🧊🏺প্রাচীন পারস্যের মানুষ মরুভূমির মাঝে এমন বরফঘর বানিয়ে ফেলেছিল, যেখানে ৪৫ ডিগ্রি তাপেও বরফ গলে যেত না! এই চমৎকার কাঠামোর নাম ছিল ইয়াখচাল, ফারসিতে যার মানে “বরফের গর্ত”। খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ সালের দিকে পারস্যের দাশতে লুত আর দাশতে কাভির নামে দুটো প্রচণ্ড গরম মরুভূমিতে এগুলোর ব্যবহার শুরু হয়।
ইয়াখচালের গায়ে ছিল বিশাল এক শঙ্কু আকৃতির গম্বুজ। বানানো হতো একদম বিশেষ এক মিশ্রণ দিয়ে—যেটার নাম সারুজ। এতে থাকত বালু, মাটি, চুন, ছাই, ছাগলের লোম আর ডিমের সাদা অংশ! এই জিনিসটা এমনভাবে কাজ করত, গরম যতই হোক, ভেতরের ঠাণ্ডা বাইরে বেরোতেই পারত না।
ভেতরের দেয়াল নিচের দিকে ছিল প্রায় ছয় ফুট পুরু। নিচে বানানো হতো বিশাল এক গর্ত ৫,০০০ কিউবিক মিটার পর্যন্ত বরফ জমিয়ে রাখার জন্য। যা প্রায় দুইটা অলিম্পিক সুইমিং পুলের সমান!
এই ইয়াখচাল নিজেই বরফ তৈরি করতে পারতো! কানাত নামের একটা ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে পানি এনে ফেলা হতো পাশের অগভীর পুকুরে। রাতের দিকে মরুভূমির ঠাণ্ডায় পানি জমে যেত বরফে। সকালে শ্রমিকরা সেই বরফ কেটে এনে ইয়াখচালের ভেতরে রেখে দিত।
শুধু পুরু দেয়াল বা রাতের ঠাণ্ডা না, ইয়াখচালের মধ্যে একসঙ্গে কাজ করত একাধিক প্রাকৃতিক প্রযুক্তি—
☑️ বাতাসে বাষ্প হয়ে শীতল হওয়া (evaporative cooling)
☑️ রাতের আকাশে তাপ বিকিরণ হয়ে ঠাণ্ডা হওয়া (radiative cooling)
☑️ আর গম্বুজের মাথায় থাকা চিমনি দিয়ে গরম বাতাস বের করে দেওয়া (solar chimney effect)
সব মিলে ভিতরের তাপমাত্রা গ্রীষ্মেও হিমাঙ্কের নিচে থাকত।
ফলে তাতে খাবার রাখা যেত, পানি ঠাণ্ডা রাখা যেত, এমনকি ফালুদার মতো বরফঘরেই তৈরি হওয়া মিষ্টান্নও রাখা হতো!
আজও ইরানের অনেক জায়গায় এই বরফঘর দাঁড়িয়ে আছে।
এগুলো শুধু স্থাপত্যের নিদর্শন না—এগুলো প্রমাণ করে, বিজ্ঞান আর বুদ্ধির মেলবন্ধনে মানুষ হাজার বছর আগেও কী অসাধ্য সাধন করেছিল!
#QanatOfGonabad #PersianIngenuity #AncientWaterSystem #MRKR #viralpost #trend
#Qanat #PersianEngineering #SustainableWater #AncientWisdom #IranHistory #WaterInnovation
#AncientEngineering #Yakhchal #PersianInnovation
No comments:
Post a Comment