Friday, September 3, 2010

ত্বকের রোগ ও চিকিৎসা

by M R Karim Reza on Saturday, September 4, 2010 at 10:45am.


সুস্থ ত্বক শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যাবশ্যক, বলা হয়ে থাকে 'ফাস্ট লাইন ডিফেন্স'। শরীরের অনাবৃত অংশে কোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে সাধারণত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকেন কিন্তু আবৃত অংশের সমস্যা হলে গাফিলতি করার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। মনে রাখবেন, ত্বকের সমস্যাকে অবহেলা করা যেমন অনুচিত তেমনই অপচিকিৎসা করাটাও ক্ষতিকর। অনেক ক্ষেত্রে রোগীরা অসচেতন এবং লক্ষণ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকার কারণে চিকিৎসা নিতে দেরী করেন। ত্বকের রোগে সাধারণত নিম্নবর্ণিত পরিবর্তনগুলো পরিলক্ষিত হয়।

চুলকানি : ত্বকের বহু রোগের সমস্যা হিসেবে চুলকানি দেখা দেয়। রোগের ধরন এবং তীব্রতা অনুযায়ী চুলকানির মাত্রা কমবেশি হতে পারে। সাধারণত চুলকানির কারণে নখ দিয়ে জায়গাটিকে আঁচড় দিতে ভালো লাগে। খোসপাঁচড়া, ছত্রাকজনিত রোগ, একজিমা, পোকার কামড় ইত্যাদিতে চুলকানি একটি লক্ষণ হিসাবে প্রকাশ পেতে পারে।

ব্যথা : রোগের ধরন এবং তীব্রতা অনুসারে ব্যথা কম বা বেশি হতে পারে। ব্যথা অনেক ধরনের চর্ম রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা দিতে পারে। হারপিজ জোস্টার, পোকার কামড় ইত্যাদির ক্ষেত্রে ব্যথা তীব্র হতে পারে।

অসাড়তা বা অবশ : কিছু রোগে ত্বকের কোনো কোনো স্থানে অসাড়তা লক্ষ করা যায়, যেমন কুষ্ঠ রোগী। আবার কিছুরোগের কারণে ত্বক অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে থাকে।

ত্বকের রঙ পরিবর্তন : জন্মগতভাবে মানুষ গায়ের রং অর্জন করে থাকে। রোগবিশেষ কিছু স্থানে রঙ গাঢ় বা হালকা হতে পারে। যেমন মেছতার ক্ষেত্রে রং গাঢ় আবার শ্বেতীর কারণে হালকা হতে পারে।

মসৃণতা ও উজ্জ্বলতা : সুস্থ ত্বক সাধারণত মসৃণ ও উজ্জ্বল হয়ে থাকে। বহু রোগে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হতে পারে এবং খসখসে হয়ে যায়। কুচকানো ত্বক অনেক রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেতে পারে, যেমন ইকথায়োসিস। বয়সের কারণে ত্বক কুচকাতে পারে, যা স্বাভাবিক।

ফোসকা/চামড়া উঠে যাওয়া/ক্ষত : ত্বকের অনেক রোগের লক্ষণ হিসেবে এ লক্ষণসমূহ আবির্ভূত হতে পারে। উলি্লখিত লক্ষণসমূহ ছাড়াও আরো অনেক লক্ষণ ত্বকের রোগে প্রকাশ পেতে পারে। সাধারণভাবে এগুলোর ব্যাপারে সামান্য সতর্ক হলেই সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ করা সম্ভব। মনে রাখবেন ত্বকের রোগ ছাড়াও অন্যান্য রোগের লক্ষণ হিসেবেও ত্বকের পরিবর্তন হতে পারে।গোসলের সময় অন্তত আপনার শরীরের ত্বকের দিকে নজর দিন। কোনো প্রকার অস্বাভাবিকতা লক্ষ করলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।



http://www.bd-pratidin.com/index.php?view=details&archiev=yes&arch_date=23-08-2010&type=single&pub_no=122&cat_id=3&menu_id=15&news_type_id=1&index=1

সুস্থ ও আকর্ষণীয় ত্বকের জন্য করণীয়

by M R Karim Reza on Saturday, September 4, 2010 at 10:35am.


