Tuesday, October 17, 2023

হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ: আতঙ্ক নয় সচেতনতা দরকার

বাংলাদেশের সর্বত্র হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (HFMD) ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুরা বেশি আক্রান্ত হওয়ার কারণে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন‌। ভাইরাসজনিত এই রোগটি ইতোপূর্বে  আমাদের দেশে বেশি পরিলক্ষিত হতো না। মূলত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে যে কোন বয়সীরা এই রোগ আক্রান্ত হতে পারেন। এটি খুবই ছোঁয়াচে সংক্রামক রোগ। তবে এটি মারাত্মক জটিল ধরনের কোন রোগ নয়, জীবনহানির ঝুঁকিও নেই।

কক্সাকি নামক একধরনের ভাইরাস এই রোগের জন্য দায়ী। 

✓কিভাবে ছড়ায়

আক্রান্ত ব্যক্তির ফোস্কা থেকে নির্গত রস, হাঁচি কাশি, ব্যবহত পোশাক এবং স্পর্শ করা যে কোন জিনিস, এমনকি মলের মাধ্যমেও এটি ছড়ায়। 

জনসমাগম যে সব জায়গায় বেশি সেখান থেকেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি।

✓লক্ষণ

হালকা জ্বরের সঙ্গে গলা ব্যথা, শরীরে নানা জায়গায় পানিভর্তি ফুস্কুড়ি, মুখের ভেতরে ক্ষত, মুখ দিয়ে ক্রমাগত লালা নিঃসরণ, খাবারে অরুচি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। হাত, পা এবং জিহ্বাতে সাধারণত ফুসকুড়ি দেখা দেয় তবে উরু অথবা নিতম্বেও হতে পারে।

ত্বকের ফোস্কা বা ফুস্কুড়ি অনেকটা জলবসন্তের মতো। 'ফুট অ্যান্ড মাউথ' নামে গবাদি পশুর একটি অসুখ রয়েছে যার সঙ্গে এটির কোন সম্পর্ক নেই।

✓চিকিৎসা

ভাইরাসজনিত এই রোগের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট কোন ঔষধের ভূমিকা নেই। ৭-১০ দিনের মধ্যে সাধারণত আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। 

অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল বা অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধের কোনো ভূমিকা নেই এই রোগের চিকিৎসায়।

লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। পরিচর্যা, পর্যাপ্ত পানীয় দিতে হবে তবে ফলের জুস মুখ ও গলার ব্যাথা বৃদ্ধি করে বিধায়, বিরত থাকাই ভালো।  নরম ও কম মশলাযুক্ত খাবার দেয়া উচিত।


✓প্রতিরোধ

শিশুকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে।

আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এবং হাঁচিকাশি থেকে দূরে থাকতে হবে।

জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা রাখতে হবে। আক্রান্ত শিশুকে স্কুলে পাঠানো যাবে না। আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অবশ্যই।

Saturday, October 14, 2023

#ডেঙ্গি_টিকা


#ডেঙ্গি প্রতিরোধে জাপানের তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি টিকা 'কিউডেঙ্গা'র অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য গত ২ অক্টোবর এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়া আগেই এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, থাইল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা।

দুই ডোজের এই টিকা শুধুমাত্র ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের জন্য অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর আগে সানোফি-এ্যাভেন্টিজের তৈরি ডেঙ্গি টিকা 'ডেঙ্গাভেস্কিয়া'র অনুমোদন দিয়েছে কয়েকটি দেশ। বাংলাদেশে আইসিডিডিআরবির সহায়তায় 'টিভি০০৫' নামে একটি #ডেঙ্গি টিকার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ। এই পরীক্ষার প্রথম দুই ধাপে তারা সফলতা পেয়েছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা সফল হলে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।

বাংলাদেশে এ বছর মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য সর্বশেষ অনুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩৭ হাজার ২৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ১৫৮ জন।

ডেঙ্গি আক্রান্ত ও মৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু ও কিশোর রয়েছে। এ বছর ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা চরিত্র পরিবর্তন করায় মশক নিয়ন্ত্রণ ও মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

ভাইরাসজনিত অনেক রোগ প্রতিরোধে টিকার ব্যবহার ইতোমধ্যেই প্রমাণিত। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরনের বিরুদ্ধেই 'কিউডেঙ্গা' টিকা কার্যকরী বলে জানানো হয়েছে।


যেহেতু ডেঙ্গি আক্রান্তদের একটি বড় অংশ শিশু ও কিশোর, তাই এই টিকা ব্যবহার করে জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে ডেঙ্গি থেকে নিরাপদ রাখা সম্ভব। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে যত দ্রুত সম্ভব এই টিকা আমদানি ও বিতরণের ব্যবস্থা করা জরুরি। পাশাপাশি বাংলাদেশ পরীক্ষা চলা 'টিভি০০৫' টিকা দেশেই তৈরির বিষয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গেও আলোচনা শুরু করা দরকার।

