Wednesday, March 4, 2020

কোভিড ১৯ প্রতিরোধে গণপরিবহনে যাতায়াত করতে সতর্কতা


গণপরিবহন আধুনিক নগরের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ভিড়ের কারণে গণপরিবহনে যাতায়াতের সময় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়িয়ে চলতে বড় শহরগুলোর গণপরিবহনে যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে। বাস, ট্রেন, ফেরি ইত্যাদি গণপরিবহনে ভ্রমনের সময় কিছু নিয়ম মেনে চললে সংক্রামনের ঝুঁকি থাকে না বললেই চলে। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, সংক্রামক রোগের মহামারী প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই। #করণীয় *যাত্রাশেষে দ্রুত স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিস্কার করে ফেলুন। *সাথে বহন করা ব্যাগ বা অন্যান্য জিনিস যদি যানবাহনের সংস্পর্শে আসে তাহলে সেগুলোতে জীবানু নাশক স্প্রে করুন বা ধুয়ে ফেলুন। *ভ্রমনকালে মোবাইল ফোন বা অন্যান্য গেজেট ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। *ভ্রমনকালে কোন খাবার গ্রহন করবেন না। *কেউ হাঁচিকাশি দিলে নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান নিন। *সম্ভব হলে সকাল সন্ধ্যার ব্যস্ত সময়ে গণপরিবহন ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকুন। #COVID19 #CoronaVirus জনস্বার্থে: ডাঃ এম আর করিম রেজা ত্বক, সৌন্দর্য এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এইমস্ হসপিটাল লিমিটেড বাড্ডা জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেড

