Saturday, June 14, 2025

অ্যানোফাইল্যাকটিক শক: কারণ, প্রক্রিয়া ও করণীয়

 কিছু জিনিস মানবদেহে একধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যা অ্যালার্জি নামে পরিচিত। সাধারণত এই অ্যালার্জি হালকা ধরনের হয়—ত্বকে চুলকানি, হাঁচি-কাশি, চোখে পানি ইত্যাদি। তবে কখনো কখনো শরীর এতোটাই অতিমাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখায় যা জীবনহানির কারণ হতে পারে। এই অবস্থাকেই অ্যানোফাইল্যাকটিক শক বলা হয় (Anaphylactic Shock)।

🌿 এই শক কী?

অ্যানোফাইল্যাকটিক শক হলো শরীরের মাত্রাতিরিক্ত অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া, যা খুবই দ্রুত ঘটে এবং একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে একসাথে আক্রমণ করে। এতে শ্বাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে, রক্তচাপ খুব কমে যায়, এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে যদি সময়মতো চিকিৎসা না হয়।


⚠️ কী কী জিনিসে এমন প্রতিক্রিয়া হতে পারে?

অ্যানোফাইল্যাকটিক শকের প্রধান কারণগুলো হলো:

🐝 মৌমাছি বা বোলতা কামড়

🥜 বাদাম বা দুধজাত খাবারে অ্যালার্জি (বিশেষ করে চিনাবাদাম, গরুর দুধ, ডিম, সামুদ্রিক মাছ)

💉 কিছু ওষুধ (যেমন: পেনিসিলিন জাতীয় অ্যান্টিবায়োটিক)

💉 রক্ত বা ইনজেকশনের প্রতিক্রিয়া

🌾 ধুলাবালি, ছত্রাক বা ফুলের রেণু

 🏋️‍♀️ কখনো কখনো শারীরিক ব্যায়ামের সঙ্গে মিলে খাবারও শক ডেকে আনতে পারে


🔬 কীভাবে এই শক কাজ করে (প্রক্রিয়া)?

যখন শরীর কোনো উপাদানকে "বিপজ্জনক" ভেবে ফেলে (যদিও সেটা আদতে ক্ষতিকর নয়), তখন ইমিউন সিস্টেম বা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইমিউনোগ্লোবিন ই (IgE)‌নামের একটি অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এর ফলে শরীর থেকে হিস্টামিন ও অন্যান্য রাসায়নিক দ্রুত নির্গত হয়। এই হিস্টামিন শরীরের:

* রক্তনালিগুলোকে প্রসারিত করে দেয় (রক্তচাপ পড়ে যায়)

* শ্বাসনালির চারপাশ ফুলে যায় (শ্বাস কষ্ট হয়)

* হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয়ে যায়

* ত্বকে ফুসকুড়ি বা র‌্যাশ দেখা দেয়

সব মিলিয়ে এক ধরণের সিস্টেমিক রিঅ্যাকশন , অর্থাৎ পুরো শরীর সমন্বিত প্রতিক্রিয়া দেখায়।


🚨 লক্ষণগুলো কী রকম?

* গলা বা জিভ ফুলে শ্বাস নিতে কষ্ট

* হঠাৎ মাথা ঘোরা, অজ্ঞান হওয়া

* চামড়ায় লালচে দাগ, ফুসকুড়ি, চুলকানি

* রক্তচাপ দ্রুত পড়ে যাওয়া

* বমি, পেট ব্যথা বা পাতলা পায়খানা

* চোখ-মুখে পানি, নাক দিয়ে জল পড়া

* অনেক সময় শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়

এই লক্ষণগুলো সাধারণত পোকামাকড়ের সংস্পর্শ/ দংশন বা অ্যালার্জেন প্রবেশের কয়েক মিনিটের মধ্যেই দেখা দেয়।

🩺 কি করণীয়?

