বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরবৃত্তীয় নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে, যাকে বার্ধক্য প্রক্রিয়া (aging process) বলা হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় কোষের ক্ষয় রোধ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের সুস্থতা রক্ষা করার ক্ষেত্রে ভিটামিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
ভিটামিন A (রেটিনল) কোষ পুনর্জন্মে সাহায্য করে, ত্বক ও চোখের সুস্থতা রক্ষা করে। বার্ধক্য প্রক্রিয়ায় বলিরেখা হ্রাস করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়।
ভিটামিন C (অ্যাসকরবিক অ্যাসিড) একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে, ফ্রি র্যাডিকাল প্রতিরোধ করে, বার্ধক্যজনিত রোগের ঝুঁকি কমায়।
ভিটামিন E (টোকোফেরল) চর্বিতে দ্রবণীয় একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা কোষ ঝিল্লির স্থিতি বজায় রাখে। ত্বক ও চুলের বয়সজনিত ক্ষয় রোধ করে, প্রদাহ কমায়।
ভিটামিন D হাড়ের গঠন ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড় ক্ষয় রোধে সাহায্য করে, মানসিক স্বাস্থ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।
ভিটামিন K রক্ত জমাট বাঁধা ও হাড়ের গঠন বজায় রাখতে সাহায্য করে। অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক, রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে।
বি-কমপ্লেক্স ভিটামিন (বিশেষ করে B6, B9/ফোলেট, ও B12) স্নায়ুতন্ত্রের সঠিক কার্যক্রম, কোষ বিভাজন এবং রক্ত তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বার্ধক্য প্রক্রিয়ায় এটি স্মৃতিভ্রংশ (dementia) ও নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
উল্লেখ্য মানবদেহে কোন ভিটামিন তৈরি হয় না। এটি গ্রহন করতে হয়। তাই বার্ধক্য প্রক্রিয়ায় শরীর সুস্থ রাখতে এসব ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে এসব ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।
#MRKR #Aging #health #healthylifestyle #trend #nutrition #vitamins