্পানিগুলোর প্রতিষ্ঠা ও নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই দলটির সদস্যরা একে অপরের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গঠন করে, বিনিয়োগ করে এবং একে অপরের ব্যবসায়িক উদ্যোগে সহায়তা করে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করছেন।

এই দলের সদস্যরা হলেন ইলন মাস্ক (Tesla, SpaceX, Neuralink, X), পিটার থিয়েল (Palantir, Founders Fund,Facebook এর প্রথম বিনিয়োগকারী), রিড হফম্যান (LinkedIn), ম্যাক্স লেভচিন (Affirm, Yelp), ডেভিড স্যাকস্ (Yammer, Craft Ventures), ষ্টিভ চ্যান, জাওয়াদ করিম (YouTube), জেরেমি ষ্টপ্যালম্যান ও রাসেল সিমন্স (Yelp)।

২০০৭ সালে Fortune ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে এই উদ্যোক্তাদের রসিকতার ছলে "মাফিয়া" বলা হয়েছিল। তাদের দৃঢ় বন্ধন, প্রভাব ও যৌথ উদ্যোগের প্রতীক হিসেবেই শব্দটি জুড়ে দেয়া হয়েছিল। বর্তমানে তারা প্রকৃতপক্ষেই মাফিয়া হিসেবে বিশ্বব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পিটার থিয়েলকে এই গ্রুপের দার্শনিক বলে ধারণা করা হয়। PayPal মাফিয়া-র সদস্যরা ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্পে যুক্ত থাকলেও, তাদের মধ্যে কিছু দর্শন (shared philosophy) কাজ করে, যেটা তাদেরকে বিশ্বের প্রচলিত ব্যবস্থা থেকে আলাদা করে তুলেছে। তাদের দর্শনের মুল বক্তব্য হচ্ছে " পুরনো ব্যবস্থা ঠিক করছে না? তাহলে নিজেই একটা নতুন ব্যবস্থা তৈরি করো — প্রযুক্তির মাধ্যমে।" এই সমষ্টিগত দর্শনের মূল দিকগুলো হলো,

√"প্রযুক্তিই সভ্যতা বদলের মূল হাতিয়ার"

√"Disruption is good" – ধ্বংস মানেই পুনর্গঠন

√"Decentralization এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা"

√"Contrarian চিন্তা" – মূল স্রোতের বাইরে ভাবা

√"গতি ও সাহস – Move Fast, Take Risks"



PayPal মাফিয়া-র দর্শন যতোটা আকর্ষণীয় মনে হয়, ঠিক ততোটাই বিপজ্জনক হতে পারে, যদি তা একচেটিয়াভাবে বাস্তবায়িত হয়। এই দর্শনের কয়েকটি ঝুঁকি ও সমালোচনা হলো,

√গণতন্ত্রকে পাশ কাটিয়ে "টেকনোক্রেসি" প্রতিষ্ঠার ঝুঁকি

√একচেটিয়া ক্ষমতা ও "টেকনোলজিকাল অলিগার্কি"

√সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়

√AI ও প্রযুক্তির অশুভ ব্যবহার

√ সর্বোপরি এটি “সাধারণ মানুষের জন্য নয়”


PayPal মাফিয়া দর্শন বাস্তবায়ন হলে গণতন্ত্র বিপন্ন হতে পারে, সরকারের সিদ্ধান্তের উপর আমজনতার কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কেবল একদল ব্যক্তির হাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে যাবে, যা গোপন সরকার বা shadow network-এর মতো হয়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে এই মাফিয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নির্বাচিত হতে সাহায্য করেছে এবং ইলন মাস্কের মাধ্যমে তাদের দর্শন বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

#mafia #technology #Governance #government #politics #photo #trend

Saturday, April 5, 2025

প্রকৃতির বিস্ময় টোবা হ্রদ

 বিশ্বের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরিজাত হ্রদ, টোবা হ্রদ (Lake Toba)। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উত্তরাংশে অবস্থিত এক অনন্য নিরাভরণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ভূতাত্ত্বিক বিস্ময়। প্রাকৃতিক দৃশ্য, ঐতিহাসিক ঘটনা ও স্থানীয় সংস্কৃতির অপূর্ব সমন্বয় এই হ্রদকে ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে আকর্ষণীয় ও রহস্যময় করে তুলেছে।

টোবা হ্রদের আয়তন প্রায় ১,১৩০ বর্গকিলোমিটার এবং সর্বোচ্চ গভীরতা প্রায় ৫০০ মিটার। এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। হ্রদের মাঝখানে রয়েছে এক বিশাল দ্বীপ – সামোসির (Samosir) দ্বীপ, যা একটি পাহাড়ি এলাকা।


টোবা হ্রদ সৃষ্টি গঠিত হয়েছিল প্রায় ৭৪,০০০ বছর আগে আগ্নেয়গিরির মহা বিস্ফোরণের ফলে। এই বিস্ফোরণ ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ, যা একটি বিশাল গহ্বর তৈরি করে এবং পরে তা জলে পরিপূর্ণ হয়ে হ্রদে পরিণত হয়। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রাপ্ত তত্বে এই বিস্ফোরণ বিশ্বের তাপমাত্রা কমিয়ে দিয়েছিল এবং তা মানব ইতিহাসেও বড় প্রভাব ফেলেছিল।

টোবা হ্রদ এবং সংলগ্ন এলাকা শীতল ও মনোরম জলবায়ুর জন্য বিখ্যাত। পাহাড় বেষ্টিত, বনভূমি ও সবুজ প্রান্তর ঘেরা এই হ্রদ যেন এক শান্তির নীড়। শহরের কোলাহল থেকে দূরে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটাতে এটি একটি আদর্শ পর্যটন স্থান। টোবা হ্রদের পারিপার্শ্বিক অঞ্চলে বাস করে বাটাক (Batak) জাতিগোষ্ঠী, যারা তাদের নিজস্ব ভাষা, সংগীত, নৃত্য এবং স্থাপত্যের জন্য পরিচিত। সামোসির দ্বীপ বাটাক সংস্কৃতি উপভোগ করার জন্য যথার্থ স্থান। এ ছাড়াও ছোট্ট প্রাপাত (Parapa) শহর, উষ্ণ প্রস্রবণ, স্থানীয় হাটবাজার ও হ্রদে জাহাজ ও নৌকা ভ্রমন ইত্যাদি সবকিছু মিলে টোবা হ্রদ ভ্রমনের জন্য একটি মনোরম এলাকা।

