Sunday, May 10, 2020

একটি স্বপ্নের অপমৃত্যু!


প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে নিজের পেশা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এরমধ্যেই জাকার্তা অবস্থান কালে বন্ধুতে পরিণত হওয়া এক চীনা চিকিৎসক WeChat এর মাধ্যমে তার মাতৃভূমিতে শুরু হওয়া একটি ভাইরাসজনিত নুতন শ্বাসকষ্ট রোগের সংবাদ জানালো। সে তখন তার জন্মস্থান চীনের হুবেই প্রদেশে ফিরে গিয়েছে। বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমে তখনও বিষয়টি শিরোনাম হয়নি। ঢাকায় ফিরে আমার নিজের পেশাগত জীবনে ব্যস্ততা শুরু হয়নি বিধায় রোগটি সমন্ধে কৌতূহলী হয়ে জানার চেষ্টা করতে থাকলাম। চীনা বন্ধুর কাছ থেকে রোগটির ভয়াবহতা জেনে অজান্তেই শিউরে উঠেছিলাম। সে জানিয়েছিল হয়তো রোগটি মানুষের মাধ্যমে ছড়ায় না। ততোদিনে বিষয়টি বিশ্ব সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্ব পেতে শুরু করেছিল। জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে চীন সরকার ঘোষণা দিল রোগটি হয়তো মানুষের মাধ্যমে সংক্রমনের ঝুঁকি রয়েছে, যদিও WHO তখনও বলছিল মানুষের মাধ্যমে ছড়ায় না। ইন্টারনেট ঘেটে যতোদুর সম্ভব নুতন এই রোগটি সমন্ধে জানার চেষ্টা করছিলাম আমি। যেহেতু চীনের একাধিক নগরীর সংগে আমাদের বিমান যোগাযোগ রয়েছে তাই মানুষের মাধ্যমে সংক্রমণের খবরে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম। উল্লেখ্য আমি একজন ত্বকের চিকিৎসক হলেও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে মাষ্টার্স করেছি এবং বিশ্বের জনস্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করতে উৎসাহ বোধকরি। যাই হোক জানুয়ারির ১৫ তারিখেই দেশের আন্তর্জাতিক বন্দরগুলোতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সামাজিক মাধ্যমে করোনা নিয়ে পোষ্ট দেয়া শুরু করলাম। তারপর বিভিন্ন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কি ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করছে সেগুলোর সচিত্র পোষ্ট করার চেষ্টা করেছি আমি। বলাবাহুল্য আমাদের বন্দরগুলো তখনও গা ছাড়া ঢিলেঢালা ভাবেই চলছিল। একপর্যায়ে জনমতের চাপে চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে প্রত্যাগত বাংলাদেশী দের বাধ্যতামূলক কোয়ারিন্টিনে নেয়া হলো। তারপর বেশ সন্তূষ্ট চিত্তে মহামারী নিয়ন্ত্রণে আমরা বিদেশ প্রত্যাগতদের কোয়ারিন্টিনে রাখার প্রয়োজনীয়তার কথা ভুলেই বসলাম। ইতিমধ্যেই এশিয়া পাড়ি দিয়ে ইউরোপের ইতালি হয়ে উঠেছে মৃত্যুপুরী। সেখানকার সংবাদ মাধ্যমেও নজর রাখছিলাম, গুগল মামার সাহায্য নিয়ে অনুবাদ করে সেগুলো পড়তাম। একদিন সন্ধ্যায় দেখলাম ইতালি প্রবাসী বাংলাদেশী ভর্তি উড়োজাহাজ ছাড়ছে, যা শিরোনাম হয়েছে সেদেশের সংবাদ মাধ্যমে। ইতালি থেকে প্রত্যাবর্তনকারীদের বিমানবন্দর থেকে সরাসরি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে নেয়ার গুরুত্ব দিয়ে পোষ্ট করেছিলাম। সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে দেশের মানুষ এবং সংবাদ মাধ্যম তখন সচেতন এবং সোচ্চার হয়ে উঠেছে। ইতালি থেকে প্রবাসী বহনকারী সেই প্রথম