🕰️লন্ডনের টেমস নদীর ধারে পৌঁছালে যে দৃশ্যটি সবার আগে চোখে পড়ে তা হলো বিগ বেন। স্থানীয়রা যেমন সপ্তাহান্তে এখানে সময় কাটায়, তেমনি অসংখ্য বিদেশি পর্যটকও শনি ও রবিবারে ভিড় জমায়। নানা ভাষার কোলাহলে পরিবেশটা হয়ে ওঠে যেন এক ছোট্ট পৃথিবী।
ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেস-এর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল ঘড়ির টাওয়ারটি শুধু ইংল্যান্ড নয়, পুরো দুনিয়ার কাছে লন্ডনের পরিচিত প্রতীক হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের কাছে এটি আকর্ষণীয় স্থান।
🏛️ ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসের ছায়ায়-
বিগ বেন দাঁড়িয়ে আছে ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেস বা ব্রিটিশ সংসদ ভবনের পাশে। ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্যশৈলীর এই প্রাসাদ আর টাওয়ারের দৃশ্য মিলিয়ে জায়গা ভ্রমণকারীদের কাছে অনন্য। ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ পাড় হয়ে টেমস নদীর
🌆 ওপার থেকে দাঁড়িয়ে বিগ বেনের ওপর সূর্যাস্ত দেখা এক ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা।
🔔 ‘বিগ বেন’ নামের উৎপত্তি-
অনেকেই ভাবেন টাওয়ারটির নাম ‘বিগ বেন’, প্রকৃত পক্ষে বিগ বেন হলো টাওয়ারের ভেতরে থাকা বিশাল ঘড়ির🕰️নাম, যার ওজন প্রায় ১৩.৫ টন। জানা যায়, ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ লর্ড বেঞ্জামিন হল এর নামে এই নামকরণ করা হয়, কারণ ঘণ্টাটি বসানোর কাজে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
⏰ স্থাপত্য ও বৈশিষ্ট্য-
বিগ বেন যে টাওয়ারে স্থাপন করা তার নাম এলিজাবেথ টাওয়ার, যার উচ্চতা প্রায় ৯৬ মিটার (৩১৬ ফুট)। চারদিকে চারটি ঘড়ির ডায়াল বসানো আছে, প্রতিটির ব্যাস প্রায় ৭ মিটার। ঘড়ির মিনিটের কাঁটাই লম্বায় ৪.৩ মিটার! প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর ঘণ্টাধ্বনি শোনা যায়, আর পূর্ণ ঘণ্টা বাজলেই গম্ভীর গভীর সুরে বেজে ওঠে বিগ বেন।
🌍 প্রতীকী গুরুত্ব-
বিগ বেন শুধু ঘড়ি নয়, এটি ব্রিটিশ ঐতিহ্য ও স্থিতিশীলতার প্রতীক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান বোমাবর্ষণে ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেস-এর অনেক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বিগ বেন অক্ষত ছিল। তখন থেকেই এটি হয়ে ওঠে আরও বেশি প্রতীকী—যেন প্রতিকূল সময়েও টিকে থাকার শক্তি ও স্থায়িত্বের প্রতিচ্ছবি।
🌙 দিনের সমাপ্তি-
সন্ধ্যায় আলো জ্বলে উঠলে বিগ বেন আর সংসদ ভবন মিলিয়ে টেমসের ধারে তৈরি হয় এক স্বপ্নময় দৃশ্য। ভিড় ধীরে ধীরে কমলেও জায়গাটার আবহ থেকে যায় জীবন্ত আর স্মৃতিময়।
✨ঘণ্টার গম্ভীর ধ্বনি আর ঐতিহাসিক মহিমায় বিগ বেন তাই শুধু ঘড়ি নয়—এটি লন্ডনের প্রাণস্পন্দন।
#MRKR
No comments:
Post a Comment