√প্রথমে জরুরি পরিষেবায় ফোন (৯৯৯)

√EpiPen (ইপিনেফ্রিন ইনজেকশন) থাকলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োগ করতে হবে

√আক্রান্ত ব্যক্তিকে শুইয়ে দিতে হবে, তবে শ্বাস কষ্ট থাকলে আধা বসা অবস্থাই ভালো

√নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে গেলে **CPR শুরু** করতে হবে

√চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে হাসপাতাল পর্যন্ত নিতে হবে, কারণ দ্বিতীয়বার শক (biphasic reaction) হওয়ার ঝুঁকি থাকে।


🛡️ প্রতিরোধই মূল উপায়

√যাদের এমন অ্যালার্জি আছে, তাদের সবসময় EpiPen সঙ্গে রাখা উচিত

√অ্যালার্জি পরীক্ষা করিয়ে জানা দরকার কী কী উপাদানে প্রতিক্রিয়া হয়

√মেডিকেল আইডি ব্রেসলেট ব্যবহার করা ভালো

√পোকামাকড়ের আশপাশ এড়ানো, সন্দেহজনক খাবার খাওয়ার আগে নিশ্চিত হওয়া

√ নতুন ওষুধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসককে জানানো


🔍অ্যানোফাইল্যাকটিক শক মারাত্মক কিছু নয়—এমন ভুল ধারণাই মারাত্মক হতে পারে। মনে রাখবেন এটি একটি জরুরি চিকিৎসা পরিস্থিতি। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপই জীবন বাঁচাতে পারে। তাই অ্যালার্জির প্রতি অবহেলা নয়, বরং সচেতনতা আর প্রস্তুতিই হোক রক্ষাকবচ।

---

Wednesday, June 4, 2025

সিঙ্গাপুর: জেলে পল্লী থেকে বৈশ্বিক ব্যবসা কেন্দ্র

আজকের সিঙ্গাপুরকে দেখে বোঝার উপায় নেই যে এক সময় এই এলাকাটা ছিল কেবল সমুদ্রঘেরা এক ছোট্ট মাছধরার গ্রাম, নাম ছিল তেমাসেক—অর্থাৎ, সমুদ্রঘেরা শহর। তখনও আকাশচুম্বী অট্টালিকা ছিল না, ছিল না প্রযুক্তির শাসন, ছিল জঙ্গল, কাদা আর কিছু ডিঙি নৌকা। তেমাসেক ছিল মালয় উপদ্বীপের এক কোণায় অবস্থিত একটা ছোট উপকূলীয় ঘাঁটি, যেটা ব্যবসার দিক থেকে ধীরে ধীরে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছিল। চীনের নাবিকেরা এর কথা লিখে গেছেন বহু আগে, বলেছিলেন—এখানে রাজা আছে, সৈন্য আছে, কিন্তু স্থায়িত্ব নেই। কখনও থাই রাজ্যের দখলে, কখনও জাভার মজাপাহিতদের হাতে।


১৩শ শতকের দিকে তেমাসেকে এসে পৌঁছান সুমাত্রার শ্রীবিজয়া রাজবংশের রাজপুত্র সং নিলা উৎমা। বর্ণনামতে, একদিন তিনি জঙ্গলের ধারে এমন এক প্রাণী দেখলেন—দাঁড়ানো, সজাগ, চোখে হিংস্র দীপ্তি—যা তিনি সিংহ ভেবে নিলেন। সেই বিভ্রম থেকেই এল নাম—সিংহপুর, অর্থাৎ সিংহের শহর। যদিও বাস্তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কখনও সিংহ ছিল না, তবু এই নামটাই রয়ে গেল কালের পর কালে, পরে সংক্ষিপ্ত হয়ে দাঁড়াল—সিঙ্গাপুর।

