Friday, September 30, 2011

ত্বকের ক্যান্সার ম্যালিগন্যান্ট মেলানমাঃ মৃত্যুর কারণ হতে পারে

শরীরের কোন স্থানের কোষ অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকলে ,সাধারনভাবে এ প্রক্রিয়াকে ক্যান্সার বলা হয়।অন্যস্থানে দ্রুত ছড়ীয়ে মৃতর কারণ হয়ে থাকে।ত্বকেও এ ধরনের পরিবর্তন হতে পারে। ত্বকে নানা প্রকারের টিওমার হয়ে থাকে,যেমন নেভাস,চেরি আঙ্গিওমা,সেবরিক কেরাতসিস,লাইপমা, ফিব্রমা,ছিস্ত, কেরাতএকান্থমা, গ্রানুলমা,লেন্তিগা ও কান্সারজনিত টিওমার।ত্বকের ক্যানসার তিন প্রকার বেসাল ছেল,এসকুয়ামাস ছেল ও ম্যালিগন্যান্ট মেলানমা।অন্য দুটি খুব বেশি মারাত্নক না হলেও, ম্যালিগন্যান্ট মেলানমা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। পৃথিবীতে প্রতি বছর প্রায় ২০০০০০ নতুন লোক আক্রান্ত হয়ে থাকে এবং এর কারনে ৫০০০০ মৃত্যু হয়। আস্ত্রলিয়া,আমেরিকা এবং ইউরোপ এ বেশি হয়ে থাকে।মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রে ১% লোক জীবনে একবার এ রোগে আক্তান্ত হয়ে থাকে। আউস্ত্রেলিয়া এর কুইন্সল্যান্ডে এ কেন্সার এর প্রাদুর্ভাব সব চেয়ে বেশি।
ম্যালিগন্যান্ট মেলানমা কি
ত্বকে মেলানোসাইট নামের এক ধরনের কোষ এর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে এটি হয়ে থাকে। তকের ভিতর ও বাহিরের স্তরের মাঝে এ কোষ পাওয়া যাই। খুব দ্রুত এ ক্যান সার ছড়ীয়ে পরে বিধায়,এটি একটি মারাত্নক স্বাস্থ্য সমশা।
কি কারনে হয়ে থাকে
সঠিক কারন জানা জাইনি,তবে সূর্য রন্সমি,বংশগত কারনে হতে পারে, আবার যাদের তিল বেশী তাদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবনতা বেশি।
কিভাবে বুঝবেন
তকের কোন স্থানে অস্বাভাবিক নতুন পরিবরতন যেমন রঙ,টিওমারজাতিও,তিল আকারে বাড়তে থাকা/রক্পাত হওয়া /চুলকানো ইত্তাদি।আকৃতি অসামঞ্জুরনপূর্ণ,৬ মি,মি এর উপরে হয়ে থাকে,একের অধিক রাঙ্গান,কিনারা অমশ্রিন।
চিকিৎসা
একেবারে প্রথম দিকে ধরা পরলে কোন অসুবিধা হয় না বা জীবন হানীর ঝুঁকি থাকে না,তবে রোগ এর বিস্তার ভেদে চিকিৎসা ও ঝুকি ভিন্ন হতে পারে।সার্জারির মাধ্যমে টিওমার অপসারণ করার পর কেমোথেরাপি ও রেডিও থেরাপির মাধদমে চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে।
প্রতিরোধ
সূর্যালোক থেকে দূরে থাকুন,ছাতা/সান ইস্ক্রীন ব্যাবহার করুন;
■আপনার শরীরের তিল গুলো নিয়মিত খেয়াল রাখুন, পরিবর্তন লক্ষ করলে ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না ;
■তকে যে কোন পরিবর্তন লক্ষ করার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। মনে রাখবেন দেরি করা মানেই মৃত্যু ডেকে আনা!!!!

Thursday, July 28, 2011

কুষ্ঠ নিরাময়যোগ্য সংক্রামক রোগ

কুষ্ঠ মানবসভ্যতার একটি প্রাচীনতম রোগ। মিসর, চীন ও ভারতীয় প্রাচীন ইতিহাসেও এ রোগের উল্লেখ রয়েছে। ভয়, কুসংস্কার এবং লজ্জার কারণে আক্রান্তরা এটিকে প্রকাশ করতে চান না বা চিকিৎসা গ্রহণে কুণ্ঠাবোধ করে থাকেন। বলা হয়ে থাকে 'সমাজ কুষ্ঠরোগীকে ভয় পায় আবার কুষ্ঠ আক্রান্তরা সমাজকে ভয় পায়।

