Sunday, March 17, 2024

চা ও কফি

 #চা_কফি 

চা এবং কফিতে ক্যাফেইন ও ট্যানিন নামে সক্রিয় পদার্থ থাকে। কফিতে ১.২% ক্যাফেইন এবং ৪.৬% ট্যানিন থাকে। অন্যদিকে চা'তে ২.৭% ক্যাফেইন এবং  ১১.২% ট্যানিন বিদ্যমান। 

সহনীয় মাত্রার ক্যাফেইন অলসতা দুর করে, কর্মস্পৃহা ও কাজের একাগ্রতা বাড়িয়ে দেয়। তবে বেশি মাত্রায় এটি মানসিক অস্থিরতা, ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হতে পারে। হৃদপিন্ডের গতি বাড়িয়ে দেয়।

শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান পরিপাকতন্ত্র থেকে শোষণ বাধাগ্রস্ত করে থাকে ট্যানিন। যেমন আয়রন বা লৌহ জাতীয় পদার্থ। যার কারণে আ্যনিমিয়া বা রক্ত শুন্যতা দেখা দিতে পারে।

মেলাটোনিন নামে একটি হরমোন ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়। ক্যাফেইন এই হরমোন তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যে কারনে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

ক্যাফেইন পাকস্থলীর এসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে এসিডিটি ও বুকজ্বালা পোড়া দেখা দিতে পারে। চা বেশিক্ষণ ধরে ফুটালে লেড ও আ্যলুমিনিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, যা শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

ক্যাফেইন শরীর চাঙ্গা করে বটে। তবে শরীরের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়টি মাথায় রেখে চা ও কফি গ্রহণ করা উচিত। সেক্ষেত্রে ঘন ঘন অতিরিক্ত চা বা কফি গ্রহণ থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে চা বা কফি পান করার অভ্যেস বাদ দেয়া উচিত।

#MRKR


Thursday, March 14, 2024

আল জাহরাউয়ি: শল্য চিকিৎসার জনক!

তাঁকে শল্য চিকিৎসার জনক বলা হয়ে থাকে। শিল্পকলা, সংগীত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জ্যোতির্বিদ্যা, দর্শন, গণিত বিষয়ে জ্ঞান আহরণ শেষে তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে থিতু হন এবং চিকিৎসক হিসেবে পেশাগত জীবন বেছে নেন। রাজ চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতেন তিনি। জেনারেল সার্জন থেকে তিনিই প্রথম আলাদাভাবে নিউরোসার্জন হয়ে উঠেছিলেন।

তিনি পদার্থ, রসায়ন ও চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেন। তবে ‘কিতাবুল তাসরিফ’ নামে ৩০ খন্ডের চিকিৎসা শাস্ত্রের গ্রন্থটি তাঁকে অমর করে রেখেছে। সার্জারি থেকে শুরু করে মেডিসিন, প্যাথলজি, ফার্মাকোলজি, অপথালমোলজি, অর্থোপেডিকস,দন্তবিজ্ঞান, পুষ্টিবিজ্ঞান, শিশু চিকিৎসা—সবই স্থান পেয়েছে এই গ্রন্থে।

এই গ্রন্থের সার্জারি খন্ডে দুই শতাধিক অস্ত্রোপচারের সচিত্র বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি, লিথোটমি, হাইড্রোকেফালাস ইত্যাদি সম্পর্কে তিনিই সর্বপ্রথম ধারণা দিয়েছিলেন। সর্বপ্রথম সফলভাবে দাঁত ট্রান্সপ্লান্ট করে দেখিয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি এমন বিশেষ কিছু সরঞ্জাম ও প্রায়োগিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন, যেগুলোর একটা বড় অংশ এখনো সার্জারিতে ব্যবহৃত হয়!

