Friday, November 1, 2024

মিষ্টি কুমড়ার উপকারিতা


 মিষ্টি কুমড়া বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় একটি সবজি। এটির রয়েছে নানা রকম উপকারিতা এবং পুষ্টিকর গুনাগুণ, যার জন্য প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানের 'পাওয়ার হাউস' বলা হয়ে থাকে। বিটাক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাসের মতো খনিজ উপাদানেও সমৃদ্ধ এই সবজি। তাই মিষ্টি কুমড়া মানবদেহে নানা উপকারী ভূমিকা পালন করে।

ত্বক

মিষ্টি কুমড়ায় থাকে ভিটামিন এ, সি এবং ই- যা ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। ভিটামিন সি কোলাজেন বাড়ায়,  আর ভিটামিন ই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে ‘ফ্রি র‌্যাডিকেল’ থেকে সৃষ্টি ক্ষতি পূরণ করতে ভূমিকা পালন করে। কুমড়ায় থাকা বেটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ যে পরিনত হয়, যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে প্রতিরোধ করে।

চোখ

ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী। মিষ্টি কুমড়ায় লুটেইন এবং জিয়াক্সানথিন থাকে। বয়সের কারণে হওয়া দৃষ্টিশক্তি কমার হাত থেকে বাঁচাতে পারে এই দুইটি উপাদান।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা 

উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন এ এবং সি থাকার কারণে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে মিষ্টি কুমড়া।অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ মিষ্টি কুমড়া ক্যানসার প্রতিরোধেঝ সাহায্য করে।

হৃৎপিন্ড ও রক্তচাপ 

পটাসিয়াম, ভিটামিন সি, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস হিসেবে কুমড়া হৃৎপিন্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে পটাসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে পারে। ফলে নানা ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

 পটাসিয়ামের উৎস

মিষ্টি কুমড়ায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। স্বাভাবিক রক্তচাপ, হৃৎস্পন্দন ও মাংসপেশীর কার্যকারিতার জন্য পটাশিয়াম অপরিহার্য। এছাড়াও পটাসিয়ামের অভাবে কিডনিতে পাথর হওয়া ও হাড় ভঙ্গুর রোগের সম্ভাবনা বাড়ে।

পরিপাকতন্ত্র

মিষ্টি কুমড়ায় থাকা আঁশ পাকস্থলীর জন্য উপকারী। কুমড়া প্রোবায়োটিকসের উৎস, যা পরিপাকতন্ত্রের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়ার জন্য দরকারি। আঁশ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। রক্তে কোলেস্টেরল ও কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা ঠিক রাখতেও ভূমিকা রাখে আঁশ।

মিষ্টি কুমড়ার আয়রন রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

মিষ্টি কুমড়ার বীজেও উদ্ভিজ্জ প্রোটিন, আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। এছাড়াও জিঙ্ক থাকে, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

No comments:

কলকাতার সংস্কৃতিতে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন যে অবাঙালি নবাব

সময়টা উনিশ শতক। ব্রিটিশ শাসন পুরোপুরি কায়েম হয়ে গেলেও কিছু কিছু দেশীয় রাজ্য তখনও স্বমহিমায় বিরাজ করছে। তেমনই এক রাজ্য অযোধ্যা। বসন্ত এসেছে, ...