' কুসংস্কারই 'কুষ্ঠ' চিকিৎসা ও প্রতিরোধে মূল প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে অথচ সময়মতো ও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করলে এটি একটি পূর্ণ নিরাময়যোগ্য রোগ। প্রচলিত কুসংস্কারগুলোর একটি হচ্ছে 'পাপিষ্ঠ ব্যক্তি বা তাদের বংশধরগণ' এ রোগে আক্রান্ত হয়। বাস্তবে 'মাইকো ব্যাকটেরিয়াম লেপ্রি' নামে একটি জীবাণু এ রোগের জন্য দায়ী।

অত্যধিক জনসংখ্যা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ রোগটি ছড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পৃথিবীব্যাপী প্রায় ৮০টি দেশে এ রোগের বিস্তার রয়েছে। আমাদের দেশে বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট, টাঙ্গাইল, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম, বগুড়া ও ঢাকা জেলায় এর প্রাদুর্ভাব রয়েছে। উপজেলা ভিত্তিতে প্রায় ১২০টিতে এর বিস্তার রয়েছে। মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা এ রোগে আক্রান্ত হয় বেশি।

লক্ষণ : এ রোগের জীবাণু সাধারণত ত্বক এবং ত্বকের নিকটবর্তী স্নায়ুকলাকে আক্রান্ত করে। আক্রান্ত স্থান অপেক্ষাকৃত বিবর্ণ হয়ে থাকে। ম্যাকুউল, প্যাপিউল, নোডিউল বা প্লেক আকারে দেখা দিতে পারে। স্নায়ু আক্রান্ত হলে স্থানটি অবশ হয়ে থাকে।

কিভাবে ছড়ায় : আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ত্বক এবং শ্বাসনালীর মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধের মাধ্যমে শিশুর দেহে সংক্রমিত হতে পারে।

জটিলতা : আক্রান্ত স্থানভেদে জটিলতার পার্থক্য আছে। হাত, পা বিকলাঙ্গ হতে পারে। চোখ নাড়ানোর ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। অনুভূতি কমে যাওয়ার কারণে আগুনে পোড়া বা অন্যান্য দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

চিকিৎসা : আমাদের দেশে বিনামূল্যে এ রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। সময়মতো ওষুধ গ্রহণ করলে কোনো জটিলতা হয় না। তবে জটিলতার কারণে শল্য চিকিৎসা ও ফিজিওথেরাপির প্রয়োজন হতে পারে।

প্রতিরোধ : রোগী ও সমাজকে সচেতন করার মাধ্যমে অনেকাংশেই এ রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
অন্যদের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করবেন না।
বিছানা, পরিধেয় এবং প্রসাধনী পৃথক রাখুন।
হাঁচি, কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই রুমাল ব্যবহার করবেন।
চিকিৎসকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। পূর্ণ চিকিৎসা গ্রহণ করুন।
সতর্কভাবে চলাফেলা করুন। বিশেষ করে আগুন থেকে দূরে থাকুন।


ডা. এম আর করিম রেজা



কনসালটেন্ট : চর্ম ও এলার্জি



এশিয়ান জেনারেল হাসপাতাল, ফোন : ০১৮১৯-২৩৭৩৫0

published in the daily 'bangladesh protidin' on 27th june.2011

http://www.bd-pratidin.com/?view=details&type=gold&data=Tax&pub_no=420&cat_id=3&m

Friday, June 3, 2011

গরমে শিশুর ত্বকের সমস্যা

সমীক্ষায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী শতকরা ২০-৩০ ভাগ শিশু শুধুমাত্র ত্বকের রোগের কারণেই অসুস্থতায় ভোগে। বড়দের চেয়ে শিশুর ত্বকের গঠন আলাদা ও অসম্পূর্ণ। যেমন ত্বকের স্তরগুলো পাতলা এবং পূর্ণমাত্রায় বিকশিত হয় না, কোষের মাঝের গাঁথুনি দুর্বল, তেল বা সেবাম এবং ঘাম নিঃসরণ ক্ষমতা কম ইত্যাদি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ইন্দ্রিয় শক্তি পূর্ণমাত্রায় সক্রিয় না হওয়ার কারণে শিশুদের সংক্রামক ও প্রদাহজনিত রোগ এবং অ্যালার্জিসহ বিভিন্ন ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। 

