Tuesday, December 17, 2024

ত্বকের বলিরেখা দূর করতে বোটক্স চিকিৎসা

বয়স বাড়ার সাথে তাল মিলিয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমতে থাকে, যার ফলে বলিরেখা বা ভাঁজের আবির্ভাব ঘটতে থাকে। ত্বকে অবস্থিত সূক্ষ্ম মাংসপেশির মাধ্যমে অভিব্যক্তি প্রকাশ এবং দৃশ্যমান ভাঁজ নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। অভিব্যক্তি প্রকাশ করার সময় সুক্ষ্ম মাংসপেশী স্নায়ুর নির্দেশনায় নানা মাত্রায় দৃঢ়তা লাভ করে থাকে। এই মাংসপেশি বয়োঃবৃদ্ধির সাথে ক্রমশ দৃঢ় হতে থাকে। একসময় শক্ত মাংসপেশির কারনে ত্বকে ভাঁজ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে, যা বলিরেখা নামে পরিচিত। সৌন্দর্য সচেতন মানুষ এই বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। আজকাল স্থায়ী না হলেও সাময়িকভাবে বলিরেখা দূর করার নানা ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে দ্রুত এবং সহজভাবে বলিরেখা দূর করা যায় বটিউলিনিয়াম টক্সিন ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে।  এই পদ্ধতি বর্তমানে বলিরেখা দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি। 

বোটক্স কি?

বোটুইলিনিয়াম নামে একধরনের স্নায়ু বিষ পরিশোধিত করে বোটক্স তৈরি করা হয়ে থাকে। এটি ত্বকের চিকিৎসা ছাড়াও আরো অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।

কিভাবে কাজ করে?

নির্ধারিত মাংসপেশির গোঁড়ায় প্রয়োজনীয় মাত্রায় বোটক্স ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। ইনজেকশনের স্থান এবং মাত্রা নির্ধারণে চিকিৎসকের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান এবং দক্ষতার প্রয়োজন হয়। বোটক্স নির্ধারিত মাংসপেশিকে অসাড় এবং নরম করে দেয়। ইনজেকশন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বোটক্স কাজ করা শুরু করে, এবং ৫-১০ দিনের মধ্যে ফলাফল পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। একবার ইনজেকশন দেয়ার পর সাধারনত ৩-৬ মাস কার্যকারিতা থাকে। তারপর আবার চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন হয়। এই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে থাকার প্রয়োজনীয়তা নেই। 


পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সাধারণত ইঞ্জেক্সনের কারণে সাময়িক জ্বালা, পোড়া এবং অসাড়তা অনুভূত হয়। তবে ইনজেকশনের স্থান নির্ধারণে ভুলের কারণে অভিব্যক্তি বা চেহারার বিকৃতি হতে পারে। 

খরচ

বোটক্স ইউনিট হিসেবে প্রদান করা হয়ে থাকে। চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ইউনিট এবং চিকিৎসকের ফি যোগ করে খরচ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। 

Monday, December 16, 2024

বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা

ভৌগোলিকভাবে তিনদিক দিয়ে বাংলাদেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং আসামের সঙ্গে একটি মাত্র স্থলপথে সংযুক্ত ভারতের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা।রাজ্যটিতে জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ বর্তমানে বাঙালি। অতীতের সংখ্যাগরিষ্ঠ আদিবাসী সম্প্রদায় এখন জনসংখ্যার মাত্র ৩০ শতাংশ।

ত্রিপুরার মাণিক্য রাজাদের শাসন ছিল এক বর্ণাঢ্য অধ্যায়। রাজারা প্রথমদিকে পূর্ণ স্বাধীন ছিলেন, তবে মোগল শাসক ও বাংলার নবাবদের কাছে একসময় তাদের বশ্যতা স্বীকার করতে হয়। রাজারা বারবার মোগল দরবারে কর দিতেন। পরবর্তীতে, ব্রিটিশ শাসকরাও ত্রিপুরার স্বাধীনতাকে সীমিত করে। পলিটিক্যাল এজেন্টের মাধ্যমে রাজ্য পরিচালনার উপর কড়া নজর রাখত তারা।

