গ্রীষ্মকালে ঘামাচি আক্রান্ত হয়ে থাকেন অনেকেই। বিশেষ করে শিশুদের ঘামাচি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। অপেক্ষাকৃত শীতল আবহাওয়ার স্থান থেকে গরম আবহাওয়ার কোন স্থানে ভ্রমণ বা স্থানান্তরিত হলেও ঘামাচি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ঘামাচি কি?
ত্বকে ক্ষুদ্র দানা আকৃতির লালচে ফুস্কুড়ির মতো ঘামাচির আবির্ভাব হয়। সাধারণত শরীরে ঘামাচির ক্ষতিকর কোন প্রভাব নেই। তবে অস্বস্তিকর চুলকানি অনুভূত হয়।
কি কারণে হয়?
গরমে ত্বকে থাকা ধর্মগ্রন্থী অতিরিক্ত ঘাম তৈরি করে। গরমের কারণে সৃষ্ট প্রদাহে ধর্মগ্রন্থীর নালী বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ঘামাচির সৃষ্টি হয়।
কোন স্থান আক্রান্ত হয়?
বগল, কুঁচকি, পিঠ, কোমড়, স্তনের নিচে, কনুই ও হাঁটুর ভাঁজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শিশুদের ক্ষেত্রে মুখ আক্রান্ত হতে পারে।
চিকিৎসা
ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঘাম উৎপাদন বন্ধ হলে সাধারণত ঘামাচি আপনাআপনিই চলে যায়। তবে সাময়িক স্বস্তির জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠান্ডা পানিতে গোসল করলেও স্বস্তিদায়ক হয়। প্রদাহ বেশি হলে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে, সেক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
প্রতিরোধ
√ঠান্ডা, বাতাসের প্রবাহ যুক্ত পরিবেশে ঘাম তৈরি হয় না, ঘামাচি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
√ঢিলেঢালা, হালকা, প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি পোশাক পরিধান করতে হবে।
মনে রাখবেন ঘন ঘন ঘামাচি আক্রান্ত হলে গরমে হিটস্ট্রোক আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। হিটস্ট্রোক জীবনহানির কারণ হতে পারে।
No comments:
Post a Comment