Friday, May 17, 2024

জিন্নাহর বংশোধর

ওয়াদিয়া গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ইরান থেকে আসা পার্সি লোভজি নুসারওয়াঞ্জি ওয়াদিয়া ১৭৩৬ সালে বোম্বে ড্রাইডক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন, যেটি এশিয়ার প্রথম জাহাজ নির্মাণ কোম্পানি। 

পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর একমাত্র কণ্যা দিনা জিন্নাহ। ওয়াদিয়া পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের নেভিল ওয়াদিয়াকে বিয়ে করেন দিনা। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি বোম্বেতেই স্বামী-সন্তানের সঙ্গে থেকে যান। তিনি নিউইয়র্কে বসবাসরত অবস্থায় ২০১৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তার পুত্র জিন্নাহর একমাত্র পৌত্র নেসলি ওয়াদিয়া বর্তমানে ওয়াদিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান। জিন্নাহর একমাত্র নাতনি অবিবাহিত ছিলেন। 


মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর  জীবিত সরাসরি বংশধর এখন পৌত্র নুসলি ওয়াদিয়া ও তার দুই পুত্র নেস ওয়াদিয়া ও জেহাঙ্গির ওয়াদিয়া। তারা ভারতের অন্যতম বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ওয়াদিয়া গ্রুপ পরিচালনা করছেন। উড়োজাহাজ, বস্ত্র, কেমিক্যাল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ইত্যাদি নানা ব্যবসা রয়েছে এই গ্রুপে। আইপিএল দল পাঞ্জাব কিংসের মালিকানাও রয়েছে এই গ্রুপের।

#MRKR #Jinnah #PunjabKings

Thursday, May 16, 2024

Wembley Stadium


The original Wembley Stadium was demolished in 2002 to build the new stadium which stands today. It's a historical as well as modern landmark of #London. Brazilian footballer Pelé once said of the stadium: "Wembley is the cathedral of football. It is the capital of football and it is the heart of football", in recognition of its status as the world's most famous football stadium.The stadium is England's national football stadium, and thus hosts the majority of the England national football team home matches.

The stadium's first turf was cut by King George V and it was first opened to the public on 28 April 1923. It was known as British Empire Exhibition Stadium. The ground had been used for football as early as the 1880s & named as Wembley Stadium.

Wembley hosted the FA Cup final annually since 1923, which was the stadium's inaugural event. It also hosted League Cup final annually, five European Cup finals, the 1966 World Cup final, and the final of Euro 1996. The stadium also hosted many other sports events, including the 1948 Summer Olympics, rugby league's Challenge Cup final, and the 1992 and 1995 Rugby League World Cup finals. It was also the venue for numerous music events, including the 1985 Live Aid charity concert.

The new Wembley Stadium was inaugurated in 2007. With 90,000 seats, it is the largest stadium in the UK and the second-largest stadium in Europe. A UEFA category four stadium, the new Wembley hosted the 2011 and 2013 UEFA Champions League finals, final of UEFA Euro 2020 and hosted the final of the UEFA Women's Euro 2022. It will also stage the 2024 UEFA Champions League final.

#London #LondonWalk #LondonLife, #LondonCity #WembleyStadium #MRKR

Wednesday, May 15, 2024

নিউইয়র্কের জন্মবৃত্তান্ত

বর্তমানে পৃথিবীর বানিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত নিউইয়র্ক, আসুন জেনে নেই সেই নগরীর গোড়াপত্তনের ইতিহাস। 

১৬২৪ সালে ডাচ ঔপনিবেশিক শক্তির ছোট্ট একটি বন্দর হিসেবে নিউ আ্যমষ্টারডাম নামে নিউইয়র্কের গোড়াপত্তন ঘটেছিল। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র নামে পরিচিত ভূখণ্ডটি তখন বৃটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির শাসনাধীন থাকলেও এখনকার ম্যানহাটন ডাচ ঔপনিবেশিক শক্তির দখলে ছিল।

অপরদিকে ডাচ ইষ্ট ইন্ডিজ নামে পরিচিত আজকের ইন্দোনেশিয়ার ভূখণ্ড ডাচ ঔপনিবেশিক শক্তির শাসনাধীন থাকলেও প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট একটি দ্বীপ বৃটিশ ঔপনিবেশিক শক্তির দখলে ছিল। কমবেশি ৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের রান নামের এই দ্বীপ তখনকার দিনে #মসলা ব্যবসার জন্য খুবই গুরত্বপূর্ণ ভৌগোলিক অবস্থান দখল করে ছিল।

দ্বিতীয় বৃটিশ-ডাচ যুদ্ধের পর ব্রেডা চুক্তি অনুযায়ী ১৬৬৪ সালে এই দুইটি ভুখন্ড অদলবদল করা হয়। মসলার বানিজ্যিক গুরুত্ব কমে যাওয়ায় সাথে সাথে রান দ্বীপ এখন ইন্দোনেশিয়ার ছোট্ট একটি জনবসতি। আর ম্যানহাটন হয়ে উঠেছে মহাশক্তিধর  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তথা পৃথিবীর বানিজ্যিক রাজধানী।


Tuesday, May 14, 2024

The Palace of Westminster

Palace of Westminster and Westminster Abbey including Saint Margaret’s Church is one of the most famous landmark & tourist destination in London. 


Palace of Westminster is the meeting place of the Parliament of the United Kingdom. It is commonly called the Houses of Parliament after the House of Commons and the House of Lords, the two legislative chambers which occupy the building. #Westminster has become a metonym for the UK Parliament and the British Government, and the Westminster system of government commemorates the name of the palace. The clock bell in the Elizabeth Tower of the palace, known by it's nickname #BigBen, is also a landmark of London.