পরবর্তী কয়েকশো বছর সিঙ্গাপুর কেবল এক দ্বীপ হয়ে রয়ে যায়, যার কৌশলগত প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর নজরে ছিল সবসময়ই। মজাপাহিত, সুকোথাই, মালাক্কা সালতানাত—সবাই এক সময় না এক সময় এই জায়গার উপর আধিপত্য কায়েম করেছিল। এই দ্বীপে ১৫শ শতকে ইসলাম ও মালয় সংস্কৃতির ছোঁয়া এসে লাগে। কিন্তু ১৬শ শতকে পর্তুগিজরা মালাক্কা দখল করলে পুরো অঞ্চলটা পড়ে যায় অগোচরে। জনশূন্য, নিঃসঙ্গ এক দ্বীপে পরিণত হয় সিঙ্গাপুর, গুরুত্বও তখন কমে যায়।

এই নিস্তরঙ্গ পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে ১৮১৯ সালে। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি স্যার স্ট্যামফোর্ড র‍্যাফেলস সিঙ্গাপুরে পা রাখেন, এবং বুঝে ফেলেন—এটাই হতে পারে মালয় উপদ্বীপের সবচেয়ে কার্যকর সমুদ্রবন্দর। স্থানীয় সুলতানের সঙ্গে চুক্তি করে র‍্যাফেলস এখানে ব্রিটিশ বাণিজ্য কেন্দ্র গড়ে তোলেন। শুরু হয় ঔপনিবেশিক অধ্যায়, দ্রুতই সিঙ্গাপুর হয়ে ওঠে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত ঘাঁটি।  বানিজ্যিক ও সুমদ্রবন্দরের ব্যস্ততায় চীনা, মালয়, ও  ভারতীয় অভিবাসনের ঢলে পাল্টে যেতে থাকে দ্রুত গতিতে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান দখল করে নেয়। সেই যুদ্ধে ব্রিটিশদের আত্মসমর্পণ ছিল ঐতিহাসিক লজ্জার মুহূর্ত। যুদ্ধ শেষে আবার ব্রিটিশরা ফিরে আসে, শাসনের বৈধতা মানুষের মনে ফুরিয়ে যায়। ১৯৬৩ সালে ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভে করার পর মালয়েশিয়ার অংশ হিসেবে কিছুদিন ছিল। ১৯৬৫ সালে মালয়েশিয়া থেকে আলাদা হয়ে সার্বভৌম দেশ হয়।

স্বাধীনতার শুরুর দিনগুলো সহজ ছিল না—ছিল না কোন খনিজ সম্পদ, নেই খাদ্য-নির্ভরতা, নেই পানীয় জলের নিজস্ব উৎস। চারদিকে শুধু অনিশ্চয়তা আর চ্যালেঞ্জ। কিন্তু তখনকার প্রধানমন্ত্রী লি কুয়ান ইউর নেতৃত্বে দেশটি এক অনন্য পরিকল্পনামাফিক উত্থানের পথে হাঁটে। রাষ্ট্র-পরিচালনার কঠোরতা, প্রশাসনিক দক্ষতা, শিক্ষা আর প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার ফলে সিঙ্গাপুর হয়ে ওঠে এক অলৌকিক রাষ্ট্র—যেখানে শৃঙ্খলা মানে উন্নতি, আর পরিচ্ছন্নতা মানে সম্মান।

আজকের সিঙ্গাপুর বিশ্ব বাণিজ্যের এক বিশাল কেন্দ্র, যেখানে মালয়, চীনা, ভারতীয় ও পাশ্চাত্যের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে এক বহুসাংস্কৃতিক সমাজ। এককালে যাকে সিংহপুর নামে কল্পনার রাজ্যে ঠাঁই দেওয়া হয়েছিল, সেই শহর আজ বাস্তবেই দাঁড়িয়ে আছে আধুনিক সভ্যতার এক মডেল হিসেবে। রাজপুত্রের কল্পিত সিংহ একদিন হয়তো ছিল না, কিন্তু আজকের সিঙ্গাপুর নিজেই এক বাঘা শক্তি—একদম বাস্তব, একদম অদম্য।

---

#SingaporeHistory #ColonialToModern #MRKR  #SoutheastAsiaTales #সিংহপুর\_থেকে\_সিঙ্গাপুর #singapore #trend #viralpost #photo #history

Tuesday, June 3, 2025

কারি, ফিশ অ্যান্ড চিপসেরও আগে ব্রিটেনে এসেছিল!