উড়োজাহাজটি পরদিন সকালে বিমানবন্দরে অবতরণের পর যাত্রীদের কোয়ারিন্টিনে নেয়া হলো বটে কিন্তু তাদেরকে রাখার স্থানটিতে কোন ধরনের প্রস্তুতি ছাড়াই। তাদের প্রতিবাদ বিক্ষোভের মুখে সরকার বাড়িতে কোয়ারিন্টিনে থাকার শর্তে মুক্তি দিতে বাধ্য হলো। আমরা কোভিড ১৯ মহামারী নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে বড়ো সুযোগটি হেলায় ফেলায় হাতছাড়া করলাম চুড়ান্ত অব্যবস্থাপনার কারণে। তারপর আরো অনেক উড়োজাহাজ অবতরণ করেছে, যাত্রীরা সবাই বাড়িতে কোয়ারিন্টিনের শর্তে ছাড়া পেয়ে ঘুরে ফিরে বেড়িয়েছে, নিমন্ত্রণ খেয়েছে, রোগ ছড়িয়েছে নিজের অজান্তেই। মার্চের ৮ তারিখে সরকারি ভাবে বাংলাদেশে কোভিড ১৯ রোগী সনাক্তের ঘোষণা দেয়া হলো। পরিস্থিতি মোকাবেলায় একপর্যায়ে দুরপাল্লার যানবাহন বন্ধ না করে, জনগণকে নির্দেশনা বা সতর্কবার্তা না দিয়েই লকডাউনের নামে ছুটি ঘোষণা করা হলো। মানুষ ঈদের আমেজে স্রোতের মতো যানবাহনে গাদাগাদি করে বড় শহর ছেড়ে পাড়ি জমালো গ্রামের বাড়িতে। এসব মানুষের মাধ্যমে কোভিড ঢাকা থেকে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের আনাচে কানাচে সেটি এখন নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। কফিনে সবশেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছিল পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। অতপর সীমিত পরিসরের নামে কলকারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। শপিং মল, দোকানপাট , ধর্মীয় উপাসনালয়ও খুলে দেয়া হয়েছে, যদিও মে মাসের শুরু থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিড রোগীর সংখ্যা। অবকাঠামো, চিকিৎসা সরন্জামের অপ্রতুলতা এবং সর্বোপরি আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা দৃশ্যমান হয়েছে ইতিমধ্যেই। এই পরিস্থিতি আমরা কিভাবে মোকাবেলা করবো সেটি এখন অনেকটাই প্রকৃতি নির্ভর হয়ে পড়েছে। দ্রুত উন্নয়নশীল একটি দেশের অর্থনীতির চাকা হঠাৎ থেমে গিয়েছে। সঠিক এবং সমন্বিত ব্যবস্থা নিতে না পারলে মহামারীতে মানুষের মৃত্যুর চেয়েও মারাত্মক অর্থনৈতিক বিপর্যয় অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে। সময়ে এক ফোড়, অসময়ে দশফোড় এই প্রবাদ বাক্যটি মেনে চলে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলেও কোভিড ১৯ মহামারী আমাদের দেশে প্রবেশ করতো অবশ্যই। জনস্বাস্থ্যের নিয়ম অনুসারে যে রোগের নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই, সেই রোগের মহামারি মোকাবেলা করতে চিকিৎসা সেবা দেয়ার চেয়ে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করাটা সবচেয়ে ভালো পন্থা। দক্ষিনপুর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনামের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায় আমরা কিভাবে সুযোগ হাতছাড়া করে উন্নয়নের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে কতোটা ভূল করে ফেলেছি এবং এখনও করছি। সম্ভবত আমরা হেলায়ফেলায় আত্মহুতি দিয়ে একটি স্বপ্নের মৃত্যু ঘটাতে চলেছি😢! লেখক: চিকিৎসক, ত্বক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ #COVID19 #MRKR