ত্বকে বয়সের ছাপ: কারণ এবংপ্রতিকার


ত্বক শরীরের একক বৃহত্তম অঙ্গ। শরীরবৃত্তীয় বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি ত্বক মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রধান মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। সাধারণত চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে ত্বকে বয়োঃবৃদ্ধির বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পেতে থাকে। তবে ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে এসব লক্ষণ অপরিপক্ক বয়সেও আবির্ভূত হতে পারে। ত্বকে বয়োঃবৃদ্ধির স্বাভাবিক লক্ষণ স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও, সামাজিকভাবে মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যের প্রতিবন্ধকতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। শরীরের অভ্যন্তরীণ এবং পারিপার্শ্বিক নানা কারণেই ত্বকে বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণকে ত্বরান্বিত করতে পারে। *লক্ষণ: বলিরেখা, ভাজ, দাগ, ঝুলে যাওয়া, ঔজ্জ্বল্যতা কমে যাওয়া, পাতলা, রুক্ষ, খসখসে ত্বক বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পেয়ে থাকে। বয়স, বংশোদ্ভূত বা জ্বীনগত, সূর্যরশ্মি, বায়ুদূষণ, ধুমপান এবং প্রাত্যহিক জীবযাপন পদ্ধতি ইত্যাদি নানা কারণ ত্বকে বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণকে প্রভাবিত করে থাকে। বয়োঃবৃদ্ধির কারনে ত্বকের কোষ বৃদ্ধির হার কমে গিয়ে ধীরে ধীরে ত্বক পাতলা হয়ে যায়। ত্বকের বিভিন্ন স্তরের চর্বি, ইলাষ্টিন, কোলাজেন ইত্যাদি কোষ কমে যায়। ফলে স্বাভাবিক স্থিতিস্থাপকতা কমে যাওয়ার কারণে ত্বকে বলিরেখার আবির্ভাব হয়, ত্বক ঝুলে পড়ে। ত্বকের গ্রন্থি থেকে তেল নিঃসরণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে খসখসে এবং রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বকে চর্বি কমে গর্ত সৃষ্টি এবং অস্থির ক্ষয়ের কারণে গিয়ে মুখাবয়বের পরিবর্তন ঘটে থাকে। রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ায় ত্বকের পুষ্টির অভাব ঘটে। বয়োঃবৃদ্ধির সাথে ইষ্ট্রোজেন হরমোন কমে গিয়ে মেয়েদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ত্বকে বয়সজনিত লক্ষণের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে থাকে। বংশোগত প্রভাব, সূর্যরশ্মি, বায়ুদূষণ বর্ণিত বয়োঃবৃদ্ধি প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে থাকে। ধুমপান, খাদ্যাভ্যাস, অতিরিক্ত ওজন, ত্বকের যত্ন, এমনকি ঘুমানোর ধরনও ত্বকের বয়স জনিত বৃদ্ধি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। *প্রতিকার #বয়স এবং বংশোদ্ভূত কারনে সৃষ্ট ত্বকে বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যা প্রতিরোধে সৌন্দর্য বর্ধক চিকিৎসা ছাড়া অন্য কিছু করার নেই। #সূর্যালোকের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। প্রয়োজনে ছাতা বা হ্যাট ব্যবহার করা যেতে পারে। #বায়ুদূষণের জন্য সানস্ক্রিন এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। ত্বকের উপযোগী সাবান/ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিস্কার এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। #ধুমপান পরিহার এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। #ভিটামিন এ, সি, ডি, ই এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে হবে। #শাকসব্জি, ফলমূল এবং পর্যাপ্ত পানীয় গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। *চিকিৎসা ত্বকে বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণ কমাতে রোগীর ত্বকের ধরন, বয়স এবং লক্ষণ বিবেচনা করে খাবার ঔষধ, ব্যবহার করার ক্রিম/লোশন থেকে শল্য চিকিৎসা ইত্যাদি নানা ধরনের চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। #আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট বা ভিটামিন জাতীয় ঔষধ সেবন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে, তবে চিকিৎসক বিবেচনা করে দিতে পারেন। #ক্রিম/লোশন হিসেবে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ এবং প্রসাধনী বয়োঃবৃদ্ধির লক্ষণ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। #ত্বকের বয়োঃবৃদ্ধি জনিত ভাজ, দাগ, ঝুলে যাওয়া, গর্ত হওয়া, ঔজ্জ্বল্যতা কমে যাওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দুর করতে আজকাল নানা ধরনের সৌন্দর্য বর্ধক চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে যেমন কেমিক্যাল পিলিং, মাইক্রোডার্মাব্রেশন, কোলাজেন ফিলার এবং বোটক্স ইনজেকশন, লেজার, পিআরপি, অটোলোগাস ফ্যাট থেরাপি, ইলেক্ট্রোথেরাপি, হাইড্রোথেরাপি, থ্রেড লিফ্ট ইত্যাদি। এ সকল চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজন হয় না। #কসমেটিক_সার্জারির মাধ্যমেও অবয়ব পরিবর্তন এবং সৌন্দর্য বর্ধনের চিকিৎসা করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি থাকার প্রয়োজন হতে পারে। মনে রাখবেন এসব চিকিৎসা স্থায়ী নয় এবং অনেক সময় আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায় না। কাজেই চিকিৎসার ফলাফল, স্থায়িত্ব এবং খরচ সমন্ধে ধারনা নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা উচিত। https://www.bd-pratidin.com/health/2019/12/19/484680 লেখক: এম আর করিম রেজা ত্বক এবং সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ এইমস হসপিটাল লিঃ হটলাইন:০১৮৬৭৭১১৭৯৩