অনেকেই মনে করেন ফিশ অ্যান্ড চিপসই বুঝি ব্রিটেনের আসল খাবার। কিন্তু একটু পেছনে তাকালে দেখা যাবে, তারও আগে ব্রিটেনের রান্নাঘরে জায়গা করে নিয়েছিল ভারতীয় **কারি**। আর এই কারির গল্পটা জড়িয়ে আছে ব্রিটিশদের উপনিবেশ চালানোর সময়ের সঙ্গে—বিশেষ করে তখনকার ভারতের সঙ্গে।


১৭০০ সালের দিকে যখন ব্রিটিশ সেনা, অফিসার আর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ব্যবসায়ীরা ভারতে কাজ করতে যেত, তখন তারা এখানকার ঝাল-মশলাদার খাবারে একেবারে মজে যেত। ফিরে এসে তারা এই স্বাদ সঙ্গে করে ব্রিটেনে নিয়ে যায়। তখন থেকেই ব্রিটিশদের মধ্যে কারির প্রতি আগ্রহ বাড়তে থাকে।

এই আগ্রহ থেকেই ১৮১০ সালে লন্ডনে চালু হয় **Hindoostane Coffee House**, ব্রিটেনের ইতিহাসে প্রথম কারি রেস্তোরাঁ। এটি চালু করেছিলেন একজন ভারতীয়, নাম ছিল **সাকি ডিন মহম্মদ**। তিনি একসময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতেও কাজ করতেন। তাঁর এই রেস্তোরাঁয় লন্ডনের মানুষ প্রথমবারের মতো ভারতীয় খাবারের স্বাদ নিতে শুরু করে।

আর ফিশ অ্যান্ড চিপস? সেটা তো এল আরও অনেক পরে, ১৮৬০-এর দশকে। ভাজা মাছের ধারণা এসেছিল সেফার্দিক ইহুদি অভিবাসীদের থেকে। আর চিপস, মানে ভাজা আলু, জনপ্রিয় হয় যখন ব্রিটেনে আলুর চাষ বেড়ে যায় আর বড় করে ভাজার কৌশল আসে। এই দুইয়ের মিলনেই তৈরি হয় বিখ্যাত ফিশ অ্যান্ড চিপস।

এই খাবারটা খুব সহজ, সস্তা আর খেতে বেশ ভাল, তাই দ্রুতই **শ্রমজীবী মানুষের পছন্দের খাবার** হয়ে ওঠে। কেউ বলে লন্ডনে প্রথম শুরু হয়, আবার কেউ বলে উত্তর ইংল্যান্ডের কোনো শহরে।

কিন্তু এখানেই কারির গল্প থামে না। বরং ২০ শতকে যখন ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে প্রচুর মানুষ ব্রিটেনে গিয়ে বসবাস শুরু করলেন, তখন কারির রঙ, ঘ্রাণ আর স্বাদ আরও জোরে ঢুকে পড়ে ব্রিটিশ রান্নাঘরে। শুধু বিরিয়ানি বা কোরমা নয়, **চিকেন টিক্কা মাসালা** নামের একটা খাবার তো আজকাল অনেকেই ব্রিটিশদের জাতীয় খাবার বলে মনে করেন।

সত্যি বলতে কি, কারি কখনোই “বিদেশি” ছিল না ব্রিটেনে। এটা তো **ফিশ অ্যান্ড চিপসেরও আগেই** মানুষের পছন্দের খাবারে পরিণত হয়েছিল। এখন যখন কেউ বলে “ব্রিটিশ খাবার”, তখন শুধু ভাজা মাছ বা আলু না—সঙ্গে থাকে কারিও, ইতিহাসের একটা পুরনো ঝাঁঝ আর রসনার এক টুকরো গল্প।---

#কারির\_গল্প #ফিশঅ্যান্ডচিপস #ব্রিটিশখাবারেরইতিহাস #সাকিডিনমহম্মদ #টিক্কামাসালাইসব্রিটিশ #MRKR #food

