Monday, January 30, 2012
সোরিয়াসিস: নিয়ন্ত্রণ করুন,স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকুন
সোরিয়াসিস/psoriasis ত্বকের একটি প্রদাহ জনিত রোগ। জনসংখ্যার ২-৪% এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে এবং আক্রান্তদের এক তৃতীয়াংশ বংশগতভাবে অর্জন করেন । নারী পুরুষ নির্বিশেষে যে কোন বয়সীরা এ রোগে আক্তান্ত হতে পারেন তবে তিরিশর্ধোরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকেন।এটি কোন সংক্রামক রোগ নয়, কাজেই সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় না।
সাধারণত আমাদের ত্বকের কোষ সমূহ একটি বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধধমে নির্দিষ্ট সময় পর পর ঝরে যায় এবং নতুন কোষ তৈরি হয়। প্রক্রিয়াটি খুবই সমন্বিত ভাবে হয়ে থাকে বিধায় স্বাভাবিকভাবে বোঝা যায় না।সোরিয়াসিস রোগে ত্বকের ইপিডারমিস এ অবসশিত কোষ সমূহ খুব দ্রুত ব্রিধি পায় এবং ত্বকের উপরে এক ধরণের প্লাক/plaque তৈরি করে। লক্ষ্মণ ও মাত্রা অনুযায়ী এ রোগ কয়েক ধরনের হতে পারে।
দেখতে কেমন এবং লক্ষ্মণ কি?
আক্রান্ত অংশে রুপালী সাদা আঁশ দ্বারা আবৃত,উজ্জ্বল লালচে বর্ণের প্লাক/খত দেখা যায়।সাধারণত মৃদু চুলকানি অনুভুত হতে পারে।
কোন অংশ আক্রান্ত হয়?
সাধারণত কনুই, হাঁটু,মাথা, হাত ও পা এর নখ হয়।তবে ধরন ভেদে বিভিন্ন অংশ এমনকি পুরো শরীর আক্রান্ত হতে পারে।
কি কারণে হয়?
বংশগত কারণ ছাড়া,এ রোগ এর নির্দিষ্ট কোন কারণ নির্ণয় করা দুরহ তবে কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে দ্রুত ব্রিধি হতে পারে যেমন কোন ধরনের সংক্রামন, ত্বকে আঘাত জনিত কারনে,আবহাওয়াজনিত শীতে বেশি এবং কিছু ওশধ সেবনের কারনে।
চিকিৎসা
রোগ এর ধরন অনুযায়ি চিকিথশা দেয়া হয়ে থাকে,
অল্প অংশ আক্রান্ত হলে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ক্রিম,লশান,জেল ইত্তাদি রুপে ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়ে থাকা;
অনেক বেশি অংশে ছড়িয়ে পড়লে মুখে খাবার ওষুধ,ultraviolet ray,PUVA থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়।
মনে রাখবেন ত্বকের অন্য রোগেও সরিয়াসিস এর মত প্লাক দেখা দিতে পারে।এ রোগ কখনই পুরোপুরি ভাল হয় না এবং কখনই জীবন হানীর কারন হয় না।নিয়মিত চিকিথশা গ্রহনের মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা জায়। কাজেই নিয়মিত চিকিথশা নিয়ে সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন।
চিকুনগুনিয়া-অন্যান্য জ্বরের মতই খুব সাধারণ অসুখ
চিকুনগুনিয়া/Chikungunya একটি মশা বাহিত আলফা ভাইরাসজনিত রোগ ।এটি আফ্রিকা,দখিন পূর্ব এশিয়ার রোগ হলেও ইদানীং ইন্ডিয়াতে এর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে, এমনকি আমাদের দেশের কিছু এলাকাতে আক্ত্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে।ঢাকা শহর এবং সাভার এ অনেকে আক্রান্ত হওয়ার কারনে এবং কিছু টেলিভিশান চ্যানেলে প্রচার এর কারনে অনেকেই অহেতুক ভীতিতে ভুগছেন।এ রোগে মৃত্যু ঝুকি না থাকলেও জটিলতার কারনে ৫দিন থেকে ১২ মাস পর্যন্ত ভোগান্তি হতে পারে এবং সাধারন কাজ কর্মে অসুবিধা হতে পারে,এমনকি চলা ফেরা করতেও সমস্যা হতে পারে। মহামারি আকারে দেখা দিতে পারে,এজন্য মোকাবেলা করতে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহনের প্রয়োজন হয়।
কিভাবে ছড়ায়
আক্ত্রান্ত রোগীকে কামড়ানো এডইস মশা সুস্থ কাওকে কামড়ালে এ রোগের বিস্তার লাভ করে।২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে।মশা -মানুষ মশা এভাবে ছড়ায়।
লক্ষণ কি?
