Thursday, August 20, 2020

মাস্ক পরায় সৃষ্ট ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়

 চলমান কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এখন মাস্ক পরা দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাস্ক একদিকে যেমন কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে, তেমনি এর কারণে মুখের ত্বকে সমস্যা হতে পারে।

মাস্কের কারণে ঘাম, ত্বকের নিঃসৃত তেল, ময়লা ও জলীয়বাষ্প মুখের ওপর আটকে যায়। আবার মাস্কের ঘর্ষণের ফলেও ত্বকের পরিবর্তন ঘটে। ফলে ব্রণ, ত্বক লালচে হয়ে যাওয়া, চুলকানি, প্রদাহ, জ্বালাপোড়া, আ্যলার্জি, ডার্মাটাইটিস, রোসাছিয়া ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

এসব সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যাচ্ছে ব্রণ (Acne)। জলীয়বাষ্প, ঘাম, তৈলাক্ত ত্বক ইত্যাদি ব্রণ ও জীবাণুর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। মাস্ক পরার ফলে সৃষ্ট ব্রণ ইতোমধ্যেই মাস্কনি (Mask+Acne) হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে।


কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে এই মাস্কনি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

* পরিষ্কার, শুকনো, আরামদায়ক মাস্ক পরিধান করুন। প্রাকৃতিক তন্তু যেমন সুতি বা সিল্কের তৈরি নরম ও মোলায়েম মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন। রুক্ষ ও সিনথেটিক কাপড়ের মাস্ক পরা থেকে বিরত থাকুন।

* মাস্ক পরার আগে ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা ও মাস্ক নাড়াচাড়ার সুবিধার্থে ময়েশ্চারাইজার বা ব্যারিয়ার ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। মাস্ক খোলার পর দ্রুত মুখ পরিষ্কার করে ফেলুন।

* মাস্কের কারণে মুখের বেশিরভাগ অংশ ঢেকে থাকে। তাই মেকআপ বা প্রসাধন চর্চা না করাই ভালো। গরম ও ঘামে মাস্কের আবদ্ধ পরিবেশে প্রসাধনী পণ্য ব্রণ তৈরিতে সহায়তা করে।

* কর্মস্থলে আলাদা কক্ষের সুবিধা থাকলে অন্য কারো সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ছাড়া মাস্ক না পরলেও রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি নেই। এভাবে স্থান-কাল-পাত্র বিবেচনা করে, ঝুঁকি না নিয়ে যতটুকু সম্ভব মাস্ক মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে পারেন।

* সাবধানতা অবলম্বনের পরও ত্বকের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

Sunday, August 2, 2020

গরুর চামড়া একটি পুষ্টিকর ও হালাল খাবার

ত্বক বা চামড়া যে কোন প্রানীর সবচেয়ে বড় অঙ্গ। গরুর আকারভেদে একটি চামড়া ১০ থেকে ৫০ কেজি ওজন হতে পারে। সাধারণত পশুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করে পোশাক, জুতা, ব্যাগ, বেল্ট ইত্যাদি বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আবার পশুর চামড়া থেকে জিলাটিন বের করে প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ঔষধ, প্রসাধনীতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে মানুষের খাবার হিসেবেও পশুর চামড়া একেবারে মন্দ নয়। যদিও হালাল নয় তবে শুকরের চামড়া খুব জনপ্রিয় খাবার। আবার ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়ার মুসলমান ধর্মালম্বীরা গরুর চামড়া দিয়ে তৈরি খাবার খেয়ে থাকে। বাংলাদেশেও বৃহত্তর চট্টগ্রামের কোন কোন এলাকায় পশুর চামড়ার তৈরি খাবারের প্রচলন রয়েছে।
খাদ্যমান হিসেবেও গরুর চামড়া একেবারে মন্দ নয়। প্রতি ১০০ গ্রাম গরুর চামড়ায় ২২৫ কিলো ক্যালোরি শক্তি থাকে। উপাদান হিসেবে এই ১০০ গ্রামে ৪৭ গ্রাম প্রোটিন, ৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১ গ্রাম চর্বি, ০.০২ গ্রাম ফাইবার এবং ৪৫ গ্রাম পানি থাকে। গরুর চামড়ার প্রোটিন সাধারণত জিলাটিন হিসেবে থাকে। জিলাটিন হাড় এবং ত্বকের গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যদিও গরুর চামড়ায় ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে না বললেই চলে। তবে খুবই সামান্য পরিমাণ চর্বি থাকায় শরীরে কোন ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে না।
পশুর চামড়া খাবার হিসেবে প্রস্তুত করা একটু ঝামেলা। গরু ছাগলের ভুড়ি খাবার হিসেবে প্রস্তুত করতেও কিন্তু ঝামেলা কম নয়। চামড়া থেকে লোম ছাড়ানোর পদ্ধতি ইউটিউবে দেখে নিতে পারেন। লোম ছাড়ানোর পর এটি নিজস্ব স্বাদে বিভিন্ন মসলা দিয়ে কারি বা ভাজা বা স্যুপ হিসেবে খাওয়া যায়। ইন্দোনেশিয়া/মালয়েশিয়ায় কিকিল (Kikil) বা নাইজেরিয়ায় পনমো (Ponmo) খাবার হিসেবে বেশ জনপ্রিয়।
বিগত কয়েকবছর ধরে আমাদের দেশে গরু ছাগলের চামড়ার দাম একেবারে কমে গিয়েছে। কোরবানির পরে অনেকেই পশুর চামড়া মাটিতে পুতে রাখছেন বা ফেলে দিচ্ছেন, যা নিতান্তই সম্পদের অপচয়। অথচ খাবার সংস্কৃতির পরিবর্তন ঘটিয়ে এই বিশাল  অনাকাঙ্ক্ষিত অপচয় থেকে মুক্তি পেতে পারি আমরা।

লেখক:
ডাঃ এম আর করিম রেজা
ত্বক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ

জিন্নাহর বংশোধর

ওয়াদিয়া গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ইরান থেকে আসা পার্সি লোভজি নুসারওয়াঞ্জি ওয়াদিয়া ১৭৩৬ সালে বোম্বে ড্রাইডক কোম্পান...