Wednesday, November 13, 2019

বায়ুদূষণ এবং ত্বকের রোগ

ত্বক শরীরের একক বৃহত্তম অঙ্গ। পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেওয়া ত্বকের অন্যতম প্রধান কাজ। মানুষের কর্মকাণ্ডে বায়ুমন্ডল দুষিত হয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণের আশংকাজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছে উপমহাদেশে। বায়ুদূষণের কারণে মানবদেহে নানাধরনের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় বা প্রাদুর্ভাব ঘটে থাকে। বায়ুদূষণের কারণে ত্বকের রোগ হতে পারে সেটি সাধারণভাবেই অনুমান করা যায়। নানা ধরনের গ্যাস, ধুলি কণার সমন্বয়ে বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। দুষনের কারণে সৃষ্ট ধোয়াশে আবহাওয়ার কারণে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায় এবং কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়। অক্সিজেনের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে শরীরবৃত্ত ক্রিয়ার কারনে প্রদাহ সৃষ্টি হয়। এই প্রদাহের কারনে একজিমা, ডার্মাটাইটিস, এলার্জি, ব্রণ ইত্যাদি রোগ বাড়িয়ে দেয়। ত্বকের শুস্কতার কারণে চুলকানি বেড়ে যায়। বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন কমে যাওয়ার প্রভাবে শরীরবৃত্ত ক্রিয়ার কারনে ত্বকের কোলাজেন ভেঙ্গে যায়। ফলে ত্বকের স্বাভাবিক মসৃণতা নষ্ট হয়ে ভাজ, দাগ ইত্যাদি বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণ আবির্ভাব হয়। বায়ুদূষণে কার্বন কণা বৃদ্ধির কারণে ত্বকের ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। বায়ুদূষণের কারণে মাথার চুল পড়া বৃদ্ধি পেয়ে টাক পড়তে পারে। 
  প্রতিরোধে করণীয়
*নিয়মিত সানস্ক্রিন এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। *বাহির থেকে এসেই গোসল করে ফেলুন, অন্তত মুখমণ্ডল এবং হাত পা ক্লিন্জার বা কম ক্ষারীয় সাবান দিয়ে পরিস্কার করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। *বাহিরে ফেসমাস্ক ব্যবহার করুন এবং গৃহাভ্যান্তরে বায়ূ পরিশোধক যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। *শাকসবজি, ফলমুল বেশি খাবেন। পর্যাপ্ত পানীয় পান করুন। *
সমস্যা অনুভূতির সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
 
লেখক: 
ডাঃ এম আর করিম রেজা ত্বক এবং সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ এইমস হাসপাতাল লিমিটেড হটলাইন:০৯৬৭৮১১৭৮১১

Tuesday, August 20, 2019

ত্বক ফর্সা করার আগে একটু ভাবুন!


