Sunday, November 14, 2010

শুষ্ক ত্বক : শীতের প্রভাবে না রোগজনিত?


শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বক শুষ্ক হতে শুরু করেছে, লক্ষ্য করেছেন নিশ্চয়ই। শীতের সময় বায়ুতে জলীয়বাষ্প কমে যাওয়ার কারণে ত্বক থেকে পানি শুষে নেয়ার প্রভাবে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। আবহাওয়া পরিবর্তন ছাড়াও আরও নানাবিধ কারণে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় এটিকে ঢবৎড়ংরং বলা হয়ে থাকে। এটি এমন একটি সমস্যা যাতে কমবেশি সব বয়সীরাই আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণভাবে হাত, পা এবং পেটের উভয় দিক আক্রান্ত হয় বেশি। তবে অন্য স্থানেও এ পরিবর্তন হতে পারে।

কিভাবে হয় : 
ত্বকের 'ইপিডার্মিস'-এ 'স্ট্যাটম কর্নিয়াম' নামে একটি স্তর থাকে। এটি অনেকটা পলিথিনের আবরণের মতো আমাদের শরীরকে আবৃত রাখে। এই স্তরই পানি ধারণ করে ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে এবং ক্ষতিকর পদার্থ শরীরে প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে। কোনো কারণে এই স্তর ক্ষতিগ্রস্ত/পাতলা হয়ে গেলে পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যায় এবং সমস্যাটি তৈরি হয়।

কি কি কারণে হয় : 
নানা কারণে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হতে পারে যেমন,

আবহাওয়া : ঋতু পরিবর্তনে বাতাসে জলীয়বাষ্প কমে গেলে, ত্বক থেকে পানি শুষে নেয় এবং ত্বক রুক্ষ ভাব ধারণ করে। শীতে শুষ্ক ত্বকের প্রবণতা এ কারণেই হয়ে থাকে। তাছাড়া ব্যবহৃত রুম হিটার, এয়ারকন্ডিশনারের কারণেও রুমের ভেতর জলীয়বাষ্প কমে গিয়ে ত্বক শুষ্ক হতে পারে।

বয়স : সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ বয়সীদের ত্বকের ইপিডার্মিস পাতলা হতে শুরু করে এবং ত্বকের পানি ধারণক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে ত্বকও শুষ্ক এবং রুক্ষ হতে শুরু করে। যাদের বয়স ষাটোর্ধ্ব তারাই বেশি আক্রান্ত হন। মহিলাদের মাসিক বন্ধ (মেনপজ) হওয়ার পর এ সমস্যা প্রকাশ পেতে থাকে।

সূর্যালোক : সরাসরি সূর্যালোকের কারণে যে কোনো ঋতুতেই ত্বক শুষ্ক হতে পারে। কারণ সূর্যের উত্তাপে ত্বকের পানি ও নিঃসরিত তেল শুকিয়ে যায় এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।

সাবান ও ডিটারজেন্ট : সাবান, ক্লিনজার ও ডিটারজেন্ট ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করার সময় ত্বকের পানি ও তেল শুষে নেয়। এর ফলে ত্বক শুকিয়ে যায়। সাধারণত এগুলো যতবেশি ক্ষারীয় ততবেশি তেল ও পানি শুষে নেয়।

রোগজনিত কারণ : শরীরে কিছু রোগে ত্বকের পানি ধারণক্ষমতা কমে যায় এবং ত্বক রুক্ষ হয়। ত্বকের রোগ যেমন এটপিক ডার্মাটাইসিস, সোরাইয়াসিস, ইকথায়োসিস ইত্যাদিতে ত্বক রুক্ষ হয়। তবে এসব ক্ষেত্রে রুক্ষতা ছাড়াও চুলকানি, ত্বক ফেটে যাওয়া, ত্বকে প্রদাহ এবং স্কেলিং লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। তাছাড়া কিডনিজনিত রোগ, পুষ্টিজনিত অভাব এবং ভিটামিন (এ/ই)-এর ঘাটতিতে ত্বক রুক্ষ হতে পারে।