ত্বককে বলা হয়ে থাকে শরীরের দর্পণ বা আয়না। সুস্থ এবং আকর্ষণীয় ত্বক সবারই কাম্য, ব্যক্তিত্বকেও প্রকাশ করে থাকে। শুধু তাই নয় অন্যকেও আকর্ষণ করে, সামাজিক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বও কম নয়। সুস্থ ত্বক শরীরের রোগ প্রতিরোধের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সুস্থ ত্বক সাধারণত পরিষ্কার, মসৃণ, সমভাবে রাঙানো, কুচকায় না এবং উজ্জ্বল হয়ে থাকে। ত্বক সুস্থ এবং আকর্ষণীয় রাখতে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিছুটা যত্নবান হলেই চলে। খাদ্যাভাস, বাসস্থান, পোশাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।


১। খাদ্যাভাস : সুস্থ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সুষম খাদ্যের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। প্রোটিন বিশেষভাবে তৈলাক্ত মাছ, লালবর্ণের শাক ও ফল, দুগ্ধজাত খাদ্য তালিকায় থাকা উচিত। পরিমাণ মতো শর্করা জাতীয় (ভাত/রুটি) গ্রহণ করতে হবে, অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণে বিরত থাকা উচিত। অতিরিক্ত চা/কফি ও অ্যালকোহল ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। পানি ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


২। পোশাক-পরিচ্ছদ : মৌসুম ভেদে যথাসম্ভব কম পোশাক পরিধান করতে হবে। অতিরিক্ত টাইট পোশাক পরিধান থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। নাইলন এবং পলিয়েস্টার জাতীয় পোশাক পরিহার করা উচিত। সুতি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বস্ত্র পরিধানই শ্রেয়। জুতা, চশমা, গহনা, অন্তর্বাস ইত্যাদির ক্ষেত্রেও একই রকম অভ্যাস বাঞ্ছনীয়।


৩। পরিচ্ছন্ন জীবন : নিয়মিত গোসল সুস্থ ত্বকের জন্য অত্যাবশ্যক। গোসলের সময় প্রতিটি কুচকিকে বিশেষভাবে পরিষ্কার করতে হবে। বিশুদ্ধ এবং ত্বকের জন্য সহনীয় তপমাত্রার পানি গোসরের জন্য ব্যবহার করা উচিত। শীতের দিনে গরম পানিতে ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে গোসল করা যেতে পারে। সাবান ব্যবহারের ক্ষেত্রে যতটুকু কম ক্ষারীয় ব্যবহার করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তৈলাক্ত ও ঘর্মাক্ত ত্বকের জন্য একটু বেশি সাবান ব্যবহার করতে হবে। শুষ্ক ত্বকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি তৈলাক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে।


৪। প্রসাধনী, তেল ও সেভিং : যে কোনো নতুন প্রসাধী ব্যবহারের পূর্বে এটি ত্বকের জন্য সহনীয় কিনা অবশ্যই পরীক্ষা করে নেওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শুষ্ক ত্বকের জন্য ভ্যাসলিন, ল্যানেলিন, অলিভওয়েল এমনকি নারকেল বা সরিষার তেলও গোসলের পর ব্যবহার করা যেতে পারে।
সেভিং-এর জন্য সহনীয় মাত্রার ফোম, সাবান এবং আফটার সেভ ব্যবহার করা উচিত। সেভের সময় একই দিকে সেভ করা উচিত, কখনই চামড়াকে অতিরিক্ত টেনে সেভ করা উচিত নয়।


৫। পরিচ্ছন্ন বাসস্থান : পরিচ্ছন্ন ও খোলামেলা বাসস্থান ত্বকের যত্নে বিশেষ ভূমিকা রাখে। হালকা ব্যায়াম খোলা বাতাস এবং হালকা রোদ ত্বকের যত্নে বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়; তবে অতিরিক্ত রোদ ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ঘাম ত্বকের জন্য ক্ষতিকর এবং জমার সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেলতে হবে। অতিরিক্ত গরম ও ঠাণ্ডা দুটোই ত্বকে বিরুপ প্রভাব ফেলে থাকে।

জিন্নাহর বংশোধর

ওয়াদিয়া গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ইরান থেকে আসা পার্সি লোভজি নুসারওয়াঞ্জি ওয়াদিয়া ১৭৩৬ সালে বোম্বে ড্রাইডক কোম্পান...