Sunday, May 31, 2020

মহামারি পরিবেশে নুতন স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনের কয়েকটি জরুরি অনুসঙ্গ


চলমান কোভিড মহামারি কতোদিন স্থায়ী হতে পারে সেটি এখনও নিশ্চিত করে বলা যায় না। আবার মানুষের জীবন জীবিকাও মহামারির কারণে দীর্ঘদিন থেমে থাকলে চলবে না। সেজন্যই মহামারি নিয়ন্ত্রণে লকডাউনের পর আবারও ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে মানুষ। তবে মহামারি চলাকালে সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনে পরিবর্তন করতে হবে অবশ্যই। যেটি এখন নুতন স্বাভাবিক বা #NewNormal হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কতা হিসেবে এই নুতন স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনে কিছু বাড়তি জিনিস সঙ্গে রাখতে হবে: *ফেসমাস্ক: রেডিমেড মাস্কের চেয়ে সুতি কাপড়ে ২/৩ লেয়ার দিয়ে কয়েকটি তৈরি করে নিতে পারেন। এগুলো ডিটারজেন্টে পরিস্কার করে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। পরিধান করাটি ছাড়াও অতিরিক্ত ২/১টি সাথে রাখুন। *স্যানিটাইজার: সব জায়গায় সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা অন্তত বাংলাদেশে আশা করা যায় না। তাই স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন। *ফেসশিল্ড/সানগ্লাস: যারা সার্বক্ষণিক চশমা ব্যবহার করেন তাদের ফেসশিল্ড ব্যবহার না করলেও চলে, তবে বাড়তি সতর্কতা হিসেবে পরিধান করলে অসুবিধা নেই। বাজারে এখন নানা ধরনের ফেসশিল্ড পাওয়া যাচ্ছে। *ভেজা আ্যন্টি সেপটিক টিস্যু: বাহিরে কোন কিছু স্পর্শ করার আগে মোছার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। স্যানিটাইজারও মোছার কাজ করতে পারে অবশ্যই। *চামচ/কাটাচামচ, গ্লাস, প্লেট: বাহিরে খাওয়া দাওয়া করতে ব্যবহার করতে পারেন। আজকাল এগুলো ডিসপোজাবল হিসেবে পাওয়া যায়। *হেলমেট: যারা ভাড়ায় চালিত মোটরবাইকে যাতায়াত করেন তাদের নিজস্ব হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। *জায়নামাজ: যারা নামাজ পড়েন তাদের নিজস্ব জায়নামাজ সঙ্গে রাখতে হবে। লেখক: চিকিৎসক, ত্বক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ।

No comments:

বার্ধক্য প্রক্রিয়ায় ভিটামিনের ভূমিকা

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরবৃত্তীয় নানা ধরনের পরিবর্তন ঘটে, যাকে বার্ধক্য প্রক্রিয়া (aging process) বলা হয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় কোষের ক্ষ...