Tuesday, March 19, 2024

গর্ভকালীন ত্বকের সমস্যা ও প্রতিকার

গর্ভবতী নারীর শারীরিক ও মানসিক নানা পরিবর্তন হয়ে থাকে। 


শরীরের এই পরিবর্তন শরীরের সর্ববৃহৎ অঙ্গ ত্বকেও পরিলক্ষিত হয়। সাধারণত হরমোনজনিত প্রভাব‌ ও গর্ভের শিশুর আকার বৃদ্ধির কারণেই এসব পরিবর্তন হয়ে থাকে। 

কি পরিবর্তন হয়?

✓গর্ভের শিশু আকারে বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে পেটের ত্বকে টান পড়তে থাকে। ফলে ত্বকে ফাটা দাগ দেখা দেয়।

✓হরমোনজনিত কারণে ত্বকের তৈলাক্ততা বেড়ে যায়। মুখমণ্ডলের ত্বকের তৈলাক্ততা বাড়ার কারণে ব্রণ দেখা দেয়।

✓হরমনজনিত পরিবর্তনের কারণে মুখে মেছতা দেখা দিতে পারে। গলা, ঘাড় ও ভাঁজের ত্বকে গাঢ় দাগ দেখা দিতে পারে।

✓যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে তাদের অ্যালার্জিজনিত একজিমা বেড়ে যেতে পারে। 

✓চুলকানির ফলে ত্বক লালচে হয়ে ফুলে যেতে পারে। তবে গর্ভকালীন জন্ডিসের কারণে চুলকানি হলেও ত্বকের কোন পরিবর্তন হয় না।

প্রতিকারের উপায় কি?

সাধারণত প্রসব পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যেই গর্ভকালীন ত্বকের সমস্যা গুলো আপনাআপনি দুর হয়ে যায়। তবে গর্ভবস্থায় ত্বকের যত্নে কিছু বিষয় মেনে চললে সমস্যার তীব্রতা যেমন কম হয় তেমনি কম সময়ে সেগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

✓ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে নিয়মিত সাবান, ক্লিনজার বা স্ক্র্যাবার দিয়ে পরিস্কার রাখতে হবে।

✓ত্বকের মসৃণতা ঠিক রাখতে ইমোলেন্ট বা ময়শ্চারাইজার ক্রিম/লোশন ব্যবহার করা উচিত। 

✓পেটের ফাটা দাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত গ্লিসারিন, পেট্রোলিয়াম জেলি, ভার্জিন নারকেল বা অলিভ ওয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।

✓গর্ভাবস্থায় ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। ঘরের বাইরে গেলে সানস্ক্রিন ক্রিম/লোশন ব্যবহার করতে হবে।

✓গর্ভবস্থায় শরীরে পানীর চাহিদা বৃদ্ধি পায়। সেজন্য পর্যাপ্ত পানি ও পানীয় পান করতে হবে।

মনে রাখতে হবে, গর্ভকালীন ত্বকের এই সমস্যাগুলো কোনো রোগ নয়। প্রসবের পর এগুলো এমনিতেই ঠিক হয়ে যায়। তবে গর্ভবতী মায়ের ত্বকে পরিলক্ষিত লক্ষন গুলোর তীব্রতা বেশি হলে কিংবা প্রসবের ৬ মাস পরেও ত্বক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসলে অবশ্যই ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।


Sunday, March 17, 2024

চা ও কফি

 #চা_কফি 

চা এবং কফিতে ক্যাফেইন ও ট্যানিন নামে সক্রিয় পদার্থ থাকে। কফিতে ১.২% ক্যাফেইন এবং ৪.৬% ট্যানিন থাকে। অন্যদিকে চা'তে ২.৭% ক্যাফেইন এবং  ১১.২% ট্যানিন বিদ্যমান। 

সহনীয় মাত্রার ক্যাফেইন অলসতা দুর করে, কর্মস্পৃহা ও কাজের একাগ্রতা বাড়িয়ে দেয়। তবে বেশি মাত্রায় এটি মানসিক অস্থিরতা, ঘুমের ব্যাঘাতের কারণ হতে পারে। হৃদপিন্ডের গতি বাড়িয়ে দেয়।

শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান পরিপাকতন্ত্র থেকে শোষণ বাধাগ্রস্ত করে থাকে ট্যানিন। যেমন আয়রন বা লৌহ জাতীয় পদার্থ। যার কারণে আ্যনিমিয়া বা রক্ত শুন্যতা দেখা দিতে পারে।

