Saturday, September 28, 2024

চৌর্য পুঁজিবাদ


যেসব দেশে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি দুর্বল, সুশাসন ও ন্যায় বিচার অনুপস্থিত সেখানে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা সম্পুর্ন ভাবে বিকশিত হওয়ার আগের ধাপে ক্রনি ক্যাপিটালিজম বা চৌর্য পুঁজিবাদ গড়ে উঠে। সরকারের সঙ্গে যোগসাজশে এই ব্যবস্থায় দেশের কিছু পুঁজিপতি চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ পুঁজি সংগ্রহ করে থাকে।

তারা চুরি করা অর্থের একটি অংশ শিল্প কারখানা তৈরিতে বিনিয়োগ করেন। ফলে দেশের মানুষের বড় একটি অংশের কর্মসংস্থানও ঘটে। বাংলাদেশে পতিত ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের সময় বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, সামিট, এস আলম, ইউনাইটেড, ওরিয়ন ইত্যাদি গোষ্ঠী এই চৌর্য পুঁজিপতিদের উদাহরণ। এই চৌর্য পুঁজিপতিরা তাদের চুরি করা অর্থ শিল্পে বিনিয়োগ করে বিপুল স্থাবর সম্পত্তির মালিকানা অর্জন করেন। চুরি করা অর্থের বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার করলেও দেশে থাকা স্থাবর সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পরবর্তী পর্যায়ে তারা নিজেদের স্বার্থে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য উদ্যোগী হন। এই পর্যায়ে তাদের চুরির সুযোগ সংকুচিত হয় বটে, তবে ইতিমধ্যেই অর্জিত বিপুল ধন সম্পদের সুরক্ষা করা নিশ্চিত হয়। থাইল্যান্ড বা দক্ষিণ কোরিয়া এই পুঁজিবাদী রূপান্তরের উদাহরণ।

বাংলাদেশের চৌর্য পুঁজিপতিরা দেশে থাকা তাদের স্থাবর সম্পত্তির সুরক্ষা নিয়ে মোটেও চিন্তিত ছিলেন বলে মনে হয় না। স্বৈরাচারী ফ্যাসিষ্ট মাফিয়া  সরকার কাঠামোতে নির্বাহী বিভাগ নিয়ন্ত্রণে তাদের অসীম ক্ষমতা এবং দাম্ভিকতায় তারা নিজেদের ফেরাউন মনে করা শুরু করেছিলেন। চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে নিজেদের অর্জিত সম্পদের সুরক্ষায় দেশে মোটামুটি ধরনের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার বিষয়টি তাদের চিন্তাভাবনায় ছিল না। যার ফলে যে স্বৈরাচারী ফ্যাসিষ্ট মাফিয়া সরকারের যোগসাজশে তারা অর্থ সম্পদ অর্জন করেছিলেন সেটি পতনের সঙ্গে সঙ্গেই চৌর্য পুঁজিপতি অনেকের স্থাবর সম্পত্তিতে হামলা বা অগ্নিসংযোগের ঘটনা হয়েছে।

গণ অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এসব চৌর্যপুজিদের উচিত দেশে সুশাসন ও ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গঠনে সহায়তা করা। তাতে তাদের চুরির সুযোগ হয়তো কমে যাবে তবে ইতিমধ্যে চৌর্যবৃত্তির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে অবশ্যই। একইসঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রূপান্তরের প্রক্রিয়াও সহজভাবে সম্পন্ন হবে।

#BMW #Photography #Trend #TrendingPost #CronyCapitalism

Thursday, September 26, 2024

Exfoliation



Do you experience dull, dry or rough skin? Do you get congestion or breakouts? Exfoliation can help you achieve healthy, smooth and clear skin.

Dermatologists recommend regular exfoliation to support healthy skin function as an effective way to tackle a variety of skin concerns. 

Human skin typically goes through a 28-day cycle, from new cells being born at the bottom of the epidermis to shedding off at the surface. This process called desquamation, gets slower with aging. Skin gets more dull, drier or an increase in texture over the years.

Exfoliation can help to speed up this decline by increasing cell renewal to give you brighter and smoother skin. It also sloughs off surface, dull dead skin cells, this delivers a smoother surface. Exfoliation can make aging skin appear instantly brighter, as it is increasingly smooth and can reflect the light more effectively. Exfoliation helps to putting the best face forward. 

Traditionally exfoliants were commonly physical. Physical exfoliants are granular scrubs that simply buff off dead skin cells from the surface of the skin.