প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই অপেক্ষাকৃত গাঁড় বর্ণ বা কালো ত্বকের মানুষের মধ্যে ফর্সা হওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। আধুনিক যুগের বিশ্বখ্যাত সঙ্গীত তারকা মাইকেল জ্যাকসন ফর্সা এবং সুন্দর হওয়ার প্রচেষ্টায় ধারণাতীত অর্থ এবং সময় নষ্ট করেছেন, যা তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বাহ্যিক সৌন্দর্য বিচারে সাধারণ মানুষের মধ্যে ত্বকের রঙ্গ নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত। গবেষণায় প্রমাণিত যে সৌন্দর্য নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগতে থাকা সুস্থ মানুষ ফর্সা হওয়ার চেষ্টা করে থাকে। মজার বিষয় কালো বর্ণের মানুষের চেয়ে মিশ্র বর্ণ বা শ্যামলা বর্ণের মানুষের মধ্যে এই প্রবনতা সবচেয়ে বেশি। উপমহাদেশ এবং দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার মানুষ রঙ্গ ফর্সা করার চেষ্টা করে থাকে সবচেয়ে বেশি। মানুষের এই দুর্বলতাকে পুঁজি করে বিশ্বব্যাপী বিপুল বাণিজ্য চলছে, যার আর্থিক মূল্য ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। বাজারে ত্বক ফর্সা করার প্রসাধনী ক্রিম বা সাবান যেমন রয়েছে, তেমনি বিউটি পার্লার এবং প্রশিক্ষিত চিকিৎসকরাও ত্বক ফর্সা করার জন্য সেবা দিয়ে থাকেন।
কিভাবে কাজ করে
ত্বকে মেলানিন নামে এক ধরনের রঞ্জক থাকে যা ত্বকের বর্ণ নির্ধারণ করে থাকে। মেলানিনের ঘনত্ব যতো বেশি ত্বক ততটাই গাঁড় বর্ণের হয়ে থাকে। প্রসাধনী বা ঔষধ এই মেলানিনের ঘনত্ব এবং উৎপাদন কমিয়ে দেয়, ক্ষেত্র বিশেষে ধ্বংস করে থাকে।
*প্রসাধনী
ক্রিম বা সাবান হিসেবে ত্বক ফর্সা করার অগুনিত প্রসাধনী বাজারে পাওয়া যায়। বিশ্বের নামিদামি কোম্পানি থেকে স্থানীয় অখ্যাত ভেষজ কোম্পানি নানা ধরণের ত্বক ফর্সাকারি প্রসাধনী প্রস্তত করে থাকে। এসব প্রসাধনীতে কজোয়িক এসিড, আলফা হাইড্রোক্সি এসিড, গ্লুটাথিয়ন, মারকারি, হাইড্রোকুইনন, ইত্যাদি রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন এসব প্রসাধন সামগ্রী ব্যবহারে ত্বক অপেক্ষাকৃত ফর্শা করতে সাহায্য করে থাকে।
*বিউটি পার্লার
প্রশিক্ষিত বিউটিসিয়ানদের ফেসিয়াল ক্লিন্সিং করার জন্য ৫% এর নীচে গ্লাইকোলিক বা স্যালেসাইলিক এসিড ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হয়ে থাকে। এরচেয়ে বেশি ঘনত্বে শুধুমাত্র চিকিৎসকরাই প্রয়োগ করতে পারেন।
*চিকিৎসক
ত্বকের দাগ বা রোগের কারনে সৃষ্ট গাঁড় রঙ্গ দূর করতে সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা রোগীর অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন ঘনত্বের গ্লাইকোলিক বা স্যিলেসাইলিক এসিড পিলিং এবং লেসার চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। আধুনিক সময়ে ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধির নামে উল্লেখিত পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করেই ত্বক ফর্সা করা হয়ে থাকে। নিয়মিত ব্যবহার করার জন্য ক্রিম বা জেলও চিকিৎসক প্রেসক্রিপশন করে থাকেন।
জটিলতা
নানাবিধ অনাকাঙ্ক্ষিত জতিলতার কারনে বিভিন্ন দেশে এসব ত্বক ফর্সাকারি প্রসাধন সামগ্রীর উপর নিয়ন্ত্রন আরোপ করা হয়েছে। প্রসাধনীর গায়ে সম্ভাব্য ঝুঁকি উল্লেখ করে সাবধান বানী দেয়া থাকে। প্রসাধনিতে থাকা মারকারি ত্বকের অসাড়তা থেকে উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ু রোগ বা কিডনি নষ্ট করার মতো নানাবিধ স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারন হতে পারে। ত্বকের প্রদাহ বা ডারমাটাইটিস সৃষ্টি করতে পারে। আক্রান্তদের ব্রন বাড়িয়ে দেয়, বা নতুন ব্রন তৈরি করে থাকে। ত্বকের রঙ্গের ভিন্নতার কারনে ছোপ ছোপ গাঁড় দাগের উদ্ভব হতে পারে।
সাবধানতা
ত্বকের বর্ণ নিয়ে হীনমন্যতা দূর করুন, নিজের ত্বকের রঙ্গ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে সাইকোথেরাপি নিন। ত্বক ফর্সাকারি প্রসাধনী ব্যাবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সম্ভাব্য ঝুঁকি সমন্ধে জানুন। প্রসাধনী কেনার আগে গায়ে লেখা উপাদান এবং সতর্কতা ভালো করে দেখে নিন।
ডাঃ এম আর করিম রেজা
জাকার্তা প্রবাসী ত্বক ও সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ

Saturday, July 13, 2019

গোসলে কি সবসময়ই সাবান ব্যাবহার করা উচিত?


