👣 ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যা শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা তৈরি করে। এটির প্রভাব অনেক সময় সবার আগে সংকেত পাওয়া যায় পায়ে। কারণ ডায়াবেটিস স্নায়ু ও রক্তনালীর ক্ষতি করে, ফলে পায়ের অনুভূতি, রঙ, ক্ষত নিরাময়—সবকিছুতেই পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
পায়ে দেখা দিতে পারে এমন ১০টি সাধারণ লক্ষণ—
🔟 ডায়াবেটিসের লক্ষণ পায়ে-
🔸ঝিনঝিন বা অবশ লাগা– পায়ে সুচ ফোটার মতো অনুভূতি, ঝিমঝিম ভাব বা অসাড়তা।
🔸জ্বালাপোড়া বা ব্যথা – বিশেষত রাতে বেশি অনুভূত হয়।
🔸ঠান্ডা পা– রক্তসঞ্চালন কমে গেলে পা অস্বাভাবিক ঠান্ডা লাগে।
🔸ক্ষত শুকাতে দেরি হওয়া– ছোট কাটা বা ফোস্কা সহজে না শুকালে সতর্ক হোন।
🔸ত্বকের রঙ পরিবর্তন – পায়ে কালচে, লালচে বা ফ্যাকাসে দাগ পড়তে পারে।
🔸ত্বক শুষ্ক বা ফেটে যাওয়া– স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হলে ঘাম কম হয়, ফলে ত্বক শুকিয়ে যায়।
🔸পা ফোলা (ইডিমা) – রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হলে পা বা গোড়ালি ফুলে যেতে পারে।
🔸নখের পরিবর্তন– নখ মোটা হয়ে যাওয়া বা ভেতরে ঢুকে যাওয়া।
🔸লোম পড়ে যাওয়া– আঙুল বা পায়ের লোম ঝরে যেতে পারে।
🔸বারবার সংক্রমণ– ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া বা নখের সংক্রমণ প্রায়ই হতে থাকে।
🩺 কেন এই লক্ষণগুলো দেখা দেয়?
🔸ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি (স্নায়ুর ক্ষতি) → অনুভূতি কমে যায়, ঝিনঝিন বা জ্বালা ধরে।
🔸রক্তসঞ্চালনের সমস্যা → পা ঠান্ডা, ক্ষত শুকাতে দেরি, রঙ পরিবর্তন।
🔸সংক্রমণের ঝুঁকি→ উচ্চ শর্করায় জীবাণু দ্রুত বাড়ে।
🌿 প্রতিরোধ ও যত্নের টিপস-
✅ নিয়মিত পরীক্ষা– প্রতিদিন নিজের পা ভালো করে দেখুন, ক্ষত বা দাগ আছে কিনা।
✅ হালকা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার – শুষ্কতা এড়াতে, তবে আঙুলের ফাঁকে নয়।
✅ পরিষ্কার মোজা ও আরামদায়ক জুতা – যাতে ঘষা বা ফোস্কা না হয়।
✅ নখ কাটা সাবধানে – সোজা কেটে রাখুন, খুব ছোট নয়।
✅ ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়ানো – এগুলো রক্তসঞ্চালন কমিয়ে দেয়।
✅ রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখা – মূল সমস্যার সমাধান এটাই।
✅ বছরে অন্তত একবার পা পরীক্ষা করানো – ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
⚠️ কখন ডাক্তার দেখাবেন?
🔸যদি পায়ে ক্ষত শুকাতে না চায়
🔸যদি অবশভাব বা জ্বালাপোড়া ক্রমশ বাড়ে
🔸যদি ফোলা, রঙ পরিবর্তন বা সংক্রমণ হয়
সময়মতো চিকিৎসা না করলে ছোট ক্ষত থেকে আলসার, গ্যাংরিন এমনকি পা কেটে ফেলতে হতে পারে। তাই প্রাথমিক পর্যায়েই যত্ন নেওয়া সবচেয়ে জরুরি।
#MRKR
No comments:
Post a Comment