Friday, January 10, 2025

Fertilo

Since the birth of the world’s first ‘test tube baby’ in 1978, in vitro fertilization (IVF) has helped millions of people worldwide overcome fertility issues and become parents. But while the procedure is designed to deliver a bundle – or bundles – of joy into the world, it’s not without some downsides.

Developed by Gameto, a biotech company, that is dedicated to advancing women’s reproductive health, providing an alternative technique to traditional IVF, known as #Fertilo. It is a fertility method that uses stem cells to mature human eggs outside the body. The technique uses ovarian support cells (OSCs) derived from induced pluripotent stem cells (iPSCs) to mimic the natural egg maturation process outside the body.


Fertilo provides an alternative to traditional IVF and, has fewer drawbacks. IVF needs a long treatment cycles, significant side effects, and the emotional and physical strain. Fertilo provides a potentially faster, safer, and more accessible solution for families. Unlike traditional IVF, Fertilo avoids 80% of the hormone injections and reduces the treatment cycle duration to just 3 days, making it faster, safer, and less invasive.

Fertilo has already gained regulatory approval in several countries, including Australia, Japan, and Mexico, with plans for Phase 3 trials in the US. The first baby conceived using this revolutionary fertility method was born at the Santa Isabel Clinic in Lima, Peru on 16 December 2024.

#MRKR #health #innovations #baby #human

Sunday, January 5, 2025

পুতনি দ্বীপ

বঙ্গোপসাগরে বিন্দুর মতো ছোট্ট একটি দ্বীপ, নাম পুটনি আইল্যান্ড‍। এই দ্বীপের পশ্চিম পাশে মান্দারবাড়িয়া সৈকত, পূর্বাংশে সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট ১৫ কিলোমিটার দুরত্বে এবং দুবলার চর ২০ কিলোমিটার দুরত্বে।

সাতক্ষীরা রেঞ্জের এই দ্বীপের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার এবং আয়তন কমবেশি ১০ বর্গকিলোমিটার‍। দ্বীপটির একাংশ জুড়ে ঘন বনাঞ্চল, অন্যদিকে দিগন্তজোড়া সৈকত। চারপাশজুড়ে বঙ্গোপসাগর‍।


১৯৭২ সালে মালেক ফরাজী নামে এক মৎস্যজীবী দ্বীপটি প্রথম খুঁজে পান। তখন এটি ২ একর আয়তনের ডুবোচর ছিল। আয়তন বৃদ্ধি পেতে পেতে ২০০৪ সালে থেকে এটি স্থায়ী ভূমিতে পরিণত হয়।

এই দ্বীপ হরিণের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। লাল কাঁকড়া, নানা ধরনের শামুক ও ঝিনুক এবং মৌমাছি বসবাস করে এই দ্বীপে। সম্প্রতি এই দ্বীপে বাঘের পায়ের ছাপ নথিভুক্ত করা হয়েছে। খুলনা অঞ্চলে পর্যটনের নুতন একটি গন্তব্যে পরিণত হয়েছে এই দ্বীপ।

#PutneyIsland #Bangladesh #Island

Friday, January 3, 2025

এইচএমপিভি ভাইরাসকে জানুন

সম্প্রতি এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস সংক্রমণ। বিশেষ করে চীনের উত্তরাঞ্চলে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী বেশি শনাক্ত হচ্ছে। জাপানেও ফ্লু লক্ষণ নিয়ে সংক্রামিত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস শ্বাসতন্ত্রের তীব্র সংক্রমণের জন্য দায়ী হিসেবে ২০০১ সালে সনাক্ত করেন। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে এই ভাইরাসের অনেক ক্ষেত্রে মিল রয়েছে। শীতকালীন ফ্লু হিসেবে এটির আবির্ভাব ঘটে। সববয়সী মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন, তবে শিশুদের ক্ষেত্রে আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি। 

ভাইরাসটির অস্তিত্ব ২০০১ সালে জানা গেলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক আবিস্কার হয়নি। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়া বিকল্প উপায় নেই