#trend #geography #photo #history #tourism

Wednesday, March 26, 2025

বসফরাস প্রণালী (Bosphorus Strait)

 বসফরাস প্রণালী (Bosphorus Strait) একটি গুরুত্বপূর্ণ জলপথ যা কৃষ্ণ সাগর (Black Sea) এবং মারমারা সাগর (Sea of Marmara)-কে সংযুক্ত করেছে। এটি ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যে একটি প্রাকৃতিক সীমানা সৃষ্টি করেছে এবং তুরস্কের বৃহত্তম শহর ইস্তানবুল এই প্রণালীর দুই পাশে বিস্তৃত।

প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ, নিম্নে ৭০০ মিটার থেকে সর্বোচ্চ ৩.৭ কিলোমিটার প্রস্থের এই প্রণালীর সর্বাধিক গভীরতা ১১০ মিটার। রাশিয়া, ইউক্রেন এবং অন্যান্য কৃষ্ণসাগরীয় দেশগুলোর বাণিজ্যিক পথ। এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত নৌ-চলাচলের পথ, যেখানে দৈনিক ৪০,০০০ জাহাজ চলাচল করে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের তেল ও গ্যাস রপ্তানির প্রধান পথ এটি। বসফরাস প্রণালী কেবল একটি জলপথ নয়, বরং এটি ভূ-রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তুরস্কের জন্য কৌশলগতভাবে অত্যন্ত মূল্যবান একটি সম্পদ।

বসফরাস ও দার্দানেলস প্রণালী নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৩৬ সালের মন্ট্রো কনভেনশন (Montreux Convention Regarding the Regime of the Straits) স্বাক্ষরিত হয়। এটি তুরস্ককে এই জলপথের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দেয় এবং শান্তিকালীন ও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সামরিক ও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের নীতিমালা নির্ধারণ করে‌ দেয়।


শান্তিকালে সমস্ত বাণিজ্যিক জাহাজ বিনাবাধায় বসফরাস ও দার্দানেলস প্রণালী দিয়ে চলাচল করতে পারে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তুরস্ক নির্ধারণ করতে পারে কোন দেশের জাহাজ চলাচল করতে পারবে।

কৃষ্ণসাগরের সীমান্তবর্তী দেশগুলোর সামরিক বাহিনীকে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে এই প্রণালী দিয়ে চলাচল করতে হয়। কৃষ্ণসাগরের বাইরের দেশগুলোর যুদ্ধজাহাজ সীমিত সময়ের জন্য প্রবেশ করতে পারে। তবে নির্দিষ্ট ওজন ও সংখ্যার বেশি নৌযান প্রবেশ করতে পারে না। যুদ্ধকালীন সময়ে তুরস্ক চাইলে এই পথ বন্ধ করতে পারে। ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তুরস্ক ন্যাটো ও ইউক্রেনের মিত্রদের যুদ্ধজাহাজ প্রবেশে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে।


মন্ট্রো কনভেনশন অনুযায়ী এই প্রনালী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব তুরস্ক পেলেও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে কোন ধরনের ফি নিতে পারে না। তবে কিছু পরিষেবার জন্য নৌ-সচার্জ বা ফি নিতে পারে। বলার অপেক্ষা রাখে না এই চুক্তির কারণে তুরস্ক বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

২০২১ সালে, তুরস্ক "কানাল ইস্তানবুল" নামে বসফরাসের বিকল্প নতুন কৃত্রিম খাল নির্মাণের পরিকল্পনা করে, যা মন্ট্রো চুক্তির বাইরে এবং এটি থেকে নৌ-সারচার্জ আদায় করতে পারবে তুরস্ক।

#trend #photo #geography #navy #turkey #istanbul  #shipping

Sunday, March 23, 2025

অসংক্রামক রোগ: বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি

বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ (Non-Communicable Diseases - NCDs) জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যেসব রোগ তীব্র সংক্রমণের ফলে ছড়ায় না বরং দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক অসুস্থতা সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসা ও যত্নের প্রয়োজন হয় তাকে অসংক্রামক রোগ বলে। বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যুর ৭১% অসংক্রামক রোগের কারণে ঘটে। এই রোগগুলোর মধ্যে প্রধান হলো হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রের রোগ, কিডনি রোগ এবং ক্যান্সার।



দেশে ২০% পুরুষ এবং ৩২% নারী উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন।প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন।

বাংলাদেশে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালের হিসেবে দেশে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, যার প্রায় অর্ধেকই নারী। তবে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মধ্যে ৪৩% এখনও শনাক্তের বাইরে রয়েছেন। 

বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ মানুষ কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। ​২০২৩ সালের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ২৪% মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২১% সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) নামের ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন, যার মধ্যে ৯১ হাজারের অধিক মানুষ মৃত্যুবরণ করেন।

চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে ডায়রিয়া, বসন্ত, যক্ষ্ণা, হাম ইত্যাদি বিভিন্ন সংক্রামক ব্যাধি সহজেই চিকিৎসায় নিরাময় হচ্ছে এবং প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু অসংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে উল্টো চিত্র।‌ অসংক্রামক রোগের সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কায়িক পরিশ্রমের অভাব, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ ইত্যাদি কারণে অসংক্রামক রোগাক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। 

অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। স্বাস্থ্য, অর্থ, শিক্ষা, কৃষি, পরিকল্পনা ও অন্যান্য খাতকে সম্পৃক্ত করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্য সেবার প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্ণয় ও সময়োপযোগী চিকিৎসা অসংক্রামক রোগ কমানোর অন্যতম উপায় হতে পারে।

জনসচেতনতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

#trend #health #disease #treatment #doctor

Saturday, March 22, 2025

Nyepi (নিয়োপি): বালির নববর্ষ

ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে উদযাপিত হিন্দু নববর্ষ বা বালি হিন্দু নতুন বছরের নাম Nyepi (নিয়োপি)। এটি প্রধানত সাকা বর্ষপঞ্জি অনুসারে উদযাপিত হয় এবং সাধারণত মার্চ মাসে পড়ে। Nyepi শব্দের অর্থ "নিঃশব্দতা", এবং এটি একটি "নিঃশব্দ দিবস" হিসেবে পালন করা হয়।