https://bangla.thedailystar.net/health/news-523421

#dengue #denguefever #DenguePrevention

Thursday, October 5, 2023

সুখ


গবেষকরা ‘সুখ’-এর তত্ত্বতালাশ করে আসছেন মানব সভ্যতার শুরু থেকেই। প্রায় আড়াইহাজার বছর আগে হিমালয়ের এক রাজ্যের রাজপুত্র রাজ্যত্যাগ করেছিল সুখের সন্ধানে। ১৭৮৫ সালের গ্রাউন্ডওয়ার্ক অব দ্য মেটাফিজ়িক্স অব মরালস-এ দার্শনিক ইমানুয়েল কান্ট লিখেছেন, “হ্যাপিনেস ইজ় নট অ্যান আইডিয়াল অব রিজ়ন, বাট অব ইমাজিনেশন।” ২৫০ বছর আগে টমাস জেফারসনের সময় আমেরিকান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয় ‘পারসুট অব হ্যাপিনেস’। আধুনিক জমানায় 'সুখ’ মাপার ধারণাটাও অবশ্য এসেছে হিমালয়ের ছোট্ট দেশ ভুটান থেকেই। 

সুখ আর আনন্দ এক বিষয় নয় এই উপলব্ধিটি বোঝার সক্ষমতা নেই বেশিরভাগ মানুষের। অর্থবিত্তে সাময়িক আনন্দ কেনা যায় বটে তবে সুখ অধরাই থেকে যায়। অর্থের সঙ্গে সুখের উত্তরণ ঘটে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ক্ষেত্রে। আয়ের সঙ্গে ‘সুখ’ বাড়ে বটে, কিন্তু আয় যখন মানুষের দৈনন্দিন জীবনে স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করে, তখন আয় বাড়লেও #সুখ আর বাড়ে না। গল্পের কপর্দকশূন্য চালচুলোহীন ভিখারির সুখের শেষ নেই। কিন্তু অর্থবিত্ত আর ক্ষমতা থাকলেও রাজামশাইয়ের অসুখ সারে না। তাই অভাবকে নয়, অভাবের বোধকে অতিক্রম করতে পারাই সুখী হওয়ার মন্ত্র।

মহাভারতের যুধিষ্ঠিরকে যক্ষ জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ”সুখী কে? উত্তরে যুধিষ্ঠির বলেছিলেন, “যাহার ঋণ নাই, আর নিজের ঘরে থাকিয়া দিনের শেষে যে চারিটি শাক-ভাত খাইতে পায়, সেই সুখী।"

তুরস্কের বিখ্যাত কবি নাজিম হিকমত রান বন্ধু চিত্রকর আবেদিন দিনোকে অনুরোধ করেছিলেন সুখের একটি ছবি আঁকার জন্য। আবেদিন দিনো বন্ধুর অনুরোধে এই ছবিটি এঁকে দেন।

সুখের সন্ধানে মানুষের নিরন্তর সাধনা চলতেই থাকবে সেটি নিশ্চিত।

#MRKR

Sunday, October 1, 2023

কফির ইতিবৃত্ত


প্রতিবছর ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক কফি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কফি (Coffee) পৃথিবীতে সর্বাধিক বিক্রিত প্রাকৃতিক পানীয়। প্রতিদিন প্রায় ২০০ কোটি কাপ কফি পান হয় পৃথিবীতে। কফি চেরি নামক এক ধরনের ফলের বীজ, যা পোড়ানোর পর গুঁড়ো করে কফি তৈরি করা হয়। কফির বীজ বিশ্বের সত্তরটিরও বেশি দেশে উৎপাদিত হয়। ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ইথিওপিয়া, কলাম্বিয়া, ভারত কফির প্রধান উৎপাদনকারী দেশ এখন।

কফির উৎপত্তি নিয়ে একাধিক কল্পকাহিনী প্রচলিত রয়েছে যার কোনো প্রমাণ নেই। তবে কফি আবিষ্কারের সময়কাল নবম শতাব্দী বলে মেনে নেয়া হয়েছে। ১৫ শতকে ইথিওপিয়া থেকে, লোহিত সাগরের ওপারে বাণিজ্যের মাধ্যমে ইয়েমেনে কফি আনা হতো। সুফিরা তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে জাগ্রত থাকতে কফি পান করতেন। 

তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল, বর্তমান ইস্তানবুলে ১৪৭৫ সালে পৃথিবীর প্রথম কফি হাউজ চালু হয়। ষোড়শ শতকের মধ্যেই সিরিয়া, তুরস্ক, পারস্য, মিশরে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠে কফি হাউজ। ১৬২৩ খ্রিস্টাব্দে ইস্তাম্বুলে ছয় শতেরও বেশি কফি হাউজ ছিল। আরবা কয়েক শতাব্দী কফির ঘ্রাণে মুগ্ধ হওয়ার পর ইউরোপে কফি যেতে শুরু করে।

মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক ও বলকান অঞ্চল হয়ে কফি ইতালিতে যাত্রা করে। এরপর দ্রুতই ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। ডাচদের মাধ্যমে পশ্চিমে আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকায় কফির প্রচলন ঘটে। ঔপনিবেশিক ডাচরাই ইন্দোনেশিয়ায় কফি উৎপাদন শুরু করে। ১৬৭০ সালে একজন ভারতীয় কফির বীজ নিয়ে আসেন। উপমহাদেশে কফির উৎপাদন শুরু হয় তখন থেকেই।

#InternationalCoffeeDay #MRKR

History of Fish & Chips in UK!

Most people think that Fish and Chips originated in England, this is not actually true. The real history of Fish and Chips is traced back t...