কিভাবে ছড়ায়

•হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত ব্যক্তি থেকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। 

•রোগীর ব্যবহৃত জিনিসের সংস্পর্শে এলেও এই রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে।

লক্ষণ কি

রোগ প্রতিরোধ সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে সংক্রমণের কারণে অসুস্থতার তীব্রতা ভিন্ন হতে পারে। ভাইরাসটি শরীরে প্রবেশের ৩ থেকে ৬ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা যায়।

•জ্বর

•সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা 

• শ্বাসকষ্ট 

• তীব্র সংক্রমণে নিউমোনিয়া, হাঁপানির মতো লক্ষণ

•ত্বকে ব়্যাশ

চিকিৎসা কি

ভাইরাসজনিত রোগ বিধায় নির্দিষ্ট কোন ঔষধ নেই। তবে লক্ষন অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে।

প্রতিরোধ 

•কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া, 

•অপরিষ্কার হাতে নাক মুখ স্পর্শ না করা, 

•মাস্ক ব্যাবহার করা এবং 

•আক্রান্ত রোগী থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা। 

এইচএমপিভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জীবনহানির আশংকা না থাকলেও সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ না করলে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। 

#virus #Disease #health #flu #COVID19

Monday, December 30, 2024

ইতিহাস, ঐতিহ্য ও উন্নয়ন

তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে পুরাতন স্থাপনা ভেঙে সেই স্থানে নুতন অবকাঠামো গড়ার জোয়ার চলছিল। সড়ক ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটায় সেটির প্রভাবে দুরপাল্লার রেল চলাচল তার গুরুত্ব হারিয়ে লোকসান দিতে থাকে। নিউইয়র্ক শহরের এখনকার ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেন এবং সেটির মাটির নীচের পেনসিলভ্যানিয়া ষ্টেশনের জায়গায় ছিল একটি ষ্টেশন। ১৯০৫ সালে নির্মাণ করা সেই রেলওয়ে ষ্টেশন ছিল নিউইয়র্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। কিন্তু পুঁজিবাদের লাভ-লোকসানের সমীকরণে ষ্টেশনটি গুরত্ব হারিয়ে ফেলেছিল।


রেল কর্তৃপক্ষ বিশাল এলাকা জুড়ে এই ষ্টেশন বিক্রির জন্য নিলামে তুলে। এক ব্যবসায়ী সেটি কিনে নিয়ে ভেঙ্গে নুতন স্থাপনা তৈরির ঘোষণা দিতেই প্রতিবাদের ঝড় উঠে। সেইসময় আমেরিকায় ঐতিহ্য বা ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষা করার জন্য কোন আইন ছিল না। ১৯৬৩ সালে ষ্টেশনটি ভেঙে ফেলে নুতন স্থাপনা তৈরি শুরু হয়। তবে অব্যাহত প্রতিবাদের ফসল হিসেবে ১৯৬৫ সালে আমেরিকায় ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করা হয়। ততোদিনে বর্তমান মেডিসন স্কয়ার গার্ডেন নির্মাণ প্রায় শেষ😢! এখনো পুরাতন পেনসিলভ্যানিয়া রেলওয়ে ষ্টেশন ভেঙে ফেলার ঘটনাকে নিউইয়র্কের উন্নয়ন ইতিহাসে ক্ষত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বর্তমানে উন্নয়নশীল অনেক দেশে ষাটের দশকের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো অবকাঠামো ও স্থাপনা উন্নয়ন চলছে। তবে স্থাপনা বা অবকাঠামো উন্নয়নে পরিবেশ, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনায় নেয়া উচিত।

#MRKR

Friday, December 20, 2024

স্বাধীন আরাকান

বাংলাদেশের সঙ্গে বার্মার সীমান্তবর্তী রাজ্য আরাকান বা রাখাইন। বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী এই রাজ্যের দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি নামে একটি স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী গোষ্ঠী। 

প্রায় ৩৭ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের আরাকানের জনসংখ্যা কমবেশি ৩৫ লক্ষ। জনসংখ্যার ৭৭% বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং ২২% মুসলমান, যারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নামে পরিচিত। এই রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশ, ভারত ও চিনের স্বার্থ সরাসরি সংশ্লিষ্ট।