Nyepi হলো আত্মশুদ্ধি, ধ্যান ও প্রতিফলনের দিন। এই দিনে পুরো বালি দ্বীপ একদম শান্ত হয়ে যায়। এটি পালনের সময় চারটি প্রধান বিধিনিষেধ (Catur Brata Penyepian) মেনে চলা হয়:

√Amati Geni - আগুন বা আলো না জ্বালানো (এমনকি বিদ্যুৎও সীমিত থাকে)
√Amati Karya - কোনো ধরনের কাজ না করা
√Amati Lelungan - ভ্রমণ না করা বা বাড়ির বাইরে না বের হওয়া
√Amati Lelanguan - বিনোদন বা ভোগবাদী কার্যকলাপে অংশ না নেওয়া
Nyepi-এর আগের রাতে "Ogoh-Ogoh" নামক বিশালাকার রাক্ষসের মূর্তি বানিয়ে সেটিকে প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানটি অশুভ আত্মাদের বিতাড়নের প্রতীক।
Nyepi শেষে Ngembak Geni নামক একদিন পালিত হয়, যেদিন সবাই একে অপরের কাছে ক্ষমা চায় এবং নতুন বছরের জন্য শুভকামনা জানায়।
Nyepi শুধুমাত্র ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি পরিবেশ সুরক্ষারও একটি প্রতীক। কারণ এই দিনে বালিতে কোনো যানবাহন চলে না, দূষণ কমে যায়, এবং আকাশ একদম পরিষ্কার থাকে।

তরমুজ

তরমুজ (Watermelon) গ্রীষ্মকালীন একটি জনপ্রিয় ফল যা উচ্চমাত্রায় জলীয় অংশ ও বিভিন্ন পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এটি শরীরকে সতেজ ও আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এবং অনেক উপকারিতা প্রদান করে। তরমুজ গরমের দিনে শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। 

তরমুজের ৯২% পানি। ১০০ গ্রাম তরমুজ ৩০ ক্যালোরি এনার্জি দেয়। এতে কার্বোহাইড্রেট: ৭.৬ গ্রাম, চিনি: ৬.২ গ্রাম, প্রোটিন: ০.৬ গ্রাম, চর্বি: ০.২ গ্রাম, আঁশ: ০.৪ গ্রাম এবং ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে।


তরমুজ শুধু সুস্বাদু নয়, এটি স্বাস্থ্য উপকারিতায় ভরপুর একটি ফল। এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত পুষ্টিকর, সতেজ ও উপকারী।

শরীররকে সতেজ রাখে

তরমুজের ৯২% পানি থাকায় এটি শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে, বিশেষ করে গরমের দিনে পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করে।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়

তরমুজে থাকা লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে এটি শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সহায়ক।

কিডনি সুস্থ রাখে

তরমুজ প্রাকৃতিক ডিউরেটিক (প্রস্রাবকারক) হিসেবে কাজ করে, যা কিডনির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে এবং শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে সহায়তা করে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে

তরমুজে থাকা ফাইবার ও জলীয় অংশ হজমক্রিয়া উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে

ভিটামিন A ও C থাকার ফলে এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং বলিরেখা প্রতিরোধ করে।

চোখের জন্য উপকারী

তরমুজে থাকা ভিটামিন A ও বিটা ক্যারোটিন চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সহায়তা করে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

কম ক্যালোরি ও বেশি পানিযুক্ত হওয়ায় এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ব্যথা ও প্রদাহ কমায়

তরমুজে থাকা সাইট্রুলিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড পেশির ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, যা অ্যাথলেটদের জন্য উপকারী।

ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে

লাইকোপিন এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে, যা কিছু ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

সাবধানতা

 তবে অতিরিক্ত তরমুজ খেলে ডায়রিয়া বা পেটের সমস্যা হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো, কারণ এতে প্রাকৃতিক চিনি থাকে।

কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

#food #nutrition #fruits #trend #healthyfood

Friday, March 21, 2025

নওরুজ: পারস্য নববর্ষ

 পারস্য নববর্ষ নওরোজ (Nowruz), যা বসন্তের প্রথম দিন, সাধারণত ২১শে মার্চ উদযাপিত হয়। ইরান, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, আজারবাইজান, উজবেকিস্তান, তুরস্ক, কুর্দিস্তান, পাকিস্তান (বিশেষ করে গিলগিট-বালতিস্তান), ভারত (কাশ্মীর ও পারসি সম্প্রদায়) এবং মধ্য এশিয়ার বিভিন্ন দেশে উৎসবের আমেজে নওরোজ উদযাপিত হয়।নওরোজের শিকড় প্রাচীন পারস্য সভ্যতার জোরাস্ট্রিয়ান ধর্মের সাথে সম্পর্কিত। প্রায় ৩ হাজার বছরের পুরনো উৎসব নাওরোজ, যা পারস্য সম্রাট জামশিদের শাসনামলে প্রথম (মিথলজির মতে) উদযাপিত হয়েছিল। জাতিসংঘ ২০১০ সালে নওরোজকে আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

নওরোজ উদযাপন সাধারণত ১৩ দিন ধরে উদযাপন করা হয় এবং বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতিতে এটি ভিন্নভাবে পালিত হয়।


হাফত-সিন (Haft-Seen) সাজানো নওরোজের একটি প্রধান অনুসঙ্গ‌। সাতটি বস্তু সাজিয়ে রাখা হয়, যা "স" (সীন) অক্ষর দিয়ে শুরু হয় এবং প্রতিটির একটি বিশেষ অর্থ থাকে:

সিব (Sib) – আপেল (সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য)

সেব (Sabzeh) – গম/ডাল স্প্রাউট (নতুন জীবন ও প্রবৃদ্ধি)

সোমাক (Somāq) – সুমাক মশলা (সূর্যোদয়ের প্রতীক)

সির (Sir) – রসুন (সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য)

সেঙ্কেদ (Senjed) – ড্রাইড অলিভ বা জিজিফাস ফল (ভালোবাসা ও উর্বরতা)

সামানু (Samanou) – মিষ্টি গমের পেস্ট (শক্তি ও ধৈর্য)

সিরকা (Serkeh) – ভিনেগার (জীবনের অভিজ্ঞতা ও ধৈর্য)