ওষুধ : কিছু কিছু ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে ত্বক শুষ্ক হতে পারে।

কিভাবে মুক্ত থাকবেন
সাধারণভাবে শীতে শুষ্ক ত্বক থেকে পরিত্রাণ পেতে ত্বকের যত্নে বর্ণিত নিয়মগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন।

√কুসুম কুসুম গরম পানিতে স্বল্প সময়ে গোসল শেষ করুন।
গোসলের সময় কোমলভাবে সারা শরীর পানিতে ধুয়ে ফেলুন, কখনই শরীর ঘষবেন না।
√সাবান ও ক্লিনজার যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন, আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী এগুলো নির্বাচন করুন।
√গোসলের পর শরীরে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
√রুমের ভেতর 'হিউমোডিফায়ার' ব্যবহার করুন।
√প্রচুর পানীয় পান করুন।
√খাদ্য তালিকায় তৈলাক্ত মাছ রাখুন।
√সাবান ক্লিনজার ও ময়েশ্চারাইজার নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

নিয়মগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করার পরও যদি ত্বকের শুষ্ক ও রুক্ষতা থেকে পরিত্রাণ না পান, তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

published on the daily bangladesh protidin,15th november 2010

Monday, November 1, 2010

সমস্যা যখন মুখের ব্রণ

ব্রণ বয়ঃসন্ধিক্ষণের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, তবে অন্যবয়সী এমনকি শিশুরাও এতে আক্রান্ত হতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্রণ সম্বন্ধে সাধারণ জ্ঞানের অভাবে সমস্যাটি জটিল আকার ধারণ করে।সামান্য সতর্কতা ও জ্ঞান দিয়েই, এই ক্ষণস্থায়ী সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব।

কিভাবে ব্রণ তৈরি হয় : হাত ও পায়ের তালু ছাড়া শরীরের অন্যান্য অংশে লোম, লোমকূপ এবং এক ধরনের গ্রন্থি দিয়ে 'পাইলোসিবাসিয়াস ইউনিট' থাকে। গ্রন্থি থেকে 'সেবাম' নামে এক ধরনের রস নিঃসরিত হয়_ যা স্বাভাবিকভাবে ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। 'পাইলোসিবাসিয়াস ইউনিট'-এর স্বাভাবিক কার্যকারিতার ব্যাঘাত থেকেই ব্রণ তৈরিতে সাহায্য করে।
ত্বকে 'প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম একনি' নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা গ্রন্থি নিঃসরিত 'সেবাম'কে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
বয়ঃসন্ধিক্ষণে হরমোনের প্রভাবে গ্রন্থির আকার বড় হয় এবং অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণ করে। যারা ব্রণে আক্রান্ত হন তাদের ক্ষেত্রে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও বেড়ে যায়। অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়ার কারণে লোমকূপে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। কোনো কারণে লোমকূপ বন্ধ হয়ে গেলে প্রদাহজনিত স্থলে ফুসকুড়ি বা দানা তৈরি হয়_ যা কমেডিয়ন নামে পরিচিত। সাধারণভাবে 'কমেডিয়নকে ব্ল্যাক হেড (কালো) ও হোয়াইট হেড (সাদা) নামে ডাকা হয়। মুখ ছাড়াও কাঁধ, পিঠ এবং বুকে ব্রণ হতে পারে।

জটিলতা : ব্যক্তিবিশেষের ক্ষেত্রে ব্রণ জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তা ছাড়া শরীরের অন্যান্য কিছু রোগের ক্ষেত্রে এটি লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে।
নখ দিয়ে খোঁটার কারণে, অনেক সময় অনভিজ্ঞ রূপবিশেষজ্ঞ অথবা বিউটিশিয়ানের মাধ্যমে এর ভিতরের প্রদাহজনিত কারণে সৃষ্ট পদার্থ বের হয়ে আশপাশের অংশে ছড়িয়ে পড়ে। নখের ময়লা বা খোঁটাখুঁটির কারণে ইনফেকশন হয় এবং পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।