মেলাটোনিন নামে একটি হরমোন ঘুমের জন্য প্রয়োজনীয়। ক্যাফেইন এই হরমোন তৈরিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যে কারনে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

ক্যাফেইন পাকস্থলীর এসিড নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে এসিডিটি ও বুকজ্বালা পোড়া দেখা দিতে পারে। চা বেশিক্ষণ ধরে ফুটালে লেড ও আ্যলুমিনিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়, যা শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

ক্যাফেইন শরীর চাঙ্গা করে বটে। তবে শরীরের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাবের বিষয়টি মাথায় রেখে চা ও কফি গ্রহণ করা উচিত। সেক্ষেত্রে ঘন ঘন অতিরিক্ত চা বা কফি গ্রহণ থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। বিশেষ করে রাতে ঘুমানোর আগে চা বা কফি পান করার অভ্যেস বাদ দেয়া উচিত।

#MRKR


Thursday, March 14, 2024

আল জাহরাউয়ি: শল্য চিকিৎসার জনক!

তাঁকে শল্য চিকিৎসার জনক বলা হয়ে থাকে। শিল্পকলা, সংগীত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, জ্যোতির্বিদ্যা, দর্শন, গণিত বিষয়ে জ্ঞান আহরণ শেষে তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানে থিতু হন এবং চিকিৎসক হিসেবে পেশাগত জীবন বেছে নেন। রাজ চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিতেন তিনি। জেনারেল সার্জন থেকে তিনিই প্রথম আলাদাভাবে নিউরোসার্জন হয়ে উঠেছিলেন।

তিনি পদার্থ, রসায়ন ও চিকিৎসা শাস্ত্রের উপর শতাধিক গ্রন্থ রচনা করেন। তবে ‘কিতাবুল তাসরিফ’ নামে ৩০ খন্ডের চিকিৎসা শাস্ত্রের গ্রন্থটি তাঁকে অমর করে রেখেছে। সার্জারি থেকে শুরু করে মেডিসিন, প্যাথলজি, ফার্মাকোলজি, অপথালমোলজি, অর্থোপেডিকস,দন্তবিজ্ঞান, পুষ্টিবিজ্ঞান, শিশু চিকিৎসা—সবই স্থান পেয়েছে এই গ্রন্থে।

এই গ্রন্থের সার্জারি খন্ডে দুই শতাধিক অস্ত্রোপচারের সচিত্র বর্ণনা দিয়েছেন তিনি। এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি, লিথোটমি, হাইড্রোকেফালাস ইত্যাদি সম্পর্কে তিনিই সর্বপ্রথম ধারণা দিয়েছিলেন। সর্বপ্রথম সফলভাবে দাঁত ট্রান্সপ্লান্ট করে দেখিয়েছিলেন তিনি। চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের জন্য তিনি এমন বিশেষ কিছু সরঞ্জাম ও প্রায়োগিক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন, যেগুলোর একটা বড় অংশ এখনো সার্জারিতে ব্যবহৃত হয়!

চিকিৎসা-বিজ্ঞানের ইতিহাসবিদ ডোনাল্ড ক্যাম্পবেলের মতে, তাঁর চিকিৎসা পদ্ধতি এতটাই আধুনিক ছিল যে তখন ইউরোপীয় চিকিৎসকরা অন্ধের মতো অনুকরণ করতো তাঁকে। তাঁর দেখানো পথে চলেই ইউরোপে শল্যচিকিৎসা আজকের পর্যায়ে পৌঁছেছে!  ইউরোপিয়ান রেনেসাঁর সময়কালীন বিখ্যাত শল্যচিকিৎসক পিয়েত্রো আরগালাতা তাঁকে  শল্য চিকিৎসার মাষ্টার বলেছেন।

পাশ্চাত্যে #আবুলকাসিস নামে পরিচিত আবুল কাসিম খালাফ ইবনে আল আব্বাস আল জাহরাউয়ি, সংক্ষেপে আল জাহরাউয়ি ৯৩৬ খৃষ্টাব্দে আন্দালুসিয়ার (স্পেন) আজ-জাহরা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

#MRKR


জিন্নাহর বংশোধর

ওয়াদিয়া গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ইরান থেকে আসা পার্সি লোভজি নুসারওয়াঞ্জি ওয়াদিয়া ১৭৩৬ সালে বোম্বে ড্রাইডক কোম্পান...