এর পাশাপাশি একটি আয়না, রঙিন ডিম, একটি মাছ (সোনা মাছ), মোমবাতি, ও কোরআন বা শায়েরি বই (হাফিজ বা ফেরদৌসি) রাখা হয়।


চাহারশানবে সুরি (Chaharshanbe Suri): নওরোজের আগের বুধবার রাতে আগুনের ওপর দিয়ে লাফিয়ে লোকেরা পুরনো সমস্যাগুলো পুড়িয়ে ফেলার প্রতীকী উদযাপন করে।

সিজদাহ বেদার (Sizdah Bedar): উৎসবের শেষ দিনে পরিবার ও বন্ধুরা প্রাকৃতিক স্থানে (পার্ক বা বন) পিকনিক করে এবং দুঃখ-কষ্ট দূর করার জন্য জলাশয়ে সবজি বা গাছের ডাল ফেলেন।

পারিবারিক মিলন ও উপহার বিনিময়: বড়দের কাছে ছোটরা আশীর্বাদ ও উপহার (যেমন টাকা বা নতুন কাপড়) পায়। পরিবার একত্রিত হয়ে বিশেষ খাবার (যেমন সাবজি পোলাও, কাবাব, মিষ্টি) উপভোগ করে।

বিশেষ পোশাক পরিধান: উজ্জ্বল রঙের নতুন পোশাক পরে, যা নতুন বছরের আনন্দ ও আশার প্রতীক।

#Nowruz #festival #spring #SpringFestival #Iran

Thursday, March 20, 2025

ড্যাফোডিল

বিশ্বজুড়ে বাগানপ্রেমীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় ড্যাফোডিল (Daffodil)।ইউরোপ ও উত্তর আফ্রিকার কিছু অংশে এটি জন্মে। ড্যাফোডিল ওয়েলসের জাতীয় প্রতীক। বিলেতে বিশেষ করে ইংল্যান্ড, ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডের পার্কে মার্চ ও এপ্রিল মাসে প্রচুর ড্যাফোডিল ফোটে। প্রাকৃতিকভাবেই মাটির নিচে থাকা কন্দ থেকে পার্ক, বন, এবং খোলা প্রান্তরে এটি জন্মলাভ করে। বাণিজ্যিকভাবে ড্যাফোডিল চাষ করে, যা বিশেষ করে ফুলের বাজার ও ঔষধশিল্পে ব্যবহৃত হয়।  হলুদ, কমলা, বেগুনি, কমলা ইত্যাদি রঙের ড্যাফোডিল দেখা যায়।


ড্যাফোডিল নতুন শুরু, আশা ও পুনর্জন্মের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়, যা বসন্তের আগমনী বার্তা বহন করে। এটির কন্দ (bulb) বহু বছর ধরে বেঁচে থাকতে পারে এবং প্রতি বছর বসন্তে নতুন ফুল ফোটায়। সঠিক পরিচর্যা করলে ১০-১৫ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে একই কন্দ থেকে ফুল পাওয়া যায়। সাধারণত ফুল ৫-১০দিন সতেজ থাকে। গাছ ৬ সপ্তাহ পর শুকিয়ে যায়। ইংরেজ কবি উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ তার বিখ্যাত কবিতা "I Wandered Lonely as a Cloud"-এ ড্যাফোডিল ফুলের সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন।

এই কবিতার কারণে ড্যাফোডিলকে "Poet’s Flower" বলেও ডাকা হয়।

Tuesday, March 18, 2025

টেম্পেহ্ (Tempeh)

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসচেতন মানুষদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে টেম্পে (Tempeh), যা উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ সহজপাচ্য স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। টেম্পের উৎপত্তি ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে। এটি ইন্দোনেশিয়ার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন খাবারের অন্যতম প্রধান উপাদান। প্রতিবেশী মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরেও এটি সমানভাবে জনপ্রিয়।


সয়াবিন থেকে টেম্পে তৈরি করা হয়। সয়াবিন ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে সিদ্ধ করার পর ফারমেন্টেশন করা হয় নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টা। তারপর এটি থেকে সাদা শক্ত কেক তৈরি করা হয়। এই কেক গ্রিল, অন্য শাকসবজির সঙ্গে ভেজে, কারি হিসেবে রান্না, বার্গারের প্যাটি হিসেবে ইত্যাদি নানাপদে খাওয়া যায়। টেম্পের স্বাদ অনেকটা বাদামের মতো।

উচ্চ প্রোটিনে সমৃদ্ধ টেম্পেতে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় নানা ধরনের ভিটামিন, খনিজ ও প্রোবায়োটিকস রয়েছে। এটি হজমে সহায়ক এবং কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

#food #culinary #tempeh #soyabean #Indonesia #protein #healthylifestyle #healthyfood #health

Sunday, March 16, 2025

অষ্ট্রেলিয়া হাইওয়ে ওয়ান

হাইওয়ে ১ পুরো অস্ট্রেলিয়া জুড়ে একটি চক্রাকার সড়ক নেটওয়ার্ক, যা দেশটির প্রধান শহর সিডনি, মে


লবোর্ন, ব্রিসবেন, পার্থ, অ্যাডিলেড, ডারউইন, হোবার্টসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ শহর ও উপকূলীয় এলাকা সংযুক্ত করেছে। প্রায় ১৪,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়ক বিশ্বের দীর্ঘতম জাতীয় মহাসড়ক। 

হাইওয়েটি উপকূলবর্তী এলাকাগুলোর পাশাপাশি মরুভূমি, পাহাড় এবং বনাঞ্চলের মধ্য দিয়ে চলে গিয়েছে। ব্রুস হাইওয়ে, স্টুয়ার্ট হাইওয়ে, প্রিন্সেস হাইওয়ে ইত্যাদি বিভিন্ন সড়কের সংযোগে গঠিত এই মহাসড়ক। মহাসড়কটির একদিকে সুন্দর সমুদ্র সৈকত, পাহাড় ও মরুভূমির দৃশ্য রয়েছে , অন্যদিকে নির্জন পথও রয়েছে যেখানে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কোনো পরিষেবা পাওয়া যায় না।

এটি অস্ট্রেলিয়ার অর্থনৈতিক, পর্যটন ও পরিবহন ব্যবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির দক্ষিণ, পূর্ব, উত্তর ও পশ্চিম উপকূল এই মহাসড়ক দিয়ে সংযুক্ত। এটি একটি জনপ্রিয় রোড ট্রিপ রুট, যা পর্যটকদের জন্য বিরল অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারে।