দেশভাগের সময় ত্রিপুরায় হিন্দু শরণার্থী এবং পূর্ববঙ্গে ত্রিপুরা থেকে মুসলিম শরনার্থীদের কারণে জনসংখ্যায় বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে। বর্তমানে রাজ্যটির জনসংখ্যার ৮০% হিন্দু এবং মাত্র ৯% মুসলিম ধর্মালম্বী। ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজনের সময় ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হওয়ার দাবিকে বাস্তবসম্মত করে তুলেছিল। তবে একাধিক রাজনৈতিক, সামাজিক এবং কৌশলগত কারণে তা শেষ পর্যন্ত ঘটেনি।

সে সময় এই ইস্যুতে ত্রিপুরার রাজপরিবার বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার পক্ষে ছিলেন ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য মহারাজকুমার দুর্জয়কিশোর দেববর্মন এবং রিজেন্সি কাউন্সিলের মন্ত্রী সত্যব্রত মুখার্জী। তাদের সমর্থনে ছিলেন আঞ্জুমান-এ- ইসলামিয়ার নেতা আবদুল বারিক। অন্যদিকে, রাজপরিবারের আরেক অংশ, ত্রিপুরার উপজাতি জনগোষ্ঠী এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পাকিস্তানভুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভারতভুক্তির পক্ষে সোচ্চার হয়।



ঠিক এই সময় ১৯৪৭ সালের ১৭ মে মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর দেববর্মনের মৃত্যুর পর তার নাবালক পুত্র কিরীট বিক্রম কিশোর দেববর্মন রাজ্যের উত্তরাধিকারী হন। প্রথা অনুযায়ী ব্রিটিশ সরকার রাজ্য পরিচালনার জন্য গঠন করে রিজেন্সি কাউন্সিল বা পরামর্শক পরিষদ। এই কাউন্সিলের নেতৃত্বে ছিলেন মহারানী কাঞ্চনপ্রভা দেবী। হিন্দু ধর্মাবলম্বী রাণী সেই রাজনৈতিক সংকটময় সময়ে ত্রিপুরাকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার পথে অগ্রসর হন।

ব্রিটিশরা ভারত-ত্যাগের পরপরই গুজব রটে যায় যে পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম সৈন্যরা ত্রিপুরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নির্দেশে ভারত সরকার ত্রিপুরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আসাম থেকে সেনাবাহিনী প্রেরণ করে এবং জরুরী বার্তা পাঠিয়ে পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে বিষয়টি অবগত করা হয়।

ভিন্ন একটি সূত্র মতে ত্রিপুরার মহারাণীও পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যোগদানে আগ্রহী ছিলেন। অবশ্য মহারাণী চাইলেও ত্রিপুরাকে পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যুক্ত করতে পারতেন কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। কেননা সেই সময় বিহারে দাঙ্গার প্রতিক্রিয়ায় পূর্ববঙ্গের নোয়াখালী অঞ্চলে দাঙ্গা সৃষ্টি হলে বিপুল সংখ্যক বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ত্রিপুরা রাজ্যে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করে। হিন্দু প্রধান রাজ্য ত্রিপুরা এবং মুসলিম প্রধান পূর্ববঙ্গের মধ্যে তখন একটা মনস্তাত্ত্বিক বিরোধ গড়ে উঠে। এই বিরোধ টপকিয়ে বাংলাভাষী এই দুই অঞ্চলকে এক করার মত যোগ্য কোনো নেতৃত্ব তখন ত্রিপুরায় ছিল না।


আরেকটি কারণ তখনকার পূর্ববঙ্গের উর্দুভাষী মুসলিম নেতৃত্ব বা পাকিস্তানের নেতৃত্ব পূর্ববঙ্গকে ভৌগলিকভাবে শক্তিশালী করার প্রতি মনোযোগী ছিলেন না। নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা ও অবহেলার কারণেই আরাকান রাজার আবেদন সত্ত্বেও আরাকানকে পাকিস্তানের অংশ করা হয়নি, ত্রিপুরাও চলে যায় ভারতের করায়ত্তে।

