Friday, November 29, 2024

যৌন বাহিত রোগ

যৌন সম্পর্কের মাধ্যমে যে সকল রোগ ছড়ায় সেগুলো একত্রে যৌনবাহিত রোগ বলা হয়। সাধারণত এসব রোগ সংক্রামক। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই বছরে কমবেশি ২ কোটি মানুষ যৌন বাহিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। লিঙ্গ, বয়স, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই আক্রান্ত হতে পারেন এধরনের রোগে, তবে তরুণ বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন। যৌন সম্পর্ক ছাড়াও রক্ত সঞ্চালন, আক্রান্ত ব্যক্তির ইনজেকশন নেয়ার সিরিঞ্জ ব্যবহার এবং আক্রান্ত নারীর গর্ভের শিশু এই রোগগুলো ছড়াতে পারে। প্রায় ২০ ধরনের রোগ এভাবে সংক্রমিত হতে পারে। এগুলোকে জীবাণুর ধরন অনুযায়ী কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।



ব্যাকটেরিয়াজনিত

•স্যাংক্রোয়েড (Chancroid)

•ক্ল্যামেডিয়া (Chlamydia)

•সিফলিস (syphilis)

•গনোরিয়া (gonorrhea)

•গ্রানুলোমা ইনগুইনালি (granuloma inguinale)


ভাইরাসজনিত:

•এইডস্ (HIV/AIDS)

•ভাইরাল হেপাটাইটিস (Hepatitis)

•হার্পিস সিমপ্লেক্স (herpes simplex)

•মোলাসকাম কন্টাজিওসাম (molluscum contagiosum)


পরজীবীজনিত:

•খোসপচড়া (scabies)

•উকুন


ছত্রাকজনিত : ক্যানডিডিয়াসিস (candidiasis)

প্রোটোজোয়াজনিত: ট্রাইকোমনিয়াসিস (trichomoniasis)


লক্ষন কি

সাধারণত ঠোঁট, মুখ গহবর, যৌনাঙ্গে লক্ষন প্রকাশ পেয়ে থাকে। তবে লক্ষন প্রকাশ ছাড়াও কোন কোনটি দীর্ঘদিন শরীরে থাকতে পারে, যেমন সিফিলিস, এইডস্, হেপাটাইটিস ইত্যাদি।

জটিলতা

রোগের ধরন অনুযায়ী নানা ধরনের জটিলতা হতে পারে। এইডস্, সিফিলিস, হেপাটাইটিস মৃত্যুর কারণ হতে পারে।

প্রতিরোধ

•যৌন সঙ্গী নির্বাচনে সতর্ক তথ্য থাকুন। বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করুন।

• যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন মেনে চলার চেষ্টা করুন।

•কিছু রোগের টিকা রয়েছে যেমন হেপাটাইটিস। টিকা নিন।

•যৌনাঙ্গে যে কোন ধরনের পরিবর্তন বা আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকুন।

সর্বোপরি সচেতনতা এবং দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে যৌন বাহিত রোগ থেকে সহজে নিরাময় হতে পারে।

#STD #Sex #Disease #Health

Wednesday, November 27, 2024

জিকা কি, কেন এবং চিকিৎসা

বাংলাদেশে আবার জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলছে। দেশে প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয় ২০১৪ সালে। জিকার কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, এর চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। জিকার পাশাপাশি এখন চিকুনগুনিয়ায়ও অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সেইসঙ্গে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে মৃত্যু। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা দরকার ডেঙ্গু, জিকা, চিকুনগুনিয়া এই তিনটি রোগই ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।


কিভাবে ছড়ায়?

জিকা এডিস প্রজাতির মশার (Ae. aegypti এবং Ae. albopictus) মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে কামড়ালে জিকা ভাইরাস মশাতে প্রবেশ করে। সংক্রামিত মশা অন্য একজন সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে ভাইরাসটি সেই ব্যক্তির রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করে। যে কেউ জিকা ভাইরাস দ্বারা সংক্রামিত হতে পারে, তবে গর্ভবতী মহিলারা গর্ভপাত এবং জন্মগত অস্বাভাবিকতা যেমন ভ্রূণের মাইক্রোসেফালি এবং অন্যান্য স্নায়বিক অস্বাভাবিকতার ফলে জিকা ভাইরাস শিশুর সম্ভাবনার জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। গর্ভবতী মহিলার  জিকা হলে প্লাসেন্টায় প্রবেশ করে ভ্রূণকে প্রভাবিত করতে পারে।

অরক্ষিত যৌনতা, যেখানে জিকা প্রাদুর্ভাব রয়েছে সেসব এলাকায় ভ্রমণ বা অবস্থান করা, রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে জিকা আক্রান্তের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

লক্ষণ কি?