Wednesday, March 4, 2020

কোভিড ১৯ প্রতিরোধে গণপরিবহনে যাতায়াত করতে সতর্কতা


গণপরিবহন আধুনিক নগরের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ভিড়ের কারণে গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে বড় শহরগুলোর গণপরিবহনে যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে। বাস, ট্রেন, ফেরি ইত্যাদি গণপরিবহনে ভ্রমনের সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে সংক্রামনের ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, সংক্রামক রোগের মহামারী প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই। #করণীয় *যাত্রাশেষে দ্রুত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করে ফেলুন। *সাথে বহন করা ব্যাগ বা অন্যান্য জিনিস যদি যানবাহনের সংস্পর্শে আসে তাহলে সেগুলোতে জীবানু নাশক স্প্রে করুন বা ধুয়ে ফেলুন। *ভ্রমনকালে মোবাইল ফোন বা অন্যান্য গেজেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। *ভ্রমনকালে কোন খাবার গ্রহন করবেন না। *কেউ হাঁচিকাশি দিলে নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান নিন। *সম্ভব হলে সকাল সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে গণপরিবহন ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন। #COVID19 #CoronaVirus জনস্বার্থে: ডাঃ এম আর করিম রেজা ত্বক, সৌন্দর্য এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এইমস্ হসপিটাল লিমিটেড বাড্ডা জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেড

ত্বকে বয়সের ছাপ: কারণ এবং প্রতিকার


ত্বক শরীরের একক বৃহত্তম অঙ্গ। শরীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি ত্বক মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রধান মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। সাধারণত চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে ত্বকে বয়োঃবৃদ্ধির বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। তবে ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে এসব লক্ষণ অপরিপক্ক বয়সেও আবির্ভূত হতে পারে। ত্বকে বয়োঃবৃদ্ধির স্বাভাবিক লক্ষণ স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও, সামাজিকভাবে মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। শরীরের অভ্যন্তরীণ এবং পারিপার্শ্বিক নানা কারণেই ত্বকে বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণকে ত্বরান্বিত করতে পারে। *লক্ষণ: বলিরেখা, ভাজ, দাগ, ঝুলে যাওয়া, ঔজ্জ্বল্যতা কমে যাওয়া, পাতলা, রুক্ষ, খসখসে ত্বক বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেয়ে থাকে। বয়স, বংশোদ্ভূত বা জ্বীনগত, সূর্যরশ্মি, বায়ুদূষণ, ধুমপান এবং প্রাত্যহিক জীবযাপন পদ্ধতি ইত্যাদি নানা কারণ ত্বকে বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণকে প্রভাবিত করে থাকে। বয়োঃবৃদ্ধির কারনে ত্বকের কোষ বৃদ্ধির হার কমে গিয়ে ধীরে ধীরে ত্বক পাতলা হয়ে যায়। ত্বকের বিভিন্ন স্তরের চর্বি, ইলাষ্টিন, কোলাজেন ইত্যাদি কোষ কমে যায়। ফলে স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়ার কারণে ত্বকে বলিরেখার আবির্ভাব হয়, ত্বক ঝুলে পড়ে। ত্বকের গ্রন্থি থেকে তেল নিঃসরণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে খসখসে এবং রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বকে চর্বি কমে গর্ত সৃষ্টি এবং অস্থির ক্ষয়ের কারণে গিয়ে মুখাবয়বের পরিবর্তন ঘটে থাকে। রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ায় ত্বকের পুষ্টির অভাব ঘটে। বয়োঃবৃদ্ধির সাথে ইষ্ট্রোজেন হরমোন কমে গিয়ে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ত্বকে বয়সজনিত লক্ষণের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে থাকে। বংশোগত প্রভাব, সূর্যরশ্মি, বায়ুদূষণ বর্ণিত বয়োঃবৃদ্ধি প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে থাকে। ধুমপান, খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ওজন, ত্বকের যত্ন, এমনকি ঘুমানোর ধরনও ত্বকের বয়স জনিত বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। *প্রতিকার #বয়স এবং বংশোদ্ভূত কারনে সৃষ্ট ত্বকে বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা প্রতিরোধে সৌন্দর্য বর্ধক চিকিৎসা ছাড়া অন্য কিছু করার নেই। #সূর্যালোকের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা বা হ্যাট ব্যবহার করা যেতে পারে। #বায়ুদূষণের জন্য সানস্ক্রিন এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের উপযোগী সাবান/ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিস্কার এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। #ধুমপান পরিহার এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। #ভিটামিন এ, সি, ডি, ই এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। #শাকসব্জি, ফলমূল এবং পর্যাপ্ত পানীয় গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। *চিকিৎসা ত্বকে বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণ কমাতে রোগীর ত্বকের ধরন, বয়স এবং লক্ষণ বিবেচনা করে খাবার ঔষধ, ব্যবহার করার ক্রিম/লোশন থেকে শল্য চিকিৎসা ইত্যাদি নানা ধরনের চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। #আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট বা ভিটামিন জাতীয় ঔষধ সেবন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবে চিকিৎসক বিবেচনা করে দিতে পারেন। #ক্রিম/লোশন হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং প্রসাধনী বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। #ত্বকের বয়োঃবৃদ্ধি জনিত ভাজ, দাগ, ঝুলে যাওয়া, গর্ত হওয়া, ঔজ্জ্বল্যতা কমে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দুর করতে আজকাল নানা ধরনের সৌন্দর্য বর্ধক চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে যেমন কেমিক্যাল পিলিং, মাইক্রোডার্মাব্রেশন, কোলাজেন ফিলার এবং বোটক্স ইনজেকশন, লেজার, পিআরপি, অটোলোগাস ফ্যাট থেরাপি, ইলেক্ট্রোথেরাপি, হাইড্রোথেরাপি, থ্রেড লিফ্ট ইত্যাদি। এ সকল চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজন হয় না। #কসমেটিক_সার্জারির মাধ্যমেও অবয়ব পরিবর্তন এবং সৌন্দর্য বর্ধনের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজন হতে পারে। মনে রাখবেন এসব চিকিৎসা স্থায়ী নয় এবং অনেক সময় আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায় না। কাজেই চিকিৎসার ফলাফল, স্থায়িত্ব এবং খরচ সমন্ধে ধারনা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা উচিত। https://www.bd-pratidin.com/health/2019/12/19/484680 লেখক: এম আর করিম রেজা ত্বক এবং সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ এইমস হসপিটাল লিঃ হটলাইন:০১৮৬৭৭১১৭৯৩