The building was originally constructed in the eleventh century as a royal palace, and was the primary residence of the kings of England until 1512, when it was destroyed by a fire. The royals were relocated in neighboring Whitehall Palace, but remains of the building was continued to serve as the home for Parliament of England. In 1834 another large fire it was destroyed. It was rebuilt in 1840 on the remains of medival site, which also comprises medieval Church of Saint Margaret, and Westminster Abbey.

Westminster Abbey is the place where monarchs are crowned, married and buried. It is also a focus for national memorials of those who have served their country, whether prominent individuals or representatives, such as the tomb of the Unknown Warrior. It is a place of worship for over 1000 years, maintains the daily cycle of worship as well as being the church where major national celebrations and cultural events are held. The Palace of Westminster continues to be the seat of Parliament.

The Palace of Westminster, Westminster Abbey and St Margaret’s Church lie next to the River Thames in the heart of London. They are symbols of religion and power since Edward the Confessor built his palace and church in 11th century AD. Changing through the centuries together, they represent the journey from a feudal society to a modern democracy and show the intertwined history of church, monarchy and state. Together they encapsulate the history of one of the most ancient parliamentary monarchies of present times and the growth of parliamentary and constitutional institutions.

#London #LondonWalk #LondonLife #londoncity #MRKR

Sunday, May 12, 2024

লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজ


পৃথিবী জুড়ে অসংখ্য নান্দনিক, ব্যতিক্রমী ও বিচিত্র সেতু রয়েছে, কিন্তু লন্ডনের টাওয়ার ব্রিজের মতো খ্যাতি আর কোনো ব্রিজের নেই সম্ভবত। টেমস নদীর দুই পাড় সংযুক্ত করতে লন্ডনে বেশ কয়েকটি সেতু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে টাওয়ার ব্রিজ সবচেয়ে পুরনো এবং জনপ্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান। বলা যায়  কালের বিবর্তনে এই ব্রিজটি লন্ডনের প্রতীকে পরিনত হয়েছে। দেশী বিদেশী অসংখ্য পর্যটক এটি দেখতে আসেন, ছবি তোলেন। টাওয়ার ব্রিজকে ভুল করে অনেকে লন্ডন ব্রিজ বলে থাকে, যেটি অদুরেই অবস্থিত। টাওয়ার অফ লন্ডনের পাশে অবস্থিত এই টাওয়ার ব্রিজ লন্ডনে টেমস নদীর পুর্ব ও পশ্চিম অংশকে সংযুক্ত করার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল।

ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৮৮৬ সালে এবং পুরো কাজটি শেষ হয় ১৮৯৪ সালে। টেমস নদীর ওপর নির্মিত এ ব্রিজের দৈর্ঘ্য ২৪৪ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ মিটার। ৬৫ মিটার উঁচু দুটি টাওয়ার দিয়ে যুক্ত। বড় আকারের নৌযান চলাচল করার সময় ব্রিজটির মাঝ বরাবর আলাদা হয়ে উপরের দিকে উঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। ভিক্টোরিয়ান গথিক স্থাপত্য শৈলীর এই ব্রিজটিকে প্রথম দিকে অনেকেই তেমন পছন্দ করেননি।

টাওয়ার ব্রিজের ভেতরের অংশে ব্রিজ প্রদর্শনী নামে একটি প্রদর্শনী আছে, যাতে ছবি, ভিডিও, ফিল্ম ইত্যাদির মাধ্যমে ব্রিজটির ইতিহাস তুলে ধরা হয়। প্রতি বছর ব্রিজের পাশে মেলা বা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এই মেলায় বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী আগমন করে থাকে।

#London #LondonWalk #LondonLife, #londoncity  #TowerBridge

Friday, May 10, 2024

লন্ডন সেন্ট্রাল মসজিদ



লন্ডনের রিজেন্টস পার্কের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে  লন্ডন সেন্ট্রাল মসজিদ
। 

হায়দরাবাদের শেষ নিজাম ওসমান আলী খাঁন সর্বপ্রথম ১৯৩৭ সালে লন্ডনে একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। নিজামিয়া মসজিদ নামে যেটির যাত্রা শুরু হয়। ১৯৪০ সালে বিলেত সরকার মসজিদ ও ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নির্মাণের অনুমোদন এবং এক লাখ পাউন্ড অনুদান দেয়।

 ১৯৪৪ সালে মিসর ও সুদানে চার্চ নির্মানের জায়গার সঙ্গে বিনিময় করে বিলেতের রাজা  ষষ্ঠ জর্জ ২.৩ একর জায়গা নিয়ে একটি ভিলা বরাদ্দ করেন। এখানেই বৃটিশ ইসলামিক কালচারাল সেন্টার নামে দাতব্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়। এই  প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে তহবিল সংগ্রহের পর ১৯৭৪ সালে মসজিদ নির্মাণ শুরু হয়। বর্তমান মসজিদ কমপ্লেক্স ১৯৭৭ সালে উদ্বোধন করা হয়।

পুর্ব লন্ডন মসজিদ সবচেয়ে বড় হলেও লন্ডন সেন্ট্রাল মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার বিলেতে সুন্নী মুসলমানদের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে থাকে। মুসলিম দেশগুলোর দুতাবাসের সমন্বয়ে একটি ট্রাষ্ট মসজিদ ও কালচারাল সেন্টারের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই মসজিদে প্রধান হলেএকসঙ্গে ৫ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। এছাড়াও মহিলাদের নামাজের জন্য পৃথক হল রয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সে প্রায় ২৫ হাজার বই সম্বলিত একটি গ্রন্থাগার, ইসলামী শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য স্কুল এবং খাবারের কেন্টিন রয়েছে!

#London #LondonCentralMosque

Wednesday, May 1, 2024

Boudica

She is considered a national heroine of England. Her husband, Prasutagus, was king of the Iceni (now Norfolk) as a client under Roman suzerainty. 


When Prasutagus died in 60CE with no male heir, he left his private wealth to his two daughters and to the Roman emperor Nero, trusting thereby to win imperial protection for his family.bHowever, the Romans ignored Prasutagus’s will and seized his lands, flogged his widow, Boudica, and raped their two daughters. 