•চ্যাপ্টা বা উত্থিত চুলকানি চামড়া ফুসকুড়ি,

•জ্বর

•লাল চোখ

•শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া

•ঘাম

•সন্ধিস্থলে ব্যাথা

• মাংশপেশী ও মাথা ব্যাথা

•অবসাদগ্রস্ততা

•ক্ষুধামন্দা ও বমিবমি ভাব 


জটিলতা

•মারাত্মক পানিশূন্যতা

•শিশুর জন্মগত ত্রুটি, বিশেষ করে মাইক্রোসেফালি

•গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে গর্ভপাত এবং মৃতপ্রসব, সময়ের পূর্বে জন্ম

•জিকা-সম্পর্কিত মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত শিশুর চোখের সমস্যা, যেমন রেটিনা বা অপটিক নার্ভের ত্রুটি যা পরবর্তী জীবনে অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।

•শ্রবণ বৈকল্য

•তীব্র ছড়িয়ে পড়া এনসেফালোমাইলাইটিস (ADEM)

•Guillain-Barre সিন্ড্রোম

চিকিৎসা

জিকার নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা নেই। সাধারণত লক্ষণ অনুযায়ী জিকার চিকিৎসা দেয়া হয়। বেশিরভাগ মানুষ সাধারণত পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং সহায়ক চিকিৎসার সাহায্যে সুস্থতা ফিরে পান। জিকা ভাইরাসের চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে রয়েছে:

•ডিহাইড্রেশন এড়াতে পর্যাপ্ত পানীয় যেমন জল, ফলের রস, বাটারমিল্ক এবং নারকেল জল পান করুন।

•পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন কারণ সংক্রমণের কারণে ক্লান্তি এবং জ্বর হতে পারে।

•জ্বর ও ব্যাথা নাশক ঔষধ 

প্রতিরোধ 

• মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা

• অনিরাপদ যৌন মিলন থেকে বিরত থাকা

•জিকা প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে এমন এলাকায় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকা।

•নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

Sunday, November 24, 2024

বেঙ্গল ক্যাট 🐈😺

বঙ্গদেশের জংলি বিড়াল ও মিশরের গৃহপালিত বিড়ালের মধ্যে প্রজনন ঘটিয়ে নুতন জাতের একটি বিড়াল প্রজাতির উদ্ভাবন করা হয়, যা বর্তমানে বেঙ্গল ক্যাট নামে পরিচিত। এটি বিশ্বে গৃহপালিত বিড়ালের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় একটি জাত।

১৮৮৯ সাল থেকে বেঙ্গল ক্যাটের ইতিহাস পাওয়া গেলেও যুক্তরাষ্ট্রের জিন মিল ১৯৬৩ সালে প্রথম এই ক্রস জাতের বিড়ালের উদ্ভাবন করেন। তাঁকেই বেঙ্গল ক্যাটের জননী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়। নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ১৯৮০ সালে তিনি সফলভাবে বেঙ্গল ক্যাট জাতটি পুর্ণাঙ্গরূপে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। ১৯৮৬ সালে এটিকে নুতন জাতের বিড়াল হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হয়।




‌চিতা বা জাগুয়ারের মতো ডোরাকাটা চামড়ার একমাত্র বিড়াল বেঙ্গল ক্যাট নানা রঙের হয়ে থাকে। গায়ের লোম সাধারণত ছোট হয়ে থাকে। তবে পার্সিয়ান ক্যাটের সঙ্গে প্রজননের ফলে লম্বা লোমের বেঙ্গল ক্যাটও দেখা যায়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের বেঙ্গল ক্যাট পৃথিবীর বহু দেশে গৃহপালিত পশু হিসেবে নিষিদ্ধ ছিল। চতুর্থ প্রজন্মের পর থেকে বেঙ্গল ক্যাট পৃথিবীর সকল দেশেই আইনগত ভাবে পোষা প্রাণী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বেঙ্গল ক্যাট এখন পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় পোষা বিড়াল হিসেবে বিড়াল প্রেমীদের কাছে খুবই চাহিদাসম্পন্ন।

