শব্দ দূষণ হল অনাকাঙ্ক্ষিত বা অতিরিক্ত শব্দ যা মানুষের দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে এবং জনস্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এটি আধুনিক নগরজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সমস্যা।
জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) 'ফ্রন্টিয়ারস রিপোর্ট-২০২২' অনুযায়ী, শব্দ দূষণের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা অন্যতম। শব্দের গ্রহণযোগ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয় ডেসিবেল (dB) এককে। মানুষের স্বাভাবিক শ্রবণশক্তির জন্য নির্দিষ্ট মাত্রার চেয়ে বেশি শব্দ হলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। নীরব এলাকা হিসেবে ঘোষিত ঢাকার সচিবালয় এলাকায় শব্দের মাত্রা ৯৪ থেকে ১০০ ডেসিবেল পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে, যা দিনের বেলার আদর্শ মানের প্রায় দ্বিগুণ।
যানবাহনের শব্দ (গাড়ি, বাস, ট্রেন, বিমান), কলকারখানার যন্ত্রপাতি, নির্মাণ কাজের শব্দ, উচ্চস্বরে বাজানো সঙ্গীত বা মাইক, বাজার ও জনসমাগমের স্থান শব্দ দূষণের উৎস। শব্দ দূষণের ফলে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।
ক্রমাগত শব্দ দূষণের ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস, হৃদরোগ, মাথাব্যথা, ঘুমের ব্যাঘাত, ক্লান্তি ও দুর্বলতা দেখা দেয়। ফলে উদ্বেগ, অবসাদ, অস্থিরতা, মেজাজ খিটখিটে, স্মৃতিশক্তি হ্রাস ও একাগ্রতার অভাব দেখা দিতে পারে। পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের অবনতি, শিশুদের মানসিক বিকাশে বাধা ও কাজের দক্ষতা হ্রাসের কারণ হতে পারে শব্দ দূষণ।
ব্যক্তি, সমাজ ও সরকারের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় শব্দ দূষণ প্রতিরোধ করার বিকল্প নেই। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে শব্দ দূষণের নেতিবাচক প্রভাব থেকে সমাজকে রক্ষা করার উদ্যোগ নেয়া জরুরি।
#trend #pollution #health #noise #social #Dhaka