While the Roman governor, Suetonius, was campaigning in Anglesey, Boudica led the Iceni and an allied tribe, the Trinovantes, in rebellion. She attacked Camulodunum (Colchester), where her troops slaughtered thousands and set fire to the temple of Claudius, killing those who sheltered inside. She then turned her attention on London, burning the Roman city and killing anyone who could not escape. According to the Roman historian Tacitus, Boudicca’s rebels massacred 70,000 Romans and pro-Roman Britons and cut to pieces the Roman 9th Legion. 

In the final decisive battle of Boudicca’s revolt against Roman rule in Britain, a large British force was routed by the heavily outnumbered Romans under the command of Gaius Suetonius Paulinus.

Paulinus met the Britons at a point thought to be near present-day Fenny Stratford on Watling Street and regained the province in a desperate battle. The battle fought  in 61 CE about 25 miles west of modern metropolitan Birmingham. Boudica's large  force was routed by relatively small numbers of Roman force,  who were superior in discipline, armor, and weaponry. 

Boudica committed suicide after the battle, and with her death the revolt of the Iceni came to a prompt end. The battle marked the end of resistance to Roman rule in southern Britain, which was to last until 410.

Saturday, April 27, 2024

Mandatory routine facial skincare for men

Not only for women, skincare routine should be maintained for men to have a healthy, bright and glowing skin. Daily mandatory facial skincare for men has an orderly pattern, as follows.

Cleanser/face wash:  It removes dirt, oil, and dead skin on the face. It should be selected depending on skin type, whether oily or dry. Cleanser/face wash is recommended to use in the morning and before bed.

Moisturizer: It helps skin to stay moist, protect from drying. Those working in AC room must use a suitable moisturizer every time after cleaning facial skin.

Sunscreen: As lotion, gel or cream, it should be above SPF30 for those working outdoor.  Though it is recommended to use sunscreen every two hours, it should be used at least twice, in the morning and when it feels lost after sweating or face wash.

Remember in addition to undertake this series of daily mandatory facial skincare, it is also essential to adopt a healthy lifestyle such as eating fruits and vegetables, exercising regularly, to drinking enough water for healthy bright skin. Avoiding cigarettes and alcohol also helps to glow your facial skin.

#MRKR #skincare #facial #facialskincare

Sunday, April 21, 2024

পারস্যের আকামেনিদ সাম্রাজ্য - পৃথিবীর প্রথম পরাশক্তি

খৃষ্টপূর্ব ১০০০ সালের আরো আগে থেকে সুবিস্তৃত ইরানি মালভূমিতে বিভিন্ন অর্ধ-যাযাবর গোষ্ঠী বসবাস করত। এই গোষ্ঠীগুলোর একটির প্রধান ছিলেন দ্বিতীয় সাইরাস, যিনি ইতিহাসে সাইরাস দ্য গ্রেট নামে পরিচিত। তিনি সকল গোত্রকে একত্র করতে সক্ষম হন। তারপর মেদাস, লিডিয়া, ও ব্যবিলন রাজ্য জয় করে আকামেনিদ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন, যা ইতিহাসে প্রথম পারস্য সাম্রাজ্য নামে পরিচিত। খৃষ্টপূর্ব ৫৫০ থেকে ৩৩০ সাল পর্যন্ত এই সাম্রাজ্য টিকে ছিল। মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রথম পরাক্রমশালী রাষ্ট্রীয় শক্তি ছিল পারস্যের এই আকামেনিদ সাম্রাজ্য। গ্রীকদের হাতে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের নেতৃত্বে এই সাম্রাজ্যের পতন ঘটেছিল‌।

সেই সময়ের পারস্য অঞ্চলে নানা ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষ বসবাস করতো, দুরদৃষ্টিসম্পন্ন ও বিচক্ষণ সাইরাস তাদের সকলকে স্বাধীনভাবে সেগুলো পালন করার অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। আকমেনিদ সাম্রাজ্যের শাসকরা ছিলেন একেশ্বরবাদী জরথুস্ত্রবাদী ধর্মের অনুসারী। কিন্তু সকল ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ছিল সাম্রাজ্যে। জেরুজালেম জয় করার পর সাইরাস ইহুদিদের সেখানে ফিরে আসার ব্যবস্থা করেন এবং বিধ্বস্থ আল আকসা পুনঃনির্মাণ করে দেন। 

তৃতীয় আকামেনিদ সম্রাট দারিয়ুস দ্য গ্রেটের শাসনামলে ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সভ্যতা মেসোপটেমিয়া সভ্যতা, নীলনদকে ঘিরে মিশরীয় সভ্যতা এবং সিন্ধু নদ অববাহিকায় সিন্ধু সভ্যতা পারস্য সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এশিয়া, ইউরোপ এবং আফ্রিকার মধ্যে সড়কপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম ডাক যোগাযোগ চালু হয়। রাষ্ট্রের অধীনে কর, আইনশৃঙ্খলা ও বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়, যেগুলো প্রাদেশিক পর্যায়ে সরকারের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। ধাতব শিল্প, বস্ত্র, শৈলস্থাপত্য ইত্যাদি শিল্পে বিকাশ ঘটেছিল সেই সাম্রাজ্যে। ধর্ম, শিল্প-সংস্কৃতি, স্থাপত্য, কলা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রায় সবকিছুর বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে এই সাম্রাজ্য প্রথম বিশ্বে পরাশক্তি আত্মপ্রকাশ করে। 


উন্নত শাসনব্যবস্থা, শিল্প-সংস্কৃতি, স্থাপত্য, নির্মাণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সক্ষমতার কারণে প্রথম পরাশক্তি হিসেবে গড়ে উঠেছিল আকমেনিদ প্রথম পারস্য সাম্রাজ্য।

Friday, April 19, 2024

বয়কট

 