#cat #pet #petlovers #petcare #animallover

Thursday, November 21, 2024

রানি ভিক্টোরিয়া ও তাঁর মুনশী আব্দুল করিম


বিলেতের রাজ-পরিবারের ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী এবং সুদীর্ঘ ৬৩ বছর সিংহাসনে অধিষ্ঠিত ছিলেন রানি ভিক্টোরিয়া। ভিক্টোরিয়ার সুবর্ণ জয়ন্তীর উপহার হিসেবে ভারত থেকে পরিচারক হিসেবে দুই জনকে বিলেতের রাজপ্রাসাদে পাঠানো  হয়েছিল। তাদের একজন ছিলেন আগ্রা থেকে পাঠানো ২৪ বছর বয়সী আব্দুল করিম। ১৮৮৭ সালে উইন্ডসর ক্যাসেলে পরিচারক হিসেবে যোগ দেয়ার পর মাত্র এক বছরের মাথায় প্রাসাদের এক ক্ষমতাশীল ব্যক্তিত্বে পরিণত হন করিম।

কাজ পছন্দ না হওয়ায় চাকরি ছাড়ার কথা ভেবেছিলেন করিম। কিন্তু রানির অনুরোধে শেষ পর্যন্ত তিনি থেকে যান। সাধারণ পরিচারক থেকে ব্রির্টিশ রানি ভিক্টোরিয়াকে উর্দু শেখানোর দায়িত্বে নিয়োজিত হন লম্বা ও সুদর্শন তরুণ আবদুল করিম। রানি তাকে মুনশী বা শিক্ষক হিসেবে পদায়ন করেন। রানির শিক্ষক বা মুন্সি হয়ে উর্দু শেখানোর পাশাপাশি ভারত সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় তাকে শেখাতে শুরু করেন করিম। আস্তে আস্তে করিম রানির ঘনিষ্ঠতম এক মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। 

১৮৬১ সালে স্বামী প্রিন্স আলবার্টের মৃত্যুর পর স্কটিশ ভৃত্য জন ব্রাউনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয় রানির। তবে শেষ জীবনে ১৪ বছর আব্দুল করিম জন ব্রাউনের চেয়েও রানির কাছের মানুষ ছিলেন। জন ব্রাউন তার আস্থাভাজন ছিলেন বটে, তবে করিমকে তিনি পরিচারকের চেয়ে অনেক উঁচু মর্যাদায় রেখেছিলেন। 

করিমের যুক্তরাজ্যে আসার পর থেকে শুরু করে ১৯০১ সালে রানির মৃত্যুর মধ্যবর্তী কয়েক বছরে করিমকে লেখা চিঠিতে 'তোমার স্নেহময়ী মা' কিংবা 'তোমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু'  লিখে স্বাক্ষর করতেন রানি। কিছুক্ষেত্রে লেখা শেষে তিনি চিঠিতে চুমু দিতেন, যা সেই সময়ে অত্যন্ত অস্বাভাবিক একটি বিষয় ছিল।

করিম ও রানির মধ্যে নিঃসন্দেহে আবেগপূর্ণ একটি সম্পর্ক ছিল। ধারণা করা হয়  মা-ছেলের সম্পর্ক ছাড়াও তাদের সম্পর্কের বহু স্তর ছিল যা এক ভারতীয় তরুণকে ৬০ বছরের বেশি বয়সী এক নারীর আপন করে তুলেছিল।তাদের সম্পর্ক প্লাটোনিক ভালবাসার উদাহরণ বলা যেতে পারে। করিমের স্ত্রীকে রানি বিলেতে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন। তাঁকে আগ্রায় জমি বরাদ্দ দিয়েছিলেন। ভিক্টোরিয়া করিমের পরিবারকেও নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। 

রানি ভিক্টোরিয়ার সাথে একান্তে গল্প করতেন আবদুল করিম। তাঁরা একসাথে ভ্রমন করতেন। হাইল্যান্ড কটেজে নিরিবিলি রাত কাটাতেন। তাঁরা দুজন রাতভর প্রচুর গল্প করে কাটালেও তাদের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল না বলেই ধারণা করা হয়। চিত্রকর দিয়ে করিমের কয়েকটি প্রতিকৃতি আঁকিয়েছিলেন রানি। স্বামী প্রিন্স অ্যালবার্ট যখন মারা যান তখন ভিক্টোরিয়া বলেছিলেন-আমি আমার স্বামী, সবচেয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু, বাবা ও মাকে হারালাম। করিমও তাঁর জীবনে হয়তো একই ধরনের ভূমিকা পালন করেছিল। 