প্রথমে জ্বর দেখা দেয়।ডেঙ্গু জ্বর এর মত ত্বকে লালচে র্যাশ দেখা দেয়।জ্বর ২ থেকে ৫ দিন পরে চলে যায়। গিরায় গিরায় বেথা/arthritis অনুভুত হয়।চোখ লালচে হতে পারে।ঘুম কমে জেতে পারে।
গিরায় গিরায় বেথা/arthritis অনেক সময় ২ বছর পর্যন্ত থাকতে পয়ারে।
সাধারনত কম বয়সীরা ৫-১৫ দিন,মধধ বয়সীরা ১-৩ মাস এ সুস্থ হয়ে উঠেন। বেশি বয়শিদের প্রায় ২বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
রোগ নির্ণয়
লক্ষণ দেখে রগ নির্ণয় করা যায়।
ল্যাবরতরি তে সেরলজিকাল পরিখখা এবং ভাইরাস আইসলেসন এর দ্বারা সনাক্ত করা যায়।
চিকিথশা
সাধারনভাবে অন্যান্য ভাইরাস জনিত রোগের মতো কোন এনটিবইয়োটিক/antibiotic লাগে না।আনালজেসিক/analgesic দেয়া হয়।
২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে জ্বর চলে গেলেও গিরা বেথা/arthritis অনেক দিন থাকতে পারে,বেশি বয়শিদের প্রায় ২বছর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিথশা নিতে হতে পারে।
প্রতিরোধ
ভাইরাসজনিত রোগ হলেও,এ রোগের কোন প্রতিষেধক টিকা নেই।
মশক নিয়ন্ত্রন এর মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মশা যাতে আপনাকে কারাতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় বেবস্থা গ্রহন করুন;
আক্রান্ত রোগীকে আলাদা ভাবে মশারির ভিতর রাখা উচিত।
রোগটি আমদের দেশে একেবারে নতুন বিধায়, জর আক্রান্ত হলে,ভীত না হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিথশা গ্রহন করুন।
কিভাবে ছড়ায়
আক্ত্রান্ত রোগীকে কামড়ানো এডইস মশা সুস্থ কাওকে কামড়ালে এ রোগের বিস্তার লাভ করে।২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে।মশা -মানুষ মশা এভাবে ছড়ায়।
লক্ষণ কি?
