Saturday, April 13, 2024

মঙ্গল শোভাযাত্রা

বাংলা ১৩৯৩ সন, ১৯৮৫ খৃষ্টাব্দে যশোরের চারুপিঠ প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করে।

সেই শোভাযাত্রায় ছিল যশোরের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিকসহ সাধারন মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। বাংলাদেশের প্রথম এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় মূল থিম পরিকল্পনা করেছিলেন বিশ্ববরেণ্য শিল্পী এস এম সুলতান এবং বিশিষ্ট কবি আজিজুল হক। তখন স্বৈরশাসন এবং আগ্রাসী সম্রাজ্যবাদী সংস্কৃতির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিলো একটা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ডাক।

১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট যশোরের চারুপিঠের আদলে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু করে। সেই সময় স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলনের তুঙ্গে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করেছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। তবে প্রথমে চারুকলা আয়োজিত শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল


বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা
। পরে নাম দেওয়া হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায় নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তার নতুন এক মাত্রা লাভ করে।

এই শোভাযাত্রা বাঙালির আদি সংস্কৃতির অংশ না হলেও এখন বাংলাদেশের অনেক স্থানে নববর্ষ উদযাপনের অংশে পরিণত হয়েছে। ২০১৬ সালে সংস্কৃতির প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।

No comments:

রানি ভিক্টোরিয়া ও তাঁর মুনশী আব্দুল করিম

বিলেতের রাজ-পরিবারের ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী এবং সুদীর্ঘ ৬৩ বছর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন রানি ভিক্টোরিয়া । ভিক্টোরিয়ার সুবর্ণ জয়ন্তীর উপহা...