করোনা সংক্রমণ রোধে সচেতনতা এবং ফেসমাস্ক


বিশ্বজুড়ে কোভিড ১৯ ভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ পর্যন্ত ৭০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রায় ৯২ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩২০০ মৃত্যুবরণ করেছে। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে ৬ জন আক্রান্ত হলেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এখন পর্যন্ত কারও দেহে এই ভাইরাস সনাক্ত হয়নি। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, সংক্রামক রোগের মহামারী প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই। কী করবেন *আ্যলকোহল সমৃদ্ধ জীবাণুনাশক হ্যান্ড রাব (স্পিরিট, হেক্সিসল), সাবান বা সাবান জাতীয় জিনিস দিয়ে ঘনঘন হাত ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। *অপ্রয়োজনে নাক, চোখ, মুখে হাত দেয়ার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। *অপরিচিত কারো সাথে হ্যান্ডশেক করার পর হাত ধোয়া না পর্যন্ত নাক, কান, চোখমুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। *রেস্টুরেন্টে খাবার গ্রহণ এবং পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার সময় সঠিকভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে। *জনসমাগম বা ভিড় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। *যেখানে সেখানে কফ, থুথু ফেলবেন না। হাঁচি কাশি দেয়ার সময় সতর্ক থাকুন। *গলা ভিজিয়ে রাখতে পর্যাপ্ত পানীয় পান করুন। *শুধু মাস্ক ব্যবহার কোভিড ১৯ সংক্রমণ রোধে কার্যকরী নয়। নিজে সর্দি-জ্বর, হাঁচি-কাশি, ফ্লুতে আক্রান্ত হলে এই মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করলে সেটি অন্যকে আক্রান্ত করার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। ফেসমাস্ক চীনের উহানে করোনা ভাইরাস প্রথম সনাক্ত হওয়ার পর থেকেই দেশে দেশে সুস্থ মানুষের মধ্যে ফেসমাস্ক কেনা এবং ব্যবহার করার হিড়িক লেগেছে। এই সুযোগে প্রস্ততকারক কোম্পানির ব্যবসা ভালো হলেও সেটি কোভিড ১৯ প্রতিরোধে কতোটা কার্যকর তা জেনে নেয়া উচিত। সাধারণ ফেসমাস্ক বায়ুদূষণ থেকে কিছুটা পরিত্রাণ দিলেও রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে না। সংক্রমণ প্রতিরোধে N95 নামে রেসপিরেটরি মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। তবে এই মাস্ক পরিধানকারীর শরীর থেকে রোগ ছড়ানো যতোটা প্রতিরোধ করে, বাহির থেকে শরীরে রোগ অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে ততোটা কার্যকর নয়। শুধু তাই নয় সঠিকভাবে ব্যবহার না জানলে এই মাস্ক থেকেই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু আক্রান্ত রোগীর যত্ন নেয়া এবং সংস্পর্শে আসলে এই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে ফেসমাস্ক ব্যবহারের নিয়ম *হাত পরিষ্কার করে মাস্ক লাগাতে হবে। *নাকমুখ ঢাকার পর মুখমণ্ডল এবং মাস্কের ভিতর কোন ফাঁক রাখা যাবে না। * হাত পরিষ্কার না করে কখনো পরিধান করা মাস্ক স্পর্শ করা যাবে না। *খোলার সময় পেছন থেকে খুলতে হবে, মাস্ক স্পর্শ করা যাবে না। *মেয়াদত্তীর্ণ অপরিস্কার, নোংরা মাস্ক যত দ্রুত সম্ভব আবর্জনা বাক্সে ফেলে দিন। মনে রাখবেন কোভিড ১৯ ভাইরাস হাঁচি-কাশি ছাড়া সাধারণভাবে স্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাতাসে ছড়ায় না। কাজেই হুজুগে ফেসমাস্ক ব্যবহার না করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এটি প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার চেষ্টা করুন।

Saturday, February 15, 2020

কিটো ডায়েট


 
অনেকেই আজকাল কিটো ডায়েট ক্রেজে ভুগছেন। কিন্তু এই কিটো ডায়েট ওজন কমালেও শরীরের জন্য ভালো কি মন্দ সেটি হয়তো জানেন না। 
একজন পুষ্টিবিদ বা ডায়েটেশিয়ান স্বাস্থ্যগত কারণে প্রয়োজন হলে বিচার বিশ্লেষণ করে কাউকে কিটো ডায়েটের পরামর্শ দিতেই পারেন। তবে সেটি গণহারে সবার জন্য মেনে চলার কোন যৌক্তিকতা নেই। কিটো ডায়েট শুরু করার পর অসুস্থতাবোধ এবং ডায়রিয়া ইত্যাদি স্বল্পমেয়াদি সমস্যা থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদী নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। 
কিটো ডায়েট অনুযায়ী শরীরবৃত্তীয় চাহিদা মেটাতে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার (চাল, ভুট্টা, গম ইত্যাদির তৈরি খাবার) পরিবর্তে ফ্যাট বা চর্বি ব্যবহার করার ফর্মুলা অনুসরণ করা হয়। কার্বোহাইড্রেট কম বা গ্রহন না করার মাধ্যমে শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি হরমোন ইনসুলিনকে কমিয়ে ফেলাই কিটো ডায়েটের মুল উদ্দেশ্য। 
ইনসুলিন একদিকে যেমন শর্করা ভাঙ্গে অন্যদিকে চর্বি ও প্রোটিন জমাতে সাহায্য করে। ইনসুলিনের অভাবে কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে চর্বি শরীরবৃত্তীয় কাজে ব্যবহার হতে থাকে। কিন্তু শর্করা না থাকলে চর্বি শরীরবৃত্তীয় কাজে ব্যবহার হতে পারে না। ইনসুলিনের অভাবে কার্বোহাইড্রেট মেটাবলিজম বন্ধ হয়ে গেলে চর্বি ভেঙ্গে কিটো এসিড তৈরি করে, যা শরীরের জন্য ভয়াবহ একটি অবস্থা কিটো-এসিডোসিস সৃষ্টি করতে পারে। কিটো এসিডোসিসের কারণে মস্তিষ্ক, লিভার এবং কিডনির অপূরণীয় ক্ষতি হতে পারে। 

