🏞️ ভারতের কেরালা রাজ্যে প্রায় প্রতিবছরই মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবার (Naegleria fowleri) প্রাদুর্ভাব ঘটে। ২০২৫ সালে এই সংক্রমণে ইতিমধ্যেই ১৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে।
🧠 মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা কী?
প্রাইমারি অ্যামেবিক মেনিনজোএনসেফালাইটিস (PAM) একটি দুর্লভ কিন্তু মস্তিষ্কের মারাত্মক সংক্রমণ, যা Naegleria fowleri নামের “মস্তিস্কখেকো অ্যামিবা” দ্বারা ঘটে। এটি মস্তিষ্কের কোন ধ্বংস করে এবং প্রায়ই মৃত্যুর কারণ হয়। সাধারণত স্বাস্থ্যবান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এমন শিশু, কিশোর ও তরুণদের মধ্যে দেখা যায়।
💧 কিভাবে সংক্রমণ ঘটে?
• লেক নদী পুকুরে ইতিমধ্যেই দূষিত উষ্ণ তাজা পানির সংস্পর্শে আসার মাধ্যমে।
•নাকের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে, পানি খাওয়ার মাধ্যমে নয়।
•ঝুঁকিপূর্ণ কার্যকলাপ: সাঁতার, ডাইভিং, বা জলাশয়ে খেলা।
•নেটি পট ব্যবহারকখনো সংক্রমণের কারণ হতে পারে।
⚠️ লক্ষণ কি?
সাধারণত উষ্ণ আবহাওয়ায় বেশি দেখা যায়। সংক্রমণের ১–৯ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দিতে পারে। রোগ দ্রুত অগ্রসর হয়, প্রায় ১–২ দিনের মধ্যে মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছায়। প্রাথমিক লক্ষণগুলো হলো,
🤕মাথা ব্যথা
🌡️জ্বর
🤢 বমি বা বমির ভাব
😣গলা ও ঘাড় ব্যথা
👃👅কিছু ক্ষেত্রে গন্ধ বা স্বাদের বিকৃতি
🛡️ প্রতিরোধের উপায়-
👉 উষ্ণ,স্থির জলাশয়ে সাঁতার না দেওয়া
👉নাক রক্ষার জন্য নাক ক্লিপ ব্যবহার
👉 নেটি পট ব্যবহারে বিশুদ্ধ বা সালাইন পানি ব্যবহার
👉পরিচ্ছন্ন পানি নিশ্চিত করা
💊 চিকিৎসা-
🔸দ্রুত সনাক্ত ও চিকিৎসা জরুরি
🔸এন্টি-অ্যামেবিক ওষুধ (যেমন মিল্টাফোসিন) প্রয়োগ করা হয়
🔸রোগ দ্রুত বিস্তার লাভের কারণে চিকিৎসা প্রায়ই ব্যর্থ হয়, তাই প্রতিরোধই মূল চাবিকাঠি।
#MRKR