#trend #highway #australia #tourism #transportation

Friday, March 14, 2025

নখ দেখে রোগ

 নখের অবস্থা দেখে শরীরের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। নখের রঙ, আকৃতি, গঠন ও বৃদ্ধি স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত প্রদান করতে পারে।

নখের রঙ পরিবর্তন বিভিন্ন রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত

•ফ্যাকাশে বা সাদা নখ অ্যানিমিয়া (রক্তস্বল্পতা), লিভার রোগ (যেমন সিরোসিস), অপুষ্টির কারণে হয়।

•ছত্রাক সংক্রমণ, ফুসফুসের রোগ (যেমন ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস), ডায়াবেটিস হলুদ নখের কারন হতে পারে। •অক্সিজেনের অভাবের (যেমন হৃদরোগ বা ফুসফুসের সমস্যা) কারণে নীলচে রং ধারণ করে।

• উচ্চ রক্তচাপ, কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ার জন্য গাঢ় লাল বা বেগুনি নখ হতে পারে।

•আঘাতজনিত ও মেলানোমায় (এক ধরনের ত্বকের ক্যান্সার) নখ কালো হয়ে যায়।

নখের আকৃতি ও গঠনগত পরিবর্তনও বিভিন্ন রোগের নির্দেশনা দেয়

•অপুষ্টিজনিত সমস্যা, জিংকের ঘাটতি, দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপে নখে ঢেউ বা রেখা দেখা দেয়।

•আয়রন, ক্যালসিয়াম ও থাইরয়েড হরমোনের অভাবে নখে ভঙ্গুরতা বা ফাটল দেখা দেয়। 

•আয়রন স্বল্পতা (অ্যানিমিয়া), হৃৎপিণ্ড বা লিভারের সমস্যায় নখ চামচের মত বাঁকা আকার ধারণ করে। 

•ফুসফুস বা হার্টের সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী অক্সিজেন স্বল্পতায় নখ গোলাকৃতি ও মোটা আকার ধারণ করে।



নখের বৃদ্ধির ধরণ রোগ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়

•অপুষ্টি, হরমোনজনিত ও রক্ত সঞ্চালনের সমস্যায় নখের বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। 

•জিংকের অভাব, আঘাতের কারনে নখে সাদা চিহ্ন দেখা দিতে পারে।


নখ ভালো রাখতে করণীয়

•পর্যাপ্ত পানি পান করুন

•প্রোটিন ও ভিটামিনযুক্ত খাবার খান

•নখ পরিষ্কার ও শুকনো রাখুন

•সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন

•নখে দীর্ঘস্থায়ী অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

Thursday, March 6, 2025

শব্দ দূষণ

শব্দ দূষণ হল অনাকাঙ্ক্ষিত বা অতিরিক্ত শব্দ যা মানুষের দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে এবং জনস্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এটি আধুনিক নগরজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সমস্যা।

জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) 'ফ্রন্টিয়ারস রিপোর্ট-২০২২' অনুযায়ী, শব্দ দূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা অন্যতম। শব্দের গ্রহণযোগ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ডেসিবেল (dB) এককে। মানুষের স্বাভাবিক শ্রবণশক্তির জন্য নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি শব্দ হলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষিত  ঢাকার সচিবালয় এলাকায় শব্দের মাত্রা ৯৪ থেকে ১০০ ডেসিবেল পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে, যা দিনের বেলার আদর্শ মানের প্রায় দ্বিগুণ।

যানবাহনের শব্দ (গাড়ি, বাস, ট্রেন, বিমান), কলকারখানার যন্ত্রপাতি, নির্মাণ কাজের শব্দ, উচ্চস্বরে বাজানো সঙ্গীত বা মাইক, বাজার ও জনসমাগমের স্থান শব্দ দূষণের উৎস। শব্দ দূষণের ফলে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।

ক্রমাগত শব্দ দূষণের ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস, হৃদরোগ, মাথাব্যথা, ঘুমের ব্যাঘাত, ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয়। ফলে উদ্বেগ, অবসাদ, অস্থিরতা, মেজাজ খিটখিটে, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও একাগ্রতার অভাব দেখা দিতে পারে। পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের অবনতি, শিশুদের মানসিক বিকাশে বাধা ও কাজের দক্ষতা হ্রাসের কারণ হতে পারে শব্দ দূষণ।



ব্যক্তি, সমাজ ও সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করার বিকল্প নেই। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে শব্দ দূষণের নেতিবাচক প্রভাব থেকে সমাজকে রক্ষা করার উদ্যোগ নেয়া জরুরি।

#trend #pollution #health #noise #social #Dhaka

Monday, March 3, 2025

ডুমস্ক্রোলিং (Doomscrolling)

ইন্টারনেটে একটানা নেতিবাচক বা উদ্বেগজনক খবর পড়ার অভ্যাসকে ডুমস্ক্রোলিং (Doomscrolling) বলা হয়। এটি কখনো কখনো প্রয়োজনীয় খবর জানার জন্য সহায়ক হলেও এটি অতিরিক্ত হলে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।


🔍 ডুমস্ক্রোলিং কীভাবে কাজ করে?

সাধারণত, কোনো সংকটময় বা নেতিবাচক পরিস্থিতি চলাকালীন সময়ে মানুষ অবচেতনভাবেই একের পর এক উদ্বেগজনক খবর খুঁজে দেখেন। যেমন:

•রাজনৈতিক অস্থিরতা

•মহামারি

•যুদ্ধ

•প্রাকৃতিক দুর্যোগ

•অর্থনৈতিক মন্দা


📌 ডুমস্ক্রোলিং-এর কারণ

•নেতিবাচক খবরের প্রতি মানুষের স্বাভাবিক আকর্ষণ (Negativity Bias)

•অনলাইন অ্যালগরিদম, যা ট্রেন্ডিং ও সংবেদনশীল কনটেন্টকে বেশি দেখায়

•অজানা পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন থাকার চেষ্টা


🧠 ডুমস্ক্রোলিং এর প্রভাব

•মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ

•ঘুমের সমস্যা

•বিষণ্নতা

•একাকিত্ব এবং হতাশা

•উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়া


🚫 কীভাবে ডুমস্ক্রোলিং এড়ানো যায়?