চিকিৎসা : মনে রাখবেন ব্রণ একটি ক্ষণস্থায়ী সমস্যা এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সামান্য সচেতনতা ও জ্ঞানের মাধ্যমেই সমস্যাটি দূর করা সম্ভব। যাদের ক্ষেত্রে সমস্যা জটিল আকার ধারণ করে, তারা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। টোটকা এবং অপচিকিৎসার মাধ্যমে জটিলতা তৈরি করবেন না। আজকাল চিকিৎসকরা ব্রণভেদে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন যার মাধ্যমে এই অনাকাক্সিক্ষত সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।

প্রতিরোধ
-দিনে অন্তত দুই বার সাবান বা ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। তৈলাক্ত ত্বকে ধুলা-ময়লা জমে লোমকূপ বন্ধ হয়ে থাকে। কাজেই বাইরে থেকে বাসায় ফিরে অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করবেন। যাদের ত্বক বেশি তৈলাক্ত তারা চিকিৎসকের পরামর্শে বিশেষ ধরনের ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন মুখ পরিষ্কার রাখার জন্য।
-প্রসাধনী লোমকূপ বন্ধের কারণ হতে পারে। কাজেই অকারণে প্রসাধনী ব্যবহার বা বিউটিশিয়ানের শরণাপন্ন না হওয়াই ভালো।
-কখনই ব্রণ নখ দিয়ে বা অন্য কিছু দিয়ে খুঁটবেন না। এতে স্থায়ী অনাকাক্সিক্ষত ক্ষতের সৃষ্টি হতে পারে।

নিয়ম মেনে চলুন, অপচিকিৎসা থেকে দূরে থাকুন, সমাধান না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।










ডা. এম আর করিম রেজা



কনসালটেন্ট, চর্ম-এলার্জি ও কসমেটিকজনিত রোগ, এশিয়ান জেনারেল হাসপাতাল লি. দক্ষিণ বারিধারা, ঢাকা-১২১২। ফোন : ৯৮৯৮৮৯৯






. · Comment ·LikeUnlike · Share



Sarah Rafat Hossain Thanks a lot for the informative note, I am lucky that I never had this problem....my only prblem is under eye dark circle and its actually heredietary.My mom has it but she takes a lot of care.I dont have time and patience to do all of those.

Monday, October 25, 2010

অ্যানথ্র্যাক্স কি এবং কেন?



দেশের উত্তরাঞ্চলে আবারো অ্যানথ্র্যাক্স আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে।  অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া (ব্যাসিলাস অ্যানথ্র্যাসিস) জনিত একটি সংক্রামক রোগ। অ্যানথ্রাক্স তিন ধরনের হয়ে থাকে। যার মধ্যে দুই ধরনের অ্যানথ্রাক্স নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ছড়ায়, যা প্রাণহানির কারণ হতে পারে। আরেকটি সাধারণত ত্বক আক্রান্ত করে, যেটি বাংলাদেশে দেখা যায়। যেসব এলাকায় গবাদি পশু পালন করা হয় সেসব এলাকাতেই সাধারণত অ্যানথ্রাক্সের প্রকোপ বেশি দেখা যায়।
অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত ব্যক্তির জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা না হলে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

কিভাবে ছড়ায় 
আক্রান্ত পশুর (গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ) লোম, চামড়া, মাংস রোগ ছড়ানোর উৎস হিসেবে গণ্য করা। এ জন্য রোগে আক্রান্ত পশুর খামারি, লোম উত্তোলনকারী এবং কসাইরা প্রথমে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায় না। তবে আক্রান্ত পশুর মাংস ও রক্তের সংস্পর্শে এ রোগ ছড়াতে পারে। তাই রোগাক্রান্ত পশু জবাই বা খাদ্য হিসেবে গ্রহণের অনুপযোগী।

লক্ষণ কি 
সাধারণত জীবাণু শরীরে প্রবেশের দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। সর্বপ্রথম ত্বকেই এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়, আক্রান্ত স্থান চুলকায় এবং লাল বর্ণের হয়ে থাকে, যা প্রাথমিকভাবে পোকার কামড় মনে হতে পারে। এটি শুকিয়ে লালচে কালো বর্ণের আকার ধারণ করে এবং খসে পড়ে। ক্ষতটির কেন্দ্র শুকনা এবং কালো, তার চারদিকে উঁচু এবং লাল বর্ণের হয়ে থাকে।