করোনা সংক্রমণ রোধে সচেতনতা এবং ফেসমাস্ক


বিশ্বজুড়ে কোভিড ১৯ ভাইরাস নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ পর্যন্ত ৭০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রায় ৯২ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৩২০০ মৃত্যুবরণ করেছে। আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে ৬ জন আক্রান্ত হলেও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এখন পর্যন্ত কারও দেহে এই ভাইরাস সনাক্ত হয়নি। একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, সংক্রামক রোগের মহামারী প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সচেতনতার বিকল্প নেই। কী করবেন *আ্যলকোহল সমৃদ্ধ জীবাণুনাশক হ্যান্ড রাব (স্পিরিট, হেক্সিসল), সাবান বা সাবান জাতীয় জিনিস দিয়ে ঘনঘন হাত ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। *অপ্রয়োজনে নাক, চোখ, মুখে হাত দেয়ার প্রবণতা পরিহার করতে হবে। *অপরিচিত কারো সাথে হ্যান্ডশেক করার পর হাত ধোয়া না পর্যন্ত নাক, কান, চোখমুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। *রেস্টুরেন্টে খাবার গ্রহণ এবং পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করার সময় সঠিকভাবে হাত পরিষ্কার করতে হবে। *জনসমাগম বা ভিড় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। *যেখানে সেখানে কফ, থুথু ফেলবেন না। হাঁচি কাশি দেয়ার সময় সতর্ক থাকুন। *গলা ভিজিয়ে রাখতে পর্যাপ্ত পানীয় পান করুন। *শুধু মাস্ক ব্যবহার কোভিড ১৯ সংক্রমণ রোধে কার্যকরী নয়। নিজে সর্দি-জ্বর, হাঁচি-কাশি, ফ্লুতে আক্রান্ত হলে এই মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার করলে সেটি অন্যকে আক্রান্ত করার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। ফেসমাস্ক চীনের উহানে করোনা ভাইরাস প্রথম সনাক্ত হওয়ার পর থেকেই দেশে দেশে সুস্থ মানুষের মধ্যে ফেসমাস্ক কেনা এবং ব্যবহার করার হিড়িক লেগেছে। এই সুযোগে প্রস্ততকারক কোম্পানির ব্যবসা ভালো হলেও সেটি কোভিড ১৯ প্রতিরোধে কতোটা কার্যকর তা জেনে নেয়া উচিত। সাধারণ ফেসমাস্ক বায়ুদূষণ থেকে কিছুটা পরিত্রাণ দিলেও রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে না। সংক্রমণ প্রতিরোধে N95 নামে রেসপিরেটরি মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। তবে এই মাস্ক পরিধানকারীর শরীর থেকে রোগ ছড়ানো যতোটা প্রতিরোধ করে, বাহির থেকে শরীরে রোগ অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে ততোটা কার্যকর নয়। শুধু তাই নয় সঠিকভাবে ব্যবহার না জানলে এই মাস্ক থেকেই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী শুধু আক্রান্ত রোগীর যত্ন নেয়া এবং সংস্পর্শে আসলে এই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে ফেসমাস্ক ব্যবহারের নিয়ম *হাত পরিষ্কার করে মাস্ক লাগাতে হবে। *নাকমুখ ঢাকার পর মুখমণ্ডল এবং মাস্কের ভিতর কোন ফাঁক রাখা যাবে না। * হাত পরিষ্কার না করে কখনো পরিধান করা মাস্ক স্পর্শ করা যাবে না। *খোলার সময় পেছন থেকে খুলতে হবে, মাস্ক স্পর্শ করা যাবে না। *মেয়াদত্তীর্ণ অপরিস্কার, নোংরা মাস্ক যত দ্রুত সম্ভব আবর্জনা বাক্সে ফেলে দিন। মনে রাখবেন কোভিড ১৯ ভাইরাস হাঁচি-কাশি ছাড়া সাধারণভাবে স্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে বাতাসে ছড়ায় না। কাজেই হুজুগে ফেসমাস্ক ব্যবহার না করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এটি প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার চেষ্টা করুন।

জিন্নাহর বংশোধর

ওয়াদিয়া গ্রুপ ভারতের সবচেয়ে পুরনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ইরান থেকে আসা পার্সি লোভজি নুসারওয়াঞ্জি ওয়াদিয়া ১৭৩৬ সালে বোম্বে ড্রাইডক কোম্পান...