Sunday, June 1, 2025

২০২৫ সালে আবারও #COVID19 ফিরছে – সাবধান হতে হবে এখন

 🌍বিশ্বজুড়ে আবারও COVID-19-এর সংক্রমণ বাড়ছে। নতুন একটি ওমিক্রন সাবভ্যারিয়েন্ট, NB.1.8.1, দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অঞ্চলে। এটি ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে চীনে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল। তারপর থেকে দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি, এবং বর্তমানে এটি ২২টি দেশে শনাক্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপের  কয়েকটি দেশ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) NB.1.8.1-কে "Variant Under Monitoring (VUM)" হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যদিও এটি পূর্ববর্তী ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় বেশি গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করছে না, তবে এর দ্রুত সংক্রমণ ক্ষমতা এবং ইমিউন সিস্টেমকে এড়িয়ে যাওয়ার সক্ষমতা বিশেষজ্ঞদের উদ্বিগ্ন করছে ।

🇨🇳 চীনে NB.1.8.1 ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত বিস্তার ঘটছে, যা জরুরি কক্ষ পরিদর্শন এবং হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধির কারণ হয়েছে। এটি বর্তমানে চীন, হংকং এবং জাপানে প্রধান ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এই ভ্যারিয়েন্টটি পূর্ববর্তী ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় আরও সংক্রামক হতে পারে এবং ইমিউন সিস্টেমকে এড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা থাকতে পারে।

🇮🇳 ভারতে COVID-19-এর সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে সক্রিয় কেসের সংখ্যা ২৫৭ থেকে বেড়ে ৩,৩৯৫-এ পৌঁছেছে। কেরালা রাজ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও দিল্লি, কর্ণাটক এবং উত্তরপ্রদেশেও নতুন কেস ও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন যে, জনসাধারণের মধ্যে টেস্ট করানোর আগ্রহ কমে যাওয়ায় (test fatigue) সংক্রমণ শনাক্তকরণে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়া, ঘনবসতিপূর্ণ ও খারাপভাবে বায়ু চলাচলহীন জায়গাগুলোতে ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাড়তি সতর্কতা প্রয়োজন ।


🇺🇸 যুক্তরাষ্ট্রেও NB.1.8.1 ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। ওয়াশিংটন রাজ্যে বিমানবন্দরের স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত কেসের সংখ্যা কম, তবে বিশেষজ্ঞরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন ।

🇪🇺 ইউরোপেও NB.1.8.1 ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল ২০২৫-এর শেষ সপ্তাহে ইউরোপীয় অঞ্চলে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি ৬.০% ছিল, যা পূর্ববর্তী চার সপ্তাহের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। যদিও ইউরোপে এই ভ্যারিয়েন্টের কারণে গুরুতর অসুস্থতার হার বৃদ্ধি পায়নি, তবে এর দ্রুত সংক্রমণ ক্ষমতা এবং ইমিউন সিস্টেমকে এড়িয়ে যাওয়ার সক্ষমতা বিশেষজ্ঞদের উদ্বিগ্ন করছে।

🧬 NB.1.8.1 ভ্যারিয়েন্টের বৈশিষ্ট্য

👉এতে অতিরিক্ত স্পাইক মিউটেশন রয়েছে, যা এটিকে আরও সংক্রামক করে তুলেছে।

👉 বেশি ইমিউন-এভেসিভ (মানে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে)

👉 তবে এখনো গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করে নাই।


🇧🇩 বাংলাদেশের করণীয়

বাংলাদেশে এখনও NB.1.8.1 ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়নি। তবে বিশ্বজুড়ে এর দ্রুত বিস্তার এবং প্রতিবেশী দেশগুলিতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তা।