Chemical exfoliants are also known as Hydroxy Acids. Salicylic Acid or Lactic Acid, two popular examples of chemical exfoliants to effectively resurface and smooth the skin. They are available in different brands and formulations. Exfoliation boosts cell renewal, deliver fresh, plump skin cells.

It is recommended to consult with #dermatologist before selecting any chemical exfoliants.

#Skin #beauty #Aesthetic #BMW #healthylifestyle

Tuesday, September 24, 2024

সিনসিনাটি বেঙ্গল

আমেরিকায় সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে আমেরিকান 🏈। রাগবি 🏉 আর ফুটবলের ⚽ সমন্বয়ে এই খেলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছিল ১৮৬৯ সালে। আমেরিকান ফুটবল লীগের একটি জনপ্রিয় দল হচ্ছে Cincinnati Bengals, বাংলাদেশের নাম জড়িয়ে রয়েছে এই দলটির সঙ্গে।

ফ্লয়েড-ওয়েলস নামে একটি কোম্পানি ১৮৭০ সাল থেকে গ্যাস ষ্টোভ তৈরি করতো। এটির শক্তিমত্তা প্রচারে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের 🐅 ছবি হিসেবে ব্যবহার করা হতো এবং বেঙ্গল নাম দেয়া হয়েছিল।

আমেরিকান ফুটবলে সিনসিনাটি দলটি ১৯৩৭ সালে যাত্রা শুরু করে। এটির প্রতিষ্ঠাতা #হল_পেনিংটন দলটির জন্য যুৎসই একটি নাম খুঁজছিলেন। একদিন রান্নাঘরে কফি খাওয়ার সময় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের লোগো সম্বলিত তার মায়ের গ্যাস ষ্টোভটির দিকে নজর পড়ে যায়। মুহুর্তেই তিনি ক্ষিপ্রতার প্রতীক এই বাঘের নামটি সিনসিনাটির সঙ্গে জুড়ে দিয়ে দলের নামকরণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

#BMW #AmericanFootball #RoyalBengalTiger #Photography #Trends

 

Wednesday, August 28, 2024

বন্যায় ত্বকের রোগ

 বন্যা চলাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সয়য় অন্যান্য রোগের পাশাপাশি ত্বকের নানা সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন বন্যা কবলিত এলাকায় বসবাস করা মানুষ। বন্যা পরবর্তী সময়ে সাধারণত সংক্রামক নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি হয়। তবে ত্বকেও নানা রোগ দেখা দিতে পারে। শিশুর ত্বক বেশি সংবেদনশীল হওয়ার কারনে তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে যে কোন বয়সীরাই আক্রান্ত হতে পারেন। বন্যায় ত্বকের যে সব সমস্যা বেশি দেখা দেয় সেগুলো হলো,

√ ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ হয়ে ছত্রাক জনিত ত্বকের রোগ যেমন দাদ হতে পারে।

বন্যার নোংরা দুষিত পানিতে নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ও ব্যাকটেরিয়া ভেসে বেড়ায়, সেজন্য 

√ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে খোসপাঁচড়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে বন্যার সময়।  

✓ রাসায়নিক পদার্থে অ্যালার্জির কারণে চুলকানি বা লালচে ভাব হতে পারে।

প্রতিরোধ 

বন্যার পানির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে পারলে এসব সমস্যা হবে না। তবে বাস্তবতা হলো বন্যায় পানির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা অসম্ভব। বন্যার পানির সংস্পর্শ থেকে সরে যাওয়ার পর সাবান বা পরিস্কার পানিতে ত্বক পরিষ্কার করা উচিত। ত্বক যাতে স্যাঁতস্যাঁতে না থাকে সেজন্য শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে। ত্বকের ভাঁজ যেমন কুঁচকি, বগল, হাটূ এসব স্থানে নজর বেশি দিতে হবে। ছত্রাক, খোসপচরা বা চুলকানি দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।



Tuesday, July 30, 2024

জেনারেশন জি (Generation Z)


বাংলাদেশে স্বৈরাচারী ফ্যাসিষ্ট মাফিয়া সরকার বিরোধী জনযুদ্ধের সূচনা করেছে জেনারেশন জি (#GenZ) প্রজন্ম, যারা ১৯৯৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছে। এই প্রজন্মের চারিত্রিক গুণাবলী সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:


√প্রযুক্তিগত অভ্যাস 

 **ডিজিটাল নেটিভস**: তারা ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, এবং সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে বেড়ে উঠেছে। ফলে তারা প্রযুক্তি-নির্ভর।

 **সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার**: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট, এবং টিকটকের মাধ্যমে যোগাযোগ করে। 


