বয়স বাড়ার সাথে তাল মিলিয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমতে থাকে, যার ফলে বলিরেখা বা ভাঁজের আবির্ভাব ঘটতে থাকে। ত্বকে অবস্থিত সূক্ষ্ম মাংসপেশির মাধ্যমে অভিব্যক্তি প্রকাশ এবং দৃশ্যমান ভাঁজ নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। অভিব্যক্তি প্রকাশ করার সময় সুক্ষ্ম মাংসপেশী স্নায়ুর নির্দেশনায় নানা মাত্রায় দৃঢ়তা লাভ করে থাকে। এই মাংসপেশি বয়োঃবৃদ্ধির সাথে ক্রমশ দৃঢ় হতে থাকে। একসময় শক্ত মাংসপেশির কারনে ত্বকে ভাঁজ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে, যা বলিরেখা নামে পরিচিত। সৌন্দর্য সচেতন মানুষ এই বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। আজকাল স্থায়ী না হলেও সাময়িকভাবে বলিরেখা দূর করার নানা ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে দ্রুত এবং সহজভাবে বলিরেখা দূর করা যায় বটিউলিনিয়াম টক্সিন ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে। এই পদ্ধতি বর্তমানে বলিরেখা দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি।
বোটক্স কি?
বোটুইলিনিয়াম নামে একধরনের স্নায়ু বিষ পরিশোধিত করে বোটক্স তৈরি করা হয়ে থাকে। এটি ত্বকের চিকিৎসা ছাড়াও আরো অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।
কিভাবে কাজ করে?
নির্ধারিত মাংসপেশির গোঁড়ায় প্রয়োজনীয় মাত্রায় বোটক্স ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। ইনজেকশনের স্থান এবং মাত্রা নির্ধারণে চিকিৎসকের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান এবং দক্ষতার প্রয়োজন হয়। বোটক্স নির্ধারিত মাংসপেশিকে অসাড় এবং নরম করে দেয়। ইনজেকশন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বোটক্স কাজ করা শুরু করে, এবং ৫-১০ দিনের মধ্যে ফলাফল পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। একবার ইনজেকশন দেয়ার পর সাধারনত ৩-৬ মাস কার্যকারিতা থাকে। তারপর আবার চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন হয়। এই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে থাকার প্রয়োজনীয়তা নেই।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
সাধারণত ইঞ্জেক্সনের কারণে সাময়িক জ্বালা, পোড়া এবং অসাড়তা অনুভূত হয়। তবে ইনজেকশনের স্থান নির্ধারণে ভুলের কারণে অভিব্যক্তি বা চেহারার বিকৃতি হতে পারে।
খরচ
বোটক্স ইউনিট হিসেবে প্রদান করা হয়ে থাকে। চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ইউনিট এবং চিকিৎসকের ফি যোগ করে খরচ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
No comments:
Post a Comment