Saturday, April 6, 2024

স্বেচ্ছায় মৃত্যু || ইউথানাসিয়া


 যে সব দেশে ইউথানাসিয়া/স্বেচ্ছামৃত্যুর আইনগত অধিকার রয়েছে তারমধ্যে নেদারল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৫% (সব ধরনের মৃত্যুর) এটি বেছে নিচ্ছেন। ২০২২ সালে ৮৭২০ জন মানুষ ইউরোপের দেশটিতে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করে নিয়েছেন।

নেদারল্যান্ডসে দম্পতি বা যুগলদের স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালে দেশটিতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন ৫৮টি যুগল। এই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্রিস ভ্যান অ্যাগট তার স্ত্রী ইগুইনকে সঙ্গে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। ২০১৯ সালে দ্রিস ভ্যানের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অসুস্থই ছিলেন কিন্তু স্ত্রীকে রেখে আগে চলে যেতে চাইছিলেন না। তারা একসঙ্গে মৃত্যুবরণ করার সিদ্ধান্ত নেন। দ্রিস ভ্যান ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।২

৮ বছর বয়সী নারী জোরায়া টার বিক। একসময় মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তার ছেলে বন্ধু ও আদরের দুটি বিড়াল 🐱🐈 রয়েছে। তারপরও আগামী মে মাসে তিনি স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করবেন। জোরায়া মানসিক রোগী, চিকিৎসাধীন। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে তার বর্তমান অবস্থার আর উন্নতি ঘটানো সম্ভব নয় বলে চিকিৎসকরা মতামত দিলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।

নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ইদানিং স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে নেদারল্যান্ডে। যেটি নিয়ে দেশটির সমাজবিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন।

#Euthansia

Tuesday, March 19, 2024

গর্ভকালীন ত্বকের সমস্যা ও প্রতিকার

গর্ভবতী নারীর শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন হয়ে থাকে। 


শরীরের এই পরিবর্তন শরীরের সর্ববৃহৎ অঙ্গ ত্বকেও পরিলক্ষিত হয়। সাধারণত হরমোনজনিত প্রভাব‌ ও গর্ভের শিশুর আকার বৃদ্ধির কারণেই এসব পরিবর্তন হয়ে থাকে। 

কি পরিবর্তন হয়?

✓গর্ভের শিশু আকারে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পেটের ত্বকে টান পড়তে থাকে। ফলে ত্বকে ফাটা দাগ দেখা দেয়।

✓হরমোনজনিত কারণে ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যায়। মুখমণ্ডলের ত্বকের তৈলাক্ততা বাড়ার কারণে ব্রণ দেখা দেয়।

✓হরমনজনিত পরিবর্তনের কারণে মুখে মেছতা দেখা দিতে পারে। গলা, ঘাড় ও ভাঁজের ত্বকে গাঢ় দাগ দেখা দিতে পারে।

✓যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের অ্যালার্জিজনিত একজিমা বেড়ে যেতে পারে। 

✓চুলকানির ফলে ত্বক লালচে হয়ে ফুলে যেতে পারে। তবে গর্ভকালীন জন্ডিসের কারণে চুলকানি হলেও ত্বকের কোন পরিবর্তন হয় না।

প্রতিকারের উপায় কি?

সাধারণত প্রসব পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যেই গর্ভকালীন ত্বকের সমস্যা গুলো আপনাআপনি দুর হয়ে যায়। তবে গর্ভবস্থায় ত্বকের যত্নে কিছু বিষয় মেনে চললে সমস্যার তীব্রতা যেমন কম হয় তেমনি কম সময়ে সেগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

✓ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে নিয়মিত সাবান, ক্লিনজার বা স্ক্র্যাবার দিয়ে পরিস্কার রাখতে হবে।

✓ত্বকের মসৃণতা ঠিক রাখতে ইমোলেন্ট বা ময়শ্চারাইজার ক্রিম/লোশন ব্যবহার করা উচিত। 

✓পেটের ফাটা দাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি, ভার্জিন নারকেল বা অলিভ ওয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

✓গর্ভাবস্থায় ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ঘরের বাইরে গেলে সানস্ক্রিন ক্রিম/লোশন ব্যবহার করতে হবে।