বয়কট
শব্দটি এখন বাংলাদেশে বেশ আলোচিত। পণ্য, সিনেমা, প্রতিষ্ঠান, দেশ বা ব্যক্তি কোন কিছু অপছন্দ হলেই সামাজিক মাধ্যমে ‘বয়কট’-এর (Boycott) আহ্বান উঠে আসে। ইতিহাসে অনেক শক্তিশালী আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হয়েছে ‘বয়কট’। বৃটিশ শাসনামলে বিলেতি পণ্যের বিরুদ্ধে ‘বয়কট’-এর ডাক দেয়া হয়েছিল। শুধু এদেশে নয়, বিদেশেও যথেষ্ট জনপ্রিয় শব্দটি। কিন্তু এই শব্দটি অভিধানে সংযুক্ত হওয়ার পেছনে একটি ইতিহাস রয়েছে।

১৮৮০ সালের ঘটনা। চার্লস কানিংহাম বয়কট নামে ব্রিটিশ আর্মির এক অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আয়ারল্যান্ডের মায়ো কাউন্টির জোতদার লর্ড আর্নের খাজনা আদায়ের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। ফসলের ফলন কম হওয়ায় জমি বর্গা নেয়া চাষীরা ২৫ শতাংশ খাজনা মওকুফের দাবি তোলে। দাবি আমলে নিয়ে লর্ড আর্নে ১০ শতাংশ খাজনা মওকুফের ঘোষণা দেন।কিন্তু চাষীরা লর্ড আর্নের ঘোষণা না মানলে এজেন্ট বয়কট কয়েকজন বর্গা চাষীকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করেন‌। 

সেই সময় আয়ারল্যান্ডে ভূমি সংস্কারের পক্ষে আন্দোলন করছিলেন রাজনীতিবিদ চার্লস স্টুয়ার্ট পার্নেল। তিনি  এক ভাষণে বলেছিলেন, কোনো জমি থেকে বর্গাচাষিকে উচ্ছেদ করা হলে, সে জমি যেন অন্য চাষিরা বর্গা না নেন। জমির  মালিক উচ্ছেদের হুমকি দিলে অহিংসভাবে তাঁকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।

বয়কটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্থানীয় বর্গাচাষিরা চার্লস ষ্টুয়ার্ট পার্নেলের বাতলে দেয়া কৌশল বেছে নিয়েছিলেন। গৃহকর্মী থেকে দিনমজুর সবাই তার কাজ বর্জন করেন। ব্যবসায়ীরা ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করতে থাকেন। এমনকি স্থানীয় ডাকঘরের পিয়নও চিঠি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। বয়কট চেষ্টা অন্য এলাকা থেকে লোকজন কাজ লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে তার এই উদ্যোগও সফল হয়নি। সামাজিকভাবে একঘরে এবং অর্থনৈতিক ব্যাপক ক্ষতি হয় বয়কটের। এই ঘটনা অন্যান্য অবিবেচক ভূমি মালিকের বিরুদ্ধেও প্রয়োগ হতে থাকে।

এখনকার #ভাইরাল কাহিনীর মতো এই ঘটনা গণমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে দিয়েছিল। আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে আমেরিকার পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল এই সফল অহিংস প্রতিবাদের ঘটনা। একসময় বয়কট শব্দটি এই ধরনের ঘটনার সমার্থক হয়ে ইংরেজি অভিধানে স্থান করে নেয়।

Saturday, April 13, 2024

মঙ্গল শোভাযাত্রা

বাংলা ১৩৯৩ সন, ১৯৮৫ খৃষ্টাব্দে যশোরের চারুপিঠ প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা আয়োজন করে।

সেই শোভাযাত্রায় ছিল যশোরের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিকসহ সাধারন মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। বাংলাদেশের প্রথম এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় মূল থিম পরিকল্পনা করেছিলেন বিশ্ববরেণ্য শিল্পী এস এম সুলতান এবং বিশিষ্ট কবি আজিজুল হক। তখন স্বৈরশাসন এবং আগ্রাসী সম্রাজ্যবাদী সংস্কৃতির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিলো একটা প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের ডাক।

১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউট যশোরের চারুপিঠের আদলে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু করে। সেই সময় স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলনের তুঙ্গে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে আনার চেষ্টা করেছিল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। তবে প্রথমে চারুকলা আয়োজিত শোভাযাত্রাটির নাম মঙ্গল শোভাযাত্রা ছিল না। তখন এর নাম ছিল


বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা
। পরে নাম দেওয়া হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। ১৯৯০ সালের আনন্দ শোভাযাত্রায় নানা ধরনের শিল্পকর্মের প্রতিকৃতি স্থান পায়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শোভাযাত্রা জনপ্রিয়তার নতুন এক মাত্রা লাভ করে।

এই শোভাযাত্রা বাঙালির আদি সংস্কৃতির অংশ না হলেও এখন বাংলাদেশের অনেক স্থানে নববর্ষ উদযাপনের অংশে পরিণত হয়েছে। ২০১৬ সালে সংস্কৃতির প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে।

পান্তা-ইলিশ

পান্তা ইলিশ বাঙালি সংস্কৃতির অংশ নয় বরং ব্যবসায়িক বুদ্ধির চমৎকৃত ফসল। তবে আবহমানকাল ধরে পান্তা ছিল বাঙালির দৈনন্দিন খাবার।

বাঙালি ঠিক কত বছর আগে থেকে পান্তাভাত খায় তা সঠিকভাবে জানা যায় না। তবে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের মঙ্গলকাব্য ধারার অন্যতম প্রধান কাব্য চণ্ডীমঙ্গলে পাওয়া যায় পান্তার বর্ণনা। চৈত্র সংক্রান্তির শেষ বেলায় কৃষাণী হাঁড়িতে অপরিপক্ক চাল ছড়িয়ে কচি আমপাতার ডাল বসিয়ে দিতেন। নববর্ষের দিনে সূর্যোদয়ের আগে ঘর ঝাড়ু দিয়ে আমপাতা সহযোগে সেই পানি উঠোন ও ঘরে ছড়িয়ে দেন কৃষাণী। এরপর সেই ভেজানো ভাত পরিবারের সবাইকে খেতে দেওয়া হতো।

