বঙ্গদেশের জংলি বিড়াল ও মিশরের গৃহপালিত বিড়ালের মধ্যে প্রজনন ঘটিয়ে নুতন জাতের একটি বিড়াল প্রজাতির উদ্ভাবন করা হয়, যা বর্তমানে বেঙ্গল ক্যাট নামে পরিচিত। এটি বিশ্বে গৃহপালিত বিড়ালের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি জাত।
১৮৮৯ সাল থেকে বেঙ্গল ক্যাটের ইতিহাস পাওয়া গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের জিন মিল ১৯৬৩ সালে প্রথম এই ক্রস জাতের বিড়ালের উদ্ভাবন করেন। তাঁকেই বেঙ্গল ক্যাটের জননী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১৯৮০ সালে তিনি সফলভাবে বেঙ্গল ক্যাট জাতটি পুর্ণাঙ্গরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ১৯৮৬ সালে এটিকে নুতন জাতের বিড়াল হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়।
চিতা বা জাগুয়ারের মতো ডোরাকাটা চামড়ার একমাত্র বিড়াল বেঙ্গল ক্যাট নানা রঙের হয়ে থাকে। গায়ের লোম সাধারণত ছোট হয়ে থাকে। তবে পার্সিয়ান ক্যাটের সঙ্গে প্রজননের ফলে লম্বা লোমের বেঙ্গল ক্যাটও দেখা যায়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বেঙ্গল ক্যাট পৃথিবীর বহু দেশে গৃহপালিত পশু হিসেবে নিষিদ্ধ ছিল। চতুর্থ প্রজন্মের পর থেকে বেঙ্গল ক্যাট পৃথিবীর সকল দেশেই আইনগত ভাবে পোষা প্রাণী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বেঙ্গল ক্যাট এখন পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় পোষা বিড়াল হিসেবে বিড়াল প্রেমীদের কাছে খুবই চাহিদাসম্পন্ন।
#cat #pet #petlovers #petcare #animallover
No comments:
Post a Comment