ত্বক শরীরের একক বৃহত্তম অঙ্গ যা রোগ প্রতিরোধ এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখে। সাবান বা ক্লিনজার ত্বক পরিস্কার এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। বার, ক্লিঞ্জার, বডি ওয়াশ, শাওয়ার জেল এ সব কিছুই সাবানের নানা ধরন। চর্বি বা তেলের সাথে ক্ষার মিশিয়ে সুগন্ধি যোগ করে এগুলো তৈরি করা হয়। কিন্তু এই সাবানই আবার ত্বকের ক্ষতির কারন হতে পারে। এজন্য সাবান বা ক্লিঞ্জারের বাবহার নিয়ে গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। আসুন জেনে নেই সাবান ত্বকে কি ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় ত্বকে একধরণের প্রোটিন এবং তেল থাকে যা রোগ প্রতিরোধে দেয়াল হিসেবে কাজ করে থাকে। বেশি ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করলে এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে প্রদাহ সৃষ্টি করে। প্রদাহযুক্ত ত্বকে খুব সহজেই নানা ধরনের জীবাণু আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ত্বক শুষ্ক করে, একজিমা, অ্যালার্জি বাড়িয়ে দেয় ত্বকের গ্রন্থি থেকে একধরনের তেল নিঃসৃত হয় যা ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং মসৃণতা রক্ষা করে থাকে। সাবান বাবহারে এই তেলও পরিস্কার হয়ে যাওয়ার ফলে ত্বক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে পরে। শুষ্ক ত্বকে চুলকানি অনুভুত হয়। যাদের একজিমা, অ্যালার্জি রয়েছে সেটি বেড়ে যেতে পারে। সাবান তৈরিতে ব্যাবহার করা সুগন্ধির কারনেও অ্যালার্জি হতে পারে। ব্রণ বেড়ে যেতে পারে সাবান ব্যাবহারে ত্বকে জলীয় এবং তৈলাক্ততা কমার সাথে সাথেই তেল নিঃসরণকারি গ্রন্থি গুলো আগের তুলনায় বেশি তেল তৈরি করতে থাকে। যা ব্রণ তৈরিতে সহায়তা করে। আক্রান্তদের ব্রণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেয়। বলিরেখা বাড়িয়ে দেয় সাবান বাবহারে তেল এবং সেরামাইড চলে যাওয়ার ফলে ত্বকের ভাঁজ এবং বলিরেখা বেশি গোচরীভূত হয়। সমাধান কি? • বার/বডি ওয়াশ/ ক্লিঞ্জার/শাওয়ার জেল কেনার সময় ক্ষারীয় মাত্রা দেখে কিনুন। ৭ হলে সবচেয়ে ভালো না হলে কাছাকাছি মাত্রার কিনুন। • গ্লিসারিন, সেরামাইড যুক্ত বার/বডি ওয়াশ/ ক্লিঞ্জার/শাওয়ার জেল কেনার চেষ্টা করুন। • সাবানের পরিবর্তে অয়েল বেজড ক্লিঞ্জার ব্যবহার করতে পারেন, যা সাবানের মতোই ত্বক পরিস্কার করে থাকে। • গোসলের সময় মুখ এবং শরীররে সন্ধিস্থান (বগল, কুচকি) ছাড়া অন্যস্থানে প্রতিদিন সাবান ব্যাবহার না করাই ভাল। • গোসলের পর ময়েশচারাইজার ব্যবহার করতে পারেন।

Friday, May 31, 2019

প্রসাধন সামগ্রী (কসমেটিক) কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?