✓গর্ভবস্থায় শরীরে পানীর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। সেজন্য পর্যাপ্ত পানি ও পানীয় পান করতে হবে।

মনে রাখতে হবে, গর্ভকালীন ত্বকের এই সমস্যাগুলো কোনো রোগ নয়। প্রসবের পর এগুলো এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়। তবে গর্ভবতী মায়ের ত্বকে পরিলক্ষিত লক্ষন গুলোর তীব্রতা বেশি হলে কিংবা প্রসবের ৬ মাস পরেও ত্বক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসলে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।


Sunday, March 17, 2024

চা ও কফি

 #চা_কফি 

চা এবং কফিতে ক্যাফেইন ও ট্যানিন নামে সক্রিয় পদার্থ থাকে। কফিতে ১.২% ক্যাফেইন এবং ৪.৬% ট্যানিন থাকে। অন্যদিকে চা'তে ২.৭% ক্যাফেইন এবং  ১১.২% ট্যানিন বিদ্যমান। 

সহনীয় মাত্রার ক্যাফেইন অলসতা দুর করে, কর্মস্পৃহা ও কাজের একাগ্রতা বাড়িয়ে দেয়। তবে বেশি মাত্রায় এটি মানসিক অস্থিরতা, ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হতে পারে। হৃদপিন্ডের গতি বাড়িয়ে দেয়।

শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান পরিপাকতন্ত্র থেকে শোষণ বাধাগ্রস্ত করে থাকে ট্যানিন। যেমন আয়রন বা লৌহ জাতীয় পদার্থ। যার কারণে আ্যনিমিয়া বা রক্ত শুন্যতা দেখা দিতে পারে।

মেলাটোনিন নামে একটি হরমোন ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়। ক্যাফেইন এই হরমোন তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যে কারনে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

ক্যাফেইন পাকস্থলীর এসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে এসিডিটি ও বুকজ্বালা পোড়া দেখা দিতে পারে। চা বেশিক্ষণ ধরে ফুটালে লেড ও আ্যলুমিনিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, যা শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

ক্যাফেইন শরীর চাঙ্গা করে বটে। তবে শরীরের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়টি মাথায় রেখে চা ও কফি গ্রহণ করা উচিত। সেক্ষেত্রে ঘন ঘন অতিরিক্ত চা বা কফি গ্রহণ থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে চা বা কফি পান করার অভ্যেস বাদ দেয়া উচিত।

#MRKR


Thursday, March 14, 2024

আল জাহরাউয়ি: শল্য চিকিৎসার জনক!

তাঁকে শল্য চিকিৎসার জনক বলা হয়ে থাকে। শিল্পকলা, সংগীত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জ্যোতির্বিদ্যা, দর্শন, গণিত বিষয়ে জ্ঞান আহরণ শেষে তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে থিতু হন এবং চিকিৎসক হিসেবে পেশাগত জীবন বেছে নেন। রাজ চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতেন তিনি। জেনারেল সার্জন থেকে তিনিই প্রথম আলাদাভাবে নিউরোসার্জন হয়ে উঠেছিলেন।

তিনি পদার্থ, রসায়ন ও চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেন। তবে ‘কিতাবুল তাসরিফ’ নামে ৩০ খন্ডের চিকিৎসা শাস্ত্রের গ্রন্থটি তাঁকে অমর করে রেখেছে। সার্জারি থেকে শুরু করে মেডিসিন, প্যাথলজি, ফার্মাকোলজি, অপথালমোলজি, অর্থোপেডিকস,দন্তবিজ্ঞান, পুষ্টিবিজ্ঞান, শিশু চিকিৎসা—সবই স্থান পেয়েছে এই গ্রন্থে।

এই গ্রন্থের সার্জারি খন্ডে দুই শতাধিক অস্ত্রোপচারের সচিত্র বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি, লিথোটমি, হাইড্রোকেফালাস ইত্যাদি সম্পর্কে তিনিই সর্বপ্রথম ধারণা দিয়েছিলেন। সর্বপ্রথম সফলভাবে দাঁত ট্রান্সপ্লান্ট করে দেখিয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি এমন বিশেষ কিছু সরঞ্জাম ও প্রায়োগিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন, যেগুলোর একটা বড় অংশ এখনো সার্জারিতে ব্যবহৃত হয়!