১৯৪৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নাবালক রাজা কিরিটী বিক্রম মাণিক্যের পক্ষে মহারানী কাঞ্চনপ্রভা দেবী দিল্লিতে ত্রিপুরা রাজ্যকে ভারতভুক্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ১৫ অক্টোবর ত্রিপুরা আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের অংশ হয়। ত্রিপুরার ভারতভুক্তি চুক্তি রাজ্যটির সাড়ে ৫০০ বছরের রাজতান্ত্রিক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটায়।

(সংগৃহিত ও সম্পাদিত)

#trend #India #Bangladesh #Pakistan #politics

বাংলাদেশ নিয়ে ভারতে মাস হিস্টিরিয়া

মাস হিস্টিরিয়া (Mass hysteria) বা গণ-মানসিক অস্থিরতা এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে একটি সমাজের মানুষ পরস্পরের কাছ থেকে মানসিক অস্থিরতা বা ভীতি ধারণ করে এবং তা দ্রুত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এধরনের পরিস্থিতিতে ব্যক্তি তার স্বাভাবিক চিন্তা ও আচরণ হারিয়ে ফেলেন এবং অস্বাভাবিক বা অযৌক্তিক আচরণ করতে শুরু করেন। মাস হিস্টিরিয়া একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া, যা মানুষের মানসিক অস্থিরতা এবং ভয়কে বাহিত করে। এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে, সঠিক সময়ে সচেতনতা এবং সহায়তা প্রয়োজন।

মাস হিষ্টেরিয়ার কারণ

সামাজিক চাপ, গুজব বা অবর্ণনীয় শঙ্কা বা অজ্ঞতা থেকে এটি শুরু হয় এবং সমাজের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। গণ-মানসিক অস্থিরতার কিছু কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে যেমন,

•অলৌকিক: কিছু ক্ষেত্রে কোনো অজ্ঞাত কারণ বা শব্দের কারণে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ওঠে, যেমন "অদৃশ্য রোগ" বা "ভূতপ্রেত" সংক্রান্ত গুজব।

•ভয় বা শঙ্কা: কোনো দুর্যোগ বা বিপর্যয় ঘটলে, যেমন •প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা রোগ সংক্রমণ, তখন ভয়ের অনুভূতি একজনের মধ্যে সঞ্চালিত হয়ে আরেকজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।

•সংবাদ বা সামাজিক মাধ্যমের গুজব: কোন ঘটনা যার সঙ্গে বাস্তবের মিল নেই কিন্তু ভাইরাল হওয়ার কারণে মানুষ সেটির প্রভাবে বিশ্বাস করতে শুরু করে।

•অস্বাভাবিক আচরণ: এক বা একাধিক ব্যক্তি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করলে কখনো কখনো তা অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যেমন রাস্তায় কেউ অদ্ভুতভাবে হাঁটছে বা চিৎকার করছে।


মাস হিস্টিরিয়ার কিছু উদাহরণ:

•মিডিয়ায় গুজব: ১৯৯০-এর দশকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমে কিছু গুজব প্রচারিত হয়েছিল, যার ফলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের হিস্টিরিয়া ছড়িয়ে পড়েছিল।

•সামাজিক অস্থিরতা: ১৯৫০-৬০-এর দশকে আমেরিকার কিছু এলাকায় গুজব বা ভয় ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে বলা হতো যে কিছু "অজানা রোগ" মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে, এবং এ কারণে হাজার হাজার মানুষ অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে।

মাস হিস্টিরিয়ার প্রভাব:

•মানসিক স্বাস্থ্য: এটি ব্যক্তি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যকে সরাসরি প্রভাবিত করে। উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা মানুষের জীবনে দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

•সামাজিক বিভাজন: একটি গ্রুপের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতা বা ভীতি অন্যদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করতে পারে।

•স্বাস্থ্য সেবা বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা: যখন ভীতি অনেক বেশি হয়ে ওঠে, তখন চিকিৎসা ব্যবস্থা বা আইন-শৃঙ্খলাও চাপের মধ্যে পড়ে, যা সেবা প্রদানে বিঘ্ন ঘটায়।

প্রতিকার:

•যথাযথ তথ্য প্রদান: গুজব বা ভ্রান্ত ধারণা দূর করার জন্য সঠিক তথ্য সরবরাহ করা উচিত।

•মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা: আক্রান্তদের মানসিক কাউন্সেলিং প্রয়োজন।

•সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি: শিক্ষা ও সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে মাস হিস্টিরিয়ার মতো পরিস্থিতি ঠেকানো সম্ভব।


ভারতের সংবাদ ও সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে গুজব ও অপতথ্য ছড়িয়ে দেয়ায় সেদেশের মানুষের বড় একটি অংশ মাস হিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়।

#HOAX #masshysteria #trend #India #Bangladesh

Sunday, December 1, 2024

এইডস'কে জানুন

এইডস ভাইরাস জনিত যৌন বাহিত একটি রোগ। ১৯৮১ সালে প্রথম সনাক্তের পর এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ৯ কোটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৫ কোটি মৃত্যুবরণ করেছেন এবং কমবেশি ৪ কোটি মানুষ এই ভাইরাস বহন করে জীবনযাপন করছেন।

 এইডস কি

হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) আক্রান্ত মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেলে এইডস্ রোগ হয়। 

কিভাবে ছড়ায় 

এইচআইভি যৌনসম্পর্ক, রক্ত সঞ্চালন, আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ, আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত ইনজেকশন সিরিঞ্জের মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক পরিচ্ছদ বা তৈজসপত্রের মাধ্যমে এইডস ছড়ায় না। 


কি ঘটে

এইচআইভি সংক্রমণ হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে থাকে। আক্রান্ত অনেকের প্রাথমিকভাবে কোন‌ লক্ষন দেখা যায় যায় না। কয়েকটি ধাপে এইচআইভি সংক্রমিত মানুষ এইডস রোগীতে পরিনত হন।

প্রথম ধাপে কয়েক সপ্তাহ হালকা সর্দি, জ্বর ফ্লুর মতো উপসর্গ থাকে।

দ্বিতীয় ধাপ একমাস থেকে কয়েক বছর সময় নিতে পারে। এই পর্যায়ে আক্রান্ত ব্যক্তির কোন লক্ষণ থাকে না, সুস্থ মানুষের মতো জীবনযাপন চলতে থাকে।

তৃতীয় পর্যায়ে আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে এইডস রোগের লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে।

লক্ষন কি 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হওয়ার কারণে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি যে কোন ধরনের সংক্রামক রোগের ঝুঁকিতে থাকেন। 

ফুসফুসের সংক্রমণের ফলে কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট, পরিপাকতন্ত্রের সংক্রমণের কারণে ডায়রিয়া, পেট ব্যথা, খাবার অরুচি, বমি এবং গিলতে অসুবিধা হয়। অন্যান্য লক্ষনের মধ্যে ওজন কমতে থাকা, রাতের ঘাম, ফুসকুড়ি এবং গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।

চিকিৎসা

এইডস ভাইরাস জনিত একটি প্রাণঘাতী রোগ, যার টিকা নেই এবং এই রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা যায় না। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তি দীর্ঘ ও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন।

রোগের লক্ষন ও জটিলতা অনুযায়ী মুখে খাবার ঔষধ বা ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে।

অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) এইচআইভির জন্য আদর্শ চিকিৎসা। এটির মাধ্যমে ভাইরাসের শক্তি কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়, যা এইডসের অগ্রগতি রোধ করে।

এইডসের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি এবং সারাজীবন চালিয়ে যেতে হয়।

প্রতিরোধ

•যৌন সঙ্গী নির্বাচনে সতর্ক তথ্য থাকুন। বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করুন।

• যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করুন।

মনে রাখবেন এইডস প্রাণঘাতী রোগ হলেও সময়মতো সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়। আক্রান্ত হলে চিকিৎসা অব্যাহত রাখুন এবং নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