•রাখাইনে গ্যাস, বিদ্যুৎ, বন্দরের বড় বড় প্রকল্প গড়ে তুলছে চীন। চকপিউ এলাকায় একটি সমুদ্রবন্দর গড়ে বিশেষ এক অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ করেছে চিন। এই বন্দর থেকে দুইটি পাইপলাইন নিয়ে যাওয়া হয়েছে চীন ভূখণ্ডে। একটা গ্যাসলাইন অপরটি তেলের। মধ্যপ্রাচ্য থেকে যে জ্বালানি চিন আমদানি করবে তা এই পথে কুনমিং পর্যন্ত নিয়ে যাবার ব্যবস্থা হয়েছে।

•রাখাইন প্রদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের অর্থায়নে কালাদান মাল্টিমোডাল প্রকল্পের কাজ চলমান। চট্টগ্রামকে বাইপাস করে কলকাতা থেকে সিতওয়ে অর্থাৎ আগের আকিয়াব বন্দর পর্যন্ত নৌপথকে জাহাজ চলাচলের উপযুক্ত করেছে ভারত। কলকাতা থেকে প্রথমে সমুদ্রপথে রাখাইনের সিতওয়ে, তারপর কালাদান নদীপথে পালেতোয়া, সেখান থেকে সড়কপথে ভারতের মিজোরাম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চল, কালাদান মাল্টিমোডাল প্রজেক্টের রুট। যা এখন আরাকান আর্মির দখলে।

•রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, জল ও স্থলে সীমান্ত থাকার কারণে আরাকান বাংলাদেশের কাছ বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ। আরাকান আর্মি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দিয়ে গঠিত। আবার রোহিঙ্গাদের সংগঠন রোহিঙ্গা আর্মি, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের সঙ্গে আরাকান আর্মির বিরোধ রয়েছে। বর্তমানে কমবেশি ১৫ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে রয়েছে। আরাকান আর্মি স্বাধীনতা ঘোষণা করলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের জন্য নুতন এই দেশটির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার বিকল্প নেই বাংলাদেশের।

#trend #Bangladesh #india #China #Myanmar

Tuesday, December 17, 2024

ত্বকের বলিরেখা দূর করতে বোটক্স চিকিৎসা

বয়স বাড়ার সাথে তাল মিলিয়ে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমতে থাকে, যার ফলে বলিরেখা বা ভাঁজের আবির্ভাব ঘটতে থাকে। ত্বকে অবস্থিত সূক্ষ্ম মাংসপেশির মাধ্যমে অভিব্যক্তি প্রকাশ এবং দৃশ্যমান ভাঁজ নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। অভিব্যক্তি প্রকাশ করার সময় সুক্ষ্ম মাংসপেশী স্নায়ুর নির্দেশনায় নানা মাত্রায় দৃঢ়তা লাভ করে থাকে। এই মাংসপেশি বয়োঃবৃদ্ধির সাথে ক্রমশ দৃঢ় হতে থাকে। একসময় শক্ত মাংসপেশির কারনে ত্বকে ভাঁজ পরিলক্ষিত হয়ে থাকে, যা বলিরেখা নামে পরিচিত। সৌন্দর্য সচেতন মানুষ এই বলিরেখা থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে থাকে। আজকাল স্থায়ী না হলেও সাময়িকভাবে বলিরেখা দূর করার নানা ধরনের চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে দ্রুত এবং সহজভাবে বলিরেখা দূর করা যায় বটিউলিনিয়াম টক্সিন ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে।  এই পদ্ধতি বর্তমানে বলিরেখা দূর করার সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা পদ্ধতি। 

বোটক্স কি?

বোটুইলিনিয়াম নামে একধরনের স্নায়ু বিষ পরিশোধিত করে বোটক্স তৈরি করা হয়ে থাকে। এটি ত্বকের চিকিৎসা ছাড়াও আরো অনেক রোগের চিকিৎসায় ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।

কিভাবে কাজ করে?