রানির ওপর করিমের প্রভাব এতোটাই বেশি ছিল যে তিনি করিমকে উইন্ডসর ক্যাসেলে নিজের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার প্রধান শোকপালনকারীদের একজন হিসেবে নির্ধারণ করেন। যদিও রানি জানতেন যে পরিবারের কাছ থেকে এরজন্য তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হবেন।

রানি ও করিমের সম্পর্ক নিয়ে রাজপরিবারের সদস্য ও কর্মচারীদের মধ্যে নানা রকম গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছিল। অন্য পরিচারকরা তাঁকে হিংসা করতো। করিম রাজপরিবারে এতটাই অস্বস্তি সৃষ্টি করেছিলেন যে রানির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তার পুত্র সপ্তম এডওয়ার্ড কোন রকম  কারণ দর্শানো ছাড়াই করিমকে বরখাস্ত করেন এবং ভারতে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে রানি ও করিমের সম্পর্কের যাবতীয় প্রমাণাদি করিমের বিলেত ও ভারত বাড়ি গিয়ে যেন ধ্বংস করে ফেলা  হয়, সেই নির্দেশও দেন তিনি। রানির মেয়ে রাজকন্যা বিয়েত্রিচ সকল প্রাসাদে চিঠি এবং অন্যান্য দলিল খুঁজে খুঁজে বের করে সেগুলো মুছে ফেলেন। 

রাজ পরিবার রানি ও করিমের সম্পর্কের সকল নিদর্শন নিখুঁতভাবে মুছে ফেলার চেষ্টা করলেও ভিক্টোরিয়ার মৃত্যুর একশো বছর পর একজন সাংবাদিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে সেই সম্পর্ক উন্মোচিত হয়। তাঁদের এই ঐতিহাসিক সম্পর্ক নিয়ে গ্রন্থ রচিত হয়েছে, ২০১৮ সালে 'Victoria and Abdul' নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করা হয়।

#victorian #trend #photography #royalfamily

(https://www.vanityfair.com/hollywood/2017/09/queen-victoria-and-abdul-real-story?)

Istanbul: Capital of cats!

Istanbul is known  worldwide as the 'city of cats'. And it’s true; there are hundreds of thousands of stray cats in Istanbul, and many of them live better, are better fed, and even receive healthcare at times compared to their counterparts in other cities around the world. There are over 250,000 cats roaming free in Istanbul. Sometimes the city is referred to as Catstanbul! The city even has museum for cats.

The city earned this title because of the residents extended love & hospitality to the roaming street cats. The city's streets are lined with food and water bowls and small cat houses placed by residents in a communal effort to look after street cats. Many places claim to be pet-friendly, but Istanbul is exceptional. The city values its cats and dogs through the abundance of pet-friendly restaurants and hotels.

In Istanbul cats were able to freely wander into shops to nap in the window displays or occupy the seats in a café. Many of the locals will also place temporary shelters outside in the form of cat houses, carriers, or boxes and it’s not unusual to see cat treats strewn along the sidewalks where cat traffic is particularly high. Generally, every street in Istanbul has cats that are familiar to locals.

On rainy days, local people share dry spots with cats or offering up an umbrella as they waited for the bus. There are road signs warning drivers to be cautious of wandering cats. The Municipality of Istanbul has placed vending machines for cats and dogs in many parts of the city, and there are many cats use to roam around these vending machines. Citizens passing by put coins into these machines, ensuring that cats and dogs are fed.

Cats can be seen anywhere in Istanbul, whether in university classrooms, on the ferry, bus,  subway, shopping center, or even in the stadium. Turkish citizens view street animals as communally owned pets rather than traditional strays, and the country has a blanket no-kill, no-capture policy.

#cat #photography #trend #animals #petlovers

Tuesday, November 19, 2024

History of Fish & Chips in UK!