মস্তিষ্কের প্রধান খাবার হলো গ্লুকোজ, যা স্বাভাবিক অবস্থায় শর্করা জাতীয় খাবার ভেঙ্গে তৈরি হয়। স্মবাভাবিকভাবে মস্তিষ্ক কিটোন ব্যবহার করতে পারে না। তবে দীর্ঘদিন কিটো ডায়েটিং করলে একসময় মস্তিষ্ক কিটোন ব্যবহার করার সক্ষমতা লাভ করে। কিন্তু কিটোন মস্তিষ্কের জন্য কতোটা স্বাস্থ্যকর সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় এখন পর্যন্ত কোন গবেষণা লব্ধ ফলাফল নেই। দীর্ঘমেয়াদে কিটোডায়েট করার ফলে স্মৃতি ভ্রষ্ট হওয়ার সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। 
কিটো ডায়েট চলাকালীন চর্বি ভেঙ্গে রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এই চর্বি হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে জমে তা বন্ধ করে দিতে পারে। যা হার্ট এ্যটাকের কারণ হতে পারে। রক্তে চর্বি বেড়ে গিয়ে ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। 
কিটো ডায়েট চলাকালীন শুধুমাত্র চর্বিই ভাঙ্গে না প্রোটিনও ভাঙ্গে। শরীরের বাহ্যিক গঠন যেমন মাংসপেশী ও বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রধানত প্রোটিন দিয়েই তৈরি। কিটো ডায়েট চলাকালীন মাংসপেশী এবং হাড়ের গঠনে প্রভাব ফেলে। ক্রীড়াবিদদের হাড়ে ভঙ্গুর অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে। প্রোটিন ভেঙ্গে অপুষ্টির মতো অবস্থা তৈরি করতে পারে। 
সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী কম শর্করা জাতীয় খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সার এবং হৃদরোগের কারণ হতে পারে। কিটো ডায়েট গ্রহণকারীদের মধ্য মৃত্যুর হারও বেশি বলে গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে। 
মনে রাখবেন সুস্থ স্বাভাবিক, কর্মক্ষম দীর্ঘ জীবনের জন্য প্রয়োজন সুষম খাদ্যাভ্যাস, কায়িক শ্রম বা ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম, অস্বাভাবিক কিটো ডায়েট নয়। উঠতি বা যুবা বয়সে কিটো ডায়েট ক্রেজে আক্রান্ত না হয়ে বরং সুষম খাবার উপভোগ করে সেটি পরিশ্রম বা ব্যায়ামের মাধ্যমে ঝড়িয়ে ফেলার পর বিশ্রাম নিন, জীবনটাকে উপভোগ করুন। 

Wednesday, November 13, 2019

বায়ুদূষণ এবং ত্বকের রোগ


ত্বক শরীরের একক বৃহত্তম অঙ্গ। পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়া ত্বকের অন্যতম প্রধান কাজ। মূলত আধুনিক মানুষের কর্মকাণ্ডে বায়ুমন্ডল দুষিত হয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। 
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণের আশংকাজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে উপমহাদেশে। বায়ুদূষণের কারণে মানবদেহে নানাধরনের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় বা প্রাদুর্ভাব ঘটে থাকে। বায়ুদূষণের কারণে ত্বকের রোগ হতে পারে সেটি সাধারণভাবেই অনুমান করা যায়।