বাঙালির সংস্কৃতির পুরোভাগই যেহেতু কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত তাই পান্তাই ছিল সবচেয়ে সহজলভ্য। অন্যদিকে পান্তাভাত ছিল কৃষকের শারীরিক শক্তির উৎস। একসময় সূর্যোদয়ের পর পান্তা খেয়েই কৃষক মাঠে যেতেন। আবহমান গ্রাম বাংলায় পান্তা ভাত খাওয়া হতো নুন, কাঁচা লঙ্কা কিংবা বড়জোর পেঁয়াজ সহযোগে। কৃষক পান্তা খেত কচু পাতায় কিংবা কলা পাতায়।


পান্তা
কখনোই নববর্ষের প্রথম দিনেই সীমাবদ্ধ ছিল না।  নববর্ষের প্রথম দিনে আদিকাল থেকেই বাংলার ঘরে ঘরে সাধ্যমতো ভালো খাবার পরিবেশনের প্রচলন ছিল। পহেলা বৈশাখে বাঙালি চিরকালই ভালো খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতো।

বিগত শতাব্দীর আশির দশক থেকে পান্তা ইলিশের প্রবর্তন হয়েছে। এরশাদের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় রমনার বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সবার কাছেই আরাধ্য হয়ে উঠে। ফলে ছায়ানটের বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের পাশেই জমে উঠে পান্তা ইলিশ ছন্দ। সাংস্কৃতির কাছেই ব্যবসায়িক বুদ্ধি, দুয়ে মিলে পান্তা ইলিশের বিক্রি বাট্টা দেদারসে বাড়তে থাকে। মাটির সানকিতে করে পান্তা ইলিশের সঙ্গে যোগ হয় নানা পদের ভর্তাও। এমন সময়ে কিছু বাড়তি উপার্জনের আশায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী রমনা বটমূলে পান্তা ইলিশ বিক্রি শুরু করলে তা রীতিমতো তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। 

আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে পান্তা ইলিশ তুমুল জনপ্রিয় হয়ে উঠে। কয়েক বছরের মধ্যে পান্তা ইলিশ দেশব্যাপী রীতিমতো শোরগোল ফেলে দেয়। অনেকের দৃষ্টিতে তখন পান্তা ইলিশ হয়ে উঠে বাঙালিয়ানার অন্যতম অনুষঙ্গ। প্রথম পর্যায়ে ইলিশ মাছ দুর্লভ না হওয়ায় পান্তা ইলিশ অনেকেরই সাধ্যের মধ্যেই ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ইলিশ হয়ে উঠেছে বহু আরাধ্যের বস্তু।

পান্তা বাঙালি সংস্কৃতির অংশ তবে সঙ্গে ইলিশ মাছ যোগ হয়েছে নিতান্তই বানিজ্যিক কারণে!

Tuesday, April 9, 2024

Sparkling/Carbonated water

 Carbonated water is water that has been infused with carbon dioxide gas under pressure. This produces a bubbly drink that’s also known as sparkling water, club soda, soda water, seltzer water, and fizzy water. Carbonated waters usually have salt added to improve their taste. Sometimes small amounts of other minerals also added. Now a days sparkling may have sugar-sweetened or flavored.

Natural sparkling mineral waters are different, which is collected from a mineral spring and tend to contain minerals and sulfur compounds. They are often carbonated as well.

Cola is a carbonated soft drink flavored with vanilla, cinnamon, citrus oils, and other flavorings.

Tonic water is a form of carbonated water that contains a bitter compound called quinine, along with sugar or high-fructose corn syrup.




Pros and cons of Sparkling/Carbonated water

✓Carbonated water is acidic, but human body has the ability to maintain a stable pH .

✓Carbonated water has benefits for digestion. It may improve swallowing, increase feelings of fullness, and reduce constipation.

✓Drinking carbonated cola drinks may harm bone health, but plain sparkling water appears to have a neutral or positive effect.

✓Carbonated water may have beneficial effects on your cholesterol, inflammation, and blood sugar levels, potentially reducing your risk of heart disease. However, more studies are necessary.

✓Sugar-sweetened carbonated beverages can erode tooth enamel, but plain carbonated water appears relatively harmless.

Sunday, April 7, 2024

কুকি মানুষ

 কুকি একক কোন নৃগোষ্ঠী নয়। প্রায় ৫০ টি জণগোষ্ঠীর সমন্বয়ে কুকি-চিন-মিজো জাতি গঠিত। এরা চীনা-তিব্বতী জাতিগোষ্ঠীর একটি ধারা যারা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল জুড়ে, মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাংশে এবং বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বিস্তৃত। সংখ্যাগরিষ্ঠ কুকিরা খৃষ্টান ধর্মালম্বী।

মিয়ানমারের চিন রাজ্যে কুকিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, যেখান থেকে চিন শব্দটি যুক্ত হয়েছে। কুকি নৃগোষ্ঠী ভারতের মিজোরাম রাজ্যে মিজো জাতি যারা বাংলাদেশে লুসাই নামে পরিচিত‌। বাংলাদেশের বম, পাংখো, খুমি এই জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এই জাতিগোষ্ঠীর একটি অংশ মিয়ানমার ও ভারতে থাডো নামে পরিচিত।  উত্তর-পূর্ব ভারতের সকল রাজ্যে কুকিরা ছড়িয়ে রয়েছে। মণিপুর রাজ্যের জনসংখ্যার প্রায় ৩০% কুকি জনগোষ্ঠীর।