জটিলতা 
ত্বকে লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা গ্রহণ করলে আনথ্রাক্স সহজেই নিরাময়যোগ্য রোগ কিন্তু পরবর্তীতে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়লে এ রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। ব্যাকটেরিয়াজনিত প্রদাহের কারণে উঁচু মাত্রার জ্বর, ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে তীব্র শ্বাসকষ্ট এবং পরিপাকতন্ত্রের জটিলতার কারণে মৃত্যু হয়ে থাকে।

চিকিৎসা 
এ রোগের চিকিৎসা সহজ এবং স্বল্পব্যয় সাপেক্ষ। প্রাথমিক পর্যায়ে (ত্বকের সংক্রমণ) রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হলে টিকা ও অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার মাধ্যমে পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব।

প্রতিরোধের উপায় 
•রোগাক্রান্ত পশুকে প্রথমেই আলাদা জায়গায় রাখতে হবে।
•রোগাক্রান্ত পশুকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।
•মৃত পশুকে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
•রোগাক্রান্ত পশুকে জবাই করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।
• রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।

Friday, September 3, 2010

ত্বকের রোগ ও চিকিৎসা

by M R Karim Reza on Saturday, September 4, 2010 at 10:45am.


সুস্থ ত্বক শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যাবশ্যক, বলা হয়ে থাকে 'ফাস্ট লাইন ডিফেন্স'। শরীরের অনাবৃত অংশে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকেন কিন্তু আবৃত অংশের সমস্যা হলে গাফিলতি করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। মনে রাখবেন, ত্বকের সমস্যাকে অবহেলা করা যেমন অনুচিত তেমনই অপচিকিৎসা করাটাও ক্ষতিকর। অনেক ক্ষেত্রে রোগীরা অসচেতন এবং লক্ষণ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকার কারণে চিকিৎসা নিতে দেরী করেন। ত্বকের রোগে সাধারণত নিম্নবর্ণিত পরিবর্তনগুলো পরিলক্ষিত হয়।

চুলকানি : ত্বকের বহু রোগের সমস্যা হিসেবে চুলকানি দেখা দেয়। রোগের ধরন এবং তীব্রতা অনুযায়ী চুলকানির মাত্রা কমবেশি হতে পারে। সাধারণত চুলকানির কারণে নখ দিয়ে জায়গাটিকে আঁচড় দিতে ভালো লাগে। খোসপাঁচড়া, ছত্রাকজনিত রোগ, একজিমা, পোকার কামড় ইত্যাদিতে চুলকানি একটি লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পেতে পারে।

ব্যথা : রোগের ধরন এবং তীব্রতা অনুসারে ব্যথা কম বা বেশি হতে পারে। ব্যথা অনেক ধরনের চর্ম রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। হারপিজ জোস্টার, পোকার কামড় ইত্যাদির ক্ষেত্রে ব্যথা তীব্র হতে পারে।

অসাড়তা বা অবশ : কিছু রোগে ত্বকের কোনো কোনো স্থানে অসাড়তা লক্ষ করা যায়, যেমন কুষ্ঠ রোগী। আবার কিছুরোগের কারণে ত্বক অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে থাকে।

ত্বকের রঙ পরিবর্তন : জন্মগতভাবে মানুষ গায়ের রং অর্জন করে থাকে। রোগবিশেষ কিছু স্থানে রঙ গাঢ় বা হালকা হতে পারে। যেমন মেছতার ক্ষেত্রে রং গাঢ় আবার শ্বেতীর কারণে হালকা হতে পারে।

মসৃণতা ও উজ্জ্বলতা : সুস্থ ত্বক সাধারণত মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়ে থাকে। বহু রোগে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হতে পারে এবং খসখসে হয়ে যায়। কুচকানো ত্বক অনেক রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে, যেমন ইকথায়োসিস। বয়সের কারণে ত্বক কুচকাতে পারে, যা স্বাভাবিক।