চিকিৎসা-বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদ ডোনাল্ড ক্যাম্পবেলের মতে, তাঁর চিকিৎসা পদ্ধতি এতটাই আধুনিক ছিল যে তখন ইউরোপীয় চিকিৎসকরা অন্ধের মতো অনুকরণ করতো তাঁকে। তাঁর দেখানো পথে চলেই ইউরোপে শল্যচিকিৎসা আজকের পর্যায়ে পৌঁছেছে!  ইউরোপিয়ান রেনেসাঁর সময়কালীন বিখ্যাত শল্যচিকিৎসক পিয়েত্রো আরগালাতা তাঁকে  শল্য চিকিৎসার মাষ্টার বলেছেন।

পাশ্চাত্যে #আবুলকাসিস নামে পরিচিত আবুল কাসিম খালাফ ইবনে আল আব্বাস আল জাহরাউয়ি, সংক্ষেপে আল জাহরাউয়ি ৯৩৬ খৃষ্টাব্দে আন্দালুসিয়ার (স্পেন) আজ-জাহরা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

#MRKR


Tuesday, February 20, 2024

পানিতে সন্তান প্রসব


পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ইদানিং বাথটাবে সন্তান জন্ম দেয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর বেশ কিছু অঞ্চলে নদী বা সুমদ্রে সন্তান প্রসবের সংস্কৃতি প্রচলিত রয়েছে অনেক আগে থেকেই। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ও ন্যাশনাল চাইল্ড বার্থ ট্রাষ্ট সন্তান জন্ম দেয়ার এই প্রক্রিয়া অনুমোদন দিলেও এখনো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই সেবা দেয়া শুরু করে নাই। তবে ধাত্রী বা চিকিৎসকের উপস্থিতিতে বাড়ি বা অন্য কোন সুবিধাজনক স্থানে তার চিকিৎসকের অনুমোদন সাপেক্ষে পানিতে সন্তান প্রসব করতে পারেন গর্ভবতী। এই সেবা দেয়ার জন্য বেশকিছু কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। পানির নিচে সন্তান প্রসবের পদ্ধতিটি চিকিৎসা পরিভাষায় ওয়াটার বার্থ নামে পরিচিত।

যে কোন গর্ভবতী চিকিৎসকের অধীনে নিয়মিত গর্ভকালীন পরীক্ষায় থেকে সাধারণভাবে সন্তান প্রসবে সক্ষম সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় এই পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন। প্রসব বেদনা উঠার পর গর্ভবতী বাথটাব বা সুইমিংপুলে স্থান নেন। ধাত্রীর উপস্থিতিতে স্বামী বা পরিবারের সদস্যরা বাথটাবের চারপাশে উপস্থিত থাকতে পারেন।

এই পদ্ধতিতে প্রসব বেদনার তীব্রতা তুলনামূলক কম হয়। এছাড়াও দুঃশ্চিন্তামুক্ত পারিবারিক আনন্দঘন পরিবেশে সন্তান জন্মলাভ করে। হাসপাতাল বা স্থাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবের সঙ্গে তুলনা করলে এই পদ্ধতির প্রধান সুবিধা হচ্ছে মানসিক চাপ মুক্ত পরিবেশ।


তবে প্রসবকালীন সময়ে জরুরী প্রয়োজনে হাসপাতালে স্থানান্তরের ঝুঁকি রয়েছে।

#MRKR

Monday, February 19, 2024

স্লিপ ডিভোর্স



কোন দম্পতি বিশেষ কারণে এক বিছানা বা রুমে না ঘুমালে সেটিকে স্লিপ ডিভোর্স বলা হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক তৃতীয়াংশ এবং যুক্তরাজ্যের এক চতুর্থাংশ দম্পতি এই বিশেষ ধরনের #ডিভোর্স জীবনযাপন করছেন। ঐতিহাসিকদের মতে এই ব্যবস্থা অতীতে খুব সাধারণ বিষয় ছিল। বিশেষ করে যাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ভালো ছিল, যেমন জমিদার বা রাজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। করোনা মহামারীর পর বর্তমানে এই ব্যবস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে।

