Sunday, December 1, 2024

এইডস'কে জানুন

এইডস ভাইরাস জনিত যৌন বাহিত একটি রোগ। ১৯৮১ সালে প্রথম সনাক্তের পর এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ৯ কোটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৫ কোটি মৃত্যুবরণ করেছেন এবং কমবেশি ৪ কোটি মানুষ এই ভাইরাস বহন করে জীবনযাপন করছেন।

 এইডস কি

হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) আক্রান্ত মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেলে এইডস্ রোগ হয়। 

কিভাবে ছড়ায় 

এইচআইভি যৌনসম্পর্ক, রক্ত সঞ্চালন, আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ইনজেকশন সিরিঞ্জের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক পরিচ্ছদ বা তৈজসপত্রের মাধ্যমে এইডস ছড়ায় না। 


কি ঘটে

এইচআইভি সংক্রমণ হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। আক্রান্ত অনেকের প্রাথমিকভাবে কোন‌ লক্ষন দেখা যায় যায় না। কয়েকটি ধাপে এইচআইভি সংক্রমিত মানুষ এইডস রোগীতে পরিনত হন।

প্রথম ধাপে কয়েক সপ্তাহ হালকা সর্দি, জ্বর ফ্লুর মতো উপসর্গ থাকে।

দ্বিতীয় ধাপ একমাস থেকে কয়েক বছর সময় নিতে পারে। এই পর্যায়ে আক্রান্ত ব্যক্তির কোন লক্ষণ থাকে না, সুস্থ মানুষের মতো জীবনযাপন চলতে থাকে।

তৃতীয় পর্যায়ে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে এইডস রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে।

লক্ষন কি 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হওয়ার কারণে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি যে কোন ধরনের সংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে থাকেন। 

ফুসফুসের সংক্রমণের ফলে কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট, পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণের কারণে ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, খাবার অরুচি, বমি এবং গিলতে অসুবিধা হয়। অন্যান্য লক্ষনের মধ্যে ওজন কমতে থাকা, রাতের ঘাম, ফুসকুড়ি এবং গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।

চিকিৎসা

এইডস ভাইরাস জনিত একটি প্রাণঘাতী রোগ, যার টিকা নেই এবং এই রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা যায় না। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তি দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।

রোগের লক্ষন ও জটিলতা অনুযায়ী মুখে খাবার ঔষধ বা ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে।

অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) এইচআইভির জন্য আদর্শ চিকিৎসা। এটির মাধ্যমে ভাইরাসের শক্তি কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়, যা এইডসের অগ্রগতি রোধ করে।

এইডসের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি এবং সারাজীবন চালিয়ে যেতে হয়।

প্রতিরোধ

•যৌন সঙ্গী নির্বাচনে সতর্ক তথ্য থাকুন। বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করুন।

• যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করুন।

মনে রাখবেন এইডস প্রাণঘাতী রোগ হলেও সময়মতো সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়। আক্রান্ত হলে চিকিৎসা অব্যাহত রাখুন এবং নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

#AIDS #HIV #Disease #STD #Virus

এইডস'কে জানুন

এইডস ভাইরাস জনিত যৌন বাহিত একটি রোগ। ১৯৮১ সালে প্রথম সনাক্তের পর এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ৯ কোটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের ম...