নির্ধারিত মাংসপেশির গোঁড়ায় প্রয়োজনীয় মাত্রায় বোটক্স ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। ইনজেকশনের স্থান এবং মাত্রা নির্ধারণে চিকিৎসকের বিশেষজ্ঞ জ্ঞান এবং দক্ষতার প্রয়োজন হয়। বোটক্স নির্ধারিত মাংসপেশিকে অসাড় এবং নরম করে দেয়। ইনজেকশন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বোটক্স কাজ করা শুরু করে, এবং ৫-১০ দিনের মধ্যে ফলাফল পরিলক্ষিত হয়ে থাকে। একবার ইনজেকশন দেয়ার পর সাধারনত ৩-৬ মাস কার্যকারিতা থাকে। তারপর আবার চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন হয়। এই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে থাকার প্রয়োজনীয়তা নেই। 


পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

সাধারণত ইঞ্জেক্সনের কারণে সাময়িক জ্বালা, পোড়া এবং অসাড়তা অনুভূত হয়। তবে ইনজেকশনের স্থান নির্ধারণে ভুলের কারণে অভিব্যক্তি বা চেহারার বিকৃতি হতে পারে। 

খরচ

বোটক্স ইউনিট হিসেবে প্রদান করা হয়ে থাকে। চিকিৎসা দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ইউনিট এবং চিকিৎসকের ফি যোগ করে খরচ নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। 

Monday, December 16, 2024

বাংলাদেশ ও ত্রিপুরা

ভৌগোলিকভাবে তিনদিক দিয়ে বাংলাদেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং আসামের সঙ্গে একটি মাত্র স্থলপথে সংযুক্ত ভারতের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরা।রাজ্যটিতে জনসংখ্যার ৭০ শতাংশ বর্তমানে বাঙালি। অতীতের সংখ্যাগরিষ্ঠ আদিবাসী সম্প্রদায় এখন জনসংখ্যার মাত্র ৩০ শতাংশ।

ত্রিপুরার মাণিক্য রাজাদের শাসন ছিল এক বর্ণাঢ্য অধ্যায়। রাজারা প্রথমদিকে পূর্ণ স্বাধীন ছিলেন, তবে মোগল শাসক ও বাংলার নবাবদের কাছে একসময় তাদের বশ্যতা স্বীকার করতে হয়। রাজারা বারবার মোগল দরবারে কর দিতেন। পরবর্তীতে, ব্রিটিশ শাসকরাও ত্রিপুরার স্বাধীনতাকে সীমিত করে। পলিটিক্যাল এজেন্টের মাধ্যমে রাজ্য পরিচালনার উপর কড়া নজর রাখত তারা।

দেশভাগের সময় ত্রিপুরায় হিন্দু শরণার্থী এবং পূর্ববঙ্গে ত্রিপুরা থেকে মুসলিম শরনার্থীদের কারণে জনসংখ্যায় বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে। বর্তমানে রাজ্যটির জনসংখ্যার ৮০% হিন্দু এবং মাত্র ৯% মুসলিম ধর্মালম্বী। ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাজনের সময় ত্রিপুরার ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে পূর্ব পাকিস্তানের অংশ হওয়ার দাবিকে বাস্তবসম্মত করে তুলেছিল। তবে একাধিক রাজনৈতিক, সামাজিক এবং কৌশলগত কারণে তা শেষ পর্যন্ত ঘটেনি।

সে সময় এই ইস্যুতে ত্রিপুরার রাজপরিবার বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার পক্ষে ছিলেন ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য মহারাজকুমার দুর্জয়কিশোর দেববর্মন এবং রিজেন্সি কাউন্সিলের মন্ত্রী সত্যব্রত মুখার্জী। তাদের সমর্থনে ছিলেন আঞ্জুমান-এ- ইসলামিয়ার নেতা আবদুল বারিক। অন্যদিকে, রাজপরিবারের আরেক অংশ, ত্রিপুরার উপজাতি জনগোষ্ঠী এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পাকিস্তানভুক্তির বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে ভারতভুক্তির পক্ষে সোচ্চার হয়।