গরম ও আর্দ্র্য আবহাওয়ায় শিশুদের ত্বকে সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। আমাদের দেশে মিজেলস বা হাম, চিকেনপক্স বা জলবসন্ত ও ইমপেটিগো বা সামার বয়েল-এর সংক্রমণ বেশি দেখা দেয়। এসব ত্বকের রোগ ছোঁয়াছে বা আক্রান্তদের মাধ্যমে ছড়ায়।
শিশুর সংক্রমণজনিত ত্বকের রোগ কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়।
ভাইরাস জনিত : চিকেন পক্স বা জলবসন্ত, হাম, রুবেলা বা জার্মান মিজেলস, হারপিজ সিম্পেঞ্জ ও গোস্টার, ওয়ার্ট, মাম্পস, কনডাইলোমেটা রোগ ভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে।
ব্যাকটেরিয়া জনিত : ইমপেটিগো বা সামার বয়েল, ফলিকুলাইটিস, ইরাইসিপেলস, ফারাঙ্ককেল, কারবাংকেল, কুষ্ঠ ও অ্যানথ্রাক্স ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে।
ছত্রাক বা ফাঙ্গাসজনিত : ক্যানডিডিয়াসিস, ইরাইথ্রাসমা, টিনিয়া ভারসিকলার, টিনিয়া ক্যাপিটিস, টিনিয়া সেডিস ইত্যাদি ফাঙ্গাসজনিত কারণে হয়ে থাকে।
প্যারাসাইট বা পরজীবীজনিত : স্ক্যাবিস বা খোঁসপাচড়া, পেডিকুলোসিস বা উকুন, মিয়াসিস, ট্রমবিকুলোসিস, লেকটুলারিয়াস ইত্যাদি।
সংক্রমণজনিত ছোঁয়াচে রোগ ছাড়াও তীব্র গরমে শিশুরা হিটষ্ট্রোক ও ঘামাচিতে আক্রান্ত হতে পারে।

চিকিৎসা : শিশুর ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় অতি দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। রোগ নির্ণয়ের পর, সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করলে সহজেই আরোগ্য লাভ সম্ভব।

প্রতিরোধ :
■ আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে শিশুকে দূরে রাখুন।
■ শিশুর পরিধেয় পোশাক পরিছন্ন রাখুন।
■ অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা স্থানে শিশুকে রাখুন এবং ঘাম তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেলুন।
■ বেশির ভাগ ভাইরাসজনিত রোগের জন্য প্রতিরোধক টিকা পাওয়া যায়। শিশুকে টিকা দিন।

মনে রাখবেন সময়মতো চিকিৎসা গ্রহণ না করলে ত্বকের রোগ থেকে সৃষ্জট টিলতার কারণে শিশুর জীবনহানির আশঙ্কা থাকে। অবহেলার কারণে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এ সমস্যা পোহাতে হতে পারে। তাই শিশু ত্বকের রোগে আক্রান্ত হলে
দেরি না করে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।




published in the daily 'bangladesh protidin'on 28/05/2011,http://www.bd-pratidin.com/?view=details&feature=yes&type=gold&data=Tax&pub_no=390&cat_id=3&menu_id=15&news_type_id=1&index=3

বয়স্কদের ত্বক সমস্যা

ত্বক মানবদেহকে পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতা থেকে রক্ষা করে থাকে, যেমন শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা, ত্বকে অবস্থিত সংবেদনশীল স্নায়ুর মাধ্যমে ব্যথা স্পর্শ, চাপ, গরম ও ঠাণ্ডা অনুভূত করা ইত্যাদি। বয়ঃবৃদ্ধির লক্ষণ সর্বপ্রথম ত্বকে পরিলক্ষিত হয়। সাধারণত পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সে পরিবর্তন লক্ষণীয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এ পরিবর্তন হয় তবে ঋতু বন্ধ হওয়ায় নারীদের বেশি অনুভূত হতে পারে। বয়ঃবৃদ্ধির কারণে ত্বকের বিভিন্ন স্তর অপেক্ষাকৃত হালকা হতে থাকে এবং উক্ত স্তরসমূহে বিভিন্ন কোষ সংখ্যা কমে যায়। কানেক্টিভ টিস্যু বা যোজন কলা কমে যাওয়ার কারণে ত্বক স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা হারিয়ে ফেলে এবং বিভিন্ন স্থানে ভাগ পরিলক্ষিত হয় যেমন চোখ ও গলার নিচে, মুখমণ্ডল ইত্যাদি স্থানে। পানি ধারণ এবং তেল নিঃসরণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়। রক্তশালী সূ্থল ও ভঙ্গুর হয় একই সঙ্গে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। ত্বকের সঙ্গে সঙ্গে নখের বৃদ্ধি ও আকার পরিবর্তন হয়। চুল কমে যেতে থাকে এবং রক্তও ধূসর হতে থাকে। বয়ঃবৃদ্ধির কারণে ত্বকের সমস্যাসমূহ নিম্নরূপে ভাগ করা যেতে পারে,

ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়ার কারণ : ত্বকের পানি ধারণ ও তৈল নিঃসরণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় শুষ্ক ও রুক্ষ হয় এবং চুলকানি অনুভূত হয়। একে সেনাইল ডার্মাটাইটিস বা জেরোসিস বলা হয়ে থাকে। যোজন কলা কমার জন্য ত্বকের শক্তি ও স্থিতিস্থাপকতা কমে যায় যা ইলাসটোসিস নামে পরিচিত। স্বাভাবিক তৈল নিঃসরণ কমে যাওয়ার কারণে উজ্জ্বলতা কমে যায়। ঘর্মগ্রন্থি বা সোয়েট গ্রান্ডের ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। মেলানিনের পরিবর্তনের কারণে লেনটিগো বা লিভার স্পট, কেরাটোসিস ইত্যাদি দেখা দেয়। অনুভূতি কমার ফলে তাপ, ঠাণ্ডা বা স্পর্শজনিত আঘাতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

রক্তনালী স্থূল ও ভঙ্গুর এবং রক্তপ্রবাহ হ্রাসের কারণ : ত্বকে রক্ত জমাট হতে পারে, আলসার বা ক্ষত দেখা দেয়। চেরী অ্যানজিওমা, পার্পুরা, ব্রুইজ ও গ্যাংরিন হতে পারে। ডায়াবেটিক আক্রান্তদের ক্ষেত্রে গ্যাংরিনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।

ত্বকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমার কারণ : বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাংগাস ও পরজীবি সংক্রমণ বৃদ্ধি পায় যেমন_ পায়োডার্মা, হারপিজ, দাদ, খোসপাচড়া ইত্যাদি।

টিউমারের সম্ভাবনা বৃদ্ধির কারণ : বিভিন্ন ধরনের টিউমার যেমন লিটকোপ্লাকিয়া, ইপিথেলিওমা, মেলানোমা বা সারকোমা দেখা দিতে পারে। এদের মধ্যে কোনো কোনোটি ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়, যেমন ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা,যা জীবনহানির কারণ হতে পারে। এছাড়া ডার্মাটাইটিস, একজিমা, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা যেমন আর্টিকেরিয়া বা ওষুধের প্রতিক্রিয়া বেড়ে যায়। শরীরের অন্যান্য রোগের লক্ষণ হিসেবেও ত্বকের পরিবর্তন হতে পারে।

চিকিৎসা : বয়সজনিত ত্বকের স্বাভাবিক পরিবর্তন কখনই রোধ করা সম্ভব নয় তবে জীবন পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে গতি কমানো যায়। বয়ঃবৃদ্ধিজনিত ত্বকের রোগ নির্ণয়ের পর সঠিক চিকিৎসা করলে আরোগ্য লাভ করা যায়।

এছাড়াও
অতিরিক্ত গরম ও ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলুন, দীর্ঘক্ষণ রোদ পরিহার করুন।
গোসলের সময় অপেক্ষাকৃত কম ক্ষারীয় সাবান ব্যবহার করুন এবং গোসলের পর ময়েশ্চারাইজার যেমন পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করুন।
আঁচড় কাটা থেকে নিবৃত থাকুন।
সুষম খাদ্য বিশেষ করে ফলমুল, শাক-সবজি, তৈলাক্ত মাছ ও পানীয় গ্রহণ করার অভ্যাস করুন।

ত্বকে কোনো ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা মাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যথাসময়ে চিকিৎসা গ্রহণ না করলে গ্যাংরিন, ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে। এজন্য সময়মত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।



ডা. এম আর করিম রেজা

Published in the 'daily banagladesh protidin' on 09/05/2011

http://www.bd-pratidin.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=09-05-2011&type=gold&data=Tourist&pub_no=371&cat_id=3&menu_id=15&news_type_id=1&index=2

গরমে ত্বকের সমস্যা


শরীরের আবরণ হিসেবে কাজ করে বিধায় ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব সর্বাগ্রে ত্বকে পরিলক্ষিত হয়। ষড়ঋতুর প্রত্যেকটিতে আলাদাভাবে লক্ষণীয় পরিবর্তন না হলেও শীত এবং গরমের প্রভাব ত্বকের উপর সুস্পষ্ট।

গরমে ত্বকের উপর পরিবর্তন দু'ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।



সূর্যালোকের কারণে ত্বকের পরিবর্তন : সূর্যালোকের কারণে ত্বকে সোলার ডার্মাটাইটিস বা সানবার্ন, সোলার একজিমা, সোলার আর্টিকেরিয়া, জেরোডার্মা পিগমের্টোসাম, একনিটিক রেটিকুলয়েড, ত্বকের ক্যান্সার এবং মেছতা বা ক্লোজমা হতে পারে। সূর্যালোকের আলট্রা ভয়োলেট রশ্মিই সাধারণত এ জন্য দায়ী।