ফোসকা/চামড়া উঠে যাওয়া/ক্ষত : ত্বকের অনেক রোগের লক্ষণ হিসেবে এ লক্ষণসমূহ আবির্ভূত হতে পারে। উলি্লখিত লক্ষণসমূহ ছাড়াও আরো অনেক লক্ষণ ত্বকের রোগে প্রকাশ পেতে পারে। সাধারণভাবে এগুলোর ব্যাপারে সামান্য সতর্ক হলেই সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করা সম্ভব। মনে রাখবেন ত্বকের রোগ ছাড়াও অন্যান্য রোগের লক্ষণ হিসেবেও ত্বকের পরিবর্তন হতে পারে।গোসলের সময় অন্তত আপনার শরীরের ত্বকের দিকে নজর দিন। কোনো প্রকার অস্বাভাবিকতা লক্ষ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।



http://www.bd-pratidin.com/index.php?view=details&archiev=yes&arch_date=23-08-2010&type=single&pub_no=122&cat_id=3&menu_id=15&news_type_id=1&index=1

সুস্থ ও আকর্ষণীয় ত্বকের জন্য করণীয়

by M R Karim Reza on Saturday, September 4, 2010 at 10:35am.


ত্বককে বলা হয়ে থাকে শরীরের দর্পণ বা আয়না। সুস্থ এবং আকর্ষণীয় ত্বক সবারই কাম্য, ব্যক্তিত্বকেও প্রকাশ করে থাকে। শুধু তাই নয় অন্যকেও আকর্ষণ করে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। সুস্থ ত্বক শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সুস্থ ত্বক সাধারণত পরিষ্কার, মসৃণ, সমভাবে রাঙানো, কুচকায় না এবং উজ্জ্বল হয়ে থাকে। ত্বক সুস্থ এবং আকর্ষণীয় রাখতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছুটা যত্নবান হলেই চলে। খাদ্যাভাস, বাসস্থান, পোশাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।


১। খাদ্যাভাস : সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সুষম খাদ্যের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। প্রোটিন বিশেষভাবে তৈলাক্ত মাছ, লালবর্ণের শাক ও ফল, দুগ্ধজাত খাদ্য তালিকায় থাকা উচিত। পরিমাণ মতো শর্করা জাতীয় (ভাত/রুটি) গ্রহণ করতে হবে, অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণে বিরত থাকা উচিত। অতিরিক্ত চা/কফি ও অ্যালকোহল ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। পানি ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


২। পোশাক-পরিচ্ছদ : মৌসুম ভেদে যথাসম্ভব কম পোশাক পরিধান করতে হবে। অতিরিক্ত টাইট পোশাক পরিধান থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। নাইলন এবং পলিয়েস্টার জাতীয় পোশাক পরিহার করা উচিত। সুতি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বস্ত্র পরিধানই শ্রেয়। জুতা, চশমা, গহনা, অন্তর্বাস ইত্যাদির ক্ষেত্রেও একই রকম অভ্যাস বাঞ্ছনীয়।


৩। পরিচ্ছন্ন জীবন : নিয়মিত গোসল সুস্থ ত্বকের জন্য অত্যাবশ্যক। গোসলের সময় প্রতিটি কুচকিকে বিশেষভাবে পরিষ্কার করতে হবে। বিশুদ্ধ এবং ত্বকের জন্য সহনীয় তপমাত্রার পানি গোসরের জন্য ব্যবহার করা উচিত। শীতের দিনে গরম পানিতে ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে গোসল করা যেতে পারে। সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্রে যতটুকু কম ক্ষারীয় ব্যবহার করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তৈলাক্ত ও ঘর্মাক্ত ত্বকের জন্য একটু বেশি সাবান ব্যবহার করতে হবে। শুষ্ক ত্বকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি তৈলাক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে।


