Thursday, July 2, 2020

বর্ষায় ত্বকের রোগ এবং প্রতিকার


বর্ষা মৌসুমে আবহাওয়ায় তাপমাত্রা এবং জলীয়বাষ্প বেশি থাকে, এজন্য কয়েক ধরনের ত্বকের রোগের আধিক্য দেখা দিতে পারে। উচ্চ তাপমাত্রায় সৃষ্ট ঘাম, বাতাসে জলীয় বাস্প, এবং সুর্যালোকের কারণে পরজীবী, ফাঙ্গাস, এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত ত্বকের রোগের পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহজনিত রোগ দেখা দিতে পারে এই মৌসুমে।

*ফাঙ্গাস জনিত রোগ: উচ্চ তাপমাত্রা এবং জলীয়বাষ্প ত্বকে ফাঙ্গাস বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বগল, কুচকি, হাত-পায়ের আঙ্গুলের ফাকে, নখে বা শরীরের অন্য যে কোন স্থানে ফাঙ্গাস বৃদ্ধি পেয়ে রোগের সৃষ্টি করে। চুলকানি, লালচে চাকা ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ। দাদ এমনি একটি ত্বকের রোগ।
*ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ: বর্ষা মৌসুমের আবহাওয়া ফাঙ্গাসের মতো ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলের গোড়ায় ফুস্কড়ি উঠে পুজ হতে পারে।
* ত্বকে পরজীবী আক্রান্ত স্ক্যাবিস বা খোসপচড়া দেখা দিতে পারে। 
*উচ্চ তাপমাত্রা, ঘাম এবং তৈলাক্ত ত্বকের কারণে একজিমা, সোরিয়াসিস, মেছতা, ঘামাচি এবং ব্রণ বেড়ে যেতে পারে।

#প্রতিকার
* নিয়মিত গোসল, হাত, পা, মুখ পরিস্কার এবং শুস্ক রাখতে হবে।
* আরামদায়ক এবং প্রাকৃতিক তন্তুর তৈরি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধান করতে হবে। আন্ডার গার্মেন্টস  একবার ব্যবহার করার পর না ধুয়ে পরিধান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
*সুর্যালোক এবং বৃষ্টি এড়িয়ে চলতে ছাতা ব্যবহার করার বিকল্প নেই। ত্বকের ধরণ অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শে সানস্ক্রিন বা সানব্লক ব্যবহার করা যেতে পারে।
*কৃত্রিম জুয়েলারি ব্যবহার না করাই ভালো। এই মৌসুমে নাক-কান ফোড়ানো, শরীরে ট্যাট্টু আকা থেকে বিরত থাকুন।
*ত্বকে যে কোন ধরনের লক্ষণ অনুভূত হওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

লেখক:
এম আর করিম রেজা
চিকিৎসক, ত্বক, সৌন্দর্যের, এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ

জিন্নাহর বংশোধর

ওয়াদিয়া গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ইরান থেকে আসা পার্সি লোভজি নুসারওয়াঞ্জি ওয়াদিয়া ১৭৩৬ সালে বোম্বে ড্রাইডক কোম্পান...