প্রথমে জ্বর দেখা দেয়।ডেঙ্গু জ্বর এর মত ত্বকে লালচে র্যাশ দেখা দেয়।জ্বর ২ থেকে ৫ দিন পরে চলে যায়। গিরায় গিরায় বেথা/arthritis অনুভুত হয়।চোখ লালচে হতে পারে।ঘুম কমে জেতে পারে।
গিরায় গিরায় বেথা/arthritis অনেক সময় ২ বছর পর্যন্ত থাকতে পয়ারে।
সাধারনত কম বয়সীরা ৫-১৫ দিন,মধধ বয়সীরা ১-৩ মাস এ সুস্থ হয়ে উঠেন। বেশি বয়শিদের প্রায় ২বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
রোগ নির্ণয়
লক্ষণ দেখে রগ নির্ণয় করা যায়।
ল্যাবরতরি তে সেরলজিকাল পরিখখা এবং ভাইরাস আইসলেসন এর দ্বারা সনাক্ত করা যায়।
চিকিথশা
সাধারনভাবে অন্যান্য ভাইরাস জনিত রোগের মতো কোন এনটিবইয়োটিক/antibiotic লাগে না।আনালজেসিক/analgesic দেয়া হয়।
২ থেকে ৫ দিনের মধ্যে জ্বর চলে গেলেও গিরা বেথা/arthritis অনেক দিন থাকতে পারে,বেশি বয়শিদের প্রায় ২বছর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় চিকিথশা নিতে হতে পারে।
প্রতিরোধ
ভাইরাসজনিত রোগ হলেও,এ রোগের কোন প্রতিষেধক টিকা নেই।
মশক নিয়ন্ত্রন এর মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
মশা যাতে আপনাকে কারাতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় বেবস্থা গ্রহন করুন;
আক্রান্ত রোগীকে আলাদা ভাবে মশারির ভিতর রাখা উচিত।
রোগটি আমদের দেশে একেবারে নতুন বিধায়, জর আক্রান্ত হলে,ভীত না হয়ে প্রয়োজনীয় চিকিথশা গ্রহন করুন।
ত্বকের প্রদাহজনিত রোগ ‘ডারমাটাইটিস’
প্রদাহজনিত/Inflammatory রোগের মধ্যে ‘ডারমাটাইটিস’ই ত্বকে সর্বাধিক দেখা যায়।অনেকে ত্বকে কোন ধরণের র্যাশ’/ফুসকুড়ি হলেই ডারমাটাইটিস বা একজিমা মনে করেন,এ ধারনা ঠিক না।আবার ডারমাটাইতিস এবং একজিমা সম্পূর্ণ আলাদা রোগ। কিন্তু
ডারমাটাইটিস/Dermatitis ছাড়াও ত্বকের অনেক রোগে রাশ/ফুসকুড়ি দেখা যায়।
কেমন দেখতে?
ডারমাটাইটিস এর ফুসকুড়ি লাল,ধারযুক্ত বা ধারহিন হতে পারে।রোগ আক্রান্তের সময় এর ভিত্তিতে ফুসকুড়িতে পানি বা স্তর এর আবরণ থাকতে পারে।তবে চুলকানি অবশ্যই থাকবে।স্বল্প সময় এর হলে পানি বা ভিজা থাকে কিন্তু অনেক দিনের হলে স্তরযুক্ত আবরণ থাকে।
ধরন কি কি?
■কি উপায়ে বা কি কারণে ডারমাটাইটিস হয়েছে,এর উপর ভিত্তি করে একে ভাগ করা হয়ে থাকে,যেমন
■আল্ল্যেরজিক/allergic কনটাক,
■ইররইতেন্ত/irritant কনটাক,
■এঁটোপিক বা বংশগত,
■ডিসহাইড্রটিক,
■সেবরিক,
■লিচেন সিমপ্লেক্সক্রনিকাস
■নুম্মুলার,
■ডাইয়াপার,
■স্তাসিস,
■কসমেটিক বা প্রসাধনজনিত ইত্যাদি।
চিকিৎসা
কি ধরণের ডারমাটাইটিস হয়েছে নির্ণয়এর পর উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়া হয়।
ত্বকে লাগানোর ক্রিম,লশান দেয়া হয় ।
প্রয়োজনে মুখে খাবার অশুদও লাগতে পারে।
প্রতিরোধ
■ত্বক মসৃণ রাখার চেষ্টা করুণ, ত্বকের ধরন অনুযায়ী মইশচারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
■ত্বক ক্ষতি করতে পারে এমন কোন বস্তু থেকে দূরে থাকুন।
■নতুন কোন প্রসাধন ব্যাবহার এর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন ডারমাটাইটিস ছাড়াও ত্বকের এবং শরীরের ভিতরের অনেক রোগেও ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। ডারমাটাইটিস এর চিকিৎসা গ্রহন করতে দেরি করলে জটিল ইনফেকশন হতে পারে এবং শিশুদের ক্ষেত্রে খুব দ্রুত ছড়িয়ে জীবনহানির কারন হতে পারে ,কাজেই সময়মত চিকিৎসা নিন,শুস্থ থাকুন।
ডারমাটাইটিস/Dermatitis ছাড়াও ত্বকের অনেক রোগে রাশ/ফুসকুড়ি দেখা যায়।
কেমন দেখতে?
