শ
ঈদ উপলক্ষে আগামী ১০ মে থেকে শপিং মল এবং দোকানপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চলমান কোভিড ১৯ মহামারীতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসার বের হওয়াতেই যখন সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, সেখানে কেনাকাটা করার জন্য শপিং মল বা মার্কেটে গেলে সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে অবশ্যই। উপসর্গ ছাড়া আপাতদৃষ্টিতে সুস্থ কোভিড ১৯ আক্রান্ত অনেকেই কেনাকাটা করতে আসবেন। তাদের মাধ্যমে কোভিড ১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে খুব সহজেই। আসুন জেনে নেই কিভাবে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।
*রিকশা, ট্যাক্সি ইত্যাদি #যানবাহনের মাধ্যমে কারণ আপনি যেটিতে সওয়ার হয়ে যাতায়াত করছেন সেটি কিছুক্ষণ আগে হয়তো কোন কোভিড ১৯ আক্রান্ত রোগীকে বহন করেছে।
*মানুষের ভিড়ে শপিং মলের এসি, টয়লেট, লিফট, ফুডকোর্ট, এটিএম, টাকা পয়সা লেনদেনের সময় সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
*আপনি ট্রায়ালের জন্য যে পোশাকটি গায়ে তুলেছেন সেটিও হয়তো কোন কোভিড ১৯ রোগী ট্রায়াল দিয়ে থাকতে পারে কিছুক্ষণ আগে।
*দরদাম করে কেনাকাটায় অভ্যস্ত বাংলাদেশের মানুষ বিস্তার কথাবার্তা বলে থাকে। দোকানের বদ্ধ পরিবেশে যেটি #আ্যরোসল পদ্ধতিতে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বৈকি।
*শপিং এবং ভ্যানিটি ব্যাগ থেকেও সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
#সতর্কতা
মহামারী চলাকালীন সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে স্বশরীরে কেনাকাটা না করে অনলাইনে শপিং করতে পারেন। মার্কেটে কেনাকাটা করতে গেলে সাথে স্যানিটাইজার রাখুন, ফেসমাস্ক ব্যবহার করুন। বর্ণিত যে কোন কাজ করার সাথে সাথেই স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করুন। মনে রাখবেন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসার বের হয়ে আপনি পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যকে সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলছেন। মহামারীর সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের নেয়া পদক্ষেপের পাশাপাশি ব্যক্তি সচেতনতাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করুন, নিজে সুস্থ থাকুন অন্যকেও সুস্থ থাকতে সহায়ক ভূমিকা পালন করুন।
লেখক:
ত্বক, সৌন্দর্য এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ
হটলাইন: ০১৮৬৭৭১১৭৯৩
No comments:
Post a Comment