#AIDS #HIV #Disease #STD #Virus

Friday, November 29, 2024

যৌন বাহিত রোগ

যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে যে সকল রোগ ছড়ায় সেগুলো একত্রে যৌনবাহিত রোগ বলা হয়। সাধারণত এসব রোগ সংক্রামক। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বছরে কমবেশি ২ কোটি মানুষ যৌন বাহিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। লিঙ্গ, বয়স, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই আক্রান্ত হতে পারেন এধরনের রোগে, তবে তরুণ বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। যৌন সম্পর্ক ছাড়াও রক্ত সঞ্চালন, আক্রান্ত ব্যক্তির ইনজেকশন নেয়ার সিরিঞ্জ ব্যবহার এবং আক্রান্ত নারীর গর্ভের শিশু এই রোগগুলো ছড়াতে পারে। প্রায় ২০ ধরনের রোগ এভাবে সংক্রমিত হতে পারে। এগুলোকে জীবাণুর ধরন অনুযায়ী কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।



ব্যাকটেরিয়াজনিত

•স্যাংক্রোয়েড (Chancroid)

•ক্ল্যামেডিয়া (Chlamydia)

•সিফলিস (syphilis)

•গনোরিয়া (gonorrhea)

•গ্রানুলোমা ইনগুইনালি (granuloma inguinale)


ভাইরাসজনিত:

•এইডস্ (HIV/AIDS)

•ভাইরাল হেপাটাইটিস (Hepatitis)

•হার্পিস সিমপ্লেক্স (herpes simplex)

•মোলাসকাম কন্টাজিওসাম (molluscum contagiosum)


পরজীবীজনিত:

•খোসপচড়া (scabies)

•উকুন


ছত্রাকজনিত : ক্যানডিডিয়াসিস (candidiasis)

প্রোটোজোয়াজনিত: ট্রাইকোমনিয়াসিস (trichomoniasis)


লক্ষন কি

সাধারণত ঠোঁট, মুখ গহবর, যৌনাঙ্গে লক্ষন প্রকাশ পেয়ে থাকে। তবে লক্ষন প্রকাশ ছাড়াও কোন কোনটি দীর্ঘদিন শরীরে থাকতে পারে, যেমন সিফিলিস, এইডস্, হেপাটাইটিস ইত্যাদি।

জটিলতা

রোগের ধরন অনুযায়ী নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে। এইডস্, সিফিলিস, হেপাটাইটিস মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

প্রতিরোধ

•যৌন সঙ্গী নির্বাচনে সতর্ক তথ্য থাকুন। বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করুন।

• যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করুন।

•কিছু রোগের টিকা রয়েছে যেমন হেপাটাইটিস। টিকা নিন।

•যৌনাঙ্গে যে কোন ধরনের পরিবর্তন বা আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকুন।

সর্বোপরি সচেতনতা এবং দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে যৌন বাহিত রোগ থেকে সহজে নিরাময় হতে পারে।

#STD #Sex #Disease #Health

Wednesday, November 27, 2024

জিকা কি, কেন এবং চিকিৎসা

বাংলাদেশে আবার জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলছে। দেশে প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয় ২০১৪ সালে। জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। জিকার পাশাপাশি এখন চিকুনগুনিয়ায়ও অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সেইসঙ্গে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে মৃত্যু। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা দরকার ডেঙ্গু, জিকা, চিকুনগুনিয়া এই তিনটি রোগই ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।


কিভাবে ছড়ায়?

জিকা এডিস প্রজাতির মশার (Ae. aegypti এবং Ae. albopictus) মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ালে জিকা ভাইরাস মশাতে প্রবেশ করে। সংক্রামিত মশা অন্য একজন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে ভাইরাসটি সেই ব্যক্তির রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে। যে কেউ জিকা ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে, তবে গর্ভবতী মহিলারা গর্ভপাত এবং জন্মগত অস্বাভাবিকতা যেমন ভ্রূণের মাইক্রোসেফালি এবং অন্যান্য স্নায়বিক অস্বাভাবিকতার ফলে জিকা ভাইরাস শিশুর সম্ভাবনার জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। গর্ভবতী মহিলার  জিকা হলে প্লাসেন্টায় প্রবেশ করে ভ্রূণকে প্রভাবিত করতে পারে।

অরক্ষিত যৌনতা, যেখানে জিকা প্রাদুর্ভাব রয়েছে সেসব এলাকায় ভ্রমণ বা অবস্থান করা, রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে জিকা আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

লক্ষণ কি?