•স্ক্রিন টাইম সীমিত রাখা

•নির্দিষ্ট সময়ে খবর পড়া (অতিরিক্ত সময় না দেওয়া)

•বিশ্বাসযোগ্য সংবাদমাধ্যম বেছে নেওয়া

•মেডিটেশন বা মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া

•সামাজিক মাধ্যমে ফলো করা পেজ বা একাউন্ট ফিল্টার করা

#trend #health #mentalhealth #internet #psychology

Wednesday, February 26, 2025

স্বাস্থ্যসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence - AI) বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটাচ্ছে। এই প্রযুক্তি রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা পরিকল্পনা, ওষুধ আবিষ্কার, রোগীর সেবা এবং গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যদিও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তবে ভবিষ্যতে গবেষণা ও প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে। AI প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যসেবা আরও উন্নত ও সাশ্রয়ী হয়ে উঠবে।

রোগ নির্ণয়ে AI এর ভূমিকা

AI রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে দ্রুত ও নির্ভুল ফলাফল দিতে পারে। বিশেষ করে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে AI গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এক্স-রে, সিটি স্ক্যান, এমআরআই ইত্যাদি চিত্র থেকে ক্যান্সার, টিউমার বা অন্য রোগ শনাক্ত করা যায় AI এর সহায়তায়। মাইক্রোস্কোপিক ছবি বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন রোগ নির্ণয় করতে পারে AI রোগীর পূর্বের চিকিৎসা তথ্য ব্যবহার করে হৃদরোগ বা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি মূল্যায়ন করা সম্ভব এ আইয়ের মাধ্যমে।

চিকিৎসা পরিকল্পনা

এআই রোগীর স্বাস্থ্য তথ্য বিশ্লেষণ করে রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যক্তিগত চিকিৎসা পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে। রোগীর জিনগত তথ্যের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট চিকিৎসা সেবা পরিকল্পনা করা যায় এই আইয়ের সাহায্য নিয়ে। রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী সঠিক ওষুধের ডোজ নির্ধারণ করতেও সহায়তা করে এআই।



রোগীর যত্ন ও সেবা

রোগীর সাধারণ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম এআই। AI-ভিত্তিক ডিভাইস রোগীর রক্তচাপ, হৃদস্পন্দন এবং অন্যান্য শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে পারে।

রোগীর পূর্বের তথ্য বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে কী ধরনের রোগ হতে পারে সেটির পূর্বাভাস দেয়া যায় এআই ব্যবহার করে।

ওষুধ উদ্ভাবন

ওষুধ আবিষ্কারের প্রক্রিয়া সাধারণত সময়সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল। AI এই প্রক্রিয়াকে দ্রুত ও কার্যকর করতে সাহায্য করে। যেমন নতুন রাসায়নিক যৌগের নকশা তৈরি করা। ওষুধের কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পূর্বাভাস দেওয়া। ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য উপযুক্ত রোগী নির্বাচন ইত্যাদি।

গবেষণা

জিনগত গবেষণা, মহামারীর পূর্বাভাস এবং মেডিকেল ডেটা বিশ্লেষণে ভুমিকা রাখতে পারে এআই।

দ্রুত এবং নির্ভুল রোগ নির্ণয়, খরচ কমানো, চিকিৎসার গুণগত মান উন্নয়ন ও রোগীর ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণে বর্তমানে ভূমিকা রাখছে এআই। যদিও তথ্যের গোপনীয়তা, ভুল রোগ নির্ণয়, নৈতিকতার প্রশ্ন ও হ্যাকিং ঝুঁকি রয়েছে এআই ব্যবহার করার ক্ষেত্রে।

#trend #AI #health #ArtificialIntelligence #BMW

Monday, February 24, 2025

চা এর ইতিবৃত্ত এবং ব্রিটিশ চৌর্যবৃত্তি

বর্তমানে চা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়। প্রতিদিন প্রায় ৫ বিলিয়ন কাপ চা পান করে বিশ্বের মানুষ। সবচেয়ে বেশি চা উৎপাদন হয় চিনে, পাশাপাশি ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া এবং জাপানসহ অনেক দেশেই চা চাষ হয়। সবুজ চা, কালো চা, উলং চা, হোয়াইট চা ইত্যাদি নানা ধরনের চা রয়েছে। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হিসেবে বিবেচিত হয় চা।

প্রায় ৫ হাজার বছর আগে (২৭৩৭ খ্রিস্টপূর্ব) চীনের সম্রাট শেন নুং এর সময় চায়ের আবিষ্কার হয় বলে মনে করা হয়। কাহিনী অনুযায়ী, একদিন সম্রাট গরম পানি ফুটানোর সময় বাতাসে উড়ে আসা কিছু গাছের পাতা পানিতে পড়ে যায়, যার ফলে পানি সুগন্ধি ও সতেজ স্বাদযুক্ত হয়ে ওঠে। এই পাতা ছিল Camellia sinensis গাছের, যা এখন "চা" নামে পরিচিত।প্রথমদিকে চা ঔষধি পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হতো। চীনে তাং রাজবংশ (৬১৮-৯০৭ খ্রি.) এবং সাং রাজবংশ (৯৬০-১২৭৯ খ্রি.) এর সময় চা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

চীনের বাইরে চা প্রথম ছড়ায় জাপানে। ৯ম শতাব্দীতে জাপানি বৌদ্ধ ভিক্ষুরা জাপানে এটি নিয়ে আসে। জাপানে "চা সংস্কৃতি" গড়ে ওঠে এবং চা অনুষ্ঠান (Tea Ceremony) বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ১৬শ শতাব্দীতে পর্তুগিজ নাবিকরা চীনের সাথে বাণিজ্য শুরু করলে চা সম্পর্কে ইউরোপীয়রা জানতে পারে। ১৭শ শতাব্দীতে ডাচ ব্যবসায়ীরা ইউরোপে চা নিয়ে আসে এবং ধীরে ধীরে ইংল্যান্ডেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ইংল্যান্ডে ১৮শ শতাব্দীতে "অফিসিয়াল চায়ের সময়" প্রচলিত হয় এবং চা একটি সামাজিক ঐতিহ্যে পরিণত হয়।