গরমে সৃষ্ট ঘামের কারণে পরিবর্তন : গরমের সঙ্গে বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতা বেশি থাকলে ত্বকের সোরেট গ্লাড বা ঘর্মগ্রন্থি নিৎসরিত ঘাম তৈরি হয়। ঘামের কারণে ঘামাচি দেখা দেয়। এ ছাড়া ঘামে ডার্মাটাইটিস্, ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়াজনিত ত্বকের রোগ বিস্তার লাভ করে। শিশুরা গরমে ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয় যা সামার বয়েল নামে পরিচিত।



চিকিৎসা : গরমে ত্বকের সমস্যা জটিল হতে পারে। কি ধরনের পরিবর্তন হয়েছে, সেটি নির্ধারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে।



প্রতিরোধের উপায় :
■সিরাসরি সূর্যালোকে যাবেন না, ছাতা, হ্যাট এবং সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
■ দীর্ঘক্ষণ সূর্যালোকে থাকবেন না, বা জেল ব্যবহার করুন।
■ িভারী জামা-কাপড়, টাইটফিট ও অন্তর্বাস পরিহার করুন।
■ িনাইলন, পলিয়েস্টার ইত্যাদি সিনথেটিক পোশাক পরবেন না, সুতি এবং প্রাকৃতিক বস্ত্র ব্যবহার করুন,
■ িব্যবহার করা পোশাক ও অন্তর্বাস পুনরায় ধৌত করার পর ব্যবহার করুন;
■ িঘাম তৈরি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে ফেলুন বা মুছে নিন, প্রয়োজনে গোসল করতে পারেন।



ডা. এমআর করিম রেজা



কনসালটেন্ট, চর্ম, এলার্জি ও কসমেটিকজনিত রোগ

published in the daily Bangladesh protidin on 24/04/2011

http://www.bd-pratidin.com/?view=details&type=gold&data=College&pub_no=356&cat_id=3&menu_id=15&news_type_id=1&index=2

ত্বকের আমবাত কি এবং কেন?

ইংরেজিতে RASH এবং বাংলায় একে আমবাত বলা হয়। এটি সাধারণত কোনো রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায়। ফুসকুড়ির রং, আকৃতি এবং ধরনের ভিন্নতা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত স্থান 'লালাভ' হয়ে থাকে। শরীরের কোনো বিশেষ স্থান বা সমস্ত শরীরেই দেখা দিতে পারে এটি। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের মধ্যেই এটি দেখা দেয়। অনেক সময় আক্রান্ত স্থানে চুলকানি, ব্যথা বা জ্বালাপোড়া থাকে। আমবাত বা ফুসকুড়ি ছোঁয়াচে হতে পারে আবার নাও হতে পারে। প্রায় শতাধিক রোগে এটি লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায় :



কি কারণে ফুসকুড়ি (RASH) হয়


■ ত্বকের প্রদাহজনিত রোগ : যেমন একজিমা, সোরাইয়াসিস এবং বিভিন্ন ধরনের ডার্মাটাইটিস।
■ব্যাকটেরিয়াজনিত ত্বকের সংক্রমণ : ইমপেডিগো, ফলিকুলাইটিস, সেলুলাইটিস ইত্যাদি।
■ ফাংগাস বা ছত্রাকজনিত ত্বকের সংক্রমণ : ছইদ, দাদ।
■প্যারাসাইট বা পরজীবী সংক্রমণ : স্ক্যাবিস বা খোসপাঁচড়া, উকুন ইত্যাদি।
■কোনো বিশেষ কিছুর সংস্পর্শে এলার্জিজনিত : প্রসাধন, পোশাক বা রাসায়নিক পদার্থ।
■কিছু ওষুধ সেবনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে।
■আবহাওয়াজনিত কারণে যেমন রোদের ঘামাচি।
■পোকা-মাকড়ের কামড় এবং সংস্পর্শে।

ত্বকের রোগ ছাড়া অন্য রোগ যেমন জন্ডিস, সিফিলিস, রিউম্যাটিক ফিভার, রক্তজনিত রোগ, অ্যামাইলোডসিস, সারকয়ডসিস ইত্যাদি রোগের লক্ষণ হিসেবে ক্ষুদ্রাকৃতি ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।



চিকিৎসা



অ্যান্টি হিসটামিন জাতীয় খাবারের ওষুধ; ভ্যাসলিন, এন্টিসেপটিক ক্রিম ইত্যাদি ব্যবহারে পরিত্রাণ না পেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।



প্রকৃত রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করলে খুবই দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব। কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে পূর্ণ-আরোগ্য সম্ভব নাও হতে পারে কিন্তু চিকিৎসা গ্রহণে রোগ নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক জীবন-যাপন সম্ভব যেমন সোরাইয়াসিস।



ডা. এম. আর করিম রেজা



কনসালটেন্ট, চর্ম, এলার্জি ও কসমেটিকজনিত রোগ



ফোন : ০১৮১৯-২৩৭৩৫০

published in the daily bangladesh protidin on 28th March,2011

http://www.bd-pratidin.com/?view=details&type=gold&data=Games&pub_no=331&cat_id=3&menu_id=15&news_type_id=1&index=4

Thursday, February 17, 2011

মেছতাকে জানুন.