•চ্যাপ্টা বা উত্থিত চুলকানি চামড়া ফুসকুড়ি,

•জ্বর

•লাল চোখ

•শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া

•ঘাম

•সন্ধিস্থলে ব্যাথা

• মাংশপেশী ও মাথা ব্যাথা

•অবসাদগ্রস্ততা

•ক্ষুধামন্দা ও বমিবমি ভাব 


জটিলতা

•মারাত্মক পানিশূন্যতা

•শিশুর জন্মগত ত্রুটি, বিশেষ করে মাইক্রোসেফালি

•গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে গর্ভপাত এবং মৃতপ্রসব, সময়ের পূর্বে জন্ম

•জিকা-সম্পর্কিত মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত শিশুর চোখের সমস্যা, যেমন রেটিনা বা অপটিক নার্ভের ত্রুটি যা পরবর্তী জীবনে অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।

•শ্রবণ বৈকল্য

•তীব্র ছড়িয়ে পড়া এনসেফালোমাইলাইটিস (ADEM)

•Guillain-Barre সিন্ড্রোম

চিকিৎসা

জিকার নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা নেই। সাধারণত লক্ষণ অনুযায়ী জিকার চিকিৎসা দেয়া হয়। বেশিরভাগ মানুষ সাধারণত পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সহায়ক চিকিৎসার সাহায্যে সুস্থতা ফিরে পান। জিকা ভাইরাসের চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে:

•ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত পানীয় যেমন জল, ফলের রস, বাটারমিল্ক এবং নারকেল জল পান করুন।

•পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন কারণ সংক্রমণের কারণে ক্লান্তি এবং জ্বর হতে পারে।

•জ্বর ও ব্যাথা নাশক ঔষধ 

প্রতিরোধ 

• মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা

• অনিরাপদ যৌন মিলন থেকে বিরত থাকা

•জিকা প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে এমন এলাকায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকা।

•নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

Sunday, November 24, 2024

বেঙ্গল ক্যাট 🐈😺

বঙ্গদেশের জংলি বিড়াল ও মিশরের গৃহপালিত বিড়ালের মধ্যে প্রজনন ঘটিয়ে নুতন জাতের একটি বিড়াল প্রজাতির উদ্ভাবন করা হয়, যা বর্তমানে বেঙ্গল ক্যাট নামে পরিচিত। এটি বিশ্বে গৃহপালিত বিড়ালের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি জাত।

১৮৮৯ সাল থেকে বেঙ্গল ক্যাটের ইতিহাস পাওয়া গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের জিন মিল ১৯৬৩ সালে প্রথম এই ক্রস জাতের বিড়ালের উদ্ভাবন করেন। তাঁকেই বেঙ্গল ক্যাটের জননী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১৯৮০ সালে তিনি সফলভাবে বেঙ্গল ক্যাট জাতটি পুর্ণাঙ্গরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ১৯৮৬ সালে এটিকে নুতন জাতের বিড়াল হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়।




‌চিতা বা জাগুয়ারের মতো ডোরাকাটা চামড়ার একমাত্র বিড়াল বেঙ্গল ক্যাট নানা রঙের হয়ে থাকে। গায়ের লোম সাধারণত ছোট হয়ে থাকে। তবে পার্সিয়ান ক্যাটের সঙ্গে প্রজননের ফলে লম্বা লোমের বেঙ্গল ক্যাটও দেখা যায়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বেঙ্গল ক্যাট পৃথিবীর বহু দেশে গৃহপালিত পশু হিসেবে নিষিদ্ধ ছিল। চতুর্থ প্রজন্মের পর থেকে বেঙ্গল ক্যাট পৃথিবীর সকল দেশেই আইনগত ভাবে পোষা প্রাণী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বেঙ্গল ক্যাট এখন পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় পোষা বিড়াল হিসেবে বিড়াল প্রেমীদের কাছে খুবই চাহিদাসম্পন্ন।

#cat #pet #petlovers #petcare #animallover

Avoid using Retinol & Vit C combination

 #SkinCare  At present the technique of layering are trending among skincare users. The trend was adopted due to the belief that could make ...