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮শ শতাব্দীতে ভারতে চা চাষ শুরু করে। আসাম ও দার্জিলিং অঞ্চলে চায়ের উৎপাদন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ১৮৫৭ সালে সিলেটে মালনিছড়া চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো চা বাগান।


ব্রিটিশরা মূলত চীন থেকে চা সম্পর্কিত জ্ঞান এবং চারা চুরি করে ভারতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু করে। এটি ছিল একধরনের শিল্প গুপ্তচরবৃত্তি (Industrial Espionage), যা ইতিহাসে খুবই বিখ্যাত। ১৮শ এবং ১৯শ শতকে, চীন ছিল পৃথিবীর একমাত্র চা উৎপাদনকারী দেশ। ব্রিটিশরা চা আমদানি করত। তবে চীনের সাথে তাদের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল, কারণ ব্রিটিশদের কাছে এমন কিছু ছিল না যা চীন নিতে আগ্রহী ছিল। পরে ব্রিটিশরা চীনে আফিম বিক্রি করা শুরু করে, যা চীনে আসক্তির মহামারী সৃষ্টি করে। ইতিহাস খ্যাত আফিম যুদ্ধের (Opium Wars) কারণ হয়।

ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি চা উৎপাদনে চীনের একচ্ছত্র আধিপত্য ভাঙার জন্য ১৮৪৮ সালে স্কটিশ উদ্ভিদবিদ ও গুপ্তচর রবার্ট ফরচুন (Robert Fortune) কে নিয়োগ দেয়। চীনের চা উৎপাদন পদ্ধতি শেখা এবং গোপনে চা গাছের চারা ও বীজ সংগ্রহ করার দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে। তিনি চা প্রক্রিয়াজাতকরণের গোপন কৌশল এবং চীনের উন্নত চা তৈরির পদ্ধতি ব্রিটিশদের কাছে নিয়ে আসেন। ব্রিটিশ ভারতে চা চাষের শুরু এই সফল চৌর্যবৃত্তির ফলে। তারা চা রপ্তানি শুরু করে একসময়, বলা যায় ব্রিটিশরাই বিশ্বব্যাপী চা জনপ্রিয় করে তুলেছিল।

Monday, February 17, 2025

হাত ও পায়ের তালুর অতিরিক্ত ঘাম

কেউ কেউ অন্যদের তুলনায় বেশি ঘর্মাক্ত হয়ে থাকেন। মানুষের ত্বকে ঘর্মগ্রন্থী (sweat gland) থাকে, যা আবহাওয়ার তাপমাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কম বা বেশি ঘাম তৈরি সমন্বয় করে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।  

কিছু কারণে যেমন পারকিনসন্স ডিজিজ, থাইরয়েড সমস্যা, ডায়াবেটিস, জ্বর, শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা, নারীর মেনোপোজের কারণে ঘাম বেড়ে যায়। ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় (চা,কফি) ও অ্যালকোহল পান করলে ঘাম বেশি হতে পারে।

বে সমস্ত শরীরে অতিরিক্ত ঘাম তৈরি ছাড়াও নির্দিষ্ট কিছু স্থানে ঘাম বেশি হতে পারে। হাত ও পায়ের তালু অতিরিক্ত ঘেমে যাওয়া তেমনি একটি সমস্যা।


কি কারণে হয়

মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, স্নায়বিক উত্তেজনা, বংশগত বা ভিটামিনের অভাবে অতিরিক্ত হাত ও পায়ের তালু ঘামতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোন কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। 

চিকিৎসা কি

হাত ও পায়ের তালু ঘামার চিকিৎসা আশাব্যঞ্জক নয়। তবে কয়েক ধরনের চিকিৎসা দিয়ে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়,

•হাত ও পায়ের তালুতে ব্যবহারের জন্য লোশন বা ক্রিম, 

•বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্র দিয়ে হাত ও পায়ের তালুতে সেঁক দেয়া,

•বটিউলিনিয়াম টক্সিন ইনজেকশন দিয়ে, এবং 

•স্নায়ুর বিশেষ ধরনের সার্জারি 


মনে রাখবেন অস্বস্তিকর হলেও হাত ও পায়ের তালু ঘামা জীবনহানিকর মারাত্মক কোন শারীরিক সমস্যা নয়। কারণ বের করে উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলেও মানসিকভাবে মানিয়ে নিয়ে দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবনযাপন করার চেষ্টা করার বিকল্প নেই।


Tuesday, January 28, 2025

Avoid using Retinol & Vit C combination

 #SkinCare 

At present the technique of layering are trending among skincare users. The trend was adopted due to the belief that could make the skin healthier and brighter. However, not all ingredients can be applied simultaneously. One of which is the use of Retinol combined with Vitamin C.

Retinol and Vitamin C are ingredients that are often found in skincare products. Both are useful in reducing wrinkles and black spots on the face and even smoothening the skin texture. Both are often used together in hope that the combination could nourish facial skin with maximum benefits.

However, Retinol and Vitamin C are ingredients in skincare that should not be used together. Applying both at the same time could increase the risk of skin irritation, rendering the benefits of the skincare content useless.

The two ingredients and their respective formulations can sometimes be very irritating if used together. Retinol and vitamin C function in different pH environments. Retinol works at a high pH level (alkaline), while vitamin C is formulated in a lower pH environment (acidic). Thus, when combined, retinol and vitamin C cannot work optimally.

it is better to only apply both ingredients alternately at different times, rather than using together in combination. 


Use skincare with 

•Vitamin C in the morning to protect the skin from exposure to pollution and ultraviolet (UV). After that, proceed with applying a proper skin-care routine. 

•At nighttime, apply skincare that contains Retinol and be sure to use moisturizer after or it may cause dry skin.

