✈️ বি-২ স্পিরিট (যেটি সম্প্রতি ইরানে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার মূল ভূমিকায় ছিল) বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ও ভয়ঙ্কর স্টেলথ বোমারু যুদ্ধ বিমান। ১৯৮৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২১টি বোম্বার বানানো হয়েছে, যেগুলো শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছেই রয়েছে। বি-২ স্পিরিট ১৮ টন ওজন বহন করতে পারে। ১৯৯৯ সালে কসোভোতে ৩১ ঘণ্টার মিশন, ইরাকে ৪৯ বার হামলা করে ১৫ লাখ পাউন্ড বোমা ফেলে ইতিহাস গড়েছে বি-২।
এটি শুধু যুদ্ধবিমান না, যেন একফালি উড়ন্ত রহস্য। রাডারে ধরা পড়ে না, শত্রুপক্ষ কিছু বুঝে ওঠার আগেই ধ্বংসযজ্ঞ শেষ করে চলে যায়। কিন্তু নায়ক শুধু যুদ্ধ বিমান নয়, বরং চালক সেই দুইজন মানুষ—যারা ৪০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই বিশাল উড়ন্ত যন্ত্রটিকে চালায়। এর পাইলটদের জীবনও অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং।
💸 খরচ
প্রতিটি বি-২ স্পিরিট নির্মাণ করতে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়। আর এই বোম্বার তৈরি প্রকল্পে ব্যয় করা হয়েছে ২২ বিলিয়ন ডলার।
এই বোম্বারের প্রতি ঘণ্টা উড়ার খরচ প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০ লাখ!)। ৪০ ঘণ্টার একটি অপারেশন শেষ করতে খরচ হয় ৩২ কোটি টাকারও বেশি!
👨✈️দক্ষ টিম ওয়ার্ক
বি‑২ চালায় মাত্র দুজন পাইলট, কিন্তু পুরো মিশনের পেছনে থাকে কয়েকশো জনের একটি টিম। অপারেশন প্ল্যানার, ইঞ্জিনিয়ার, গ্রাউন্ড স্টাফ, ইন্টেলিজেন্স—সব মিলে বিশাল সমন্বয়।
বি-২ বোম্বার সম্পুর্ন fly-by-wire সিস্টেমে চলে, সবকিছুই কম্পিউটার কন্ট্রোল করে। সেজন্যই একটানা মনোযোগ দরকার। এক্ষেত্রে পুরনো বোম্বারগুলোর মতো বড় টিম নয়, দুজনেই পুরো সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, যার মানে বেশি দায়িত্ব, বেশি চাপ, বেশি ধৈর্য।
🛠️ মিশনের আগে ‘ঘাম ঝরানো’ প্রস্তুতি
বি‑২ চালানো মানে শুধু পাইলট হয়ে বসে থাকা না। একটা মিশনের আগে পাইলটদের সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ দিতে হয়। শুধু ফ্লাইট প্ল্যান না, কী খাবেন, কখন ঘুমাবেন, কী খেলে হজম কম হবে—এসব নিয়েও পড়াশোনা চলে! কারণ বিমানে আছে মাত্র একটা ছোট কেমিক্যাল টয়লেট—একটু অসাবধানী খাবার মানেই মিশনের সময় বিড়ম্বনা।
ঘুম-বিপরীত অভ্যাস তৈরি করতে হয়—যাতে একেকজন ঘুমায় আরেকজন চালায়। পেছনে ছোট একটা কট আছে, ওখানেই কিছুক্ষণ শুয়ে চোখ বন্ধ করা যায়। আবার মাঝখানে সূর্যমুখী বীজ চিবিয়ে চোখ খোলা রাখে অনেক পাইলট।
⛽ রিফুয়েলিং
বি‑২ একটানা ৬,০০০ নটিক্যাল মাইল যেতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ মিশনে মাঝপথে একাধিকবার আকাশেই উড়ন্ত অবস্থায় রিফুয়েল করতে হয়। পাইলটের চুড়ান্ত ক্লান্তি সহ্য করেও এই কাজ করতে হয় চোখ বন্ধ করে। কাজটি করার সময় পাইলট সরাসরি দেখতে পান না জ্বালানি ট্যাংকারের নোজেল, শুধু আলো আর কিছু সংকেতের উপর ভরসা করতে হয়। চাঁদহীন রাত হলে কাজটা ভয়ংকর কঠিন হয়ে যায়।
💡এই বিমান চালানো দেখতে সিনেমার দৃশ্যের মতো মনে হয়, তবে বাস্তবে পেছনে কাজ করে অসাধারণ শারীরিক ও মানসিক সহ্যশক্তি, পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রস্তুতি আর অতি ব্যয়বহুল প্রযুক্তি। বর্তমানে এই বোম্বারটি প্রতিস্থাপন করার প্রস্তুতি চলছে বি‑২১ রেইডার এর মাধ্যমে। যাতে অন্তত ১০০টি বিমান তৈরি করা হবে বি-২ পরবর্তী প্রজন্ম হিসেবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে একের পর এক নুতন যুদ্ধ বিমান তৈরি অব্যাহত রাখবে সেটি নিশ্চিত।
#B2Spirit #WarCost #GhostBomber #viralpost #MilitaryAviation #AviationEconomics #trend #MilitarySpending #StealthTechnology #BMW #GeoPolitics #MRKR #MilitaryBudget #AirForce #DefenseEconomics
No comments:
Post a Comment