✅ সীমান্তে স্ক্রিনিং জোরদার করা

✅ টিকা কার্যক্রম আবার ঝালিয়ে নেওয়া, বিশেষ করে বুস্টার ডোজ

✅ মাস্ক, দূরত্ব, হাত ধোয়া – পুরনো নিয়ম আবার ফিরিয়ে আনা

✅ হাসপাতাল প্রস্তুত রাখা – ওষুধ, অক্সিজেন যেন সংকট না হয়

✅ গবেষণা চালানো ও তথ্য পর্যবেক্ষণ করে আগেভাগেই ব্যবস্থা নেয়ার ব্যবস্থা করা।

🛡️ ব্যক্তি পর্যায়ে করণীয়

✔️ আপডেটেড টিকা নেওয়া

✔️ জনবহুল জায়গায় মাস্ক পরিধান করা

✔️ ঘরে বায়ু চলাচল নিশ্চিত করা

✔️ উপসর্গ দেখলে দেরি না করে টেস্ট করা

✔️ অযথা ভয় নয়, কিন্তু সচেতন থাকতে হবে সবসময়।


🔚 COVID-19-এর নতুন ঢেউ আবারও স্মরণ করে দিচ্ছে যে, অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়নি। সকলের উচিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, টিকা গ্রহণ করা এবং সচেতন থাকা, যাতে আমরা এই সংকট মোকাবিলা করতে পারি। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা। যথাযথ প্রস্তুতি, সচেতনতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারি।

---

#HealthAwareness #health #pandemic #Trend #MRKR #viralpost #viralpost2025シ

Thursday, May 29, 2025

বিড়াল কিভাবে মুখ চেনে?

 বিড়াল চেনে, ভালোবাসে, অভ্যস্ত হয়—কিন্তু মানুষের মতো করে মুখ দেখে নয়। তাদের দুনিয়ায় ঘ্রাণ, শব্দ ও অভ্যাসই মুখাবয়বের চেয়েও বড় পরিচয়পত্র।

গবেষণায় দেখা গেছে, বিড়াল তার মালিকের মুখাবয়বের পরিবর্তন বুঝতে খুব একটা দক্ষ নয়। মালিক মুখে হেসেছে না কেঁদেছে, বা চুল কেটেছে—এসব পরিবর্তন তাদের চোখে খুব একটা ধরা পড়ে না। কিন্তু মালিকের গন্ধ, পায়ের শব্দ, হাঁটার ভঙ্গি, বা ডাকের টোন বদলালে তারা সঙ্গে সঙ্গে টের পায়—এমনকি একটু অস্বাভাবিকতা থাকলেও বিরক্তি বা দ্বিধা প্রকাশ করে।


গন্ধেই মুখ চেনার কাজটা সেরে ফেলে

বিড়ালের ঘ্রাণশক্তি মানুষের চেয়ে প্রায় ১৪ গুণ বেশি সংবেদনশীল। প্রতিদিনের জামাকাপড়, শরীর, চুলের ঘ্রাণ, ঘরের পরিবেশ—সব কিছুই তারা আলাদা করে চিনে রাখে।

একটু অন্য রকম সাবান ব্যবহার করা হলেও অনেক সময় বিড়াল বিরক্তি প্রকাশ করে বা এড়িয়ে চলে।

চেনে কণ্ঠস্বর আর চলার শব্দ

বিড়ালের নাম ধরে ডাকলে না ফিরলেও, চেনা কণ্ঠে কান খাড়া করে। কার কখন ঘরে ফেরা, কার পায়ের শব্দ কেমন—সব কিছু দিনের পর দিন মনে রেখে চেনার তালিকা তৈরি করে ফেলে।

অভ্যাস দিয়ে গড়ে তোলে নীরব মানচিত্র

প্রতিদিনের রুটিন—কে কখন ঘুমায়, খাবার দেয়, জানালা খুলে দেয়, মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়—এসবই বিড়ালের কাছে পরিচয়ের চাবিকাঠি। মুখ নয়, আপনজনের আচরণে দিয়ে বিড়াল চিনতে পারে।

চোখে চোখ নয়, শরীরের ভাষায় সম্পর্ক

বিড়াল সরাসরি চোখে চায় না, কিন্তু পাশে গা ঘেঁষে বসে। কখনও মাথা ঠেকায়, কখনও পিঠ ফিরিয়ে দিয়ে পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়ে। এটাই সবচেয়ে গভীর ভরসার প্রকাশ। চেনা না হলে এমন আস্থা প্রকাশ করে না।