নানা ধরনের গ্যাস, ধুলি কণার সমন্বয়ে বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। দুষনের কারণে সৃষ্ট ধোয়াশা আবহাওয়ার কারণে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় এবং কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে শরীরবৃত্ত ক্রিয়ার কারনে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। 
√ত্বকের প্রদাহের কারণে একজিমা, ডার্মাটাইটিস, এলার্জি, ব্রণ ইত্যাদি রোগ বাড়িয়ে দেয়। বায়ু দূষণের কারণে সৃষ্ট ত্বকের শুস্কতার কারণে চুলকানি বেড়ে যায়।
√বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন কমে যাওয়ার প্রভাবে শরীরবৃত্ত ক্রিয়ার কারনে ত্বকের কোলাজেন ভেঙ্গে যায়। ফলে ত্বকের স্বাভাবিক মসৃণতা নষ্ট হয়ে ভাজ, দাগ ইত্যাদি বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণ আবির্ভাব হয়।
√বায়ুদূষণে কার্বন কণা বৃদ্ধির কারণে ত্বকের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। 
√বায়ুদূষণের কারণে মাথার চুল পড়া বৃদ্ধি পেয়ে টাক পড়তে পারে।

প্রতিরোধে করণীয়
√নিয়মিত সানস্ক্রিন এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
√বাহির থেকে এসেই গোসল করে ফেলুন, অন্তত মুখমণ্ডল এবং হাত পা ক্লিন্জার বা কম ক্ষারীয় সাবান দিয়ে পরিস্কার করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
√বাইরে চলাফেরার সময় ফেসমাস্ক ব্যবহার করুন এবং গৃহাভ্যান্তরে বায়ূ পরিশোধক যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।
√শাকসবজি, ফলমুল বেশি খাবেন। পর্যাপ্ত পানীয় পান করুন।
সমস্যা অনুভূতির সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
সমস্যা অনুভূতির সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
 


Tuesday, August 20, 2019

ত্বক ফর্সা করার আগে একটু ভাবুন!