#skincareproducts #health  #dermatologist #beauty #glamour #BMW #aesthetic

Saturday, January 11, 2025

দ্য গ্রেট লন্ডন ফায়ার

১৬৬৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সিটি অফ লন্ডন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, যা ইতিহাসে 'দ্য গ্রেট লন্ডন ফায়ার' নামে পরিচিত।‌ এই অগ্নিকাণ্ডে মধ্যযুগীয় লন্ডনের প্রায় সকল স্থাপনা পুড়ে গিয়েছিল।

লন্ডনের ঐতিহাসিক স্থাপনা সেন্ট পল গির্জা সহ ৮৭টি গির্জা, সরকারি ও বানিজ্যিক দফতর এবং প্রায় ১৪০০০ বাড়ি পুড়ে গিয়েছিল এই অগ্নিকাণ্ডে। সেইসময় লন্ডনের ১৫% বসতবাড়ি ধ্বংস হয়েছিল এবং দুই লক্ষাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছিল। বর্তমান হিসেবে আর্থিক ক্ষতি ছিল কমবেশি ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে ধ্বংসযজ্ঞ ও আর্থিক ক্ষতি হলেও এই অগ্নিকাণ্ডে মাত্র ৬ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

১৬৭০ সালে একটি আইনের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পুনঃনির্মাণ করার ভিত্তি দেয়া হয়। ৯০০০ বাড়ি সহ প্রায় সকল সরকারি ও বানিজ্যিক স্থাপনা মুল স্থাপত্য অনুযায়ী আবার গড়ে তোলা হয়েছিল। পরিবেশের ক্ষতি ছাড়াও সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিল এই অগ্নিকাণ্ড।

অগ্নিকাণ্ডে প্রথম যে চার্চটি ধ্বংস হয়েছিল সেই স্থানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয় ১৬৭৭ সালে। এখন মনুমেন্ট নামে পরিচিত এটি লন্ডনের একটি দর্শনীয় স্থান।

#fire #London #history #trend #photography

Friday, January 10, 2025

Fertilo

Since the birth of the world’s first ‘test tube baby’ in 1978, in vitro fertilization (IVF) has helped millions of people worldwide overcome fertility issues and become parents. But while the procedure is designed to deliver a bundle – or bundles – of joy into the world, it’s not without some downsides.

Developed by Gameto, a biotech company, that is dedicated to advancing women’s reproductive health, providing an alternative technique to traditional IVF, known as #Fertilo. It is a fertility method that uses stem cells to mature human eggs outside the body. The technique uses ovarian support cells (OSCs) derived from induced pluripotent stem cells (iPSCs) to mimic the natural egg maturation process outside the body.


Fertilo provides an alternative to traditional IVF and, has fewer drawbacks. IVF needs a long treatment cycles, significant side effects, and the emotional and physical strain. Fertilo provides a potentially faster, safer, and more accessible solution for families. Unlike traditional IVF, Fertilo avoids 80% of the hormone injections and reduces the treatment cycle duration to just 3 days, making it faster, safer, and less invasive.

Fertilo has already gained regulatory approval in several countries, including Australia, Japan, and Mexico, with plans for Phase 3 trials in the US. The first baby conceived using this revolutionary fertility method was born at the Santa Isabel Clinic in Lima, Peru on 16 December 2024.

#MRKR #health #innovations #baby #human

Sunday, January 5, 2025

পুতনি দ্বীপ

বঙ্গোপসাগরে বিন্দুর মতো ছোট্ট একটি দ্বীপ, নাম পুটনি আইল্যান্ড‍। এই দ্বীপের পশ্চিম পাশে মান্দারবাড়িয়া সৈকত, পূর্বাংশে সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট ১৫ কিলোমিটার দুরত্বে এবং দুবলার চর ২০ কিলোমিটার দুরত্বে।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের এই দ্বীপের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার এবং আয়তন কমবেশি ১০ বর্গকিলোমিটার‍। দ্বীপটির একাংশ জুড়ে ঘন বনাঞ্চল, অন্যদিকে দিগন্তজোড়া সৈকত। চারপাশজুড়ে বঙ্গোপসাগর‍।


১৯৭২ সালে মালেক ফরাজী নামে এক মৎস্যজীবী দ্বীপটি প্রথম খুঁজে পান। তখন এটি ২ একর আয়তনের ডুবোচর ছিল। আয়তন বৃদ্ধি পেতে পেতে ২০০৪ সালে থেকে এটি স্থায়ী ভূমিতে পরিণত হয়।

এই দ্বীপ হরিণের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। লাল কাঁকড়া, নানা ধরনের শামুক ও ঝিনুক এবং মৌমাছি বসবাস করে এই দ্বীপে। সম্প্রতি এই দ্বীপে বাঘের পায়ের ছাপ নথিভুক্ত করা হয়েছে। খুলনা অঞ্চলে পর্যটনের নুতন একটি গন্তব্যে পরিণত হয়েছে এই দ্বীপ।

#PutneyIsland #Bangladesh #Island

Friday, January 3, 2025

এইচএমপিভি ভাইরাসকে জানুন

সম্প্রতি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস সংক্রমণ। বিশেষ করে চীনের উত্তরাঞ্চলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বেশি শনাক্ত হচ্ছে। জাপানেও ফ্লু লক্ষণ নিয়ে সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণের জন্য দায়ী হিসেবে ২০০১ সালে সনাক্ত করেন। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে এই ভাইরাসের অনেক ক্ষেত্রে মিল রয়েছে। শীতকালীন ফ্লু হিসেবে এটির আবির্ভাব ঘটে। সববয়সী মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি। 

ভাইরাসটির অস্তিত্ব ২০০১ সালে জানা গেলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া বিকল্প উপায় নেই


কিভাবে ছড়ায়

•হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। 

•রোগীর ব্যবহৃত জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে।

লক্ষণ কি

রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে সংক্রমণের কারণে অসুস্থতার তীব্রতা ভিন্ন হতে পারে। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের ৩ থেকে ৬ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা যায়।

•জ্বর

•সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা 

• শ্বাসকষ্ট 

• তীব্র সংক্রমণে নিউমোনিয়া, হাঁপানির মতো লক্ষণ

•ত্বকে ব়্যাশ

চিকিৎসা কি

ভাইরাসজনিত রোগ বিধায় নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই। তবে লক্ষন অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে।

প্রতিরোধ 

•কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া, 

•অপরিষ্কার হাতে নাক মুখ স্পর্শ না করা, 

•মাস্ক ব্যাবহার করা এবং 

•আক্রান্ত রোগী থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। 

এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জীবনহানির আশংকা না থাকলেও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ না করলে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। 

#virus #Disease #health #flu #COVID19

PayPal মাফিয়া

PayPal মাফিয়া (PayPal Mafia) হচ্ছে একদল উদ্যোক্তা ও প্রযুক্তিবিদ, যারা ২০০০ সালের শুরুতে PayPal-এ একসাথে কাজ করেছিলেন এবং পরে সিলিকন ভ্যাল...