চেনার চূড়ান্ত রূপ: নির্ভরতা

ঘুমের সময় পাশে এসে শোয়া, ভয় পেলে কোলে লাফিয়ে ওঠা, খুশি হলে ঘাড়ে উঠে পড়া, এসবই বলে দেয়, বিড়ালের কাছে সেই মানুষটি পরিচিত।


বিড়ালের চেনা মানে শুধু দেখা বা ডাকা নয়। গন্ধ, অভ্যাস, কণ্ঠস্বর আর নির্ভরতার বন্ধনে তৈরি হয় এমন এক সম্পর্ক, যেটা নীরব—কিন্তু মিথ্যা নয়।


#বিড়াল #প্রাণীচিন্তা #ঘরোয়াপশু #বিড়ালেরআচরণ #পোষাপ্রাণী #CatLanguage #MRKR

শামুকের লালারস থেকে তৈরি প্রসাধনী: প্রাকৃতিক যত্নের নতুন দিগন্ত

প্রাকৃতিক উপাদানভিত্তিক ত্বক পরিচর্যা সামগ্রীর প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। এই ধারা থেকে আবিস্কৃত হয়েছে নতুন ও অপ্রচলিত উপাদান ব্যবহার করে তৈরি নানা প্রসাধনী। তবে এগুলোর মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় এক উপাদান হলো **শামুকের লালারস** (Snail Mucin)। এক সময় যা গা শিউরে ওঠার মতো শোনা যেত, এখন তা হয়ে উঠেছে ত্বকের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী এক উপাদান।

শামুকের লালারস কী?

শামুক চলার পথে যে পিচ্ছিল ও আঠালো পদার্থ বের করে, সেটিই মূলত লালারস বা mucin। এটি শামুকের ত্বক ও খোলস রক্ষা করে, নিজেকে আর্দ্র রাখে এবং ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই লালায় থাকে:

•হায়ালুরোনিক অ্যাসিড (Hyaluronic Acid)

•গ্লাইকোলিক অ্যাসিড (Glycolic Acid)

•এন্টি-অক্সিডেন্টস

•এলার্জি প্রশমক পেপটাইডস

•কপার পেপটাইড, জিংক, প্রোটিন ইত্যাদি

এসব উপাদান ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা, কোষ পুনর্জন্ম, দাগ ও বলিরেখা কমানো, এবং ক্ষত সারানোর জন্য দারুণ কার্যকর।


প্রসাধনী শিল্পে ব্যবহার

২০০০-এর দশকের শুরুতে দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু বিউটি ব্র্যান্ড শামুকের লালারসকে প্রসাধনীতে ব্যবহার করতে শুরু করে। বর্তমানে এটি সিরাম, ময়েশ্চারাইজার, আই ক্রিম, শিট মাস্ক, সাবান এবং ক্লিনজারে ব্যবহৃত হচ্ছে। K-beauty (Korean beauty) ট্রেন্ডের মাধ্যমে এই উপাদান বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এটির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

যাদের হাইপারপিগমেন্টেশন, ব্রণের দাগ, রুক্ষ ও শুষ্ক ত্বক, অথবা বলীরেখা রয়েছে, তাদের জন্য শামুক লালারস সমৃদ্ধ পণ্যের কার্যকারিতা গবেষণায় প্রমাণিত।

উপকারিতা

•ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে

•ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়

•ক্ষত ও দাগ হালকা করে

•প্রাকৃতিকভাবে ত্বক পুনর্গঠনে সাহায্য করে

•বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে

•কোমল ও অ্যালার্জি-সহনশীল

ব্যবহার ও সতর্কতা

যদিও অধিকাংশ মানুষের জন্য শামুক mucin নিরাপদ, তবুও যাদের সংবেদনশীল ত্বক আছে, তাদের বিশেষজ্ঞ পরামর্শে  প্রথমে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া উচিত। এছাড়াও বাজারে অনেক ভেজাল পণ্য রয়েছে, তাই নামীদামি ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করাই উত্তম।