প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই অপেক্ষাকৃত গাঁড় বর্ণ বা কালো ত্বকের মানুষের মধ্যে ফর্সা হওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। আধুনিক যুগের বিশ্বখ্যাত সঙ্গীত তারকা মাইকেল জ্যাকসন ফর্সা এবং সুন্দর হওয়ার প্রচেষ্টায় ধারণাতীত অর্থ এবং সময় নষ্ট করেছেন, যা তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাহ্যিক সৌন্দর্য বিচারে সাধারণ মানুষের মধ্যে ত্বকের রঙ্গ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত। গবেষণায় প্রমাণিত যে সৌন্দর্য নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতে থাকা সুস্থ মানুষ ফর্সা হওয়ার চেষ্টা করে থাকে। মজার বিষয় কালো বর্ণের মানুষের চেয়ে মিশ্র বর্ণ বা শ্যামলা বর্ণের মানুষের মধ্যে এই প্রবনতা সবচেয়ে বেশি। উপমহাদেশ এবং দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার মানুষ রঙ্গ ফর্সা করার চেষ্টা করে থাকে সবচেয়ে বেশি। মানুষের এই দুর্বলতাকে পুঁজি করে বিশ্বব্যাপী বিপুল বাণিজ্য চলছে, যার আর্থিক মূল্য ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। বাজারে ত্বক ফর্সা করার প্রসাধনী ক্রিম বা সাবান যেমন রয়েছে, তেমনি বিউটি পার্লার এবং প্রশিক্ষিত চিকিৎসকরাও ত্বক ফর্সা করার জন্য সেবা দিয়ে থাকেন।
কিভাবে কাজ করে
ত্বকে মেলানিন নামে এক ধরনের রঞ্জক থাকে যা ত্বকের বর্ণ নির্ধারণ করে থাকে। মেলানিনের ঘনত্ব যতো বেশি ত্বক ততটাই গাঁড় বর্ণের হয়ে থাকে। প্রসাধনী বা ঔষধ এই মেলানিনের ঘনত্ব এবং উৎপাদন কমিয়ে দেয়, ক্ষেত্র বিশেষে ধ্বংস করে থাকে।
*প্রসাধনী
ক্রিম বা সাবান হিসেবে ত্বক ফর্সা করার অগুনিত প্রসাধনী বাজারে পাওয়া যায়। বিশ্বের নামিদামি কোম্পানি থেকে স্থানীয় অখ্যাত ভেষজ কোম্পানি নানা ধরণের ত্বক ফর্সাকারি প্রসাধনী প্রস্তত করে থাকে। এসব প্রসাধনীতে কজোয়িক এসিড, আলফা হাইড্রোক্সি এসিড, গ্লুটাথিয়ন, মারকারি, হাইড্রোকুইনন, ইত্যাদি রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন এসব প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহারে ত্বক অপেক্ষাকৃত ফর্শা করতে সাহায্য করে থাকে।
*বিউটি পার্লার
প্রশিক্ষিত বিউটিসিয়ানদের ফেসিয়াল ক্লিন্সিং করার জন্য ৫% এর নীচে গ্লাইকোলিক বা স্যালেসাইলিক এসিড ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হয়ে থাকে। এরচেয়ে বেশি ঘনত্বে শুধুমাত্র চিকিৎসকরাই প্রয়োগ করতে পারেন।
*চিকিৎসক
ত্বকের দাগ বা রোগের কারনে সৃষ্ট গাঁড় রঙ্গ দূর করতে সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা রোগীর অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন ঘনত্বের গ্লাইকোলিক বা স্যিলেসাইলিক এসিড পিলিং এবং লেসার চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। আধুনিক সময়ে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধির নামে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করেই ত্বক ফর্সা করা হয়ে থাকে। নিয়মিত ব্যবহার করার জন্য ক্রিম বা জেলও চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন করে থাকেন।
জটিলতা
নানাবিধ অনাকাঙ্ক্ষিত জতিলতার কারনে বিভিন্ন দেশে এসব ত্বক ফর্সাকারি প্রসাধন সামগ্রীর উপর নিয়ন্ত্রন আরোপ করা হয়েছে। প্রসাধনীর গায়ে সম্ভাব্য ঝুঁকি উল্লেখ করে সাবধান বানী দেয়া থাকে। প্রসাধনিতে থাকা মারকারি ত্বকের অসাড়তা থেকে উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ু রোগ বা কিডনি নষ্ট করার মতো নানাবিধ স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারন হতে পারে। ত্বকের প্রদাহ বা ডারমাটাইটিস সৃষ্টি করতে পারে। আক্রান্তদের ব্রন বাড়িয়ে দেয়, বা নতুন ব্রন তৈরি করে থাকে। ত্বকের রঙ্গের ভিন্নতার কারনে ছোপ ছোপ গাঁড় দাগের উদ্ভব হতে পারে।
সাবধানতা
ত্বকের বর্ণ নিয়ে হীনমন্যতা দূর করুন, নিজের ত্বকের রঙ্গ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে সাইকোথেরাপি নিন। ত্বক ফর্সাকারি প্রসাধনী ব্যাবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সম্ভাব্য ঝুঁকি সমন্ধে জানুন। প্রসাধনী কেনার আগে গায়ে লেখা উপাদান এবং সতর্কতা ভালো করে দেখে নিন।
ডাঃ এম আর করিম রেজা
জাকার্তা প্রবাসী ত্বক ও সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ

দ্য গ্রেট লন্ডন ফায়ার

১৬৬৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সিটি অফ লন্ডন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, যা ইতিহাসে 'দ্য গ্রেট লন্ডন ...