ধারনা করা হয় মানুষ প্রায় ৬ হাজার বছর ধরে রূপচর্চার জন্য প্রসাধনী ব্যাবহার করে আসছে। দিনে দিনে প্রসাধন সামগ্রীর ব্যাবহার যেমন বেড়ে চলেছে তেমনি এগুলো ব্যাবহারে সৃষ্ট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকিও বাড়ছে। অনেক গবেষক ইতিমধ্যেই বাছ বিচার না করে প্রসাধন সামগ্রী ব্যাবহার করার প্রবণতাকে জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন। বর্তমানে সারাবিশ্বে অসংখ্য কোম্পানি নানা ধরনের প্রসাধন সামগ্রী প্রস্তুত করছে। এসব প্রসাধন সামগ্রী তৈরি করতে কমবেশি ১৩ হাজার ধরনের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। মুলত এই রাসায়নিক দ্রব্যগুলোই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতা তৈরির জন্য দায়ী। দৈনন্দিন ব্যাবহার করা প্রসাধন সামগ্রী তৈরি করতে সাধারণত যেসব রাসায়নিক ব্যাবহার করা হয় এবং সেগুলো থেকে কি ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে, আসুন একটু ধারনা নেই। ইউরিয়াঃ বেবি কেয়ার থেকে শুরু করে সবধরনের প্রসাধন সামগ্রিতেই এটির উপস্থিতি রয়েছে। এর কারণে ত্বকের অ্যালার্জি, ক্যান্সার, এমনকি বিকলাঙ্গ শিশুও জন্ম নিতে পারে। ডাই-অক্সেনঃ সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, মাউথওয়াসে থাকে। ত্বক, স্তন এবং লিভার ক্যান্সারের ঝুকি রয়েছে। ফরমালডিহাইডঃ নষ্ট হওয়া রোধ করতে সব ধরনের প্রসাধনিতেই ফরমালিন ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। এটি অ্যালার্জি এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি করে থাকে। ভারী ধাতুঃ লেড, আর্সেনিক, কেডমিমাম, নিকেল, মারকারি ইত্যাদি ভারি ধাতু রঙ্গিন প্রসাধন সামগ্রিতে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। স্বল্পমেয়াদে এগুলো ত্বকের অ্যালার্জির কারন হতে পারে। তবে দীর্ঘদিন ব্যাবহার করলে এগুলো ত্বকের নিচে জমার পর শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে শ্বাসকষ্ট, বুকে বাথা, বমি, মাথ বাথা, ডাইরিয়া, ক্যান্সার, হাড় ক্ষয়, স্নায়ু, লিভার এবং কিডনি রোগের কারন হতে পারে। প্যারাবেনঃ এটি জীবানুনাশক গুনের কারনে পচন রোধে প্রসাধনীর উপাদান হিসেবে থাকে। সাধারনত ডিওডরেন্ট, লোশন, এবং চুলের প্রসাধন সামগ্রিতে থাকে। ক্যান্সার এবং ত্বকের অ্যালার্জির কারন হতে পারে। থেলেটঃ নেল পলিশ, লোশন, পারফিউম, চুলের প্রসাধন সামগ্রিতে থাকে। স্তনের ক্যান্সার এবং বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম দেয়ার কারন হতে পারে ট্রাইক্লোসানঃ সাবান এবং শ্যাম্পুতে জীবাণুনাশক হিসেবে থাকে। হরমোনজনিত সমস্যা, লিভার এবং কিডনি রোগের কারন হতে পারে। রঙ্গ এবং সুগন্ধিঃ প্রসাধনী তৈরিতে নানা ধরনের কৃত্রিমম রঙ্গ এবং সুগন্ধি যোগ করা হয়, যেগুলো ত্বকের অ্যালার্জি থেকে শুরু করে ক্যান্সারের কারন হতে পারে। ঊল্লেখিত রাসায়নিক উপাদানগুলো ছাড়াও আরও অনেক রাসায়নিক দ্রব্য দৈনন্দিন ব্যাবহার করা প্রসাধনিতে থাকে। ঔষধের রাসায়নিক নিয়ে যতোটা পরিক্ষা নিরীক্ষা এবং গবেষণার পর অনুমোদন দেয়া হয় প্রসাধনীর ক্ষেত্রে ঠিক ততোটা নিয়মকানুন মানা বা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয় না। #বাংলাদেশে ভেজাল প্রসাধন সামগ্রীর কথা বাদ দিলেও, স্বয়ং ইউরোপ আমেরিকার উন্নত দেশগুলোতেও প্রসাধনিতে ব্যাবহার করা রাসায়নিক দ্রব্যের মাত্র ১০% নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা বা গবেষণা হয়েছে। এসব গবেষণার প্রাপ্ত ফলাফলের উপর ভিত্তি করেই নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা কোন প্রসাধনী বাজারজাত করার অনুমোদন দিয়ে থাকে। কাজেই প্রসাধনী ব্যাবহারে ব্যক্তিগত সচেতন‌‌তা বড় ভুমিকা পালন করে থাকে। প্রতিরোধে করণীয় • ত্বকে চুলকানি, জ্বালাপোড়া, লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি অ্যালার্জির লক্ষন। এগুলো কোন প্রসাধন সামগ্রি ব্যাবহার করার সাথে সাথে বা কিছু দিনের মধ্যেই আচ করা যায়। আঁচ করার সাথে সাথে বন্ধ করে দিন। • তবে দীর্ঘ মেয়াদে যেসব শারিরিক সমস্যার তৈরি করে তা প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন না হলে মেকআপ নেয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রয়োজন শেষে যত দ্রুত সম্ভব মেকআপ পরিস্কার করুন। • নতুন প্রসাধন সামগ্রী কেনার সময় গায়ে লিখিত উপাদান দেখে নিতে পারেন। ব্যাবহার করার আগে ত্বকের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। • সাবান এবং সুগন্ধি কম ব্যাবহার করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। দৈনন্দিন ব্যবহারে শুষ্ক ত্বক মসৃণ করার জন্য প্রসাধনী কোম্পানির তৈরি সামগ্রী ব্যাবহার না করে, প্রাকৃতিক তেল যেমন অলিভ অয়েল বা নারকেল তেল ইত্যাদি ব্যাবহার করতে পারেন। লেখকঃ এম আর করিম রেজা জাকার্তা প্রবাসী ত্বক এবং সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ

জিন্নাহর বংশোধর

ওয়াদিয়া গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ইরান থেকে আসা পার্সি লোভজি নুসারওয়াঞ্জি ওয়াদিয়া ১৭৩৬ সালে বোম্বে ড্রাইডক কোম্পান...