প্রতিবছর ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক কফি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কফি (Coffee) পৃথিবীতে সর্বাধিক বিক্রিত প্রাকৃতিক পানীয়। প্রতিদিন প্রায় ২০০ কোটি কাপ কফি পান হয় পৃথিবীতে। কফি চেরি নামক এক ধরনের ফলের বীজ, যা পোড়ানোর পর গুঁড়ো করে কফি তৈরি করা হয়। কফির বীজ বিশ্বের সত্তরটিরও বেশি দেশে উৎপাদিত হয়। ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ইথিওপিয়া, কলাম্বিয়া, ভারত কফির প্রধান উৎপাদনকারী দেশ এখন।
কফির উৎপত্তি নিয়ে একাধিক কল্পকাহিনী প্রচলিত রয়েছে যার কোনো প্রমাণ নেই। তবে কফি আবিষ্কারের সময়কাল নবম শতাব্দী বলে মেনে নেয়া হয়েছে। ১৫ শতকে ইথিওপিয়া থেকে, লোহিত সাগরের ওপারে বাণিজ্যের মাধ্যমে ইয়েমেনে কফি আনা হতো। সুফিরা তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে জাগ্রত থাকতে কফি পান করতেন।
তুরস্কের কনস্টান্টিনোপল, বর্তমান ইস্তানবুলে ১৪৭৫ সালে পৃথিবীর প্রথম কফি হাউজ চালু হয়। ষোড়শ শতকের মধ্যেই সিরিয়া, তুরস্ক, পারস্য, মিশরে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠে কফি হাউজ। ১৬২৩ খ্রিস্টাব্দে ইস্তাম্বুলে ছয় শতেরও বেশি কফি হাউজ ছিল। আরবা কয়েক শতাব্দী কফির ঘ্রাণে মুগ্ধ হওয়ার পর ইউরোপে কফি যেতে শুরু করে।
মধ্যপ্রাচ্য, তুরস্ক ও বলকান অঞ্চল হয়ে কফি ইতালিতে যাত্রা করে। এরপর দ্রুতই ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে এর জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। ডাচদের মাধ্যমে পশ্চিমে আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকায় কফির প্রচলন ঘটে। ঔপনিবেশিক ডাচরাই ইন্দোনেশিয়ায় কফি উৎপাদন শুরু করে। ১৬৭০ সালে একজন ভারতীয় কফির বীজ নিয়ে আসেন। উপমহাদেশে কফির উৎপাদন শুরু হয় তখন থেকেই।
#InternationalCoffeeDay #MRKR
No comments:
Post a Comment