৪। প্রসাধনী, তেল ও সেভিং : যে কোনো নতুন প্রসাধী ব্যবহারের পূর্বে এটি ত্বকের জন্য সহনীয় কিনা অবশ্যই পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শুষ্ক ত্বকের জন্য ভ্যাসলিন, ল্যানেলিন, অলিভওয়েল এমনকি নারকেল বা সরিষার তেলও গোসলের পর ব্যবহার করা যেতে পারে।
সেভিং-এর জন্য সহনীয় মাত্রার ফোম, সাবান এবং আফটার সেভ ব্যবহার করা উচিত। সেভের সময় একই দিকে সেভ করা উচিত, কখনই চামড়াকে অতিরিক্ত টেনে সেভ করা উচিত নয়।


৫। পরিচ্ছন্ন বাসস্থান : পরিচ্ছন্ন ও খোলামেলা বাসস্থান ত্বকের যত্নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। হালকা ব্যায়াম খোলা বাতাস এবং হালকা রোদ ত্বকের যত্নে বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়; তবে অতিরিক্ত রোদ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ঘাম ত্বকের জন্য ক্ষতিকর এবং জমার সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেলতে হবে। অতিরিক্ত গরম ও ঠাণ্ডা দুটোই ত্বকে বিরুপ প্রভাব ফেলে থাকে।

Sunday, August 29, 2010

অ্যানথ্র্যাক্স কি, কেন?

by M R Karim Reza on Saturday, September 4, 2010 at 12:23pm.



অ্যানথ্র্যাক্স একটি ব্যাকটেরিয়া (ব্যাসিলাস অ্যানথ্র্যাসিস) জনিত সংক্রামক রোগ। রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দিতে হয়, না হলে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

কিভাবে ছড়ায় : আক্রান্ত পশুর (গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ) লোম, চামড়া, মাংস রোগ ছড়ানোর উৎস হিসেবে গণ্য করা। এ জন্য রোগে আক্রান্ত পশুর খামারি, লোম উত্তোলনকারী এবং কসাইরা প্রথমে আক্রান্ত হয়ে থাকে। কখনোই রোগাক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে এ রোগ ছড়ায় না। তবে আক্রান্ত পশুর মাংস ও রক্তের সংস্পর্শে এ রোগ ছড়াতে পারে। তাই রোগাক্রান্ত পশু জবাই বা খাদ্য হিসেবে গ্রহণের অনুপযোগী।


লক্ষণ কি : সাধারণত জীবাণু শরীরে প্রবেশের দুই থেকে পাঁচ দিনের মধ্যেই লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। সর্বপ্রথম ত্বকেই এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়, আক্রান্ত স্থান চুলকায় এবং লাল বর্ণের হয়ে থাকে, যা প্রাথমিকভাবে পোকার কামড় মনে হতে পারে। এটি শুকিয়ে লালচে কালো বর্ণের আকার ধারণ করে এবং খসে পড়ে। ক্ষতটির কেন্দ্র শুকনা এবং কালো, তার চারদিকে উঁচু এবং লাল বর্ণের হয়ে থাকে।


জটিলতা : ত্বকে লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা গ্রহণ করলে এটি সহজে নিরাময়যোগ্য রোগ কিন্তু পরবর্তীতে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়লে এ রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি রয়েছে। ব্যাকটেরিয়াজনিত প্রদাহের কারণে, উঁচু মাত্রার জ্বর, ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে তীব্র শ্বাসকষ্ট এবং পরিপাকতন্ত্রের জটিলতার কারণে মৃত্যু হয়ে থাকে।


চিকিৎসা : এ রোগের চিকিৎসা সহজ এবং স্বল্পব্যয় সাপেক্ষ। প্রাথমিক পর্যায়ে (ত্বকের সংক্রমণ) রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হলে টিকা ও অ্যান্টিবায়োটিক চিকিৎসার মাধ্যমে পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব।


প্রতিরোধ : রোগাক্রান্ত পশুকে প্রথমেই আলাদা জায়গায় রাখতে হবে।


রোগাক্রান্ত পশুকে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।


মৃত পশুকে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।


রোগাক্রান্ত পশুকে জবাই করে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না।


রোগাক্রান্ত ব্যক্তিকে যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।


published in Bangladesh Protidin,4th September,2010


http://www.bd-pratidin.com/index.php?view=details&type=single&pub_no=134&cat_id=3&menu_id=15&news_type_id=1&index=1



ই-মেইল :rezadr.dema@gmail.com

Wednesday, June 9, 2010

Blueprint of Jamat & Reorganisation of National University

Bangladesh Jamat E Islami is a cadre based political party & has a longterm vision & strategy to achieve thier ideology than any other party in Bangladesh.A large number of Jamat undercover activists & intellectuals have been engaging themself within other major political parties since 1975 like the leftist parties in the past.