Most people think that Fish and Chips originated in England, this is not actually true. The real history of Fish and Chips is traced back to 15th Century Portugal where the dish really was invented. Like so many other famous dishes, fish and chips was created out of necessity, not culinary genius. There are about 10,500 fish & chips shop in UK. 

Most food writers, cooks, and chefs regard fish and chips as a culinary symbol of Britishness. First Friday in June every year is National Fish & Chips Day in UK.

Many food historians say that a Jewish cook, a young Ashkenezi immigrant from Portugal, named Joseph Malin, opened the first chippy in 1860 in London. The shop was so successful that it remained in business until the 1970s. At present Rock & Sole Plaice is London's oldest fish and chip restaurant and has been serving the British classic since establishment in 1871. To this day the fish is still prepared using their 154 year-old traditional recipe.

#foodie #trend #London #foodlover #photography #MRKR

Monday, November 4, 2024

কলকাতার সংস্কৃতিতে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন যে অবাঙালি নবাব

সময়টা উনিশ শতক। ব্রিটিশ শাসন পুরোপুরি কায়েম হয়ে গেলেও কিছু কিছু দেশীয় রাজ্য তখনও স্বমহিমায় বিরাজ করছে। তেমনই এক রাজ্য অযোধ্যা। বসন্ত এসেছে, রঙ লেগেছে নবাবের মনেও। কবে যে আবির মেখে উদযাপন করবেন! কিন্তু হঠাৎ নবাবের কানে এল, হিন্দুরা নাকি এবছর হোলি খেলবে না। কিন্তু কেন? রাজদরবারে ডাক পড়ল কয়েকজন ব্রাহ্মণের। তাঁরা নবাবকে জানালেন, যেহেতু একই দিনে মহরম এবং হোলির দিন পড়েছে, তাই সেবছরের জন্য রং মাখার অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ইসলাম ধর্মে রংকে হারাম মনে করা হয়। শরীরের কোথাও রঙ লেগে থাকলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে প্রবেশ করেন না। কিন্তু হোলির দিনে তো গোটা শহর রঙে ভরে উঠবেই। অওধে হিন্দুদের এই কথা শুনে মৌলভিদেরও ডেকে পাঠালেন নবাব। আর জানিয়ে দিলেন, দুই ধর্মের অনুষ্ঠানই একইরকম মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হবে। নিজে মুসলমান পরিবারে জন্মালেও প্রজাদের ধর্মই যে নবাব ওয়াজেদ আলি শাহের ধর্ম। সেখানে হিন্দু মুসলমান ভেদ নেই। সেবারের হোলির অনুষ্ঠানে যথারীতি রং মেখে হাজির হয়েছিলেন নবাব নিজেও। 

ভারতবর্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিহাসে নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ এক কিংবদন্তি। ১৮৫৫ সালে প্রবল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মধ্যেও তিনি অযোধ্যার হনুমান গঢ়ী মন্দির রক্ষা করেছিলেন। তবে ব্রিটিশ সরকারকে চিনেছিলেন শত্রু বলেই। চরম এক প্রতিকূল পরিবেশে অনেক বাধা বিপত্তি এড়িয়ে রাজ্য চালাতে হয়েছে তাঁকে। 

সময়টা ১৮৫৬ সাল। কোম্পানির কাছে অযোধ্যার নবাবী হারালেন ওয়াজেদ আলী শাহ। পেনশন নিয়ে লখনউয়ের কোনও প্রাসাদে নিশ্চিন্তে থাকতেই পারতেন। তবে লখনৌ থেকে বেনারস হয়ে তাঁর বজরা নিয়ে পৌঁছলেন কলকাতার বিচালিঘাটে। তার ইচ্ছে ছিল কোম্পানির কাছে সওয়াল করবেন সিংহাসন উদ্ধারের জন্য। সফল না হলে যাবেন লন্ডনে, রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে। ইংরেজের ন্যায়পরায়ণতা নিয়ে তাঁর মোহ তখনও কাটেনি। 

বছর না ঘুরতেই ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহে যোগ দিল অযোধ্যা। কলকাতায় গ্রেফতার করে ওয়াজিদ আলী শাহকে রাখা হলো ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গে। মহাবিদ্রোহের পরাজয় দিয়েই লক্ষ্ণৌ শহরে নবাবি শাসনের ইতি ঘটল।‌ দুই বছর বন্দি জীবন শেষে তিনি কলকাতাতেই পেনশন নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