ঠিক এই সময় ১৯৪৭ সালের ১৭ মে মহারাজা বীরবিক্রম কিশোর দেববর্মনের মৃত্যুর পর তার নাবালক পুত্র কিরীট বিক্রম কিশোর দেববর্মন রাজ্যের উত্তরাধিকারী হন। প্রথা অনুযায়ী ব্রিটিশ সরকার রাজ্য পরিচালনার জন্য গঠন করে রিজেন্সি কাউন্সিল বা পরামর্শক পরিষদ। এই কাউন্সিলের নেতৃত্বে ছিলেন মহারানী কাঞ্চনপ্রভা দেবী। হিন্দু ধর্মাবলম্বী রাণী সেই রাজনৈতিক সংকটময় সময়ে ত্রিপুরাকে ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার পথে অগ্রসর হন।

ব্রিটিশরা ভারত-ত্যাগের পরপরই গুজব রটে যায় যে পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম সৈন্যরা ত্রিপুরা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নির্দেশে ভারত সরকার ত্রিপুরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আসাম থেকে সেনাবাহিনী প্রেরণ করে এবং জরুরী বার্তা পাঠিয়ে পাকিস্তানের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে বিষয়টি অবগত করা হয়।

ভিন্ন একটি সূত্র মতে ত্রিপুরার মহারাণীও পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যোগদানে আগ্রহী ছিলেন। অবশ্য মহারাণী চাইলেও ত্রিপুরাকে পূর্ব পাকিস্তানের সাথে যুক্ত করতে পারতেন কি না, তা নিয়েও সংশয় রয়েছে। কেননা সেই সময় বিহারে দাঙ্গার প্রতিক্রিয়ায় পূর্ববঙ্গের নোয়াখালী অঞ্চলে দাঙ্গা সৃষ্টি হলে বিপুল সংখ্যক বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বী ত্রিপুরা রাজ্যে শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করে। হিন্দু প্রধান রাজ্য ত্রিপুরা এবং মুসলিম প্রধান পূর্ববঙ্গের মধ্যে তখন একটা মনস্তাত্ত্বিক বিরোধ গড়ে উঠে। এই বিরোধ টপকিয়ে বাংলাভাষী এই দুই অঞ্চলকে এক করার মত যোগ্য কোনো নেতৃত্ব তখন ত্রিপুরায় ছিল না।


আরেকটি কারণ তখনকার পূর্ববঙ্গের উর্দুভাষী মুসলিম নেতৃত্ব বা পাকিস্তানের নেতৃত্ব পূর্ববঙ্গকে ভৌগলিকভাবে শক্তিশালী করার প্রতি মনোযোগী ছিলেন না। নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা ও অবহেলার কারণেই আরাকান রাজার আবেদন সত্ত্বেও আরাকানকে পাকিস্তানের অংশ করা হয়নি, ত্রিপুরাও চলে যায় ভারতের করায়ত্তে।

১৯৪৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর নাবালক রাজা কিরিটী বিক্রম মাণিক্যের পক্ষে মহারানী কাঞ্চনপ্রভা দেবী দিল্লিতে ত্রিপুরা রাজ্যকে ভারতভুক্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ১৫ অক্টোবর ত্রিপুরা আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের অংশ হয়। ত্রিপুরার ভারতভুক্তি চুক্তি রাজ্যটির সাড়ে ৫০০ বছরের রাজতান্ত্রিক অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটায়।

(সংগৃহিত ও সম্পাদিত)

#trend #India #Bangladesh #Pakistan #politics

সৌন্দর্য ধরে রাখার ইঞ্জেকশন—প্রভাব, অপব্যবহার ও দীর্ঘমেয়াদি প্রশ্ন!

 ✅ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ত্বকে বয়সের ছাপ খুঁজে পেয়ে আতঙ্কে ভোগেন। আবার অনেকে নিজের বাহ্যিক অবয়বে সন্তুষ্ট না হয়ে সৌন্দর্য  খুঁজে ব...