বাংলাদেশের সঙ্গে বার্মার সীমান্তবর্তী রাজ্য আরাকান বা রাখাইন। বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী এই রাজ্যের দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি নামে একটি স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
প্রায় ৩৭ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের আরাকানের জনসংখ্যা কমবেশি ৩৫ লক্ষ। জনসংখ্যার ৭৭% বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং ২২% মুসলমান, যারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নামে পরিচিত। এই রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ, ভারত ও চিনের স্বার্থ সরাসরি সংশ্লিষ্ট।
•রাখাইনে গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দরের বড় বড় প্রকল্প গড়ে তুলছে চীন। চকপিউ এলাকায় একটি সমুদ্রবন্দর গড়ে বিশেষ এক অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করেছে চিন। এই বন্দর থেকে দুইটি পাইপলাইন নিয়ে যাওয়া হয়েছে চীন ভূখণ্ডে। একটা গ্যাসলাইন অপরটি তেলের। মধ্যপ্রাচ্য থেকে যে জ্বালানি চিন আমদানি করবে তা এই পথে কুনমিং পর্যন্ত নিয়ে যাবার ব্যবস্থা হয়েছে।
•রাখাইন প্রদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের অর্থায়নে কালাদান মাল্টিমোডাল প্রকল্পের কাজ চলমান। চট্টগ্রামকে বাইপাস করে কলকাতা থেকে সিতওয়ে অর্থাৎ আগের আকিয়াব বন্দর পর্যন্ত নৌপথকে জাহাজ চলাচলের উপযুক্ত করেছে ভারত। কলকাতা থেকে প্রথমে সমুদ্রপথে রাখাইনের সিতওয়ে, তারপর কালাদান নদীপথে পালেতোয়া, সেখান থেকে সড়কপথে ভারতের মিজোরাম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চল, কালাদান মাল্টিমোডাল প্রজেক্টের রুট। যা এখন আরাকান আর্মির দখলে।
•রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, জল ও স্থলে সীমান্ত থাকার কারণে আরাকান বাংলাদেশের কাছ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। আরাকান আর্মি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দিয়ে গঠিত। আবার রোহিঙ্গাদের সংগঠন রোহিঙ্গা আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের সঙ্গে আরাকান আর্মির বিরোধ রয়েছে। বর্তমানে কমবেশি ১৫ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে রয়েছে। আরাকান আর্মি স্বাধীনতা ঘোষণা করলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের জন্য নুতন এই দেশটির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার বিকল্প নেই বাংলাদেশের।
#trend #Bangladesh #india #China #Myanmar
No comments:
Post a Comment