চিকিৎসা-বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদ ডোনাল্ড ক্যাম্পবেলের মতে, তাঁর চিকিৎসা পদ্ধতি এতটাই আধুনিক ছিল যে তখন ইউরোপীয় চিকিৎসকরা অন্ধের মতো অনুকরণ করতো তাঁকে। তাঁর দেখানো পথে চলেই ইউরোপে শল্যচিকিৎসা আজকের পর্যায়ে পৌঁছেছে!  ইউরোপিয়ান রেনেসাঁর সময়কালীন বিখ্যাত শল্যচিকিৎসক পিয়েত্রো আরগালাতা তাঁকে  শল্য চিকিৎসার মাষ্টার বলেছেন।

পাশ্চাত্যে #আবুলকাসিস নামে পরিচিত আবুল কাসিম খালাফ ইবনে আল আব্বাস আল জাহরাউয়ি, সংক্ষেপে আল জাহরাউয়ি ৯৩৬ খৃষ্টাব্দে আন্দালুসিয়ার (স্পেন) আজ-জাহরা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

#MRKR


Tuesday, February 20, 2024

পানিতে সন্তান প্রসব


পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ইদানিং বাথটাবে সন্তান জন্ম দেয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর বেশ কিছু অঞ্চলে নদী বা সুমদ্রে সন্তান প্রসবের সংস্কৃতি প্রচলিত রয়েছে অনেক আগে থেকেই। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ও ন্যাশনাল চাইল্ড বার্থ ট্রাষ্ট সন্তান জন্ম দেয়ার এই প্রক্রিয়া অনুমোদন দিলেও এখনো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই সেবা দেয়া শুরু করে নাই। তবে ধাত্রী বা চিকিৎসকের উপস্থিতিতে বাড়ি বা অন্য কোন সুবিধাজনক স্থানে তার চিকিৎসকের অনুমোদন সাপেক্ষে পানিতে সন্তান প্রসব করতে পারেন গর্ভবতী। এই সেবা দেয়ার জন্য বেশকিছু কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। পানির নিচে সন্তান প্রসবের পদ্ধতিটি চিকিৎসা পরিভাষায় ওয়াটার বার্থ নামে পরিচিত।

যে কোন গর্ভবতী চিকিৎসকের অধীনে নিয়মিত গর্ভকালীন পরীক্ষায় থেকে সাধারণভাবে সন্তান প্রসবে সক্ষম সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় এই পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন। প্রসব বেদনা উঠার পর গর্ভবতী বাথটাব বা সুইমিংপুলে স্থান নেন। ধাত্রীর উপস্থিতিতে স্বামী বা পরিবারের সদস্যরা বাথটাবের চারপাশে উপস্থিত থাকতে পারেন।

এই পদ্ধতিতে প্রসব বেদনার তীব্রতা তুলনামূলক কম হয়। এছাড়াও দুঃশ্চিন্তামুক্ত পারিবারিক আনন্দঘন পরিবেশে সন্তান জন্মলাভ করে। হাসপাতাল বা স্থাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবের সঙ্গে তুলনা করলে এই পদ্ধতির প্রধান সুবিধা হচ্ছে মানসিক চাপ মুক্ত পরিবেশ।


তবে প্রসবকালীন সময়ে জরুরী প্রয়োজনে হাসপাতালে স্থানান্তরের ঝুঁকি রয়েছে।

#MRKR

Monday, February 19, 2024

স্লিপ ডিভোর্স



কোন দম্পতি বিশেষ কারণে এক বিছানা বা রুমে না ঘুমালে সেটিকে স্লিপ ডিভোর্স বলা হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক তৃতীয়াংশ এবং যুক্তরাজ্যের এক চতুর্থাংশ দম্পতি এই বিশেষ ধরনের #ডিভোর্স জীবনযাপন করছেন। ঐতিহাসিকদের মতে এই ব্যবস্থা অতীতে খুব সাধারণ বিষয় ছিল। বিশেষ করে যাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ভালো ছিল, যেমন জমিদার বা রাজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। করোনা মহামারীর পর বর্তমানে এই ব্যবস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে।

নাক ডাকা, ঘুমের মাঝে হাত -পা নাড়ানো, স্লিপ ওয়াকিং, অর্থাৎ ঘুমের ঘোরে হাঁটার অভ্যাস বা শারীরিক সমস্যার কারণে তারা ঘনঘন বাথরুমে যাওয়ায় সঙ্গীর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বা বিরক্ত হতে পারে। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে স্লিপ ডিভোর্স পালন করা হয়ে থাকে। স্লিপ ডিভোর্স অসম্মানজনক নয়, বরং জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মুলত সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের কারণে।