মেটিয়াবুরুজ অঞ্চলে গড়ে উঠল নির্বাসিত নবাবের নতুন নবাবিয়ানা। যতই নির্বাসন হোক, নবাবিয়ানায় সহজে ছেদ পড়া মুশকিল। নবাব ওয়াজেদ আলি তাই সঙ্গে করে আনলেন ফেলে আসা স্মৃতি। জাঁকজমক বজায় রাখতে কলকাতা শহরের মধ্যেই গড়ে তুলেছিলেন তাঁর পরিচিত দ্বিতীয় এক টুকরো লক্ষ্মৌ। নবাবি সংস্কৃতি, আমোদ আহ্লাদ, এমনকি নবাবি খাবারও তাঁর হাত ধরে কলকাতায় পাড়ি দিল। একদিকে চিড়িয়াখানা, বাইজি সংস্কৃতি আর অন্যদিকে বিরিয়ানি কিংবা পাখির লড়াই অথবা ঘুড়ি ওড়ানো কলকাতার অন্দরমহলে দিব্যি জায়গা করে নিল তাঁর আমলে। 

তবে জৌলুশ জাঁকজমকপূর্ণ নবাবি সংস্কৃতির সঙ্গে সঙ্গে ওয়াজিদ আলী শাহ ছিলেন সাহিত্য, সঙ্গীত, নৃত্যশিল্পের অনুরাগী ও পৃষ্ঠপোষক। মেটিয়াবুরুজে নবাবের বাসগৃহ রীতিমতো শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পীদের আড্ডায় পরিণত হয়েছিল। লখনউয়ে ওয়াজিদ আলির দরবারেই ঠুমরি জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছায়। আর মেটিয়াবুরুজ থেকে তা ছড়িয়ে পড়ে কলকাতার বুকে।

অনেক গান রচনা করেছেন তিনি। মাতৃভূমি লখনউ থেকে তাঁর বিচ্ছিন্নতা প্রকাশ করতে গিয়ে 'বাবুল মোরা নাইয়াহার ছুটো হি যায়ে (বাবা, আমার বাড়ি এখন আমার কাছে হারিয়ে গেছে)' রচনা করেছিলেন। এই ঠুমরির মধ্যে আছে তাঁর বিলাপ, 'আংরেজ বাহাদুর আয়ে, মুলক লেঁই লিহোঁ (সাহসী ইংরেজরা এসে দেশ কেড়ে নিয়েছে)।'

তাঁর দরবার যন্ত্রসংগীতেও ছিল তুলনাহীন। সরোদ, সানাই, তবলাকেও কলকাতায় জনপ্রিয় করে তোলেন তিনি। কত্থক নৃত্যশৈলীকে তিনি এতটাই আত্মস্থ করেছিলেন যে অনেক নৃত্যনাটিকাও তৈরি করেছিলেন। তিনি কত্থকের নতুন এক লখনউ ঘরানা তৈরি করে ফেলেছিলেন। কত্থক সর্বভারতীয় নৃত্যকলায় জনপ্রিয় করার কৃতিত্ব তাঁর।

লেখনী ও মঞ্চেও পারদর্শী ছিলেন এই নবাব। ১৮৪৩ সালে লেখা নাটক ‘রাধা কানহাইয়া কা কিস্সা’ মঞ্চস্থ করেন। এই কিস্সাকেই বলা যায় প্রথম আধুনিক উর্দু নাটক। হিন্দুস্তানি থিয়েটারের প্রথম নাট্যকার হিসেবে তাঁকে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। 

বাংলায় যখন নবজাগরণের ঢেউ চলছে ঠিক তখন লক্ষ্ণৌ ঘরানার সাংস্কৃতিক চর্চা চলছিল নবাবের মেটিয়াবুরুজের দরবারে। ঘুড়ি উৎসব, আলু বিরিয়ানি, চিড়িয়াখানা ইত্যাদি আরো অনেক কিছুই কলকাতার সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পরিনত করার কৃতিত্ব নবাব ওয়াজিদ আলী শাহকে দেয়া হয়ে থাকে।

(সংগৃহিত ও সম্পাদিত)

এইডস'কে জানুন

এইডস ভাইরাস জনিত যৌন বাহিত একটি রোগ। ১৯৮১ সালে প্রথম সনাক্তের পর এখন পর্যন্ত বিশ্বে প্রায় ৯ কোটি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের ম...