বৃটিশ ঔপনিবেশিক নীতির কারণে কুকিরা প্রতিবেশী তিনটি দেশে আন্তর্জাতিক সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ভারতে কুকি জনগোষ্ঠীর প্রায় ৫০টি শাখা রয়েছে এবং এরা সেখান তফশিলি সম্প্রদায় হিসাবে চিহ্নিত। 

বাংলাদেশে সক্রিয় সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট মূলত বম সম্প্রদায়ের।


Saturday, April 6, 2024

স্বেচ্ছায় মৃত্যু || ইউথানাসিয়া


 যে সব দেশে ইউথানাসিয়া/স্বেচ্ছামৃত্যুর আইনগত অধিকার রয়েছে তারমধ্যে নেদারল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি প্রায় ৫% (সব ধরনের মৃত্যুর) এটি বেছে নিচ্ছেন। ২০২২ সালে ৮৭২০ জন মানুষ ইউরোপের দেশটিতে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করে নিয়েছেন।

নেদারল্যান্ডসে দম্পতি বা যুগলদের স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালে দেশটিতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছিলেন ৫৮টি যুগল। এই বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্রিস ভ্যান অ্যাগট তার স্ত্রী ইগুইনকে সঙ্গে নিয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন। স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। ২০১৯ সালে দ্রিস ভ্যানের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ার পর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি অসুস্থই ছিলেন কিন্তু স্ত্রীকে রেখে আগে চলে যেতে চাইছিলেন না। তারা একসঙ্গে মৃত্যুবরণ করার সিদ্ধান্ত নেন। দ্রিস ভ্যান ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।২

৮ বছর বয়সী নারী জোরায়া টার বিক। একসময় মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। তার ছেলে বন্ধু ও আদরের দুটি বিড়াল 🐱🐈 রয়েছে। তারপরও আগামী মে মাসে তিনি স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করবেন। জোরায়া মানসিক রোগী, চিকিৎসাধীন। তবে চিকিৎসার মাধ্যমে তার বর্তমান অবস্থার আর উন্নতি ঘটানো সম্ভব নয় বলে চিকিৎসকরা মতামত দিলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন।

নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ইদানিং স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে নেদারল্যান্ডে। যেটি নিয়ে দেশটির সমাজবিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্ন।

#Euthansia

Tuesday, March 19, 2024

গর্ভকালীন ত্বকের সমস্যা ও প্রতিকার

গর্ভবতী নারীর শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন হয়ে থাকে। 


শরীরের এই পরিবর্তন শরীরের সর্ববৃহৎ অঙ্গ ত্বকেও পরিলক্ষিত হয়। সাধারণত হরমোনজনিত প্রভাব‌ ও গর্ভের শিশুর আকার বৃদ্ধির কারণেই এসব পরিবর্তন হয়ে থাকে। 

কি পরিবর্তন হয়?

✓গর্ভের শিশু আকারে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পেটের ত্বকে টান পড়তে থাকে। ফলে ত্বকে ফাটা দাগ দেখা দেয়।

✓হরমোনজনিত কারণে ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যায়। মুখমণ্ডলের ত্বকের তৈলাক্ততা বাড়ার কারণে ব্রণ দেখা দেয়।

✓হরমনজনিত পরিবর্তনের কারণে মুখে মেছতা দেখা দিতে পারে। গলা, ঘাড় ও ভাঁজের ত্বকে গাঢ় দাগ দেখা দিতে পারে।

✓যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের অ্যালার্জিজনিত একজিমা বেড়ে যেতে পারে। 

✓চুলকানির ফলে ত্বক লালচে হয়ে ফুলে যেতে পারে। তবে গর্ভকালীন জন্ডিসের কারণে চুলকানি হলেও ত্বকের কোন পরিবর্তন হয় না।

প্রতিকারের উপায় কি?

সাধারণত প্রসব পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যেই গর্ভকালীন ত্বকের সমস্যা গুলো আপনাআপনি দুর হয়ে যায়। তবে গর্ভবস্থায় ত্বকের যত্নে কিছু বিষয় মেনে চললে সমস্যার তীব্রতা যেমন কম হয় তেমনি কম সময়ে সেগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

✓ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে নিয়মিত সাবান, ক্লিনজার বা স্ক্র্যাবার দিয়ে পরিস্কার রাখতে হবে।

✓ত্বকের মসৃণতা ঠিক রাখতে ইমোলেন্ট বা ময়শ্চারাইজার ক্রিম/লোশন ব্যবহার করা উচিত। 

✓পেটের ফাটা দাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি, ভার্জিন নারকেল বা অলিভ ওয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

✓গর্ভাবস্থায় ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ঘরের বাইরে গেলে সানস্ক্রিন ক্রিম/লোশন ব্যবহার করতে হবে।

✓গর্ভবস্থায় শরীরে পানীর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। সেজন্য পর্যাপ্ত পানি ও পানীয় পান করতে হবে।

মনে রাখতে হবে, গর্ভকালীন ত্বকের এই সমস্যাগুলো কোনো রোগ নয়। প্রসবের পর এগুলো এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়। তবে গর্ভবতী মায়ের ত্বকে পরিলক্ষিত লক্ষন গুলোর তীব্রতা বেশি হলে কিংবা প্রসবের ৬ মাস পরেও ত্বক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসলে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।


Sunday, March 17, 2024

চা ও কফি

 #চা_কফি 

চা এবং কফিতে ক্যাফেইন ও ট্যানিন নামে সক্রিয় পদার্থ থাকে। কফিতে ১.২% ক্যাফেইন এবং ৪.৬% ট্যানিন থাকে। অন্যদিকে চা'তে ২.৭% ক্যাফেইন এবং  ১১.২% ট্যানিন বিদ্যমান। 

সহনীয় মাত্রার ক্যাফেইন অলসতা দুর করে, কর্মস্পৃহা ও কাজের একাগ্রতা বাড়িয়ে দেয়। তবে বেশি মাত্রায় এটি মানসিক অস্থিরতা, ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হতে পারে। হৃদপিন্ডের গতি বাড়িয়ে দেয়।

শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান পরিপাকতন্ত্র থেকে শোষণ বাধাগ্রস্ত করে থাকে ট্যানিন। যেমন আয়রন বা লৌহ জাতীয় পদার্থ। যার কারণে আ্যনিমিয়া বা রক্ত শুন্যতা দেখা দিতে পারে।

মেলাটোনিন নামে একটি হরমোন ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়। ক্যাফেইন এই হরমোন তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যে কারনে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

ক্যাফেইন পাকস্থলীর এসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে এসিডিটি ও বুকজ্বালা পোড়া দেখা দিতে পারে। চা বেশিক্ষণ ধরে ফুটালে লেড ও আ্যলুমিনিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, যা শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

ক্যাফেইন শরীর চাঙ্গা করে বটে। তবে শরীরের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়টি মাথায় রেখে চা ও কফি গ্রহণ করা উচিত। সেক্ষেত্রে ঘন ঘন অতিরিক্ত চা বা কফি গ্রহণ থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে চা বা কফি পান করার অভ্যেস বাদ দেয়া উচিত।

#MRKR


Thursday, March 14, 2024

আল জাহরাউয়ি: শল্য চিকিৎসার জনক!

তাঁকে শল্য চিকিৎসার জনক বলা হয়ে থাকে। শিল্পকলা, সংগীত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জ্যোতির্বিদ্যা, দর্শন, গণিত বিষয়ে জ্ঞান আহরণ শেষে তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে থিতু হন এবং চিকিৎসক হিসেবে পেশাগত জীবন বেছে নেন। রাজ চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতেন তিনি। জেনারেল সার্জন থেকে তিনিই প্রথম আলাদাভাবে নিউরোসার্জন হয়ে উঠেছিলেন।

তিনি পদার্থ, রসায়ন ও চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেন। তবে ‘কিতাবুল তাসরিফ’ নামে ৩০ খন্ডের চিকিৎসা শাস্ত্রের গ্রন্থটি তাঁকে অমর করে রেখেছে। সার্জারি থেকে শুরু করে মেডিসিন, প্যাথলজি, ফার্মাকোলজি, অপথালমোলজি, অর্থোপেডিকস,দন্তবিজ্ঞান, পুষ্টিবিজ্ঞান, শিশু চিকিৎসা—সবই স্থান পেয়েছে এই গ্রন্থে।

এই গ্রন্থের সার্জারি খন্ডে দুই শতাধিক অস্ত্রোপচারের সচিত্র বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি, লিথোটমি, হাইড্রোকেফালাস ইত্যাদি সম্পর্কে তিনিই সর্বপ্রথম ধারণা দিয়েছিলেন। সর্বপ্রথম সফলভাবে দাঁত ট্রান্সপ্লান্ট করে দেখিয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি এমন বিশেষ কিছু সরঞ্জাম ও প্রায়োগিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন, যেগুলোর একটা বড় অংশ এখনো সার্জারিতে ব্যবহৃত হয়!

চিকিৎসা-বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদ ডোনাল্ড ক্যাম্পবেলের মতে, তাঁর চিকিৎসা পদ্ধতি এতটাই আধুনিক ছিল যে তখন ইউরোপীয় চিকিৎসকরা অন্ধের মতো অনুকরণ করতো তাঁকে। তাঁর দেখানো পথে চলেই ইউরোপে শল্যচিকিৎসা আজকের পর্যায়ে পৌঁছেছে!  ইউরোপিয়ান রেনেসাঁর সময়কালীন বিখ্যাত শল্যচিকিৎসক পিয়েত্রো আরগালাতা তাঁকে  শল্য চিকিৎসার মাষ্টার বলেছেন।

পাশ্চাত্যে #আবুলকাসিস নামে পরিচিত আবুল কাসিম খালাফ ইবনে আল আব্বাস আল জাহরাউয়ি, সংক্ষেপে আল জাহরাউয়ি ৯৩৬ খৃষ্টাব্দে আন্দালুসিয়ার (স্পেন) আজ-জাহরা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

#MRKR


Tuesday, February 20, 2024

পানিতে সন্তান প্রসব


পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ইদানিং বাথটাবে সন্তান জন্ম দেয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর বেশ কিছু অঞ্চলে নদী বা সুমদ্রে সন্তান প্রসবের সংস্কৃতি প্রচলিত রয়েছে অনেক আগে থেকেই। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস ও ন্যাশনাল চাইল্ড বার্থ ট্রাষ্ট সন্তান জন্ম দেয়ার এই প্রক্রিয়া অনুমোদন দিলেও এখনো স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই সেবা দেয়া শুরু করে নাই। তবে ধাত্রী বা চিকিৎসকের উপস্থিতিতে বাড়ি বা অন্য কোন সুবিধাজনক স্থানে তার চিকিৎসকের অনুমোদন সাপেক্ষে পানিতে সন্তান প্রসব করতে পারেন গর্ভবতী। এই সেবা দেয়ার জন্য বেশকিছু কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। পানির নিচে সন্তান প্রসবের পদ্ধতিটি চিকিৎসা পরিভাষায় ওয়াটার বার্থ নামে পরিচিত।

যে কোন গর্ভবতী চিকিৎসকের অধীনে নিয়মিত গর্ভকালীন পরীক্ষায় থেকে সাধারণভাবে সন্তান প্রসবে সক্ষম সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় এই পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন। প্রসব বেদনা উঠার পর গর্ভবতী বাথটাব বা সুইমিংপুলে স্থান নেন। ধাত্রীর উপস্থিতিতে স্বামী বা পরিবারের সদস্যরা বাথটাবের চারপাশে উপস্থিত থাকতে পারেন।