√মূল্যবোধ ও সংস্কৃতি

 **বৈচিত্র্য গ্রহণ**: জাতিগত এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করে। তাদের চিন্তাভাবনা ভৌগলিক সীমারেখা দিয়ে সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্ব নাগরিক এই প্রজন্ম সাধারণত সত্য ও সাম্যের পক্ষে।

 **পরিবেশ সচেতন**: জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসইতার দিকে মনোযোগ দেয় এবং পরিবেশ রক্ষায় আগ্রহী।


√শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে প্রভাব

**টেক-সাভি**: অনলাইন শিক্ষা ও কোর্সের প্রতি আগ্রহী এবং নতুন টেকনোলজি দ্রুত শেখে।

 **উদ্ভাবনী**: নতুন আইডিয়া ও প্রযুক্তিকে সহজেই গ্রহণ করে এবং সৃজনশীল সমাধানে দক্ষ।


√মানসিক স্বাস্থ্য

 **সংবেদনশীল**: মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়গুলির প্রতি সংবেদনশীল এবং এই বিষয়ে আলোচনা করতে স্বস্তি বোধ করে।

 **চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে বেড়ে উঠা**: মহামারী, অর্থনৈতিক মন্দা প্রভৃতি চ্যালেঞ্জের মধ্যে তাদের বেড়ে উঠা, যা মানসিক স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিত্বে প্রভাব ফেলেছে।


√যোগাযোগের ধরন

 **সরাসরি এবং দ্রুত যোগাযোগ**: সোশ্যাল মিডিয়া ও মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত এবং সরাসরি যোগাযোগ পছন্দ করে।

-**ব্যক্তিগত গোপনীয়তা**: প্রাইভেসি সম্পর্কে সচেতন এবং তাদের তথ্য সুরক্ষা বিষয়ে যত্নবান।


জেনারেশন জি'র বৈশিষ্ট্যগুলো বোঝার সক্ষমতা না থাকলে তাদের মনযোগ আকর্ষণ করা সম্ভব নয়।

(সংগৃহিত ও সম্পাদিত)

Wednesday, June 26, 2024

গরমে ঘামাচি


গ্রীষ্মকালে ঘামাচি আক্রান্ত হয়ে থাকেন অনেকেই। বিশেষ করে শিশুদের ঘামাচি আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। অপেক্ষাকৃত শীতল আবহাওয়ার স্থান থেকে গরম আবহাওয়ার কোন স্থানে ভ্রমণ বা স্থানান্তরিত হলেও ঘামাচি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ঘামাচি কি?

ত্বকে ক্ষুদ্র দানা আকৃতির লালচে ফুস্কুড়ির মতো ঘামাচির আবির্ভাব হয়। সাধারণত শরীরে ঘামাচির ক্ষতিকর কোন প্রভাব নেই। তবে অস্বস্তিকর চুলকানি অনুভূত হয়।

কি কারণে হয়?

গরমে ত্বকে থাকা ধর্মগ্রন্থী অতিরিক্ত ঘাম তৈরি করে। গরমের কারণে সৃষ্ট প্রদাহে ধর্মগ্রন্থীর নালী বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে ঘামাচির সৃষ্টি হয়।

কোন স্থান আক্রান্ত হয়?

বগল, কুঁচকি, পিঠ, কোমড়, স্তনের নিচে, কনুই ও হাঁটুর ভাঁজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। শিশুদের ক্ষেত্রে মুখ আক্রান্ত হতে পারে।

চিকিৎসা 

ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঘাম উৎপাদন বন্ধ হলে সাধারণত ঘামাচি আপনাআপনিই চলে যায়। তবে সাময়িক স্বস্তির জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে লোশন বা ক্রিম ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠান্ডা পানিতে গোসল করলেও স্বস্তিদায়ক হয়। প্রদাহ বেশি হলে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে, সেক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।

প্রতিরোধ 

√ঠান্ডা, বাতাসের প্রবাহ যুক্ত পরিবেশে ঘাম তৈরি হয় না, ঘামাচি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

√ঢিলেঢালা, হালকা, প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি পোশাক পরিধান করতে হবে।‌

মনে রাখবেন ঘন ঘন ঘামাচি আক্রান্ত হলে গরমে হিটস্ট্রোক আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। হিটস্ট্রোক জীবনহানির কারণ হতে পারে।

Sunday, June 23, 2024

একজন শামসুল হক: বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের ট্র্যাজিক হিরো