ঘুম না হলে মেজাজ খারাপ হতে পারে। সঙ্গীর সাথে তর্কে জড়ানোর সম্ভাবনা তাদের বেশি থাকে। সঙ্গীর প্রতি বিরক্তি জন্মাতে পারে, যা দাম্পত্য সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া সহ আরো কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তবে স্লিপ ডিভোর্স পালনকারী দম্পতির সম্পর্ক, সান্নিধ্য বা পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক বিছানায় ঘুমানো দম্পতির মধ্যে যে জৈবিক বন্ধন সৃষ্টি হয় স্লিপ ডিভোর্সে তা ভেঙে যায়। তাছাড়া যারা একা ঘুমাতে পারেন না, তাদের জন্য ব্যবস্থাটি মেনে নেয়া কষ্টকর। কাজেই সম্পর্কে থাকা দুজনের সম্মতির ভিত্তিতে স্লিপ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত‌। সেটি না হলে স্থায়ী ডিভোর্সের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।

#MRKR

Sunday, January 21, 2024

ইষ্ট লন্ডন মসজিদ

 বৃটিশ


ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থাকলেও সাম্রাজ্যের রাজধানী লন্ডনে মুসলমানদের প্রার্থনা করার জন্য কোন মসজিদ ছিল না।  একটি মসজিদ স্থাপনের উদ্যোগ হিসেবে ১৯১০ সালের ৯ ডিসেম্বর লন্ডনে বসবাসকারী গণ্যমান্য মুসলিমরা রিজ হোটেলে মিলিত হয়ে 'লন্ডন মসজিদ ফান্ড' গঠন করেন। সেই মিটিংয়ে লন্ডনের প্রভাবশালী খৃষ্টান ও ইহুদি ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

'লন্ডন মসজিদ ফান্ড' গঠনে উল্লেখযোগ্য দাতাদের মধ্যে ছিলেন (হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর চাচা, অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের নানা শ্বশুর) ডা: হাসান সোহরাওয়ার্দী, সৈয়দ আমীর আলী, তৃতীয় আগা খাঁন প্রমুখ। খৃষ্টান ধর্মের ইতিহাসবিদ টি. ডাব্লিও আরনল্ড এই ফান্ডের সচিব এবং হাসান সোহরাওয়ার্দী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। স্যার জন উডহেডকে কোষাধক্ষ্যের দায়িত্ব দেয়া হয়। এছাড়াও ইউরোপের ধনাঢ্য ইহুদি পরিবার এবং ব্যাংকিং জগতের পথিকৃৎ রথচাইল্ড পরিবারের নাথান রথচাইল্ডকে ট্রাষ্টি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

এই ফান্ডের সহায়তায় ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত লন্ডনের বিভিন্ন স্থান ভাড়া নিয়ে জামায়াত ও জুমার নামাজ আয়োজন করা হতো। ১৯৪০ সালে পুর্ব লন্ডনে জমি ক্রয় করা হয় এবং ১৯৪১ সালের ২ আগষ্ট 'ইষ্ট লন্ডন মসজিদ ' উদ্বোধন করা হয়।

১৯৮৫ সালে সৌদি আরব, কুয়েত ও বৃটিশ সরকারের অর্থ সহায়তায় পুর্নাঙ মসজিদ ও মুসলিম কাউন্সিল কমপ্লেক্সের নির্মাণ শেষ হয়। ২০০১ ও ২০০৯ সালে মসজিদের আরো সংস্কার ও সম্প্রসারন কাজ করা হয়। বর্তমান মসজিদটি ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ। একসঙ্গে কমবেশি ৭ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে ইষ্ট লন্ডন মসজিদে।

Tuesday, October 17, 2023

হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ: আতঙ্ক নয় সচেতনতা দরকার

বাংলাদেশের সর্বত্র হ্যান্ড ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (HFMD) ছড়িয়ে পড়েছে। শিশুরা বেশি আক্রান্ত হওয়ার কারণে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন‌। ভাইরাসজনিত এই রোগটি ইতোপূর্বে  আমাদের দেশে বেশি পরিলক্ষিত হতো না। মূলত শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, তবে যে কোন বয়সীরা এই রোগ আক্রান্ত হতে পারেন। এটি খুবই ছোঁয়াচে সংক্রামক রোগ। তবে এটি মারাত্মক জটিল ধরনের কোন রোগ নয়, জীবনহানির ঝুঁকিও নেই।

কক্সাকি নামক একধরনের ভাইরাস এই রোগের জন্য দায়ী। 

✓কিভাবে ছড়ায়

আক্রান্ত ব্যক্তির ফোস্কা থেকে নির্গত রস, হাঁচি কাশি, ব্যবহত পোশাক এবং স্পর্শ করা যে কোন জিনিস, এমনকি মলের মাধ্যমেও এটি ছড়ায়। 