শরীরের কোনো স্থানের ত্বকের রং অন্য অংশের চেয়ে আলাদা যেমন হালকা বা গাঢ় হয়ে গেলে চিন্তিত হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। নানা কারণে ত্বকের রং গাঢ় ,বাদামি, কালচে হতে পারে। একটি বিশেষ স্থানে বা বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের পরিবর্তন হয়ে থাকে। যেসব কারণে ত্বকের রং গাঢ় হতে পারে সেগুলো হলো,
* মেছ্তা
* থাইরয়েডের রোগ
* শরীরে আয়রনের আধিক্য
* লিভার সিরোসিস
* অ্যাডিসনস রোগ
* ত্বকের প্রদাহজনিত বা ক্ষত পরবর্তী অবস্থা
* কিছু ওষুধ সেবনের কারণে ।

শরীরের অনাবৃত অংশে যেমন মুখাবয়বে ত্বকের রংয়ের পরিবর্তন হলে সাধারণত চিকিৎসা নেওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। মেছতা তেমন একটি পরিবর্তন। এটি কোনো রোগ নয়। ইংরেজিতে ক্লোজমা/ মেলাসমা বলা হয়ে থাকে। সাধারণত ত্রিশোর্ধ্ব নারীরা আক্রান্ত হন। তবে পুরুষরাও (৫%) আক্রান্ত হতে পারেন। গর্ভবতী নারীদের মধ্যে আক্রান্তের হার সর্বাধিক এবং এটিকে তখন প্রেগন্যান্সি মাস্ক বলা হয়ে থাকে। গাঢ় বর্ণের ত্বকের লোকদের যেমন এশিয়ান ও হিসপ্যানিকদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
মেছতা কি : সাধারণ দাগের মতো ত্বকের অনাবৃত অংশে গাঢ় বাদামি বা কালো রংয়ের পরিবর্তন। ত্বকের রংয়ের পরিবর্তন ছাড়া অন্য কোনো লক্ষণ থাকে না। গাল, ঠোঁট, নাক, কপাল এমনকি হাতের খোলা অংশে দেখা দেয়। সাধারণত শরীরের উভয় পাশে সমভাবে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
কিভাবে
মেছতা হয় : ত্বকে মেলানিন নামে এক ধরনের রঞ্জক বা পিগমেন্ট থাকে। আর শরীরে একই অনুপাত বা ঘনত্বে মেলানিন থাকে, যা বর্ণ হিসেবে প্রকাশ পায়। যাদের ত্বকে মেলানিন বেশি তারা কালো এবং যাদের কম তারা ফর্সা হয়ে থাকেন। কোনো কারণে মেলানিনের পরিমাণ বা উৎপাদন বেড়ে গেলে ওই স্থান গাঢ় হয়ে থাকে। মেছতার ক্ষেত্রে একই ধরনের প্রক্রিয়া হয়ে থাকে।
কি কারণ
ে মেছতা হয় : মেছতার ক্ষেত্রে কি কারণে মেলানিনের উৎপাদন বা পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তা নিশ্চিত না হলেও নিম্নবর্ণিত কারণের যে কোনোটি হতে পারে,
* গর্ভাবস্থায় হরমনজনিত পরিবর্তন
* সূর্যালোক
* জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ি সেবন
* কিছু প্রসাধনী ব্যবহারের জন্য
* কিছু ওষুধ সেবনের কারণে
* বংশগত এবং
* কোনো প্রকার কারণ ছাড়া।