নাক ডাকা, ঘুমের মাঝে হাত -পা নাড়ানো, স্লিপ ওয়াকিং, অর্থাৎ ঘুমের ঘোরে হাঁটার অভ্যাস বা শারীরিক সমস্যার কারণে তারা ঘনঘন বাথরুমে যাওয়ায় সঙ্গীর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বা বিরক্ত হতে পারে। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে স্লিপ ডিভোর্স পালন করা হয়ে থাকে। স্লিপ ডিভোর্স অসম্মানজনক নয়, বরং জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মুলত সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের কারণে।

ঘুম না হলে মেজাজ খারাপ হতে পারে। সঙ্গীর সাথে তর্কে জড়ানোর সম্ভাবনা তাদের বেশি থাকে। সঙ্গীর প্রতি বিরক্তি জন্মাতে পারে, যা দাম্পত্য সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া সহ আরো কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তবে স্লিপ ডিভোর্স পালনকারী দম্পতির সম্পর্ক, সান্নিধ্য বা পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক বিছানায় ঘুমানো দম্পতির মধ্যে যে জৈবিক বন্ধন সৃষ্টি হয় স্লিপ ডিভোর্সে তা ভেঙে যায়। তাছাড়া যারা একা ঘুমাতে পারেন না, তাদের জন্য ব্যবস্থাটি মেনে নেয়া কষ্টকর। কাজেই সম্পর্কে থাকা দুজনের সম্মতির ভিত্তিতে স্লিপ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত‌। সেটি না হলে স্থায়ী ডিভোর্সের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।

#MRKR

Sunday, January 21, 2024

ইষ্ট লন্ডন মসজিদ

 বৃটিশ


ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থাকলেও সাম্রাজ্যের রাজধানী লন্ডনে মুসলমানদের প্রার্থনা করার জন্য কোন মসজিদ ছিল না।  একটি মসজিদ স্থাপনের উদ্যোগ হিসেবে ১৯১০ সালের ৯ ডিসেম্বর লন্ডনে বসবাসকারী গণ্যমান্য মুসলিমরা রিজ হোটেলে মিলিত হয়ে 'লন্ডন মসজিদ ফান্ড' গঠন করেন। সেই মিটিংয়ে লন্ডনের প্রভাবশালী খৃষ্টান ও ইহুদি ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

'লন্ডন মসজিদ ফান্ড' গঠনে উল্লেখযোগ্য দাতাদের মধ্যে ছিলেন (হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর চাচা, অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের নানা শ্বশুর) ডা: হাসান সোহরাওয়ার্দী, সৈয়দ আমীর আলী, তৃতীয় আগা খাঁন প্রমুখ। খৃষ্টান ধর্মের ইতিহাসবিদ টি. ডাব্লিও আরনল্ড এই ফান্ডের সচিব এবং হাসান সোহরাওয়ার্দী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। স্যার জন উডহেডকে কোষাধক্ষ্যের দায়িত্ব দেয়া হয়। এছাড়াও ইউরোপের ধনাঢ্য ইহুদি পরিবার এবং ব্যাংকিং জগতের পথিকৃৎ রথচাইল্ড পরিবারের নাথান রথচাইল্ডকে ট্রাষ্টি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

এই ফান্ডের সহায়তায় ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত লন্ডনের বিভিন্ন স্থান ভাড়া নিয়ে জামায়াত ও জুমার নামাজ আয়োজন করা হতো। ১৯৪০ সালে পুর্ব লন্ডনে জমি ক্রয় করা হয় এবং ১৯৪১ সালের ২ আগষ্ট 'ইষ্ট লন্ডন মসজিদ ' উদ্বোধন করা হয়।

১৯৮৫ সালে সৌদি আরব, কুয়েত ও বৃটিশ সরকারের অর্থ সহায়তায় পুর্নাঙ মসজিদ ও মুসলিম কাউন্সিল কমপ্লেক্সের নির্মাণ শেষ হয়। ২০০১ ও ২০০৯ সালে মসজিদের আরো সংস্কার ও সম্প্রসারন কাজ করা হয়। বর্তমান মসজিদটি ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ। একসঙ্গে কমবেশি ৭ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে ইষ্ট লন্ডন মসজিদে।

দ্য গ্রেট লন্ডন ফায়ার

১৬৬৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ সেপ্টেম্বর এক বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে সিটি অফ লন্ডন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল, যা ইতিহাসে 'দ্য গ্রেট লন্ডন ...