ডারমাটাইটিস এর ফুসকুড়ি লাল,ধারযুক্ত বা ধারহিন হতে পারে।রোগ আক্রান্তের সময় এর ভিত্তিতে ফুসকুড়িতে পানি বা স্তর এর আবরণ থাকতে পারে।তবে চুলকানি অবশ্যই থাকবে।স্বল্প সময় এর হলে পানি বা ভিজা থাকে কিন্তু অনেক দিনের হলে স্তরযুক্ত আবরণ থাকে।
ধরন কি কি?
■কি উপায়ে বা কি কারণে ডারমাটাইটিস হয়েছে,এর উপর ভিত্তি করে একে ভাগ করা হয়ে থাকে,যেমন
■আল্ল্যেরজিক/allergic কনটাক,
■ইররইতেন্ত/irritant কনটাক,
■এঁটোপিক বা বংশগত,
■ডিসহাইড্রটিক,
■সেবরিক,
■লিচেন সিমপ্লেক্সক্রনিকাস
■নুম্মুলার,
■ডাইয়াপার,
■স্তাসিস,
■কসমেটিক বা প্রসাধনজনিত ইত্যাদি।
চিকিৎসা
কি ধরণের ডারমাটাইটিস হয়েছে নির্ণয়এর পর উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়া হয়।
ত্বকে লাগানোর ক্রিম,লশান দেয়া হয় ।
প্রয়োজনে মুখে খাবার অশুদও লাগতে পারে।
প্রতিরোধ
■ত্বক মসৃণ রাখার চেষ্টা করুণ, ত্বকের ধরন অনুযায়ী মইশচারাইজার ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
■ত্বক ক্ষতি করতে পারে এমন কোন বস্তু থেকে দূরে থাকুন।
■নতুন কোন প্রসাধন ব্যাবহার এর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মনে রাখবেন ডারমাটাইটিস ছাড়াও ত্বকের এবং শরীরের ভিতরের অনেক রোগেও ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে। ডারমাটাইটিস এর চিকিৎসা গ্রহন করতে দেরি করলে জটিল ইনফেকশন হতে পারে এবং শিশুদের ক্ষেত্রে খুব দ্রুত ছড়িয়ে জীবনহানির কারন হতে পারে ,কাজেই সময়মত চিকিৎসা নিন,শুস্থ থাকুন।
Subscribe to:
Posts (Atom)
জিন্নাহর বংশোধর
ওয়াদিয়া গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ইরান থেকে আসা পার্সি লোভজি নুসারওয়াঞ্জি ওয়াদিয়া ১৭৩৬ সালে বোম্বে ড্রাইডক কোম্পান...
-
স রকারি দলের মহাসচিব, ক্ষমতাধর মন্ত্রী মহোদয় মধ্য রাতে বুকে ব্যাথা নিয়ে #বিএসএমএমইউ জরুরি বিভাগে হাজির হলেন। দায়িত্বরত চিকিৎসক পাঁজরের হ...
-
মানুষের জীবনে বছরের একটি বিশেষ দিন হলো জন্মদিন। কারন এই দিনটি পঞ্জিকা বর্ষের সেই দিন যেদিন তার পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল। মানুষ এই দিনটি উদযাপন ...
-
#ডেঙ্গি প্রতিরোধে জাপানের তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি টিকা 'কিউডেঙ্গা'র অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জরুরি প্রয়োজনে ব্...