লক্ষণ : ত্বকের গাঢ় রংয়ের পরিবর্তন ছাড়া অন্য কোনো লক্ষণ দেখা যায় না।
চিকিৎসা : ত্বকের গাঢ় রংয়ের পরিবর্তন মেছতার কারণেই হয়েছে, এটি নিশ্চিত হওয়ার পর চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থার কারণে হয়ে থাকলে গর্ভ-পরবর্তী অবস্থায় সাধারণত ধীরে ধীরে ত্বক পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। মেছতা আক্রান্ত স্থানের গভীরতার ওপর অনেকাংশেই চিকিৎসার ফলাফল নির্ভর করে থাকে। বেশি গভীর হলে চিকিৎসার ফলাফল আশানুরূপ হয় না। নানাভাবে মেছতার চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে যেমন,
* ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে : হাইড্ডাকুইনন, অ্যাজেলিক এসিড, আলফা হাইড্রোক্সি এসিড, স্যালিসাইলিক এসিড, রেটিনসেড এবং স্টেরয়ের প্রয়োগের মাধ্যমে। কখনো কখনো একাধিক ওষুধের মিশ্রণ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। রোগীর অবস্থার ওপর বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
* সানস্ক্রিন ব্যবহার এবং সূর্যালোক পরিবহার
* কেমিক্যাল সিলিং, ডার্মাব্রেশন / মাইক্রোডার্মাব্রেশন এবং লেজারের প্রয়োগের মাধ্যমে।
মেছতা চিকিৎসার অগ্রগতি খুবই ধীরগতিতে হয়ে থাকে। যে পদ্ধতিতেই চিকিৎসা প্রদান করা হোক না কেন অনেক ক্ষেত্রেই আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায় না এবং আবার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। মনে রাখবেন, মেছতা ছাড়াও ত্বকের গাঢ় রংয়ের পরিবর্তন অন্য রোগের কারণে হতে পারে। আপনার ত্বকের পরিবর্তন মেছতার কারণেই হয়েছে কিনা এবং কোন পদ্ধতিতে চিকিৎসা নেবেন সেজন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।

ডা. এম আর করিম রেজা
কনসালটেন্ট, চর্ম ও কসমেটিকজনিত রোগ,
এশিয়ান জেনারেল হাসপাতাল, প্রগতি সরণী, দক্ষিণ বারিধারা, ঢাকা

Published in the daily 'Bangladesh Protidin',dated 11/02/2011http://www.bd-pratidin.com/index.php?view=details&feature=yes&type=gold&data=Study&pub_no=288&cat_id=3&menu_id=15&news_type_id=1&index=1

Thursday, February 10, 2011

Melasma/Chloasma(মেচতা): a common aesthetic problem

It is natural to be worried when any area of skin looks different from other parts of the body.It may be lighter/hypopigmented(as in vitiligo) or darker/hyperpigmented,focal or diffuse in pattern.There are several reasons for darker/hyperpigmented skin condition,such as;
■melasma/chloasma
■thyroid disorder
■excessive deposition of iron
■liver cirrohsis
■addisons disease
■post effects of some inflammatory skin diseases & skin injury
■side effects of some drug
When changes occur in exposed areas(such as face) of skin,the individual tends to suffer from lack of confidence,melasma/chlosma is such a condition.Melasma is not related to any medical disorder and by itself is a harmless skin condition.
Melasma/
chloasma is skin discoloration (tan, brown, blue or black) found most commonly on sun-exposed areas of the body. It appears as a blotchy pigmentation that develops slowly and fades with time.Melasma usually affects women; only one in twenty affected individuals are male. It generally starts between the age of 30 and 40. It is more common in people that tan well or have naturally dark skin compared with those who have fair skin. It is quite commonly seen in pregnant women and is often referred to as the “mask of pregnancy”. It presents itself as a dark facial skin rash with irregular borders. The rash is usually recognized by its symmetrical presentation on the cheeks, lips, nose or forehead. Skin discoloration can also occur on the upper arms. The skin discoloration can vary in color ranging from a dark brown to a deep grey.The condition is universal and seen in all cultures and ethnicities; however it is far more commonly seen in Asians, Hispanics, Arabs and North Africans who all seem to have higher levels of melanin in their skin and a tendency to tan. Individuals with fair skin may experience a lighter shade of melasma which is not always recognized.Melasma affects the forehead, cheeks and upper lips resulting in macules (freckle-like spots) and larger patches. Occasionally it spreads to involve the sides of the neck, and a similar condition may affect the shoulders and upper arms.Melasma is sometimes separated into epidermal (skin surface), dermal (deeper) and mixed types.
Process of Melasma
formation
It is believed to be due to an increase in the production & deposition of cells which release the pigment melanin, which is responsible for the dark color of the skin.
Causes of melasm
a/chloasma
What causes the increased production of melanin is not known but some triggers include:
■ Hormone fluctuation/production: the rash is most common in pregnant females
■Prolonged sun exposure
■Use of birth control pills
■Certain medications like tetracycline and anti-malarial drugs (derived from quinine)
■Scented or deodorant soaps, toiletries and cosmetics – a phototoxic reaction
■Unknown factors, when it arises in apparently healthy, normal, non-pregnant women
Hereditory factor

Symptoms
of Melasma/chloasma
Except hyperpigmentation there is no other associated symptoms in melasma.