When BNP-Jamat alliance assumed power in 2001,BNP with its front organizations & activists were busy to earn illigal cash benefits & assets but Jamat had a differnt plan.They placed their cadres,like minded person & well wishers in every public offices & institutions with a vision to exercise power even when other party runs the government.Thats what the present Awami League led government is experiencing in their effort to establish pro-liberation ideology & set the nation in the right rack.

Like other sectors Jamat has a plan to regulate the education syststem of the country.They targetted National University to take administrative control of this institution.Jamat planned to get control of college based graduate & post graduate education of Bangladesh.National University regulates these affiliated colleges by nominating governing body,selection of teaching staffs & academic programs.These colleges also play vital role in the local politics in respective area.Jamat also planned to bring gradute & postgradute Madrasha education under NU.In the process Jamat successfully managed to nominate Professor Aftab Ahmad of Dhaka University as the VC of National University in 2004

In April 2004,the single largest recruitment scandal in the history of Bangladesh was started to accomodate over 1500 political cadres in NU & iplementation of a bluprint started.BNP got only a little share of the process.Huge number of unnecessary & bizzaire post were created illigaly to accomdate this recuited personnals, most of them from Madrasha based educational background.Progressive & pro liberation minded persons were made either OSD or humilited to quit their job.These plan was succesfully finished by the help of then president of NU officers association & an undercover Jamat leader Enamul Karim who managed to control inernal agitation , Jamat think tank & recruited teacher Abu Yousuf, then acting registrar Shamsheruzzaman & Deputy regitrar Shahidur Rahman.Prfessor Khandker Mustahidur Raman,then VC of Jahangirnagar University & a syndicate member of NU,Professor Syed Abul Kalam Azad,then Treasurer Of NU,teacher of Marketting dept. of DU played vital role in the selection process.When Media targetted this procedure & the scandal was partially exposed,then government removed Aftab to divert media attention & nominated Prof. Wakil Ahmed as a puppet VC of NU & the process of giving validity of recruitment was finiished silently.Former chairman of University Grants Commission,Late Professor Asaduzzaman filled a investgation report to BNP govt about the recruitment scandal & recommanded to take action against the process.But then government didnt took any measure to comply his recommandations.The caretaker government also tried to investigate the whole process but then Jamat got blessings of Brig.Amin & Bari duo of DGFI to leave the task unfinished.Chronologically Prof Syed Rashidul Hasan & Prof. Mofakharul Islam acted as VC of NU but did nothing to rescue this national institution from the grab of anti-liberation forces as everything was going as Jamat planned.

Jamat has been spending a huge amount of fund to fuilfil their blueprint since 2006 till date.The present government nominated administration of NU did nothing significant to reorganise NU till date.Professor Khandker Mustahidur Rahman now an advisor of BNP is still a syndicate member of NU,heading different committe to investigate the irregularities commited by them(during 2003-2008)! One of the Pro-VC nomited by caretaker government,a jamat minded person is stiil working at NU.It seems Jamat still contolling NU by money & their cadres as most of the department is headed by their cadres or well wishers.

If irregularities commited during 2004-2008 period at NU & the reruitted personnals are left unaccountable,the blue print of Jamat to controll the college based graduate & post gradute education of our country will be fuifilled & no doubt this will help them to achieve thier goal as a political party & one of the task of their blueprint to gain control of independent state Bangladesh will be finished.

দ্য গ্রেট লন্ডন ফায়ার

১৬৬৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সিটি অফ লন্ডন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, যা ইতিহাসে 'দ্য গ্রেট লন্ডন ...