এই পদ্ধতিতে প্রসব বেদনার তীব্রতা তুলনামূলক কম হয়। এছাড়াও দুঃশ্চিন্তামুক্ত পারিবারিক আনন্দঘন পরিবেশে সন্তান জন্মলাভ করে। হাসপাতাল বা স্থাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসবের সঙ্গে তুলনা করলে এই পদ্ধতির প্রধান সুবিধা হচ্ছে মানসিক চাপ মুক্ত পরিবেশ।


তবে প্রসবকালীন সময়ে জরুরী প্রয়োজনে হাসপাতালে স্থানান্তরের ঝুঁকি রয়েছে।

#MRKR

Monday, February 19, 2024

স্লিপ ডিভোর্স



কোন দম্পতি বিশেষ কারণে এক বিছানা বা রুমে না ঘুমালে সেটিকে স্লিপ ডিভোর্স বলা হয়ে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক তৃতীয়াংশ এবং যুক্তরাজ্যের এক চতুর্থাংশ দম্পতি এই বিশেষ ধরনের #ডিভোর্স জীবনযাপন করছেন। ঐতিহাসিকদের মতে এই ব্যবস্থা অতীতে খুব সাধারণ বিষয় ছিল। বিশেষ করে যাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ভালো ছিল, যেমন জমিদার বা রাজ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। করোনা মহামারীর পর বর্তমানে এই ব্যবস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে।

নাক ডাকা, ঘুমের মাঝে হাত -পা নাড়ানো, স্লিপ ওয়াকিং, অর্থাৎ ঘুমের ঘোরে হাঁটার অভ্যাস বা শারীরিক সমস্যার কারণে তারা ঘনঘন বাথরুমে যাওয়ায় সঙ্গীর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বা বিরক্ত হতে পারে। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে স্লিপ ডিভোর্স পালন করা হয়ে থাকে। স্লিপ ডিভোর্স অসম্মানজনক নয়, বরং জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মুলত সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের কারণে।

ঘুম না হলে মেজাজ খারাপ হতে পারে। সঙ্গীর সাথে তর্কে জড়ানোর সম্ভাবনা তাদের বেশি থাকে। সঙ্গীর প্রতি বিরক্তি জন্মাতে পারে, যা দাম্পত্য সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া পর্যাপ্ত ঘুম না হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া সহ আরো কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তবে স্লিপ ডিভোর্স পালনকারী দম্পতির সম্পর্ক, সান্নিধ্য বা পারস্পরিক ঘনিষ্ঠতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এক বিছানায় ঘুমানো দম্পতির মধ্যে যে জৈবিক বন্ধন সৃষ্টি হয় স্লিপ ডিভোর্সে তা ভেঙে যায়। তাছাড়া যারা একা ঘুমাতে পারেন না, তাদের জন্য ব্যবস্থাটি মেনে নেয়া কষ্টকর। কাজেই সম্পর্কে থাকা দুজনের সম্মতির ভিত্তিতে স্লিপ ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত‌। সেটি না হলে স্থায়ী ডিভোর্সের ঝুঁকি সৃষ্টি করবে।

#MRKR

Sunday, January 21, 2024

ইষ্ট লন্ডন মসজিদ

 বৃটিশ


ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থাকলেও সাম্রাজ্যের রাজধানী লন্ডনে মুসলমানদের প্রার্থনা করার জন্য কোন মসজিদ ছিল না।  একটি মসজিদ স্থাপনের উদ্যোগ হিসেবে ১৯১০ সালের ৯ ডিসেম্বর লন্ডনে বসবাসকারী গণ্যমান্য মুসলিমরা রিজ হোটেলে মিলিত হয়ে 'লন্ডন মসজিদ ফান্ড' গঠন করেন। সেই মিটিংয়ে লন্ডনের প্রভাবশালী খৃষ্টান ও ইহুদি ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।

'লন্ডন মসজিদ ফান্ড' গঠনে উল্লেখযোগ্য দাতাদের মধ্যে ছিলেন (হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর চাচা, অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের নানা শ্বশুর) ডা: হাসান সোহরাওয়ার্দী, সৈয়দ আমীর আলী, তৃতীয় আগা খাঁন প্রমুখ। খৃষ্টান ধর্মের ইতিহাসবিদ টি. ডাব্লিও আরনল্ড এই ফান্ডের সচিব এবং হাসান সোহরাওয়ার্দী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। স্যার জন উডহেডকে কোষাধক্ষ্যের দায়িত্ব দেয়া হয়। এছাড়াও ইউরোপের ধনাঢ্য ইহুদি পরিবার এবং ব্যাংকিং জগতের পথিকৃৎ রথচাইল্ড পরিবারের নাথান রথচাইল্ডকে ট্রাষ্টি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

এই ফান্ডের সহায়তায় ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত লন্ডনের বিভিন্ন স্থান ভাড়া নিয়ে জামায়াত ও জুমার নামাজ আয়োজন করা হতো। ১৯৪০ সালে পুর্ব লন্ডনে জমি ক্রয় করা হয় এবং ১৯৪১ সালের ২ আগষ্ট 'ইষ্ট লন্ডন মসজিদ ' উদ্বোধন করা হয়।

১৯৮৫ সালে সৌদি আরব, কুয়েত ও বৃটিশ সরকারের অর্থ সহায়তায় পুর্নাঙ মসজিদ ও মুসলিম কাউন্সিল কমপ্লেক্সের নির্মাণ শেষ হয়। ২০০১ ও ২০০৯ সালে মসজিদের আরো সংস্কার ও সম্প্রসারন কাজ করা হয়। বর্তমান মসজিদটি ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম মসজিদ। একসঙ্গে কমবেশি ৭ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে ইষ্ট লন্ডন মসজিদে।

জিন্নাহর বংশোধর

ওয়াদিয়া গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ইরান থেকে আসা পার্সি লোভজি নুসারওয়াঞ্জি ওয়াদিয়া ১৭৩৬ সালে বোম্বে ড্রাইডক কোম্পান...