Treatment & management
Melasma is usually a transient skin disorder that may resolve itself. This may occur after childbirth in pregnant women. In cases where the melasma occurs in men or non-pregnant women, it may exist for a few months to a few years and then suddenly disappear. Thus treatment is not always warranted and it is difficult to know if and when the rash will remain and in whom it will disappear.Over the years, various treatments developed to treat melasma including:
■Chemical peels. The most commonly used acid compounds to remove melasma include trichloroacetic acid, azelaic acid, glycolic acid, lactic acid and various fruit extracts. Stronger peeling agents tend to have a higher effectiveness rate than lighter strength peeling agents. Stronger peeling agents may also carry the risk of side effects such as burning, skin peeling, scarring and even worsening the skin discoloration.
■Skin lightening agents. There are many skin lightening agents on the market and the most commonly used is hydroquinone. Numerous other medication are precribed such as azelic acid,salicylic acid,alpha hydroxy acids,retinoids & steroids may work as skin lightening agents(single or as a combination) as well, however each patient has a unique skin type and reactions & results to skin lightening agents may vary.
■Sunscreens, especially those which are mineral based, such as zinc and titanium.
■Laser skin rejuvenation
These treatments do not necessarily cure the cause of melasma and the effectiveness of each will vary from patient to patient. Even after treatment, skin discoloration may not always disappear completely and each patient may have to try various different treatment options to see a satisfactory result. Some treatments may have to be continually performed to sustain results, such as applying a skin lightening agent on a regular basis, combined with effective sunscreen usage and sun exposure avoidance.To help prevent melasma from worsening, patients may wear sunscreen which contains a mineral based shield from the sun with an SPF at least 20. Protective clothing and wearing a hat may help to prevent melasma from worsening. Protective facial make-up may also be worn to help even skin tone and block out the sun.
Consulting with a local cosmetic dermatologist in your area may offer skin care opportunities for melasma that are right for you.
Writer:
Consultant,Skin,Allergy & Beauty-medicare
Asian General Hospital LtdProgati saroni,South Baridhara,Dhaka
Appointment:9860000,9898899,01711381302

Tuesday, January 11, 2011

Itching: A common & disgusting health problem

It is very difficult to find a person who didnt have the experience of itching in a lifetime.It is not a disease but the commonest manifestion as a symptom.Itching is a skin tingling or irritation that force you to scratch in an area of your body.The severity of itching varies according to the disease.It may affect in a focal or whole area of your body.There are hundreds of disease in which itching is a symptom.Other than dermatological disease,itching may be a manifestation of systemic diseases.



Diseases of skin

■Inflammatory skin diseases like atopic eczema & different type of dermatitis;
■Bacterial skin infection such as impetigo,cellulitis,foliculitis;
■Viral attack like chicken pox,measles ,herpes etc;
■fungal or yeast infection such as tinea versicolor,tinea cruris,candidiasis;
■parasitic skin manifestations like scabies,head & body liece;
■allergic reactions from cosmetics,apparals,food or other materials;
■diseases from climate change such as sunburn,prickly heat,in summer,xerosis or dry skin in winter;
■skin changes in senile person,menopause & pegnancy condition;
■some drug reaction & insectbites;
■Urtacaria,psoriasis,icthyosis,pemphigoid,lichenplanus

liver disease

Itching is a symptom in some hepato-billiary disease,such as Jaundice,hepatitis A,B,C,D & E infection,liver cirrohsis,alcoholic liver disease,Cholecystitis & cholelithiasis(Gall stone),bile duct obstuction.

Kidney disease

Some kidney diseases may accompany itching,like infection of kidney components,renal failure,diabetic nephropathy,end stage kidny disease.

Blood disorders

Itching may arises in some blood diseases such as,thalassemia,leukemia or blood cancer,polecythemia,hemolytic & sickle cell anaemia,lymphoma.



Beside above mentioned diseases,thyroid problem,diabetes,pancreatitis,scleroderma,sarcoidosis may be a cause of itching.



Treatment

Antihistamine drugs intake & use of emlloints like petrolium gelly,glycerin ,oils may help primarily at home.

After finding the cause of itching,treatment of that disease relieves itching.



Please remember one thing,itching may look simple complain but most often it is a symptom of complicated disease.It needs proper attention & treatment,otherwise it may threaten your life too.

জিন্নাহর বংশোধর

ওয়াদিয়া গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ইরান থেকে আসা পার্সি লোভজি নুসারওয়াঞ্জি ওয়াদিয়া ১৭৩৬ সালে বোম্বে ড্রাইডক কোম্পান...