শামুকের লালারস থেকে তৈরি প্রসাধনী সামগ্রী এখন বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত ও বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যেই। প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বককে সুন্দর ও সুস্থ রাখতে চাইলে এটি বিকল্প হতে পারে। ভবিষ্যতে এই উপাদান নিয়ে গবেষণা হয়তো আরও নতুন ও বিস্ময়কর কার্যকারিতা প্রমাণিত হতে পারে।

#health #skincare #beauty #skincareproducts #trend #viralpost #MRKR #cosmetics

Tuesday, May 27, 2025

তালের শাঁস : গ্রীষ্মের কোমল ছোঁয়া

 বাংলার গ্রামীণ জনপদে গ্রীষ্ম এলেই তালগাছের মাথায় পাকা তালের ঝাঁক চোখে পড়ে। গরমের রুক্ষতা ও ক্লান্তির ভেতর থেকে আসে ঠান্ডা, কোমল এক স্বস্তি—তালের শাঁস।

গ্রীষ্মের অন্যতম একটি আরামদায়ক ফল হচ্ছে কাঁচা তাল অর্থাৎ তালের শাঁস। গরমে কাঁচা তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার হিসেবে পরিচিত। তালের শাঁস খেতে অনেকটা নারকেলের মতই। 

তালগাছের ফল তাল। একটি পাকা তালের ভেতরে থাকে তিনটি করে বীজ বা আঁটি। কাঁচা অবস্থায় প্রতিটি আঁটির ভেতরে যে অর্ধস্বচ্ছ, হালকা জেলির মতো সাদা অংশ পাওয়া যায়, সেটাই হচ্ছে তালের শাঁস। এটি খেতে ঠান্ডা, হালকা মিষ্টি, ও খুব কোমল।



মিষ্টি স্বাদের মোহনীয় গন্ধে ভরা প্রতি ১০০ গ্রাম তালের শাঁসে রয়েছে ৮৭ কিলোক্যালরি, জলীয় অংশ ৮৭.৬ গ্রাম, ৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, আমিষ ০.৮ গ্রাম, ফ্যাট ০.১ গ্রাম, কার্বোহাইড্রেটস ১০.৯ গ্রাম, খাদ্যআঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, লৌহ ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন .০৪ গ্রাম, রিবোফাভিন .০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম, ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম। এসব উপাদান শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা করাসহ রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

জেলির মতো স্বচ্ছ, কোমল, হালকা-মিষ্টি তালের শাঁস শুধু স্বাদের জন্য নয় বরং এর রয়েছে অবিশ্বাস্য পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা।

>> তালের শাঁস প্রাকৃতিকভাবে দেহকে রাখে ক্লান্তিহীন।

>> গরমের তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানিশূন্যতা দূর করে।

>> খাবারে রুচি বাড়িয়ে দিতেও সহায়ক।

>> তালে থাকা ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে।

>> তালে থাকা উপকারী উপদান ত্বকের জন্য উপকারী।

>> তালের শাঁস লিভারের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

>> তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দূরীকরণে দারুণ ভূমিকা রাখে।

>> তালের শাঁসে থাকা ক্যালসিয়াম হাঁড় গঠনে দারুণ ভূমিকা রাখে।

>> তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

>> তালে থাকা ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স আপনার পানি পানের তৃপ্তি বাড়িয়ে দেয়।

>> তাল বমিভাব আর বিস্বাদ দূর করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


সতর্কতা: ধুলাবালি বা জীবাণু এড়িয়ে চলার জন্য খোলা জায়গা থেকে কেনা তালের শাঁস ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়া উচিত।

বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ: জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক এক হুমকি!

 🧬অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কারের পর থেকে মানবসভ্যতা যেন এক নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। আগে যেসব সংক্রমণে মানুষ মৃত্যুবরণ করত, সেগুলো অ্যান্টিবায়ো...