১৯৩৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় করটিয়া সা’দত কলেজের ভিপি নির্বাচিত হন তিনি। তাঁর সময়কালে অন্যান্য বাঙালি মুসলিম যুবকের মতো তিনিও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে মুসলিম লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৪৫ সালে আবুল হাশিম এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ঢাকায় মুসলিম লীগের আঞ্চলিক অফিস তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেন তাঁকে। তাঁর নেতৃত্বে পুর্ব বাংলায় মুসলিম লীগ সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠনে পরিণত হয় এবং ১৯৪৬ সালে অবিভক্ত বাংলার নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর মুসলিম লীগের রাজনীতি পশ্চাদমুখী যাত্রা শুরু করলে সমমনা প্রগতিশীল তরুণদের নিয়ে তিনি ১৯৪৭ সালের শেষ দিকে গণতান্ত্রিক যুবলীগ নামক সংগঠন গড়ে তোলেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে গড়ে আন্দোলনে তিনি সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দেন।১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ধর্মঘটে পিকেটিং করার সময় গ্রেফতার হন। পূর্ববঙ্গের রাজনীতির ইতিহাসে বিশেষভাবে স্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত টাঙ্গাইলের উপনির্বাচনে বিজয়ের কারণে। এই নির্বাচনে তিনি মুসলিম লীগ নেতা করটিয়ার জমিদার খুররম খান পন্নীর বিরুদ্ধে বিপুল ভোটে জয়ী হন। বলা হয় পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার দুই বছরের মাথায় মুসলিম লীগ সরকারের অপশাসনের জবাব দিয়েছিল টাঙ্গাইলের জনগণ।


ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদানের কারণে তিনি ১৯৫২ সালের ১৯ মার্চ গ্রেফতার হন। কারাজীবন দুর্বিষহ  নির্যাতনে তার শরীর ও মন উভয়ই খারাপ হতে থাকে এবং তিনি মানসিক রোগীতে পরিণত হন। ১৯৫৩ সালের ১৩ মার্চ তিনি মুক্ত হন। কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে তিনি বাসায় ফিরে স্ত্রী ও সন্তানদের দেখতে না পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন উচ্চ শিক্ষার জন্য সন্তানদের শ্বশুরবাড়িতে রেখে তাঁর স্ত্রী নিউজিল্যান্ড চলে গিয়েছেন। শ্বশুরবাড়িতে তিনি নিগৃহীত হয়ে মানসিকভাবে আরো ভেঙে পড়েন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণে অসম্মতি জানিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্পাদক হিসেবে প্রস্তাব করেন এবং তাঁকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয়।

১৯৫৪ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগদানের এক সপ্তাহ পর তার উন্নত চিকিৎসার জন্যে করাচি মানসিক হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। একসময় তাঁর মানসিক অসুস্থতা নিরাময় যোগ্য নয় বলে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হয়। মূলত ভাষা আন্দোলন ও সরকার বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে নিষ্ঠুর নির্যাতন ও সঠিক সময়ে চিকিৎসার অভাবে তিনি কারামুক্তির পর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারেন নাই। আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে ছিটকে গিয়ে তিনি আধ্যাত্মিকতায় ঝুঁকে পড়েন এবং খেলাফত পার্টি নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন বলে জানা যায়।

১৯৫৭ সালে তাঁর স্ত্রী দেশে ফিরে অসুস্থ স্বামীকে দেখতে যান এবং তাঁর রোগ অনিরাময়যোগ্য যোগ্য জানতে পেরে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৫৯ সালে আফিয়া খাতুন পিএইচডি করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পাঞ্জাবের বাসিন্দা আনোয়ার দিলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেখানে, যাকে ১৯৬০ সালে বিয়ে করে অধ্যাপনা ও গবেষণা করে জীবন কাটান।

রাজনৈতিক ও ব্যক্তিজীবন বিপর্যয়ের শেষ সীমায় পৌঁছে তিনি ছন্নছাড়া, দুর্বিষহ, নিঃসঙ্গ জীবনে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে পথে পথে ঘুরতে থাকেন।  একসময় লোকচক্ষুর  অন্তরালে চলে যান তিনি। রোগাক্রান্ত শরীরে বিনা চিকিৎসা ও সেবাযত্নহীন অবস্থায় তিনি ১৯৬৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।

এভাবেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের নির্মাতা শামসুল হকের জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

দুর্গাপূজার ইতিহাস

বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা । যে দেবীকে উৎসর্গ করে এই উৎসব তার নাম দুর্গা । দেবী দূর্গার উৎপত্তি হয় বেদ পরবর্...