জনসমাগম যে সব জায়গায় বেশি সেখান থেকেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি।

✓লক্ষণ

হালকা জ্বরের সঙ্গে গলা ব্যথা, শরীরে নানা জায়গায় পানিভর্তি ফুস্কুড়ি, মুখের ভেতরে ক্ষত, মুখ দিয়ে ক্রমাগত লালা নিঃসরণ, খাবারে অরুচি ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। হাত, পা এবং জিহ্বাতে সাধারণত ফুসকুড়ি দেখা দেয় তবে উরু অথবা নিতম্বেও হতে পারে।

ত্বকের ফোস্কা বা ফুস্কুড়ি অনেকটা জলবসন্তের মতো। 'ফুট অ্যান্ড মাউথ' নামে গবাদি পশুর একটি অসুখ রয়েছে যার সঙ্গে এটির কোন সম্পর্ক নেই।

✓চিকিৎসা

ভাইরাসজনিত এই রোগের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট কোন ঔষধের ভূমিকা নেই। ৭-১০ দিনের মধ্যে সাধারণত আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়। 

অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিভাইরাল বা অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধের কোনো ভূমিকা নেই এই রোগের চিকিৎসায়।

লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। পরিচর্যা, পর্যাপ্ত পানীয় দিতে হবে তবে ফলের জুস মুখ ও গলার ব্যাথা বৃদ্ধি করে বিধায়, বিরত থাকাই ভালো।  নরম ও কম মশলাযুক্ত খাবার দেয়া উচিত।


✓প্রতিরোধ

শিশুকে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে।

আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এবং হাঁচিকাশি থেকে দূরে থাকতে হবে।

জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে আলাদা রাখতে হবে। আক্রান্ত শিশুকে স্কুলে পাঠানো যাবে না। আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে অবশ্যই।

Saturday, October 14, 2023

ডেঙ্গির টিকা


#ডেঙ্গি প্রতিরোধে জাপানের তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি টিকা 'কিউডেঙ্গা'র অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য গত ২ অক্টোবর এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাওয়া আগেই এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, থাইল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা।

দুই ডোজের এই টিকা শুধুমাত্র ৬ থেকে ১৬ বছর বয়সীদের জন্য অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর আগে সানোফি-এ্যাভেন্টিজের তৈরি ডেঙ্গি টিকা 'ডেঙ্গাভেস্কিয়া'র অনুমোদন দিয়েছে কয়েকটি দেশ। বাংলাদেশে আইসিডিডিআরবির সহায়তায় 'টিভি০০৫' নামে একটি #ডেঙ্গি টিকার ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ। এই পরীক্ষার প্রথম দুই ধাপে তারা সফলতা পেয়েছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা সফল হলে এর বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।

বাংলাদেশে এ বছর মহামারি আকারে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য সর্বশেষ অনুযায়ী, এ বছর এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৩৭ হাজার ২৫১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ১৫৮ জন।

ডেঙ্গি আক্রান্ত ও মৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু ও কিশোর রয়েছে। এ বছর ডেঙ্গুবাহী এডিস মশা চরিত্র পরিবর্তন করায় মশক নিয়ন্ত্রণ ও মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়ে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

ভাইরাসজনিত অনেক রোগ প্রতিরোধে টিকার ব্যবহার ইতোমধ্যেই প্রমাণিত। ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি ধরনের বিরুদ্ধেই 'কিউডেঙ্গা' টিকা কার্যকরী বলে জানানো হয়েছে।


যেহেতু ডেঙ্গি আক্রান্তদের একটি বড় অংশ শিশু ও কিশোর, তাই এই টিকা ব্যবহার করে জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে ডেঙ্গি থেকে নিরাপদ রাখা সম্ভব। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এড়িয়ে যত দ্রুত সম্ভব এই টিকা আমদানি ও বিতরণের ব্যবস্থা করা জরুরি। পাশাপাশি বাংলাদেশ পরীক্ষা চলা 'টিভি০০৫' টিকা দেশেই তৈরির বিষয়ে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গেও আলোচনা শুরু করা দরকার।

https://bangla.thedailystar.net/health/news-523421

#dengue #denguefever #DenguePrevention

দ্য গ্রেট লন্ডন ফায়ার

১৬৬৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সিটি অফ লন্ডন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, যা ইতিহাসে 'দ্য গ্রেট লন্ডন ...